স্লো এন্ড্রয়েড মোবাইল ফাষ্ট করুন (Root Users)

এন্ড্রয়েড একটি বহুল পরিচিত অপারেটিং সিস্টেম। আমরা এখন এই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত মোবাইল ব্যবহার করি। প্রথম প্রথম মোবাইল অনেক ফাস্ট থাকে কিন্তু আস্তে আস্তে মোবাইল খুব স্লো হয়ে যায়। কিন্তু যাদের মোবাইল রুট করা তারা দুই-একটি অ্যাপ্স ব্যবহার করে পারফরমেন্স ফাষ্ট করতে পারেন।

আগে আসি রুট কি ?এবং এর সুবিধা ও অসুবিধাঃ-

সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায়, রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক। যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড়, লিনাক্সের জগতে রুট বলতে সেই পারমিশন বা অনুমতিকে বোঝায় যা ব্যবহারকারীকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে (অবশ্যই কেবল সেই কম্পিউটার, ডিভাইস বা সার্ভারে!)। রুট হচ্ছে একটি পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যাইচ্ছে তাই করতে

 রুট করার সুবিধা

  • পারফরমেন্স বাড়ানোঃবিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।
  • ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
  • আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
  • কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।
  • কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্যকাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

 

  রুট করার অসুবিধা

  •           ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান।                   অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা  অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়াএড়ানোর উপায় নেই।
  •           ফোন ব্রিক করাঃ  ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।

বি.দ্রঃ রুট করার পর আপনার মোবাইলের কোনো সম্যসা হলে আমাকে দোষারোপ           

        করতে পারবেন না। নিজের দায়িত্তে রুট করুন।

যাদের মোবাইল রুট করা নাই তারা প্রথমে রুট করে নিন। সব মোবাইলের রুট করার পদ্ধত্তি এক না তাই এটা নিজে করে নিন।

এবার AutoKiller Memory Optimizer  বা  L Speed  মধ্যে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করুন...

১. AutoKiller Memory Optimizer

২. L Speed

আমি AutoKiller Memory Optimizer  ইউস করি। তাই এই অ্যাপ্স এর কাজ আমি বলে দিতেছি।

ডাউনলোড কম্পিলিট হয়ে গেলে যেকোনো একটি ইন্সটল করুন এবং ওপেন করুন। রুট ইউজার এ গ্রান্ট এর মেসেজ আসবে, গ্রান্ট এ ক্লিক করুন। তারপর আপ্সটি ওপেন হলে দেখবেন Change নামের একটি বাটন আছে, বাটনে ক্লিক করুন। তারপর একটি প্রিসেট সিলেক্ট করতে বলবে। আপনি একদম শেষের প্রিসেট(Ultimate) সিলেক্ট করবেন। তারপর আপনার মোবাইল রি-বুট দিবেন। কাজ শেষ, এখন দেখবেন আপনার মোবাইল পূর্বের থেকে অনেক দ্রুত কাজ করতেছে।

 

 

ফেইসবুকে আমিঃ https://www.facebook.com/ashikul.shadesh

 

Level 0

আমি আশিকুল স্বদেশ। Intern, Metrocem Cement, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস