জুন মাসের মধ্যেই মিডিয়ার সামনে আসছে প্রতিভাবান বাঙ্গালী আমিরের বায়ুচালিত গাড়ি! (সূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ)

ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আমির হোসেন এক অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তি। এর আগে তিনি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলেন। আবারও দেশে ঝড় তুলতে যাচ্ছেন। অল্পদিনের মধ্যে বাতাসচালিত গাড়ি দেশবাসীকে উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি জানান। যা রাস্তাতো বটেই আকাশেও উড়তে সক্ষম।

প্রাকৃতিক বাতাস শক্তিকে অটোমেটিক ফাংশনে রূপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে কিছু করা যায় কি-না তার ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে আবার প্রাকৃতিক বজ্রপাতকে আয়ত্তে এনে কিভাবে জ্বালানির কাজে লাগানো যায় তার ওপরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমির হোসেন বলেন, আমরা শুধু মরীচিকার পেছনে ছুটছি। কারণ আল্লাহ পৃথিবীতে ৪টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়েছেন। এগুলো হলো পানি, বাতাস, সূর্য ও বজ্রপাত রশ্মি। এই বজ্রপাত অল্প সময়ের জন্য হয়। কিন্তু এই বজ্রপাত রশ্মি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আয়ত্বে নিতে পারলে এখান থেকেও জ্বালানি কাজে লাগানো সম্ভব। তবে সর্বশেষ তার তৈরি বাতাসচালিত গাড়ি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছেন তিনি।

সর্বাধুনিক ও সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন গাড়ি চলবে বাতাসে। এই গাড়ি চালাতে লাগবে না জ্বালানি। ঘনীভূত বাতাস ট্যাংকে ভরে পিচঢালা পথ ধরে ছুটবে গাড়ি। অন্য ১০টি গাড়ির মতো সমানতালে চলবে। এতে মূল্যবান জ্বালানি তেলের অপচয় রোধের পাশাপাশি পরিবেশ দূষণকারী কোনো গ্যাস নির্গমনের আশঙ্কাও থাকবে না। বাতাসনির্ভর গাড়িটি হলো ৫ আসনবিশিষ্ট। গাড়ির বডি নির্মিত হবে হাওয়াই অ্যালাই দিয়ে। ওজন মাত্র ৩০০ কেজি। অন্য গাড়িগুলো যেভাবে জ্বালানি তেল সংরক্ষণের জন্য ট্যাংক থাকে, এটিতেও তেমনি থাকবে। তবে ট্যাংকে শুধু প্রাকৃতিক ঘনীভূত বাতাস ভরা থাকবে। কমপ্রেসারের মাধ্যমে এই ট্যাংকে প্রাকৃতিক বাতাস ভরতে সময় লাগবে ৮ মিনিট। প্রতি চার ঘণ্টা পর পর গাড়িটিতে কমপ্রেসারের মাধ্যমে বিকল্প পথে একটি ফুয়েল বার্নার ঘনীভূত বাতাস গরম করার মাধ্যমে বাতাসের চাপ বাড়িয়ে দেবে। এভাবে গাড়ির গতি বাড়বে। শুধু ২৪টি পিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা ইঞ্জিন, যা চলবে শুধু এয়ার টারবাইন দিয়ে।
দূর পথ ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুব সহজ হবে এই গাড়িটি। আবার যদি এমনটি হয় রাস্তায় যানজটে পড়লে গাড়ি যাতে উড়ে চলতে পারে তারও ব্যবস্থা আছে। এই গাড়ি খাড়াভাবে শূন্যে ওঠে যেতে পারবে এবং একই সঙ্গে শূন্যে স্থির হয়ে থাকতে পারবে। রাস্তায় প্রতি ঘণ্টায় ৮০ মাইল এবং আকাশে এর গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি প্রায়। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ইয়ার টারবাইনে ঘুরবে ১০০০ ওয়াটের একটি জেনারেটর।

এটি সর্বোচ্চ ৫০০ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উড়তে পারবে। চলন্ত সময়ে ডানে-বামে ইচ্ছামত ঘোরানো যাবে।
দরজাগুলো অটোরিমোট সিস্টেমে খোলা ও বন্ধ করা যাবে। সামনে-পেছনে চলাচলের জন্য অটোমনিটর ফাংশন সিস্টেম থাকবে। যে কোনো সময় যে কোনো অবস্থায় গাড়ি চলাচলে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়তে হবে না। এ গাড়ি তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।

চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে মিডিয়ার সামনে চলন্ত অবস্থায় উপস্থাপন করা হবে বাতাসচালিত এই গাড়ি এমনই দাবি করলেন এর উদ্ভাবক আমির হোসেন। এই প্রযুক্তিগুলো মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বেশকিছু সূরা থেকে গবেষণা করে পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

(খবরটি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা হতে সংগ্রহ করা)

Level 2

আমি সুজন দাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 111 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I am a Gamer, Blogger & Freelance.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বাঙালীরা আসলেই অনেক প্রতিভাবান । খুব খুশি লাগছে খবরটি শুনে । আমির যদি সত্যিই এটা করে দেখাতে পারে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম অনেক উঁচুতে উঠে যাবে । তাই বলবো , ” আমির ভাই এগিয়ে চল , আমরা আছি তোমার সাথে ” ।

হুম আমরা আসলে সব পারি! আমারো অনেক খুব খুশি লাগছে খবরটি শুনে ।আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য। 😀

    ধন্যবাদ …….. আসলে খবরটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্ভের বিষয়। তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম।

শুধু বলা যায় ‘সপ্ন যখন সত্যি হতে চললো’

এটা মনে হয় সঠিক খবর না

    অতি অবশ্যই সঠিক না। লেখাটি সাংবাদিকের গাঞ্জাপ্রসূত উর্বর মস্তিষ্কের ফসল…আমার দেশ- বিনোদনের কথা বলে 😛

দুর্দান্ত একটা খবর …… আমার গাড়িতেও একটা এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছা ….. এই ভদ্রলোকের সাথে যোগাযোগ করার কোন উপায় আছে? আমরা টেকটিউন্সের পক্ষ থেকে এরকম যুগান্তকারী অবদানের জন্যে সম্মানিত করতে পারি। 🙂

সহমত

Level New

it will be very glorious for us………..thnxx for share this news !

valo to….sodo valo na..onek valo….

ভালো আরো একটি প্রযুক্তি পেতে যাচ্ছি আমরা তাও আবার বাঙ্গালির কাছ থেকে , জটিল।

বাংলাদেশে প্রযুক্তির মুল্য আমরা কোনদিন পাবনা। শুধু বাহবা পাবো। একটি প্রযুক্তি তখনই পূর্ণতা পায়,যখন এটা রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি পায়। কিন্তু,সেই ভাগ্য কি আমাদের আছে? বরং আপনি কিভাবে বারবার ক্ষমতায় আসা যায় তার একাটি মন্ত্র আবিস্কার করুন দেখবেন রাতারাতি সেটি গ্রহন করার জন্য আপনার কাছে ভীড় জমাবে।হায়রে জাতি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

    মনেহয়, এইবার বাংলাদেশে প্রযুক্তির মুল্যয়ন হবে। কারন “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার লক্ষ যদি পুরন করতে হয় তাহলে এই প্রযুক্তির মুল্যয়ন করতেইই…….. হবে।এবং এই ভদ্রলোকের সাথে যোগাযোগ করে তাকে টেকনিক্যাল ও আরথিক সহযোগিতা করা ই…….. হবে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রমান……। ……………তার ও পর যদি এই টেকনোলজি পাঠিয়ে দেয়া হয় ভারত……… বা আন্য কোন দেশে ..তাহলে ……………..আম গেলো ও ছালাও গেলো………………………………। ……………..উদ্ভাবক আমির হোসেন কি পারবে তার এই অসাধারন প্রযুক্তিগুলো বাংলাকে উপহার দিতে?…………………

    সুফি ভাইয়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমিও বলি ” আমির ভাই এগিয়ে চল , আমরা আছি তোমার সাথে ” ।

    সহমত

আমরা চেস্টা করলে সব কিছু পাড়ি কিন্ত সমস্যা হল টাকার। কেঊ যদি তার এই স্বপ্ন পুরনে সাহায্য করত তাহলে কতই না ভাল হত।

vai pls “shatter stock” ar premium acount ar coad ditay parban? pls pls pls pls pls

সরকারের উচিত অনাকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করা। আর টিন টিন ভাইয়ের সাথে সহমত।

শুধু তাজ্জব বনে গেলাম। কি করে সম্ভব? এমন কিছু তৈরি হলে তো দৌড়ে গিয়ে একটা কিনে নেবো আমি।

    Level New

    “এ গাড়ি তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। ” I think u r a very rich man.

আমি এর পঞ্চম এডিশন কিনবো, কারন এটা কিনবো এখন বললে বাসায় মাইর খাবো ! যোকস মারলাম !
ভাই আগে হউক তারপর দেখি !আমি জানি বগুরা মেশিনারিজ এ বাংলাদেশে প্রথম শারিতে আছে। তবু বলতে হয়, এই পৃথিবী এরকম অনেক পাগল দেখেছে ………………।।
প্লেইন তৈরী করে করে কত্ত পাগল ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার থেকে মুখ থুবরে পরেছে; হারিয়েছে অকালে মূল্যবান প্রান । আমি এর সাথে একমত হতাম যদি, সে উরতে না চাইত ।

এটা একটা গাজাখুরি খবর…

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খবরটি দেয়া জন্য ।

ভাই বলার কিছু নাই। অপেক্ষায় রইলাম, দাম নাগালের মধ্যে হলে কিনতে চেষ্টা করব।

Level 0

ভাই সব িঠক আেছ িকন্তু এই দেশে শিল্প গড়ার মত কোন উদোক্তা নেই।শুধু শপিং মল গড়ার উদোক্তা আছে।
তাছাও সরকারী কোন সাহায্য পাওয়া যাবে না।

দুঃসাহসী টিনটিনের সাথে একমত। টেকটিউনস মিটআপে যেয়ে তার সাথে পরিচিত হয়ে খুব ভাল ও চমৎকার লেগেছে। বগুড়ার আমির হোসেন সম্পর্কে যতটুকু জানি, তিনি বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবের অন্যতম পথিকৃত। অনেকগুলো কৃষি যন্ত্রের উদ্ভাবক তিনি, যেগুলো এখন সারা দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্বল্প শিক্ষিত এই লোকটাকে তার অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত ও পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত। অর্থাভাব ও উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকের অভাবে তার অনেক আবিষ্কার শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ না দেখলেও তার অবদানকে কোনক্রমেই অস্বীকার করা যায় না। আমাদের জাতিগত একটা স্বভাব হলো, আমরা পরশ্রীকাতর অর্থাৎ আমরা কারো ভাল দেখতে পারি না।

অসাধারণ!!!!!!!!!!!!!!
কিন্তু আমরা বাংলাদেশে বাস করি।এখানে প্রতিভা অনেক।কিন্তু তার মুল্য নাই।নাই সরকারের সহায়তা।এখানে শুধুই ক্ষমতার দৌড়।
আশা করি সরকারের টনক নড়বে।।আর আমরাও পারব প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন করতে…।
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।।সেই ছেলে আমাদের আছে।দরকার শুধু একটু সহযোগিতা।

লেখাটা টেক হিউমার বিভাগে প্রকাশ করা উচিত ছিল। গাঞ্জাখোর রিপোর্টারের গাঞ্জুট্টি খবর। টিটির ইউজাররা এই জিনিষ বিশ্বাস করল কিভাবে ভাবতে অবাক লাগছে!!! থাক, আমি আর কিছু নাইবা বললাম। পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলে দিয়েছেন সব- http://www.somewhereinblog.net/blog/dark_knight/29321316

অসাধারন লাগলো

Level 0

াই খবর শুনে ভালো লাগলো।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

টেকটিউন, প্রযুক্তির কথা বলবে যেই ব্লগ, সেই ব্লগের টিউনার রা এই গাঞ্জাখুরি গল্প বিশ্বাস করে লাফাচ্ছে দেখে খুবই অবাক হলাম

এটার দাম অনেক বেশী হয়ে গেছে। আর এটা কি তৈরী হয়েছে না এ রুপ হবে?

জুন গেলো তবু গাড়ি এলনা

Turbine ব্যবহার করে তৈরি গাড়ির ওজন মাত্র ৩০০ কেজি!!! ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে পারলাম না.. ..

Level 0

most wellcom but june 2012 is coming, when we get the super Car.?

প্রতিভাবান বাঙ্গালী আমিরের বায়ুচালিত গাড়ি মিডিয়ার সামনে আসার সময় পার হয়ে গেল, তবুও এলো না। হয়তো সরকারী পৃষ্টপোষকতা বা আর্থিক সহযোগীতার অভাব, নাকি অন্য কিছু?
তবে “দৈনিক আমার দেশ” এর বিজ্ঞ সাংবাদিকদের নেওয়া স্বাক্ষাতকারের ভিত্তিতে লেখা খবরটি কেও কি ওড়িয়ে দেওয়া যায়? আর তাছাড়া প্রতিভাবান বাঙ্গালী আমিরের নানা আবিস্কারের কথা তো আগে থেকেই অনেকের জানা।