বোকা বানিয়ে সহজেই বের করে নিন অন্যের জিমেইল ও হটমেইলের পাসওয়ার্ড!!

আসসালামুআলাইকুম। অনেক দিন পর টিউন করছি। আমি অবশ্য এইরকমই অনিয়মিত টিউনার। একটা করি তো মাঝখানে বিশাল গ্যাপ। পড়াশুনার চাপে আসলে সময় হয় না। এছাড়া দিনে যতটুকু কম্পিউটার চালানোর সময় পাই তাতে টিউন দেখতে দেখতেই সময় চলে যায় আর টিউন করা হয় না। যায়হোক, এখন স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। দেখি, কয়টা করতে পারি।

মূলত অন্যান্য বিষয়ের চাইতে হ্যাকিংয়েই আমার আগ্রহ সামান্য বেশি যদিও তেমন কিছু পারি না। ছোট খাটো সফটওয়্যারের মাধ্যমে বন্ধুদের বোকা বানিয়ে পাসওয়ার্ড পেয়েই বেশি মজা পাই। আজকে তেমনি দুইটি মজার দুইটি হ্যাকিং সফটওয়্যারের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব।

তবে এগুলো ব্যবহারের জন্য Microsoft.NetFramework লাগবে। এটি না থাকলে .exe এ ক্লীক করলে এই ধরনের ইরর মেসেজ দেখাবে।

without net অন্যের পিসিতে স্পাই রাখতে চান?? তাহলে আসুন, একটি হ্যাকিং সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হই (নতুনদের জন্য) | Techtunes

যাদের এটি নেই এবং হ্যাকিং সফটওয়্যারটি ব্যবহারে ইচ্ছুক তারা এখান থেকে ডাউনলোড করে নেন। এবার তাহলে আসি আসল কাজে....

জিমেইল

এই নিয়ে একটা টিউন অনেকদিন আগে হয়েছিল তবে আমি সেইটা ব্যবহার করতে পারি নাই এবং আরও অনেকেরই সমস্যাটি হয়েছিল। তাই এই টিউনে ঐটার একটা বিশুদ্ধ কপি দিচ্ছি। তাছাড়া নতুনরাও শিখতে পারবেন। তবে তার আগে সবার ভালোভাবে বোঝার সুবিধার জন্য বিস্তারিত লিখছি।

প্রথমে জিমেইল হ্যাকারটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন। আনজিপ করলে বেশ কয়টি ফাইল দেখতে পাবেন। তারমধ্যে stub নামের একটা জিনিস আছে। ঐটাতে হাত দিতে যাবেন না, ডিলিটও করবেন না। gmail hacker builder নামের exe ফাইলটি ক্লীক করুন।

Gmail Address এ আপনার জিমেইল আইডি দিন এবং পাসওয়ার্ড এর জায়গায় আপনার আইডির পাসওয়ার্ড দিন। অনেকে মনে করে এইগুলো ট্রোজান এবং পাসওয়ার্ড দেওয়ার সাথে সাথে হ্যাক করে। আমি নিজে পরীক্ষা করে দেখেছি এবং বেশ কয়েক মাস হল তবু মেইলটার কিছু হয় নাই এবং কেউ তাতে প্রবেশও করে নাই। তবে সাবধানের মার নাই। ভয় থাকলে নতুন একটা আইডি খুলুন। সেটাই ভালো। যায়হোক, আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর Build-এ ক্লীক করুন। যেখানে Extract করেছেন সেখানে Gmail Hacker নামে একটা exe ফাইল তৈরী হয়েছে। সেটাই হল জিনিস। 🙂

যাকে এর শিকার করাতে চান তাকে প্রথমে বেশ পামপট্টি মারুন। বলুন,এমন একটি সফটওয়্যার পেয়েছেন যেটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে এবং বেশ কাজের ইত্যাদি ইত্যাদি.....

এতকিছু শোনার পর নিশ্চিত আপনার victim সফটওয়্যারটি নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠবে। যেহেতু এটি হ্যাকিং সফটওয়্যার এবং প্রায় সকল হ্যাকিং জিনিসকেই এন্টিভাইরাস খুব একটা ভালো চোখে দেখে না তাই তাকে জিনিসটা নেওয়ার আগে এন্টিভাইরাস ডিজেবল করে রাখতে বলুন।  যেহেতু এই সম্পর্কে নানা লোভনীয় কথা শুনেছে তাই বিশ্বাস করার কথা। তারপর আপনি যেই gmail hacker তৈরী করেছেন সেটা তার কাছে পাঠিয়ে দিন।

Gmail hacker এর গঠন দেখে যখন টগবগ হয়ে নিজের জিমেইল আইডি-পাসওয়ার্ড ও যার আক্যাউন্ট হ্যাক করতে চায় তার আইডি দিবে এবং যখন প্রতীক্ষিত পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার আশায় সে Hack Them ক্লীক করবে তখনই একটা ইরর মেসেজ আসবে।
ব্যাস কাজ শেষ। আপনার মেইলটি খুলুন। দেখবেন পাসওয়ার্ডটি এসে গেছে। 😉

হটমেইল

এটা আরেকটু মজার। বোকা মানুষকে সহজেই এর ফাঁদে ফেলানো যাবে। ১ মেগাবাইটের মত হটমেইল হ্যাকারটি প্রথমে ডাউনলোড করে নিন।

জিমেইলের মত এটাও Extract করুন এবং hotmail hacker builder এ ক্লীক করুন।

আপনার জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিন। সাবজেক্টে কিছু না লিখলেও চলবে।

SMPT server Address এবং port পরিবর্তনের দরকার নেই। জিমেইলটিতে ইরর মেসেজ ছিল অটো কিন্তু এটিতে আপনি নিজে কিছু লিখে দিতে পারবেন যা পরে শো করবে।

তারপর Build-এ ক্লীক করুন। Hotmail Hacker নামের একটা ফাইল তৈরী হবে। যাকে হ্যাক করতে চান সেটি তার কাছে পাঠিয়ে দিন। বিল্ডারটি ওপেন করলে এই রকম কিছু আসবে-

your victim account information-এ আপনার victim যাকে হ্যাক করতে চায় তার আইডি দিবে।

What To Do-এ সে যা যা সুবিধা পেতে চায় তাতে টিক চিহ্ন দিবে।

সবশেষে তার নিজের আক্যাউন্টের ইনফরমেশন দিবে এবং log in and start-এ ক্লীক করবে অর্থাৎ পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার জন্য তাকে লগ ইন করতে হবে। যখনই সে সেটি ক্লীক করবে তখনই আপনার দেওয়া ইরর মেসেজটি দেখাবে।

আপনি আপনার মেইলটি চেক করুন....পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। 😀

একটা সমস্যা: একবার এইরকম সার্ভার তৈরী করে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাচ্ছি পেন ড্রাইভে করে। মনটা খুব খুশি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহের লিস্ট আরেকটু বড় হবে আজ। ঝামেলায় পড়লাম ওর পিসিতে বিল্ডারটিকে চালু করতে যেয়ে। যতবারই ক্লীক করি ততবারই ইরর মেসেজ দেখায়। পরে বুঝলাম, বিল্ডারটিকে রান করানোর জন্যও Microsoft.NetFramework লাগবে। অর্থাৎ আপনি যাকে পাঠাবেন তার পিসিতেও NetFramewrok থাকতে হবে। 😥

সবশেষে যেই জিনিসটি দিচ্ছি সেটি .exe এর সাইজ বড় করে। অনেকে অল্প সাইজের কোনো জিনিস কে কীলগার বা ট্রোজান ভেবে ভয়েই ডাউনলোড করে না। আপনি যেই বিল্ডার তৈরী করেছেন সেটিও পিচ্চি সাইজের । সামান্য হলেও মানুষের সন্দেহ দূর করানোর জন্য আপনি বিল্ডারটির সাইজ বড় করতে পারবেন।

এইজন্য Exe Binder ডাউনলোড করুন এখান থেকে। stub জিনিসটাকে ছোঁবেন না। exe ফাইলটির কাজে এটি সাহায্য করে। Exe Binder টি ওপেন করুন। এখন যেই exe ফাইলের সাইজ বড় করতে চান তা browse করে সিলেক্ট করুন এবং ইচ্ছামত সাইজ বড় করুন।

এছাড়া exe ফাইলকে বাইন্ডও করতে পারবেন।

তো আর দেরি কেন? শুরু করে দেন পাসওয়ার্ড সংগ্রহের খেলা 😛 । আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। 😆 বাই বাই 😆

Level 0

আমি Bookworm ইশতিয়াক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 964 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ৯ম শ্রেণিতে পড়ি। বগুড়ায় থাকি। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এ পড়ি। ভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে আগ্রহী হলেও গল্পের বই পড়া এবং সংগ্রহ করা আমার সবচেয়ে প্রিয় হবি। আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন- http://www.facebook.com/home.php?#!/ishtiak.jok


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভালো লেগেছে………আমার কাছে এইরকম মেল একটা এসেছিল……….
ধন্যবাদ সবাইকে জানানোর জন্য

Level 0

ভাই আমি কিভাবে বুঝবো আপনি আমার account hack করছেন না…?!!

    আমার তো এখানে কাউকে হ্যাক করার চান্সই নেই… 🙁
    এই জন্যই বলেছি ভয় থাকলে ফেক একটা মেইল ব্যবহার করুন

Level 0

@Dweep08: ekhon porjonto emon kono technique abishkar hoini jekhane apnar contribution sara apnar email hack kora jabe. "phishing" korte gele apnar contribution lagbe, "Trojan", "Backdoor", "Clickjacking", shoho shobgulo method er jonnei apnar contribution lagbe, mane apnake boka baniye kinsu na kisu korte bola hobe r apni ta thik mone kore jokhon e korte jaben, tokhon e dhora khaben. R ha facebook e kokhono Farm-ville khelben na, kono application use kore kono kisu khelben na jemon rashi fol ber kora etc. etc. egula apnar account er shobgula information k emon vabe scan kore ber kore ane j ekjon hacker shei info diye "revert hacking" korte pare, erokom aro onek kisu kore apnake boka baniye apnar account hack kora jete pare. To ektu shocheton hole kono voi nei. 🙂

    আমার মনের কথা গুলাই আপনে বেশ বিস্তারিত লিখে দিলেন..thanks..thanks.. 🙂 😀

Level 0

Na thanks er dorkar nei, amio ekhane kisu notun notun jinish pai, jemon Gmail back up amar jana silo na :D, shobai ja jane ta share korlei shobai shobar geyar aro improve korte parbe. TC.:)

Level 0

সফ্টওয়ার ছাড়া কোন পদ্ধতি আছে কি ? থাকলে শেয়ার করুন ।

Level 0

Really very exciting Post. Thanks you a lot from deep Core of Heart.

আপনি তো বন্ধুদের সাথে ভালই দুষ্টামি করেন! :p নিঃসন্দেহে এটা একটা সচেতনতামূলক টিউন – এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এর সাথে আরেকটি সম্ভাবনার কথাও সকলের মাথায় রাখা উচিত:
বাজারে ৩০ টাকার সিডিতে ক্র্যাকসহ যে হাজার হাজার টাকা দামী সফটওয়্যারগুলো পাওয়া যায়, ওগুলো হ্যাকাররা কেন কষ্ট করে ক্র্যাক করে ব্যবহার করতে দেয়? কারণ ঐ ক্র্যাকের পাশাপাশি ওতে আইডি, পাসওয়র্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি চুরি করার জন্য কোডও থাকে (কী-লগার ইত্যাদি) — — এমনকি ক্র্যাক করা এন্টিভাইরাসও হয়তো তলে তলে এগুলো সব হাতিয়ে নিচ্ছে।

অন্যদিকে ওপেনসোর্সগুলোর সোর্সকোড সকলে দেখতে পায় বলে এমন কাজ এগুলো দিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। কেউ না কেউ দেখবেই। তবে কেউ ডাউনলোড করে এর মধ্যে সেইরকম কোড ঢুকিয়ে দিলে আমার মত আম-জনতা সেটা বুঝবো না আর ধরা খাবো। আর এজন্যই ওপেনসোর্স সফটওয়্যার বাজার থেকে না কিনে বরং বিশ্বস্ত ডাউনলোড সাইট থেকে সরাসরি নামাতে হয়।

    ধন্যবাদ শামীম ভাই। খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।

    ভালো কথা বলেছেন শামীম ভাই 🙂 😀

হুম ভাল লিখছেন। সফটওয়্যারটা খুবি কাজের।

জানানোর জন্য ধন্যবাদ 🙂

nice.i like it

ভাই এটা কি হলো ?

এইসব software দিয়ে অন্যদের চেয়ে নিজের account টাই hack হবার সম্ভাবনা বেশি, তাই এইসব 3rd পার্টি soft ব্যবহার না করাই ভালো. 🙂

    সেইজন্যই বলেছি ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন

Level 0

ভাই জান দয়া করে বলবেন কি….আমার ইমেল আইডি আর পাসওয়ার্ড দেয়ার দরকার কি….

    পাসওয়ার্ডটি নেওয়ার কাজটি মেইলের নিজের….
    মেইলে ঢুকতে গেলে তো পাসওয়ার্ড ছাড়া ঢোকা যায় না…তাই না?? আর সেই জন্য আইডির সাথে সাথে পাসওয়ার্ড দিতে হয়..

Level 0

আপনাকে ১০ লক্ষ ধন্যবাদ ……………………….
………………………………………
আপনার আগের লেখা গুলো আমার ভাললাগছে ……………………………..