মাসে 150-250 ডলার ইনকাম করেন গুগল এডসেন্স থেকে সহজেই-পর্ব ২

টিউন বিভাগ গুগল
প্রকাশিত

 

গুগল এডসেন্স আয় বাড়ানোর কিছু কিলার টিপসঃ-

গত পর্বে আমি গুগল এডসেন্সের কিছু রুলস আর টিপস দিয়েছিলাম এই পর্বে আমি লিখব কিছু টিপস নিয়ে যেগুলা আপনি বর্জন করবেন এবং যেসব বিষয় গুলা আপনার করা উচিত গুগলের এড বসিয়ে ইনকাম বাড়ানোর জন্য। আমরা যারা ওয়েব সাইট নিয়ে কাজ করি তারা সবাই কম-বেশি গুগল এডসেন্স এর সাথে পরিচিত।মোটামুটি, সবার ধারনা একটি সাইট খুলে তাতে গুগল এডসেন্স এর কোড বসিয়ে দিলেই আপনি কিছুদিন এর মধ্যে অনেক ডলার এর মালিক হয়ে যাবেন।

এই রকম স্বপ্ন নিয়ে সবাই গুগল এডসেন্স এ অনেকেই একাউন্ট খুলে, কিন্তু কিছুদিন এর মধ্যেই তাদের আশা, এক গভীর নিরাশায় পরিনিত হয়।এর পরে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে আবার নতুন করে কিছু করার চেষ্টা করেন। আমি বলব নিরাশ হবেন না। ধৈর্য্যই আপনাকে গুগল এডসেন্স থেকে আয় এর সুযোগ করে দিবে।অনেকে আবার সাইটে এড বসান,ক্লিক ও পড়ে কিন্তু টাকা অনেক কম পান। কেন কম পান? কোন এড কিভাবে বসালে বেশী টাকা পাবেন আজকে এই নিয়ে কিছু আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করি।

১। আপনার সাইট যে বিষয় নিয়ে বানানো তার প্রাসংগিক কী-ওয়ার্ড মেটা ট্যাগ এর মাঝে লিখে দিন। শুধু শুধু অপ্রাসংগিক হাই-পেইং কী-ওয়ার্ড বসাবেন না। এতে হিতে-বিপরীত হতে পারে। উদাহরনঃ ধরুন আপনার একটি সাইট আছে যা ভিজিটরদের কোড সাপোর্ট দিয়ে থাকে, এখন আপনি যদি এখানে “মেডিকেল সার্ভিসের এড” দেখানো শুরু করেন তাহলে ব্যাপারটা কি আপনার সাইট এর জন্য ভাল হবে??? এই বিষয়টি নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন।

 

২। পেজ “স্ক্রল (Scroll)” করে নিচে আসার পরে এড দেখা যাবে এমন কোথাও এড না বসানোই ভাল। কারন আপনার সাইট এর কন্টেন্ট ভিজিটরদের ভাল না লাগলে সে কক্ষোনই পেইজ স্ক্রল করবে না, যার ফলে আপনি ক্লিক ও পাবেন না।

৩। ভিজিটরদেরকে সব সময় খুশী রাখার চেষ্টা করুন। আপনার সাইট এর রং এর সাথে মিলিয়ে গুগল এডসেন্স এর এড বসান। এই ব্যাপারটিকে “Blending” বলে। এর ফলে ভিজিটরদের চোখে আপনার সাইট এর ডিজাইনের কোন রকম তারতম্য দেখা যাবে না। এর ফলে আপানি খুব সহজেই এড এ ক্লিক পেয়ে যাবেন।

৪। শুধু কি এড বসালেই হবে? কোন এড থেকে বেশি আয় হলো এটাও তো জানা দরকার। এই ব্যাপারটি জানতে হলে আপনাকে Channel ব্যবহার করতে হবে। এর পরে আপনি জানতে পারবেন কোন চ্যানেল থেকে আপনার বেশি আয় হচ্ছে। গুগল এডসেন্স এ সর্বোচ্চ ২০০টি চ্যানেল বানানো যায়।

৫। আপনার কন্টেন্ট এর সাথে অথবা কন্টেন্ট মাঝে মাঝে গুগল এডসেন্স এর এড বসিয়ে দিন। এর ফলে আপনার সাইট এর টেক্সট এর সাথে গুগল এডসেন্স এর টেক্সট এর মিল থাকবে এবং আপনার এড এ ক্লিক পড়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।

৬। পেজ “স্ক্রল (Scroll)” করে নিচে আসার পরে এড দেখা যাবে এমন কোথাও এড না বসানোই ভাল। কারন আপনার সাইট এর কন্টেন্ট ভিজিটরদের ভাল না লাগলে সে কক্ষোনই পেইজ স্ক্রল করবে না, যার ফলে আপনি ক্লিক ও পাবেন না।

 

৭। কক্ষোনই সাইটে এক-সাইজের ব্যানার বসাবেন না। গুগল বিভিন্ন সাইজের ব্যানার এড এর কোড দিয়ে থাকে। আপনি আপনার সাইট এর সুবিধামত ব্যানার গুলো বসিয়ে নিন।

৮। এডসেন্স এর এড গুলোকে পেজ এর এমন স্থানে বসান যাতে ভিজিটরদের চোখে খুব সহজেই আসে। অর্থ্যাৎ আপনার ওয়েবসাইট এর টপে এডসেন্স এর কোড বসিয়ে দিন। যদিও ব্যাপারটা আপনার সাইট এর ডিজাইনের উপরে নির্ভর করে, তারপরও পেইজের ডিজাইনের সময় এই ব্যাপারটি লক্ষ্য রাখা উচিত।

 

৯। সবশেষে আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়াতে হবে। তথ্যবহুল ও ভাল ভাল টিউন করুন। তাহলে আপনার সাইট এ ভিজিটর আসবে। আর ভিজিটর আসা মানেই আপনার গুগল এডসেন্স এ ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

টিউনটির এর শেষে এসে বলব, গুগল এডসেন্স থেকে টাকা/ডলার আয় করা খুব সহজ কাজ নয়। একটূ বুদ্ধি আর ধৈর্য্য থাকলেই আপনিও গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

 

আপনার কাছে গুগল এডসেন্স একাউন্ট না থাকলে  আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার কাছে দুইটি রানিং এডসেন্স আছে।আমি একটি সেল করে দিব।
আমার নাম্বারে কল দিতে পারেন:-01791660083

 

Level New

আমি সুজন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 49 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস