গেমস জোন [পর্ব-২৯৮] :: I am Alive ২০১২

টিউন বিভাগ গেমস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

গেমস জোন

দুনিয়া প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে! এখন মাত্র হাজার খানেক মানুষ বেঁচে আছে দুনিয়ায়! আর এই রকম পরিবেশে তোমাকে তোমার ফ্যামিলির খোঁজে বেরিয়ে পড়তে হবে! বড় বড় বিল্ডিংয়ের শহর নিউ ওর্য়াকে এখন বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কিছুই নেই! ঠিক এইরকম এক পরিবেশের গেম  I Am Alive  নিয়ে আজ আমি গেমওয়ালা চলে এসেছি।

I Am Alive একটি সুরভাইবল ধাঁচের ভিডিও গেম নির্মাণ এবং প্রকাশ করেছে ঊবিসফট। গেমটিতে Post-apocalyptic পরিবেশ সেটিং ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে প্লেয়ারকে মানবতার চরম দুভোর্গসীমার মধ্য দিয়ে গেমটি খেলে যেতে হবে। গেমটি ২০১২ সালের মার্চে মুক্তি পায়।

যারা যারা এখনো এই গেমটি খেলো নি তারা এক্ষুনি গেমটি পরখ করে দেখতে পারো! গেমটিতে তুমি থার্ড পারসন পারসেপ্টিভ আকারে খেলতে পারবে, তবে শুটিং এবং এইমিং এর সময় ফার্স্ট পারসন ক্যামেরা ভিউতে গেমটি তোমাকে নিয়ে যাবে। গেমটিতে শুটিং এর থেকে সুরভাইবল মোডে খেলার দিতে বেশি জোড় দেওয়া হয়েছে!

গেমটিতে তোমাকে একটি মাত্র পিস্তল অস্ত্র হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু গুলি তোমাকে গেমটির মধ্যে খুঁজে নিতে হবে আর গেমটিতে গুলির সংখ্যা খুবই নগন্য! আর গেমটিতে এক স্থান হতে অন্য স্থানে যেতে হলে তোমাকে বিভিন্ন বিল্ডিং এর ধ্বংসাবশেষ এবং বিশেষ করে বিভিন্ন টাইপের পাইপ লাইন বেয়ে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে হবে।

আর গেমটিতে বেঁচে থাকার জন্য তোমাকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যেগুলো তুমি গেমটি একবার খেলা শুরু করলেই বুঝতে পারবে! অনেকটা বেয়ার গিলসের Man VS Wild এর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের মতো! হাহাহা!

গেমটিতে কমবাট সিস্টেম হিসেব রয়েছে স্নিকিং সিস্টেম, ছুড়িকাঘাত, তীর-ধনুকের ব্যবহার এবং সর্বশেষে রয়েছে পিস্তলের ব্যবহার! স্নিকিং সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রুর উপর আচমকা ছুড়ি হামলা করতে পারবে তুমি, আর তীর-ধনুকের ব্যবহারের মাধ্যমে তুমি নিঃশব্দে কাউকে হত্যা করতে পারবে তবে ধনুকের ব্যবহারের পর সেটিকে আবারো উঠিয়ে নিতে হবে কারণ গুলির মতোই ধনুকের সংখ্যা গেমটিতে খুবই নগন্য! আর গেমটিতে অধিকাংশ সময় তোমার কাছে গুলি বিহীন একটি পিস্তল থাকবে! আর এই খালি পিস্তলের ভয় দেখিয়েও তুমি বিভিন্ন কমবাটে বিভিন্ন সিচুয়েশন থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে! তবে গুলি খুঁজে পেতে হলে তোমাকে অবশ্যই পিস্তল রয়েছে এমন কাউকে খুন করে তার পিস্তল থেকে গুলি সংগ্রহ করতে হবে!

আর গেমটিতে বিল্ডিং বেয়ে উঠার সময় তোমার স্ট্যামিনা খরচ হতে থাকবে এবং এই স্ট্যামিনা তুমি এক স্থানে দাঁড়িয়ে রেস্ট নিয়ে পূরণ করতে পারো কিংবা গেমটিতে বিভিন্ন প্রকার পানীয় এবং খাদ্য খেয়েও স্ট্যামিনা এবং হেলথ রিকোভার করতে পারবে! এছাড়াও গেমটিতে বিভিন্ন প্রকারে রিসোর্স এবং হিডেন কালেক্টশন রয়েছে যেমন খাদ্য, পানীয়, ব্যাটারি, গ্যাস, মেডিসিন, সিগারেট, টুলস, ক্লাইম্বিং গিয়ার, অস্ত্র এবং এমোনেশন ইত্যাদি।

এই সব জাতীয় জিনিস গুলো গেমটিতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, এসব হিডেন রিসোর্স এর উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে তুমি গেমটিতে বিভিন্ন লোকজনদেরকে সাহায্য করতে পারবে এবং এর বিনিময়ে তারা গেমটির স্টোরিলাইনে তোমাকে অনেক সাহায্য করবে এবং এরই সাথে অধিকাংশ সময় তোমাকে রিপ্লে পয়েন্ট দেবে। এই রিপ্লে পয়েন্ট ব্যবহার করে তুমি গেমটির কোনো লেভেলে মরে গেলে পুনরায় সর্বশেষ চেকপয়েন্ট থেকে আবারো খেলা শুরু করতে পারবে।

গেমটির স্টোরিলাইন সাজানো হয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত আমেরিকার বিভিন্ন শহরকে ঘিরে। যেখানে "The Event" নামের একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে গিয়েছে এবং এর কারণে অনেকে মারা যায় আর যারা বেঁচে থাকে তাদের মাঝে মৌলিক চাহিদাগুলোর ব্যাপক অভাব দেখা দেয়। গেমটিতে তোমাকে Carlo Mestroni নামের একজনের ভূমিকায় খেলতে হবে, যে তার হোমটাউন হ্যাভেনটনে তার ফ্যামিলি মেম্বার তার মেয়ে ম্যারি এবং তার স্ত্রী জুলিকে খুঁজতে যায়।

কিন্তু সেখানে এসে সে তার ফ্যামিলি মেম্বারদের খুঁজে পায় না তবে একটি নোট খুঁজে পায় এবং সেই অনুসারে কার্লো বেরিয়ে পড়ে তার ফ্যামিলির সম্ভাব্য অবস্থানে চলে আসার জন্য। আর তখনই গেমটির কাহিনীতে টুইস্ট আসা শুরু করে! গেমটির কাহিনী এখানে সব বলে দিলে গেমটি খেলে তোমরা আর কোনো মজা পাবে না, তাই গেমটির কাহিনীর মজা নিতে হলে গেমটি খেলতে আজই বসে পড়ো!

গেমটি খেলতে হলে তোমার পিসিতে কমপক্ষে ২ গিগাবাইট র‌্যাম, কোয়াড কোর প্রসেসর এবং ১ গিগাবাইটের গ্রাফিক্স কার্ড থাকতে হবে। গেমটির ডাউনলোড লিংক এবং অফিসিয়াল ডিটেইলস নিচে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করি গেমটি তোমাদের ভালো লাগবে! আজ এ পর্যন্তই! সামনে সময় পেলে অন্য কোনো গেমস নিয়ে আমি গেমওয়ালা তোমাদের মাঝে আবারো চলে আসবো!

নির্মাতাঃ ডার্কওয়ার্কস, ঊবিসফট।

প্রকাশকঃ ঊবিসফট।

মুক্তি পেয়েছে: মার্চ-এপ্রিল, ২০১২ সালে।

খেলা যাবে: মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভিক্তিক পিসিতে, প্লে-স্টেশন ৩ এবং এক্সবক্স ৩৬০ গেমিং কনসোলে।

ধরন: একশন-এডভেঞ্চার, সুরভাইবল হরর, থার্ড এবং ফার্স্ট পারসন ভিউ।

খেলার ধরন: সিঙ্গেল প্লেয়ার

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:

কমপক্ষে: 

  • ডুয়াল কোর প্রসেসর,
  • ২ গিগাবাইট র‌্যাম, এএমডি রাডিয়ন এইচডি ৫৪৫০ ১ গিগাবাইট গ্রাফিক্স কার্ড
  • কিংবা এনভিডিয়া জিটিএস ৫৪০ গ্রাফিক্স কার্ড,
  • উইন্ডোজ ৭ ৬৪বিট অপারেটিং সিস্টেম
  • এবং ডাইরেক্ট এক্স ১১।

ভালোভাবে খেলতে হলে:

  • কোর আই ৩ প্রসেসর,
  • ৪ গিগাবাইট র‌্যাম,
  • ১ গিগাবাইট ডিডিআর ৫ গ্রাফিক্স কার্ড,
  • উইন্ডোজ ৭ ৬৪বিট অপারেটিং সিস্টেম,
  • ডাইরেক্ট এক্স ১১ এবং
  • ৮ গিগাবাইট হার্ডডিক্স স্পেস!

ডাউনলোড লিংক:

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ডাউনলোড লিংকগুলো অন্যান্য সাইট হতে সংগ্রহ করা, লিংকগুলো সম্পর্কে কোনো দায় দায়িত্ব এই ব্লগ এবং লেখক নিবেন না।

পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
পার্ট ৪
পার্ট ৫

জিপ ফাইলের পাসওর্য়াড:

http://www.p30download.com

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ ফাহাদ ভাই,
অপেক্ষা করছিলাম, আপনি কথা রেখেছেন।

    টিউনটি পড়ার জন্য তোমাকেও ধন্যবাদ!

বানানে কিছুটা ভুলভ্রান্তি রয়েছে।
পরবর্তী টিউনে একটু বানানের দিকে মনযোগ দিবেন।
ভুল বানান নতুনদের ভুল শিক্ষা দেবে।
এসব বাদে খুবই সুন্দর একটি গেম রিভিউ ছিলো।
ধন্যবাদ।

গেমিং নিয়ে এরকম টিউন মনে হয় কেউ আর করে না ভাই!!! ধন্যবাদ।