বিনামূল্যে ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধা দেয় এমন সাইট এর লিস্ট দেখে নিন

সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। যাহোক কাজের কোথায় আসি। কখনো হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারানোর বিপদে না পড়তে হয় সেজন্য রয়েছে ক্লাউড স্টোরেজ বা অনলাইনে তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা। অনলাইনে নিরাপদে তথ্যের ব্যাকআপ রাখার জন্য মূল্য পরিশোধের পাশাপাশি বিনামূল্যেও এ সেবা উপভোগের সুবিধা দিচ্ছে বিভিন্ন অনলাইন স্টোরেজ প্রতিষ্ঠান।

ক্লাউডে স্টোরেজে তথ্য রাখলে তথ্য চুরি প্রতিরোধ কিংবা হার্ডডিস্ক অচল হয়ে গেলেও তথ্য থাকবে সুরক্ষিত এবং যে কোনো সময় ইন্টারনেটযুক্ত যে কোনো ডিভাইস থেকে তা ব্যবহার ও অনলাইনে শেয়ার করা যাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মিলিয়ে অনলাইনে ৩০০ জিবির ওপরে জায়গা পাওয়া যাবে বিনামূল্যেই। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিনামূল্যে ক্লাউড স্টোরেজ সুবিধা দিচ্ছে, এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।

কম্পিউটার কিংবা মোবাইল থেকে ফাইল মুছে গেলে কিংবা বাইরে থাকা অবস্থায় হঠাৎ কোনো ছবি বা ডকুমেন্টের প্রয়োজন হলে, তা সহজেই পেতে ক্লাউড স্টোরেজকে বলা হয়ে থাকে অনলাইন হার্ডডিস্ক। সহজ ভাষায়, এখানে আপনি আপনার ফাইলগুলো আপলোড করে রাখতে পারবেন এবং খুব সহজে সেগুলো যে কারো সঙ্গে শেয়ারও করতে পারবেন। আর তাই ক্লাউড স্টোরেজে ব্যাকআপ হিসেবে রেখে দিতে পারেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ছবি কিংবা ভিডিও।

সারডক-১০০জিবি (www.surdoc.com) : অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটা সত্যি যে অনলাইনে ডাটা স্টোর রাখার জন্য সারডক বিনামূল্যেই দিচ্ছে ১০০ জিবি জায়গা! সারডট ডটকমে সাইন-আপ করলে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে এ বিপুল পরিমাণ স্টোরেজ। শুধু তাই নয়, সাইটটির প্রচারণা চালিয়ে বন্ধুদেরকে এই সাইটটি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে আপনি ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বিনামূল্যে তথ্য সংরক্ষণের সুবিধাও পেতে পারেন।

মেগা-৫০ জিবি (www.mega.co.nz) : খুব সুরক্ষিত তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা দিচ্ছে ‘মেগা’। এটি ব্যবহারকারীর ফাইলগুলো সার্ভারে এনক্রিপশন প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ রাখে। সাইটটিতে ৫০ জিবি পর্যন্ত বিনামূল্যে তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, আইওএস প্লাটফর্মের স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটারে ক্রোম ও ফায়ারফক্স ব্রাউজার থেকে ‘মেগা’-তে ফাইল আপলোড করা যাবে। স্মার্টফোনে অ্যাপস ও ব্রাউজারে এক্সটেনশন সিঙ্ক সুবিধা যে কোনো ডিভাইসে ফাইল ব্যবহার করা যাবে।

এড্রাইভ-৫০ জিবি (www.adrive.com) : এড্রাইভে ৫০ জিবি পর্যন্ত তথ্য বিনামূল্যে তথ্য সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস স্মার্টফোনে অ্যাপস ব্যবহারের পাশাপাশি কম্পিউটারে ব্রাউজার থেকেও এড্রাইভে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। শুধু তাই নয়, সংরক্ষিত ফাইল অনলাইনে এডিট করার সুবিধাও দিচ্ছে এড্রাইভ।

গুগল ড্রাইভ-১৫জিবি (www.drive.google.com) : সার্চ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গুগলের ক্লাউড স্টোরেজ সেবা গুগল ড্রাইভে বিনামূল্যে ১৫ জিবি পর্যন্ত তথ্যসংরক্ষণ সুবিধা রয়েছে। উইন্ডোজ বা ম্যাক কম্পিউটারের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মের স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যাবে।

ওয়ানড্রাইভ-১৫জিবি (www.onedrive.live.com) : মাইক্রোসফটের বর্তমান ক্লাউড স্টোরেজ সেবা ওয়ানড্রাইভ। তবে এটি আগে স্কাইড্রাইভ নামে পরিচিতি ছিল। ওয়ানড্রাইভ ক্লাউড স্টোরেজ সেবা উইন্ডোজ ৮ এবং এক্সবক্স ৩৬০তে বিল্ট-ইন রয়েছে। পুরোনো সংস্করণের উইন্ডোজ বা ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ওয়ানড্রাইভ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি উইন্ডোজ ফোন, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মের মোবাইল থেকেও ব্যবহার করা যাবে। ওয়ানড্রাইভে বিনামূল্যে ১৫জিবি স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যাবে।

অন্যান্য : অনলাইনে ফাইল সংরক্ষণ, শেয়ার এবং নিরাপত্তা সুবিধার জন্য সেরা সাইটের কথা ধরা হলে তার মধ্যে থাকবে ড্রপবক্স (www.dropbox.com) এবং বক্স (www.box.com)। এই সাইটগুলোতে রয়েছে নানা ধরনের ফিচার ব্যবহারের সুবিধা, তবে বিনামূল্যে স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধা সাইট ভেদে ২ জিবি থেকে ১০ জিবি পর্যন্ত।

তাছাড়াও রয়েছে http://www.icloud.com, http://www.copy.com, http://www.bitcasa.com, http://www.justcloud.com, http://www.amazon.com/clouddrive, http://www.spideroak.com, http://www.zipcloud.com সহ আরও বেশ কিছু ক্লাউড স্টোরেজ সাইট। প্রায় সকল ক্লাউড স্টোরেজ সাইটগুলোতেই সাইন-আপের মাধ্যমে ফ্রি স্টোরেজ সুবিধার পাশাপাশি বন্ধুদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বোনাস হিসেবে আরো বেশি স্টোরেজ সুবিধা উপভোগ করা যাবে।

প্রকাশনায় অ্যানিটেক। । প্রথম প্রকাশের লিঙ্ক। এরকম আরও ভালো ভালো টিপস পেতে একবার হলেও ঘুরে আসুন অ্যানিটেক থেকে অথবা জয়েন করুন অ্যানিটেকের ফেসবুক পেজ এ।

Level 0

আমি মোঃ আতিকুর রাহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 79 টি টিউন ও 154 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি খুব বেশি কিছু জানি না তবে ব্লগ লেখা আমার শখ। তাই যখন সুযোগ পাই তখন লিখতে বসি। যদি আমার একটি পোস্ট ও আপনাদের একটু হলেও হেল্প করে তাহলে আমার চেষ্টা সার্থক হবে। আমার একটা ব্লগ আছে আশা করি একটু ঘুরে আসবেন এবং লেখা লেখি করবেন। Blog Link: https://anytechtune.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

নাইস ..! 🙂