হুজুগে মাতাল-ফেসবুক আর ইউটিউব থেকে আয়

সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন হুজুগ এ মাতি আমরা। সেই হুজুগে হয়তো অনেকে সফল হন, হালে পানি পান হয়তো খুব কম লোক। বাকিদের তাকিয়ে তাকিয়ে পরের সাফল্য দেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। পৃথিবীটা প্রাচীনকাল থেকে এরকমই চলে আসছে। তো চলুন টেকি কথাবার্তা তে চলে যায়। যেহেতু টেকটিউনস এ আসি আমরা টেকনোলজির সাথে আপডেট থাকার জন্য। আজ আমি যে টপিকস নিয়ে কথা বলবো সেটি হল হালের ট্রেন্ড ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে টাকা  আয়ের  উপায় নিয়ে। টাকা আয়ের উপায় সম্বন্ধে আপনারা সবাই কম বেশি জানেন, তাই সে সম্বন্ধে আর বেশি কিছু বলবোনা। বলবো এই দুটি মাধ্যমের সীমাবদ্ধতা নিয়ে। তারপর আপনার ভালো লাগলে এই দুটি পথের যে কোন একটি পথে হাটুন আর না হয় আপাতত বাদ দিয়ে দিন।

ইউটিউব - (সুবিধা+অসুবিধা)

ইউটিউব থেকে আয় করতে ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম, ১০০০ সাবস্ক্রাইবার দরকার। কিন্তু এই ওয়াচ টাইম অবশ্যই ইউনিক ভিজিটরদের দ্বারা হতে হবে আর সাবস্ক্রাইবার অবশ্যই রিয়েল হতে হবে। রিয়েল না হয়ে ট্রাফিক এক্সচেন্জ সাইট থেকে বাড়ালে  দেখবেন ইউটিউব বুঝে ফেলবে। আর রাতারাতি সাবস্ক্রাইবার পড়ে যাবে। আর আপনার ভিডিওগুলো অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি হতে হবে। এই কপিরাইট ফ্রি ব্যপারটা জটিল। একমাত্র আপনার নিজের ফেসভ্যালু ব্যবহার করে বানানো ভিডিও, আপনার নিজের বানানো টিউটোরিয়াল, নিজস্ব ডিরেকশনে শর্টফিল্ম বানানো ছাড়া  আর যা বানাতে যাবেন তাই কিন্তু কপিরাইটের আওতায় পড়বার সম্ভাবনা বেশি। আর ইউটিউব মনিটাইজেশন কিন্তু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। বাংলদেশে যারা ইউটিউব থেকে আয় করছে তারা কিন্তু ইউটিউবের দয়াতে আয় করছে। কারণ ইউটিউব দেখছে অনেক বাংলাদেশী ইউটিউবার সু্ন্দর সুন্দর কন্টে্ট তৈরি করছে সেজন্য হয়তো কিছু বলেনা। কারণ ভালো কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিওতেই তো অ্যাড ব্যবহার করে ইউটিউব তাদের বিজনেস সচল রেখেছে। ভিডিওতে ভিউ থাকলেই হলো, তাদের দরকার হাজার থেকে লাখ আর লাখ থেকে মিলিয়ন ভিউয়ের ভিডিও। আপনার ক্রিয়েটিভিটি থাকলে হাতে ০৬ মাস সয় নিয়ে নেমে পড়ুন, নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিন, আর ইউটিউব পলিসি মেনে ১০০% সৎ ভাবে ভিডিও তৈরি করুন। চুরি করে দ্রুত সল হতে গেলে আপনিও দ্রুত ইউটিউব থেকে বহিষ্কৃত হবেন। সময় নিয়ে কজ করুন, এটি হবে হয়তো আপনার লাইফটাম আর্নিং সোর্স, আর বাঙালির সততা দেখে হয়তো একদিন মনেটাইজেশনের জন্য সরাসরি  বাংলাদেশীরাও এপ্রুভ হবে। ইউটিউবের প্রতিষ্ঠাতা একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হয়েও কেন যে বাংলাদেশ মনেটাইজেশনের জন্য সরাসরি এপ্রুভ করে না এর কোন কারণ মাথায় এলোনা।

ফেসবুক(সুবিধা+অসুবিধা)-

বাংলাদেশে বর্তমানে সবার যেমন একটা করে মোবাইল নাম্বার আছে, তেমনি প্রায় প্রত্যেকের একট করে ফেসবুক একাউন্ট আছে। ফেসবুকে আমরা কত সময় নষ্ট করি। এই সময়টা একটু ক্রিয়েটিভিটির দিকে ব্যয় করলে উপার্জনের হাতিয়ার হতে পারে অলস সময়ের বন্ধু ফেসবুক। তবে ভিডিওর মানের সাথে আপস করবেনা বোধ হয় ফেসবুক। আপনার তৈরিকৃত ভিডিও ফেসবুকেই দিবেন, মানে ফেসবুক পেজে, ফেসবুক শুধু ফেসবুক পেজে আপলোডকৃত ভিডিওতে আর্ণ দেবে। প্রোফাইল বা গ্রুপ এ আপলোড দিলে হবেনা, ইউটিউবে ওই একই ভিডিও আপলোড দিলেও হয়তো আপনার ভিডিওতে কপিরাইট পড়বে।  পেজে মিনিমাম ১০ হাজার লাইক, ৩০ হাজার মিনিট ভিউ থাকতে হবে, আর ভিডিওটি মিনিমাম ০৩ মিনিটের তৈরি করতে  হবে। ০৩ মিনিটের কম দৈর্ঘ্যের ভিডিও মনেটাইজেশনের উপযুক্ত নয়। তবে ফেসবকর কছু ঘোড়া রোগও আছে। এই ধরুন আপনার পেজের যেসব লাইকাররা নিয়মিত  আপনার পেজে আসেনা তাদেরকে অটো আনলাইক করে। এটা মার্ক জুকারবার্গের ব্যবসায়িক পলিসি। কয়েক দিন আগে এই পলিসিতে পড়ে অনেক বড় বড়  গ্রুপ মেম্বারশূণ্য হয়ে পড়েছে। তবে ফেসবুক ইউটিউবের সাথে প্রতিযোগিতাতে টিকবে কিনা কে জানে।

আপনার যদি ফেসবুক  পেজ থাকে আর সেটা মনেটাইজেশনর উপযুক্ত কিনা সেটা জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন

https://www.facebook.com/business/m/join-ad-breaks

না বুঝলে ফেসবুকে মেসেজ দিতে পারেন, অথবা টামেন্ট করুন, রিপ্লাই দেবার চেষ্টা করবো।

Level 0

আমি সৈয়দ মেহবুব রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মেহবুব , ভালবাসি ইন্টারনেট , প্রযুক্তি , লেখালেখি , আর বাংলার প্রকৃতির শোভার সাথে থাকতে । আশা করি আমার লেখা বা টিউনগুলো আপনাদের ভালো লাগবে । এক্সপার্ট বা মহাজ্ঞানী যেহেতু নই প্রচুর ভুল পাবেন আমার টিউনে , তাই সুন্দর ভাষাতে ভুল ধরিয়ে দিয়ে লাগাতার টিউন করতে উৎসাহ দেবেন ।...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস