নতুনদের জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড [পর্ব-০৪] :: View মেনুর বিস্তারিত

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

প্রথমে ধন্যবাদ জানাই টেকটিউনস কে আমার মাইক্রোসফট ওয়ার্ড –এর উপর টিউনগুলো কে চেইন টিউন হিসাবে অন্তভূক্ত করার জন্য।

জানিনা আপনাদের কতটুকু বুঝাতে পারছি, যদি কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তবে comment এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব মাইক্রোসফট ওয়ার্ড –এর উপর পরিপূর্ণ টিউন করতে।

গতকাল আমরা শিখেছিলাম মাইক্রোসফট ওয়ার্ড –এর Edit মেনুর বিস্তারিত, আজকে আমরা শিখব মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-এর View মেনুর বিস্তারিত, তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের পর্ব, View মেনুর বিস্তারিত...

ভিউ মেন্যু (View Menu)
ভিউ মেনুর সাহায্যে ডকুমেন্টকে বিভিন্ন ভাবে প্রদর্শন করা, ফুল স্ক্রিন করে দেখা, জুম করা ইত্যাদি কাজ করা যায়। এছাড়া এম.এস. ওয়ার্ডের টুলবার সমূহ, টাস্ক প্যান, রুলার, প্যারাগ্রাফ মার্কস প্রদর্শন করা ও বন্ধ করা যায় এখান থেকে। ডকুমেন্টের হেডার, ফুটার এ কোন লেখা, পেজ নম্বর প্রদর্শন এগুলি ও করা হয়ে থাকে এ মেনুতে।

১. Normal: ভিউতে ডকুমেন্টের মার্জিন, হেডার-ফুটার, ব্যাকগ্রাউন্ডস, ছবি ইত্যাদির প্রদর্শন বন্ধ করে দ্রুত টাইপিং এবং এডিটিং এর সুবিধা প্রদান করে।

২. Web Layout: ভিউতে ওয়েব ব্রাউজারে পেজটি কেমন দেখাবে তা দেখে নেয়া যায়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোন ডকুমেন্টকে ওয়েব পেজ হিসাবে সেভ করা যায়। তাই ইন্টারনেটে প্রদর্শনের জন্য কোন ডকুমেন্টকে প্রস্ত্তত করা যায় এ ভিউতে।

৩. Print Layout: ভিউতে কোন ডকুমেন্টকে প্রিন্ট করলে কেমন আসবে তা দেখা যায়। আমরা সাধারণতঃ এ ভিউতে/মোডেই টাইপ করে থাকি। এখানে হেডার-ফুটার, ছবি মার্জিন সব কিছুই পরিমানমত এ্যাডজাষ্ট করা যায়।

৪. Outline: ভিউতে কোন ডকুমেন্টকে হেডিং এর ভিত্তিতে ভাগ করে খোলা ও বন্ধ করা যায় হেডিং এর অভ্যন্তরের লেখাগুলিকে। সোজা কথায় এ ভিউতে একটি ডকুমেন্টের ষ্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করা যায় এবং ষ্ট্রাকচারের ভিত্তিতে ডকুমেন্টকে হেডিং, সাব হেডিং, মূল লেখা ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত করে ডকুমেন্টকে সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়। একটি বইয়ের ইনডেক্সে যেমন সবকিছুই সাজানো গোছানো থাকে ঠিক তেমন কাজ এখানে করা যায়। এর উপর ভিত্তি করে ডকুমেন্টে ইনডেক্স বা সূচীপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী করা যায় ইনসার্ট মেনুর রেফারেন্স অপশন থেকে। এ ধরনের সূচীপত্র স্বংক্রিয়ভাবে টপিক্স এর শিরোনাম ও পেজ নম্বরের লিংকসহ তৈরী হয়ে থাকে। তাই এ ভিউটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রফেশনাল কাজ করার জন্য।

৫. Task pane: অফিস ২০০৩ তে টাস্ক প্যান নামে একটি বিশেষ সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এখানে ডকুমেন্ট ওপেন করা, নতুন ডকুমেন্ট তৈরী করা, টেমপ্লেট বাচাই করার মত কাজ এর শর্টকার্ট থাকে। এটি দেখার জন্য ভিউ মেনু থেকে Task Pane এ ক্লিক করুন। এটি বাদ দেয়ার জন্য একই কমান্ড আবার দিন।

৬. Toolbar’S: টুলবার এর সাথে আমরা আগেই পরিচিত হয়েছি। টুলবারে মেনুতে অবস্থিত কমান্ডসমূহের শর্টকার্ট বিদ্যমান। অর্থাৎ মেনুতে বারবার গিয়ে কমান্ড দেয়ার বদলে সরাসরি টুলবার এর আইকসমূহে ক্লিক করেই কাজ করা যায়। ওয়ার্ডে মেনুবার এর পরেই যে দুটি টুলবার বেশি দেখা যায় তার একটি Standard ও অপরটি Formatting। অন্যান্য টুলবারগুলি চালু চালু করতে চাইলে View মেনু থেকে Toolbars এ গিয়ে টুলবার এর নামের উপর ক্লিক করতে হবে। তাহলে সেটি পর্দায় দৃশ্যমান হবে। যদি এটিকে বাদ দিতে চাই তবে একইভাবে মেনুতে গিয়ে ঐ টুলবারের নামের উপর পুনরায় ক্লিক করতে হবে অর্থ্যা টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিতে হবে।

৭. Ruler: স্ক্রিনের দু’পার্শ্বে স্কেলের মত যে দুটি বার থাকে তাকে রুলার বলে। এটির সাহায্যে মার্জিন, ট্যাব পজিশন মত ইনডেন্টিং পজিশন ইত্যাদি ঠিক করা যায়। এটি সাধারনত দৃশ্যমান থাকে। যদি কোন কারণে না দেখা যায় তাহলে ভিউ মেনুতে গিয়ে Ruler অপশনের উপর ক্লিক করলেই দেখা যাবে। এটি বাদ দেয়ার কমান্ড ও একই।

৮. Header and Footer: কোন পেজের উপরের মার্জিনের ফাঁকা জায়গাকে হেডার এবং নিচের মার্জিনের ফাঁকা জায়গাকে ফুটার বলা হয়। সাধারণতঃ হেডার-ফুটার অংশে বইয়ের নাম/চ্যাপ্টার হেডিং, পাতার সংখ্যা, ফাইল পাথ ইত্যাদি লেখা হয় যেগুলি প্রত্যেকটি পাতায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখা যায়। হেডার-ফুটার দেওয়ার জন্য Header and Footer Toolbar ব্যবহার করা হয়। কোন ডকুমেন্টে হেডার-ফুটার দেয়ার জন্য ভিউ মেনু থেকে Header and Footer এ ক্লিক করুন । নিচে আমি হেডার এর জায়গায় আমার প্রতিষ্ঠানের নাম লিখলাম আর ফুটার এর জায়গায় আমার প্রিয় ওয়েব সাইটের নাম লিখলাম আপনারা যে কোন লেখা লিখতে পারেন।

সবশেষে Close বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।

৯. Full Screen: ডকুমেন্টকে পুরো পর্দা জুড়ে দেখানোর জন্য এটি কাজে লাগে। এজন্য ভিউ মেনুতে ক্লিক করে Full Screen ক্লিক করুন। ডকুমেন্ট দেখা শেষ হলে Close Full Screen বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন। ফুল স্ক্রিন মোডে টুলবার, মেনুবার, রুলার, ষ্ট্যাটাসবার সমূহ অর্দশ্যমান থাকে।

১০. Zoom: জুম কমান্ডের সাহায্যে ডকুমেন্টকে বিভিন্নভাবে ছোট বড় করে দেখা যায়। তবে এ কমান্ডের সাহায্যে ছোট-বড় করা হলেও তা শুধু মাত্র স্ক্রীনেই প্রদর্শন করার জন্য কাজে লাগে। প্রিন্টিং এর সময় ডকুমেন্ট ছোট-বড় হয় না বরং ১০০ ভিউতেই প্রিন্ট হয়। এজন্য প্রথমে ভিউ মেনু থাকে Zoom এ ক্লিক করুন। তারপর প্রয়োজনমত ১০০%,৭৫%,৫০% এ ক্লিক করুন অথবা Percent ঘরের সামনে নির্দিষ্ট পার্সেন্ট কমিয়ে/ বাড়িয়ে নিতে পারি। যদি পুরো একটি পেজ বিভিন্ন দৃশ্যমান করতে চাই তাহলে Width/Text width/whole page /এর যে কোন একটি সিলেক্ট করুন । আর যদি একাধিক পেজ এক স্ক্রিনে দেখতে চান তাহলে Many Pages বাটনে ক্লিক করুন ।

ইনশাআল্লাহ আগামী পূর্বে MS WORD –এর মেনুবারের Insert মেনু সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হবে।

ভালো লাগলে কমেন্ট জানাতে ভুলবেন না, আজ এই পর্যন্ত।

আল্লাহ হাফেজ

Level 0

আমি হোছাইন আহম্মদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 485 টি টিউন ও 2510 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 14 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি হোছাইন আহম্মদ, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে আছি শিক্ষক হিসাবে। ভালবাসি ব্লগিং, ডিজাইনিং এবং তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত যে কোন কিছু, খুবই সামান্য যা জানি শেয়ার করি এবং কিছু শেখার চেষ্টা করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধারণ আপনার টিউন …..অনেক……..অনেক ধন্যবাদ।

হোসাইন ভাই খুব সন্দর হয়েছে ধন্যবাদ।