প্রশ্নফাঁস ও একটি অনুসন্ধান (২০১৩)

সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।

প্রথমেই বলে রাখছি টেকটিউনস এডমিন এবং মডারেটরদের, আমার টিউন এর টাইটেল দেখে ডিলিট করবেন না! আগে পুরো টিউন ভালোভাবে পড়ুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

আর টিউনার এবং টিউজিটর ভাইদের প্রতি অনুরোধ দয়া করে আমার টিউনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

চলুন শুরু করা যাক:

প্রারম্ভিকা:

অনেকের হয়ত আমার টিউনের টাইটেল দেখে চোখ কপালে। কেউ হয়ত নেগেটিভ কিছু ভেবে বসেছেন।

এখন জেএসসি পরীক্ষা ২০১৩ চলছে। এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক পরীক্ষা। আর এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অভিন্ন প্রশ্নপত্র।

কিন্তু হরতালের কারনে পরিবর্তিত সময়সূচিতে শুরু হয় জেএসসি পরীক্ষা। শুরু হওয়ার ২দিন পর আমার এক বন্ধুর সাথে এবারের জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে আলাপকালে সে আমাকে বলে, “এবারে জেএসসির প্রশ্ন আউট হয়েছে।” আমি তার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে প্রশ্ন আউট হওয়ার বিপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরি। কিন্তু সে আমাকে জানায় যে, তার কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা হয়েছে যারা প্রশ্ন পেয়েছে। এবং আরও বলে (ইরেজী ২য় পত্রের উল্লেখ করে) যে তাদের ১০০% কমন পড়েছে।

আমার একটু খটকা লাগলেও গায়ে মাখিনি। কিন্তু আমি কথাটা গায়ে মাখি তখন যখন আমার গনিত ও বিজ্ঞান বিষয়ক গৃহশিক্ষক আমাকে বলে যে কিছু জেএসসি পরীক্ষার্থী তাকে বারবার ফোন করছে যাতে সে তাদের প্রশ্ন সমাধানে সাহায্য করে। স্যার ভয়ে বা বিরক্ত হয়ে ফোন সুইচ অফ করে রাখে। আমি তারপর উঠেপড়ে লাগি এই রহস্য ভেদ করতে।

সেদিন জেএসসির বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময় আগে আমার  অন্য এক বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায় যে সবাই মোবাইলে প্রশ্ন পেয়েছে। এবং আমাদের ক্লাসের এক ছেলের নাম উল্লেখকরে বলে যে সে তার বোনের জন্য প্রশ্ন সংগ্রহ করেছে এবং তা নাকি শতভাগ কমন পড়বে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম প্রশ্ন কিভাবে দেখে ও বলেছিল ইন্টারনেটে, কিন্তু আমাকে ওয়েব ঠিকানা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল।

অনুসন্ধানের শুরু:

যাই হোক ওইদিন দুপুরে আমি গুগল সার্চ শুরু করি এবং ৪-৫ মিনিট পড়ে আশানুরূপ ফলপেয়ে খুশি হই। আমি একটি ওয়েবসাইট পাই (ওয়াপকা দিয়ে তৈরী। কিন্তু টপ লেভেল ডোমেইন) যেখানে আমি সরাসরি বিজ্ঞান প্রশ্ন পাই। আমি জানিনা কমন পড়েছিল কিনা। তবে আমি আমার বন্ধুকে কয়েকটা প্রশ্ন শোনাতে পেরেছিলাম বিকেলে এবং সে বলে সম্ভবত আমি যে প্রশ্নটি দেখেছি সেটাই পরীক্ষায় এসেছে। কিন্তু তার আগে আমি ওই একই ওয়েবসাইটে অনেকগুলো টিউন (বিজ্ঞাপনও বলা যেতে পারে) দেখতে পাই এরকম “জেএসসির গনিত ক খ সেট। ফোন করুন: ০১xxxxxxxxx”

আমি এদের টার্গেট করি। এই ছোট অনুসন্ধানটি পরিচালনা করতে আমাকে ছোট একটি চাতুরীর আশ্রয় নিতে হয় এবং বলতে হয়, “আমি নিজেই পরীক্ষার্থী”।

আমি আমার প্রথম কল লাগাই। কয়েকবার অটো রিসিভ হয়ে কেটে যায়। আমি একেবারে আশা ছেড়ে দিই। কিন্তু কিছুক্ষন পড়ে সে নিজে কয়েকটা মিস্ডকল দেয়। আমি চাইছিলাম না কল ব্যাক করতে। তারপর দেখি একটা সরাসরি কল। আমি রিসিভ করলাম কথা বললাম। যার কিছুটা অংশ নিচে তুলে ধরছি:

১ম ব্যক্তির সাথে কথোপকথন:

আমি: হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো!!!

১ম ব্যক্তি: (কিছুক্ষন পরে) হ্যাঁ বলুন (কিছুটা গম্ভীর এবং চাপা আওয়াজ)

আমি: আমি একটা ওয়েবসাইটে দেখলাম যে আপনার কাছে জেএসসি পরীক্ষার গনিতের প্রশ্ন আছে। আচ্ছা আমি তো একজন পরীক্ষার্থী তাই আমার প্রয়োজন ছিল।

১ম ব্যক্তি: হ্যাঁ আছে।

আমি: আমাকে দিতে পারবেন?

১ম ব্যক্তি: হ্যাঁ মেইল করে দিতে পারব। আপনার ইমেইল আইডিটা আমাকে পাঠিয়ে দেন আমি আপনাকে মেইল করে দিব।

আমি: এর জন্য কি আপনাকে কোনো পেমেন্টে করতে হবে?

১ম ব্যক্তি: ... ... ... ... ... ... (কিছু অস্পষ্ট কথা আমার ঠিক মনে নেই) দেড়শ টাকা দিতে হবে।

আমি: একশ টাকা দিলে হবেনা?

১ম ব্যক্তি: আমি আপনাকে দুই সেট দিব ক খ সেট। এতি কমন পড়বেই।

আমি: আপনি কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন?

১ম ব্যক্তি: আমার স্যার আমাকে দিছে।

আমি: আপনি কি পরীক্ষার্থী?

১ম ব্যক্তি: না আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।

এরপর আমি টাকা না পাঠিয়ে তাকে ইমেইল ঠিকানা SMS করে দেই এবং কল করে জানাই সে বলে বিকেল ৪টার পরে পাঠাবে এবং তারপরে যেন বিকাশ করে টাকা পাঠাই!!!

কিন্তু সে আর আমাকে মেইল পাঠায়নি!!!

এবার দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম্বার পেলাম। এবার কথা বলল আমার বন্ধু

দ্বিতীয় ব্যক্তির সাথে কথোপকথন:

আমার বন্ধু: হ্যালো, আমি একটা সাইটে দেখলাম যে জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়!!?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: হ্যালো! কে?

আমার বন্ধু: আমি বলছিলাম আপনি নাকি জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন দেন?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: এটা কোথায়?

আমার বন্ধু: আমি প্রশ্নটা কিভাবে পেতে পারি।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: মেসেজের দ্বারা পাবেন আপনি।

আমার বন্ধু: (কথা অস্পষ্ট আসায়) আমি জিজ্ঞেস করছিলাম কিভাবে পেতে পারি।

দ্বিতীয় ব্যক্তি:  আরে বাবা! আপনার যে এই নাম্বারটা না?! এইটাটে মেসেজ করে পাঠাই দিব। এই কত?! ১ মিনিট ও লাগবে না ৩০-৪০ সেকেন্ড লাগবে! কিন্তু এর জন্যত কিছু দিতে হবে!

আমার বন্ধু: বলুন...

দ্বিতীয় ব্যক্তি: এই ....... ফিফটি!...

আমার বন্ধু: টাকাটা যদি আমি আপনাকে পরে দেই।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: না। এইটা সম্ভব না। আমাদের এইখানে লিস্ট হইতাছে যারা যারা টাকা দিতেছে তাদেরকেই আমরা প্রশ্ন পাঠাচ্ছি। আপনি তাড়াতাড়ি পাঠান, তাড়াতাড়ি।

[কিছু কথা এবং ....... কল কেটে দেয়া]

এবার তৃতীয় ব্যক্তির পালা। একে আমি কল করলাম।

তৃতীয় ব্যক্তি সাথে কথোপকথন:

আমি: হ্যালো, আমি একটা সাইটে দেখলাম আপনার কাছে জেএসসির প্রশ্ন আছে! ক খ গ সেট?

তৃতীয় ব্যক্তি: হ্যাঁ আছে।

আমি: আমি এটা কিভাবে পেতে পারি?

তৃতীয় ব্যক্তি: আপনার ফেসবুক আইডি আছে?

আমি: আপনিকে আমাকে এটা মেইল করে দিতে পারবেন?

তৃতীয় ব্যক্তি: অ্যাঁ......মমমমম। হ্যাঁ মেইল করা যাবে।

আমি: আমি কি আপনাকে মেইল আইডিটা ‍SMS করে দিব?

তৃতীয় ব্যক্তি: আমাকে যে কিছু টাকা দিতে হবে!

আমি: কত টাকা?

তৃতীয় ব্যক্তি: এই .... পঞ্চাশ টাকা!

আমি: আমি যে আপনাকে টাকা দেব তারপর আপনি আমাকে প্রশ্ন পাঠাবেন?

তৃতীয় ব্যক্তি: দেখ আমি অনেককে প্রশ্ন পাঠিয়েছি।

আমি: আপনার প্রশ্ন যে শতভাগ সঠিক এটা কিভাবে বুঝব?

তৃতীয় ব্যক্তি: নিজের চোখে যা দেখছি তা কি ভুল হতে পারে?

আমি: আপনি নিজের চোখে দেখছেন?!!! 😮

আপনি কি টিচার?

তৃতীয় ব্যক্তি: না ভাই আমি স্টুডেন্ট।

আমি: আপনিও কি পরীক্ষার্থী?

তৃতীয় ব্যক্তি: না আমি ইন্টারে পড়ি। আমি আমার বোনের জন্য প্রশ্ন আনছি।

আমি: আপনাকে টাকা না দিলে প্রশ্ন দিবেন না?

তৃতীয় ব্যক্তি: দেখ ভাই, একটা প্রশ্ন আউট করতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক...।

আমি: আপনি আমাকে প্রথমে প্রশ্ন পাঠান তারপর আমি আপনাকে টাকা পাঠাবো।

তৃতীয় ব্যক্তি: দেখো এরকম অনেককে করেছি কিন্তু তারা আর টাকা পাঠায়নি।

[... ... ... কিছু কথা এবং লাইন কেটে দিলাম]

এবারের চতুর্থ ব্যক্তি

চতুর্থ ব্যক্তির সাথে কথোপকথন [১ম বার]:

আমি: হ্যালো, আমি একটা সাইটে দেখলাম আপনি জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন দিচ্ছেন?

চতুর্থ ব্যক্তি: এইটা কোথায়?

আমি: আমি একটা সাইটে আপনার নাম্বারটা পেয়েছি।

চতুর্থ ব্যক্তি: আইডি কি?

আমি: ওই সাইটে আপনার আইডি ছিল m**ga

চতুর্থ ব্যক্তি: হুম, আছে।

আমি: আমি কিভাবে প্রশ্নটা পেতে পারি?

চতুর্থ ব্যক্তি: আমাকে যে কিছু টাকা দিতে হবে?

আমি: কত টাকা?

চতুর্থ ব্যক্তি: বেশিনা। এই ধর বিশ টাকা।

আমি: আপনি কি টাকা ছাড়া আমাকে দিতে পারেননা?

চতুর্থ ব্যক্তি: না ভাই। অনেককে দিছি কিন্তু আমিও টাকা দিয়ে প্রশ্ন আনছি। আর এককাপ চায়ের দামও তো পাঁচ টাকা।

আমি: আপনিও  কি আমার মত পরীক্ষার্থী?

চতুর্থ ব্যক্তি: নারে ভাই, আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী।

আমি: আপনার প্রশ্ন যে ১০০% সঠিক কিভাবে বুঝব?

চতুর্থ ব্যক্তি: আমার বন্ধুর বাব বোর্ডে চাকরি করে। আমি তার কাছ থেকে আনছি।

[....কিছু কথা এবং আমি তাকে ২০ টাকা ফ্লেক্সিলোড করে দিলাম শুধুই দেখার জন্য তার প্রশ্ন]

ফ্লেক্সিলোড করার পরে আমার কল করলাম।

চতুর্থ ব্যক্তির সাথে কথোপকথন [২য় বার]:

আমি: আমি আপনাকে ২০টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।

চতুর্থ ব্যক্তি: হ্যাঁ। তোমার মোবাইলে বাংলা সাপোর্ট করে?

আমি: না। আপনি আমাকে মেইল করতে পারবেন?

চতুর্থ ব্যক্তি: হ্যাঁ মেইল করা যাবে।

আমি: আমি আপনাকে আমার মেইল ঠিকানাটা SMS করে দিচ্ছি।

[এরপর সে আমাকে মেইল করে। আমি মেইল প্রিন্ট করে নিই। এবং এককপি আমার বন্ধুকে দিয়ে বলি, আশেপাশে যারা প্রশ্ন পেয়েছে তাদের সাথে একটু মিলিয়ে জানাবে দুটো একই রকম কিনা?!]

সন্ধ্যার পরে আমার বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায় প্রশ্ন একই।

উল্লেখ্য চতুর্থ ব্যক্তির দেয়া প্রশ্ন সরাসরি পরীক্ষার প্রশ্নের আকারের নয়। কিছুটা সাজেশন টাইপের।

যেমন: অনু:১ এর A.B.C এরকম।

যাইহোক আমি প্রায় শেষাংশে এসে গেছি। গনিত পরীক্ষা হওয়ার পর দুপুরে আমি দুই বন্ধুর সাথে আলাপ করে জানতে পারি প্রশ্ন প্রায় ওরকমই এসেছে। তবে আমি নিজে কোনো পরীক্ষার্থীর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করিনি।

সিন্ধান্ত:

এই ছোট অনুসন্ধান শেষে আমি নিজে কোনোরকম সিদ্ধান্তেই উপনীত হতে পারিনি। শুধু এইটুকু বুঝতে পেরেছে, ১ম ব্যক্তি খানিকটা ভীত তাই সে প্রশ্ন পাঠায়নী (বিপরীতটাও হতে পারে), ২য় ব্যক্তি ব্যবসায়ী। বিশেষ করে ফ্লেক্সিলোড বা ফটোকপি ব্যবসায়ী বা দুটোই হতে পারে আবার কোনোটা নাও হতে পারে। (এটি ফোনে কথা বলার সময় তার আশেপাশে হওয়া শব্দ এবং তার কথার ধরন থেকে আন্দাজ করে নিয়েছি)। তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে তেমন কিছুই বুঝতে পারিনি। আর চতুর্থ ব্যক্তি বেশ খোলামেলা মানসিকতার (কথার ধরন থেকে আন্দাজ করে নিয়েছি)

এই চার ব্যক্তি মধ্যে আমি শুধু চতুর্থ ব্যক্তিকেই টাকা দিয়ে প্রশ্ন নিয়েছে (যদিও এতে আমার কোন লাভই হয়নি। বরং এখন মনে হচ্ছে ২০ টা টাকাই জলে ফেলে দিলাম)

আর যেটা বুঝতে পেরেছি, তা হলো: আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের অবস্থা ভয়াবহ। এটি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে হচ্ছে কিনা জানিনা। তবে রাজনৈতিক কিছু ভূমিকা তো অবশ্যই আছে।

আর আমাদের দেশ এমন একটা পর্যায়ে আছে যেখানে কিনা পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র পরীক্ষার আগে দরদাম করে বিক্রি করা হয়।

শেষ কিছু কথা:

আমি এই নিবন্ধে কারও নাম উল্লেখ করিনি এবং ঠিকানা বা মোবইল নাম্বার বা ইমেইল উল্লেখ করিনি শুধু মাত্র এই কারনে যাতে তারা দ্বিধাদ্বন্দ বা সামাজিক চাপে না পড়ে। হয়ত এমন কেউ যার সাথে আমি প্রশ্ন কিনতে কথা বলেছি এটি পড়তে পারেন। তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি কারন আমি তাদের সাথে মিথ্যে পরিচয়ে কথা বলেচি। তবে আমি চাইনা আপনারা কেউ বিপদে পড়ুন। আমার কাছে কথোপকথনের রেকর্ডেড কপি আছি। আমি সেগুলো শেয়ার করছি না কারন এতে হয়ত কারও প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ পেতে পারে। তবে, কষ্ট পেলে আমাকে ফোন করার চেষ্টা বা ফোন করে হয়রানি করার চেষ্টা করবেন না।

আর একটাই অনুরোধ। এই ধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ থেকে বিরত থাকুন। এবং মূল চক্র যারা সরাসরি প্রশ্ন ফাঁস করছে তাদের ধরিয়ে দিতে সরকার এবং সবাইকে সাহায্য করুন।

যারা আমার এই লেখাটি পড়ছেন তারা দয়া করে টিউমেন্ট করে আমার এই ছোট্ট অনুসন্ধান সম্পর্কে আপনার অনুসিদ্ধান্ত এবং মতামত জানান। যা একান্ত কাম্য। আপনার কাছে যদি এ সম্পর্কিত কোনো ডকুমেন্টস্ থাকে তবে আমাকে মেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়:  -_-

আমার কাছে কথোপকথনের রেকর্ড আছে। যদি কোনো সংবাদ সংস্থার কোনো উপকারে আসে তবে আমাকে মেইল করে জানাবেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের রেকর্ড কপি সরবরাহ করতে।

 

Level 0

আমি জাওয়াদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 148 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

প্রযুক্তি এবং কবিতা দুটোকেই ভালোবাসি!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের আরো ভাবা উচিত।

    কে ভাববে? আপনার আর আমার ভাবনা তো অত উঁচুতে গিয়ে পৌঁছায় না :/ ধন্যবাদ কমেন্ট এর জন্য

Level 2

Question out hosse eta sure.
A,B,C-SET
Amar 3ta cousine JSC disse,
Oder sobar kasei mobile question ta ase.
Ami obak hoisi sob common porse.
Pore khoj nie dekhlam teacher, student–elakar sobar kasei ei question ase.
Education system purai jasse,
Next generation er j ki hobe allah e valo janen.
Not only JSC….Ami SSC, HSC er question o pola painer mobile a dekhsi
Ja same ashse.
Feeling Angry.

    এর পরে যদি কখনো চোখে পড়ে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

কি বলবো কিছু বলার নাই। আমাদের এখানেউ এই রকম হচ্ছে।

    সবজায়গাতেই হচ্ছে!!!! কি করার বলুন????

      @জাওয়াদ লিয়ন:
      ভাইয়া প্রসাশন যদি কিছু না করে তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। আর প্রসশন এই বেপারে জানে। কিন্তু তাদের ছেলে মেয়েরাই তো এই ভাবে exam দিচ্ছে।

      Level New

      @জাওয়াদ লিয়ন: jodi jsc er question paper, apnar mail a asha question paper, & Record gula dite paren toe khub valo hoy. Education system a durniti hosse. onek din dhorei tress korsi. just evidence collecting.

oog!!! 20 taka te o question pawa jaii ..jaii hok last day amar railway er exam cilo (India) to amar paseer sit e ekjon cilo jar demand 100 question er answer er jonno 3lakhs jaii hok ami unar kach theke 95 ta answer korlam r exm seshe amar admit oi lok niye gece and phone num address etc nilam dekha jak result kemon hoy pass korle pore payment.

    @onlinesaumen: ভালোই তো! তবে বাংলাদেশে সব কিছুই অনেক স্বস্তা !!! পরীক্ষার প্রশ্নও।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গরতে এদের দরকার আচে !!!!! কি বুলেন আফনারা

আমার কাছে B.B.S এর প্রশ্ন পত্র আছে কার কার লাগবে ? প্রতি কপি মাত্র ১ টাকা । ‍জলদি ১ টাকা পাঠিয়ে দিন 01777777777 এই নাম্বার এ…………………. 🙂 🙂 ………না পাঠাইলে খবর আছে ……………… 😛 😛 😛

    @newmission17: হা হা হা…. ভাই মজা পাইলাম। এমন একটা এমাউন্ট ধরছেন! এক টাকার নোট/পয়সা এই যমানায় পাওয়া দুষ্কর।

    @newmission17: ভাই প্রশ্ন পাব কিসে? 😛

ভাই ওয়েব লিংক টা দেন প্লিজ

    @মোঃ আল-আমিন: আমি এখানে প্রশ্ন ফাঁসের বিরূদ্ধে লিখছি। পক্ষে না। আশা করি আপনি পোস্ট টি ভালো ভাবে পড়েছেন।

Level 2

This is Bangladesh!

নাম মাত্র দামে প্রশ্ন পাওয়ার পর অনেকে পরীক্ষায় পাশ করবে। দেশে ঝরে পড়া হার কিছুটা হলেও কমবে।

    @হিমালয়: ভাই পরীক্ষার হলে যে কি অবস্থা হয় তা পরীক্ষা না দিলে বুঝবেন না। এত প্রশ্ন ফাঁস না হলেও পাশ করা কি! ৫.০০ পাওয়া যায়।

      @জাওয়াদ লিয়ন: ভাই পরীক্ষার প্রশ্ন পেলে আমি আজ HSC তে 4.90 পাইয়া বইসা থাকতাম না। আমার কিছু বন্ধুরা পরীক্ষায় খারাপ করে ঝরে পরে যেত না।

      @জাওয়াদ লিয়ন: ekjoner pokkhe at a time all subject e master howa somvob na. amader desher education bebosthar pokkhantore er kono bikolpo nai.

চলতি জে. এস. সি পরীক্ষায় আমার বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রী ছিল, যাদের মধ্যে বেশ কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রীও ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র কোনভাবে সংগ্রহ করে যাচাইয়ের জন্য আমার কাছে নিয়ে আসে, তো আমি তাদের কে বোঝানোর চেষ্টা করি যে “ভালো ছাত্ররা প্রশ্নপত্র ফাঁস এর আশায় থাকেনা, তাছাড়া তোমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো, তোমরা কেনো পরীক্ষার আগে শুধু শুধু এ অনৈতিক কাজে মাথা ঘামাচ্ছো?”। সবচেয়ে হতাশার ব্যাপার হলো ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন এবং আগের ‍দিনে আনা প্রশ্নের মিলে যাওয়া । শুধু তাই নয় একে একে সমস্ত পরীক্ষার আগেই তারা যথারীতি প্রশ্ন পেয়ে গেলো এবং তারা সবাই খুব ভালো পরীক্ষা দিলো। এরপর তারা কখনই আমার নীতি কথা শুনবেনা, সেটা আমি জানি। তাদের মতো বয়সে থাকলে হয়তো আমিও পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়ে গেলে তার লোভ সামলাতে পারতাম না। জাতি কে মেধাশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। যেখানে পাড়ার প্রতিটা ছাত্রছাত্রীর কাছে ফাঁসকৃত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌছে গেছে সেখানে সরকার বসে বসে কি করছে, তা আমার বোধগম্য নয়। বর্তমান সরকারের কোন একজন মণ্ত্রী বলে ছিলেন “বারো বছরের শিক্ষা জীবনে যদি একটি ছাত্রের মেধা যাচাই করা না যায় তবে এক ঘন্টার ভর্তি পরীক্ষায় কিভাবে মেধা যাচাই হবে?” আমি তার বক্তব্যকে শ্রদ্ধা এবং সমর্থন করি। কিন্তু তাহলে কি, এভাবেই হবে মেধা যাচাই? এটা আসলে একটা পাবলিক পরীক্ষা পরীক্ষা নাটক, শুধু এটা নয় বিগত বেশ কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এবং প্রমান পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শেষে দেখা যায় প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থী(যে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পেয়ে গেছে) ভালো ফলাফল করে।যা যায় প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের চরম হতাশাগ্রস্থ করে। আসলে আমাদের রক্তের সাথে মিশে গেছে দূর্নীতি। তা থেকে বাদ যায়নি এই কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরাও। আমরা কি একবার ভেবে দেখেছি তাদেরকে আমরা কোথায় ঠেলে দিচ্ছি? তাদেরকে আমরা কি শিক্ষা দিচ্ছি? এই তথাকথিত ভালো ছাত্ররাই(যারা ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে ভালো ফলাফল করবে) হবে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারা যখন দেশকে নেতৃত্ব দেবে, তখন কি হবে দেশের অবস্থা? নিশ্চই তারা আপনাদের(প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদগন) চেয়ে কোন অংশে কম হবে না, কেননা তার প্রশিক্ষন তারা ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে।
অত্যন্ত কাতর হৃদয়ে কথাগুলো লিখলাম। কাউকে হেয় বা ছোট করা নয় সচেতনতা সৃষ্টিই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

এটি ছিল মূলত একটি টিউন, মডারেটররা রহস্যজনক কারনে টিউনটি ডিলিট করে দেয়। যাই হোক ভাই আপনি আমার থেকে ভালোভাবে অনুস্বন্ধান করে টিউনটি করেছেন।

    @ম্যাক: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যের জন্য। আশা করি এই টিউনটি সবার সাথে শেয়ার করবেন। আর সামনে পিএসসি পরীক্ষা সময় পেলে এটা নিয়েও অনুসন্ধান করব।

      @জাওয়াদ লিয়ন: @ম্যাক: ভাই যারা প্রশ্ন পত্র নিয়ে যায় তারা না পড়ে যায় না। আর কয়জন মানুষ পুরো বই পড়ে? আরেকটা প্রশ্ন রইল… আপনি কোন বই এর পড়া পড়ে তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়গ করেছেন? ভাই যারা রবিন্দ্রনাথের ছড়া কি যেন নাম “মা কে ডাকাত থেকে উদ্ধার করে” ঐ সব ছড়া পড়লে Dreamy রয়ে যাবে। বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। একজন মানুষের কাছে প্রত্যেকটা বিষয়ে মাস্টার হওয়া সম্ভব না। আর যাদের সেই অবস্থা নেই, তারা ঝরে পড়ে যাক, আপনি কি সেটাই চাচ্ছেন?

      মহান আল্লাহ্‌ তালা যে পরিক্ষা নিবেন সে পরীক্ষার প্রশ্ন তো তিনি ই ফাঁস করে দিয়েছেন। আর এটা তো মানব সৃষ্ট প্রশ্ন। এতে হয়ত যারা ফেল করত তারাও পাশ হয়ে গেছে। ঝরে পড়া ছাত্রদের সংখা যেমন কমল, তার পাশাপাশি আত্মহত্যার প্রবনতাও কমল।

    @ম্যাক: ভাই যারা প্রশ্ন পত্র নিয়ে যায় তারা না পড়ে যায় না। আর কয়জন মানুষ পুরো বই পড়ে? আরেকটা প্রশ্ন রইল… আপনি কোন বই এর পড়া পড়ে তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়গ করেছেন? ভাই যারা রবিন্দ্রনাথের ছড়া কি যেন নাম “মা কে ডাকাত থেকে উদ্ধার করে” ঐ সব ছড়া পড়লে Dreamy রয়ে যাবে। বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। একজন মানুষের কাছে প্রত্যেকটা বিষয়ে মাস্টার হওয়া সম্ভব না। আর যাদের সেই অবস্থা নেই, তারা ঝরে পড়ে যাক, আপনি কি সেটাই চাচ্ছেন?

    মহান আল্লাহ্‌ তালা যে পরিক্ষা নিবেন সে পরীক্ষার প্রশ্ন তো তিনি ই ফাঁস করে দিয়েছেন। আর এটা তো মানব সৃষ্ট প্রশ্ন। এতে হয়ত যারা ফেল করত তারাও পাশ হয়ে গেছে। ঝরে পড়া ছাত্রদের সংখা যেমন কমল, তার পাশাপাশি আত্মহত্যার প্রবনতাও কমল।

      @হিমালয়:
      হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, আমাদের বাস্তবতা আর অন্যদের বাস্তবতা এক নয়, আমাদের বাস্তবতা হলো…….

      # আমাদের দেশে বিলগেটস তৈরী হয় না কারন, এখানে ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দিয়ে ৪৯ হাজার কে লাথি মেরে বের করে দেয়া হয়।

      # আমাদের দেশে আইনস্টাইন তৈরী হয় না কারণ, এখানে নির্বাচনী সাফল্যের জন্য A+ এর বন্যায় ভাসিয়ে হাজারও ছাত্র- ছাত্রীকে মিথ্যে কিছু স্বপ্ন দেখানো হয়।

      # আমাদের দেশে স্টিফেন হকিং তৈরী হয় না কারণ, এখানে JSC পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়।

      # আমাদের দেশে নীল আর্মস্ট্রং তৈরী হয়না কারন, এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা টাকার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি পড়ে।

      # আমাদের দেশে আব্রাহাম লিঙ্কন তৈরী হয় না কারন, এখানকার সমাজ একবার ব্যার্থদের নতুন করে ভাবতে শেখায় না।

      # আমাদের দেশে মাইকেল ফেলপস তৈরী হয় না কারণ, এখানে বাবা -মা রা তাদের অপূর্ণ স্বপ্ন গুলোকে তাদের সন্তানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।

      # আমাদের দেশে চার্লস ব্যাবেজ তৈরী হয়না কারণ, এখানে বিসিএস এর ন্যায্য ফলাফলের জন্য ছাত্রদের রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাংতে হয়।

      # আমাদের দেশে আহমেদিনেযাদ তৈরী হয় না কারণ, এখানে নেতা হতে হলে ভার্সিটি ক্যাম্পাসে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে হয়।

আপনারা তো JSC নিয়া কথা বলতেছেন, আমার স্কুল এও তো প্রশ্নও ফাঁশ হইলও এবার :'( আমি ছাড়া আর সবার কাছে প্রশ্নও আছে (কোনও সাজেশন না)

Level 0

ইংরেজির প্রশ্নপত্র থাকলে এবার আপনি একটু আগে টেকটিউনস এ দিবেন।