অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং যুক্তি সম্পন্ন একটি পোস্ট। একটু বড় হলেও দয়া করে পুরোটা পড়ুন

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

আজ ফেসবুকে একটি লেখা পড়ে আমার কাছে অনেক ভাল লাগল তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
জানি সময় একটু বেশি লাগবে। কিন্তু কথা দিচ্ছি, পোস্টটা পড়লে আপনার-ও খারাপ লাগবে। একটু হলেও নিজেকে সংশোধন করা যাবে।
================================

২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য: প্লিজ পড়ুন

ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই | নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান |

আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না |

পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না .
২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি | অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা | কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায় | 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল | মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছে | তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে | অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা | ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ | তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল | তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত | ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার | তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না | ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত | স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে | অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন | যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে.
এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে | ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় |
লিংক= http://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2F3.bp.blogspot.com%2F-xXP7Jh9SWhs%2FTsvmP3a3CkI%2FAAAAAAAAACU%2FabJw_t6xuFM%2Fs1600%2FClues%2BGet%2Bwarm%2Bin%2Bthe%2Bsearch%2Bof%2Bplanet%2Bx%2B%252528real%2Bphoto%2B1%2Bfrom%2BNY%2Btimes%2B30-01-1983%252529.gif&h=8AQEWVAZg

সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ | জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি | এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ |”

এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন | (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা | অনেকে বলেছেন ধুমকেতু | অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ | তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী | এর অরবিটও অন্য ধরনের | এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ | যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই | আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না | এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে | এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন) | নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে | ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি | আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল | এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে | এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে |

আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর |

এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব |

প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ |
এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা| যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা | কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে |

এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি | আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে | নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা | (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট | এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই | এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে | এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট | বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত | রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য | সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ |
ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” | এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে.

এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব |

১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড

পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে | সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি | তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে | যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩... লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত | আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয় | অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম নাম্বার হয় |

একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার) | আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন | পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় |
|||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 |||

পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে |

এখন আমি ২০১২ তে আসি :

পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে | যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে”
১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭

এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 |
১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩

এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) |

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার | আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ |
আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায় |
১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত |

সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“
আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬)
“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না”।
আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪)

“আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” |
এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায় | আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে |

১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে | তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত | তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে |

হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি :

এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে | হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে |
সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব |

“পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” |
ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে |
ঘনঘন ভূমিকম্প হবে |
মহানবী (সঃ) আরো বলেন,
“তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” |
তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?”
মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে |”
এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে |
http://m.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.islamicfinder.org%2FdateConversion.php&h=fAQFOZRqY

এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার | আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত |

ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে | রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে |ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে | সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত |
জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন | এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে | সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত | হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |”

১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর
১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর
১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর

এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে.

অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন.
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ”
ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না.
পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব | ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয় |

শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত | আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন) |

এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না |

আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই

১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন | নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ |

২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী | কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই | কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার)
আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে-
তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না।
তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।

৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) .

৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান | ” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন |

৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” | এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে |
আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ???

কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি ।

৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে.

******************

ভাল লাগলে মন্তব্য করবেন। লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Level 0

আমি হোসাইন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 258 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

A
+++
like 1+google tweet linked tt

এই পোস্ট এর কমেন্ট এর অবস্থা কেন এখন পর্যন্ত ভাল না, তা আমার মাথায় আসছে না।

বিশ্বাস করুন এই লেখাটা সম্পর্কে আপনি যতটা excited, পুরোটা পরার পর আমি তার চে কোন অংশে কম excited নই।

But একটা ব্যাপার কি জানেন? Reliable তথ্যসূত্র ছাড়া এই ধরণের serious টিউন গুলো বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। মানে আমি যা বলতে চাই যে, কোন একটা information এর কোন একটা সংখ্যা একটু এদিক ওদিক করে দিলেই কিন্তু অনেক চটকদার documentary type গল্প হয়ে যায়। পাশাপাশি এ ধরণের news এ অনেক ধারনা বা বাক্তিগত মতামত কেও ইনফর্মেশন এর সাথে মেশানোর সুযোগ থাকে।

তাই তথ্যসূত্র গুলো দিলে পোষ্টটা পরিপুরন হত।

চরম পোস্ট !!! সো-ও-ও-ও-জা প্রিয়তে !!!!

😀

অনেক সুন্দর আর তথ্যবহুল পোস্ট

Level 0

THANKS FOR UR BRILLIANT POST. ITS SO INFORMATIVE. BY THE WAY U JUST OPEN MY EYES. WOULD YOU PLEASE TELL ME THAT, “IN LAST 392 YEARS ANY BIG DISASTER HAPPENED WITH OUR COUNTRY, BANGLADESH???” I HOPE NOT. BUT ITS TRUE THAT A CATASTROPHIC DEGRADATION CAN HAPPEN IN 2012. BUT AS A “MUSLIM” I DON’T BELIEVE IN MIAN CALENDAR. I BELIEVE ONLY ALLAH AND THE HOLY QURAN. ALLAH IS THE ONLY ONE. ALLAH WILL PROTECT US AND OUR COUNTRY. ALLAH WILL BLESS US. THANK YOU.

Level 0

durdanto tune, purotai porechilam TP te, abar porlam, bhalo laglo, prithibi dhongso hoy jaoai bhalo, sob jhamela mitey jabe

Level 0

duniata asolei onek kharap hoe gese.
ami roja rakhi na 1 duita rakhi.
amr ek fufato vai se huzur se 30 ta roja rakhe kintu roja thaka obosthai se 18+ site visit kore.
ami oke bollam tor to roja hoi na tokhon se bekkha dei amr roja hoi naki ta allah jane.(tar mane o bujasse or roja esob dekhar por o hote pare)
apnarai bolun
tahole

    @Abir: আপনার কথা শুনে অনেক হতাশ হলাম।অন্য মানুষ কি করলো সেটা আপনার দেখার দরকার নাই।আপনি নিজে আল্লাহ্‌ তায়ালার ইবাদত করুন।এবং অন্য কে এই ব্যাপারে উতসাহিত করুন।একজন খারাপ করলো বলে কি আপনিও সেই কাজ করবেন?
    রোযা অনেক বড় ইবাদাত।আশা করি আপনি এই বছর থেকে ৩০টা রাখতে চেষ্টা করবেন এবং নামাজ নিয়মিত পড়ুন।আপনি যে এতো রোযা মিস দেন,আপনার বাবা-মা কিছু বলেনা?যদি তারা না বলে সে ক্ষেত্রে এক সময় আল্লাহর কাছে তাদের জবাব দিতে হবে।
    আমার কথা গুলো পজিটিভলি দেখলে খুশি হবো।
    আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে আল্লাহ্‌ হেদায়াত দান করুন।আমীন,

      Level 0

      @মুকুট: ভাই আমি রোজা রাখতে পারি না এবার 30টা রাখার চেষ্টা করব
      আমি বলতে চাচ্ছি যে আমি রোযা না রাখলেও ভাল কাজ করি ওসব সাইটে যাই না

        @Abir: পর্ন সাইট এ যান না ভালো কথা।এটা কিন্তু ফরজ না।রোযা ফরজ।এবং অত্যন্ত গুরুত্তপুর্ন কাজ।এটা অভ্যাস করতে না পারলে সব রোযা রাখা অনেক কষ্ট।আমার কষ্ট হয়না।কারন আমি ছোট থেকেই সব রোযা রাখি।।
        ধন্যবাদ।।

Level 0

টেক-টিউন্স এর টিউন হিসেবে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মি টিউন। টিউনটির জন্য ধন্যবাদ। মায়ান সভ্যতা অথবা বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বা এগুলোর মাধ্যমেই ২০১২ সনের ভিতরেই পৃথিবী ধংস হবে এমন নয় হয়তো। কিন্তু পবিত্র কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের বর্ননা অনুযায়ী কিয়ামতের ছোট আলামত (আলামতে সুগরা) বা নিদর্শনগুলো বর্তমানে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে,এখন শুধু বড় আলামতগুলো (আলামতে কুবরা) প্রকাশের অপেক্ষা। ইমাম মাহদীর আগমন নিয়ে বর্ণিত হাদিসগুলোর উৎস দিয়ে দিলে সুবিধা হত। যদি সম্ভব হয় হাদিসগুলোর উৎস আপডেট করে দেবেন। আবারো ধন্যবাদ।

আমি বিশ্বাশ করতে পারলাম না

Level 2

Very Very Thanks. Allah will help you and me.

eta christiander banano kahini,islam er sathe kono shomporko nei,kajei voyer kichchu nei.

Level 0

Bodle gelam Thanks

আমি এগুলোর পক্ষে নই।কারন কোনো আজাব আসলে আল্লাহ্‌ তায়ালা জানিয়ে দিবেন না।আর এখন পৃথিবীর যে অবস্থা তাতে যে কোনো মুহুর্তে যে কোনো বড় ধরনের বিপদ আসতে আর দেরি নাই।

ধন্যবাদ । যথেষ্ঠ যুক্তি আছে লেখার মধ্যে।ভাবিয়ে তুললেন দেখছি।

2012 ফিল্মটি তৈরি করা হয়েছে হযরত নূহ আঃ এর সময়ে ঘটে যাওয়া মহাবিপর্যয়কে কেন্দ্র করে। যেটা ছিল ঐ ঘটনা আধুনিক সংস্করন।

সুন্দর !

Level 0

খুবই সুন্দর পোস্ট ভাই। 2012 মুভি টা কোথায় পাওয়া যাবে বলতে পারেন ??? জানলে আমাকে একটূ
বলেন ভাই

    @kamrul: আপনি এই ছবিটা দেখেন নাই?এটা তো এখন পুরানো হয়ে গেছে।টরেন্ট এ সার্চ দেন।

খুবই যুক্তি সম্পন্ন পোস্ট, খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম কিন্তু এক সময় শেষ হয়ে গেল, ভাবলাম আরে শেষ হয়ে গেছে, অবিশ্বাস্য!
২০১২ সম্পর্কে আমি সচেতন ছিলাম কিন্তু এই পোস্টটা আমাকে আরো বেশী সচেতন করে দিল। এবং এই পোস্টটা আমার চিন্তা ধারা আরো বদলে দিল, এবং ধর্মের প্রতি আমার বিস্বাস আরো দৃঢ় করে দিল।
আমি লেখকের প্রতিভায় মুগ্ধ।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন পোস্ট করার জন্য। আশাকরি ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ন পোস্ট করবেন।

আসলে বিশ্বাস যার যার উপর, কিন্ত এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি সবাই যে বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন ঠিকমত ঘটছে না, যা বড় একটি বিপদের পূর্বাভাস।

দয়া করে হাদিস গুলর লিঙ্ক দিন ।

Level 0

Thanks for sharing an attractive writing .Inviting people to the prayer is not sin . Carry on

Level 0

allah apnake jaja dan korun

Level 0

onek valo laglo emaner soktti bere gelo . thank u .

অনেক সুন্দর আর তথ্যবহুল পোস্ট

Level 0

মায়ান সভ্যতার আবির্ভাব প্রায় ৩০০০-৪০০০ বছর আগে।অন্যদিকে তাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদীর তীরে সাম্প্রতিক কিছু খননের ফলে জানা যায় এ অঞ্চলে বড় আকারে বন্যা হয় প্রায় ৪৯০০-৫০০০ বছর আগে।ধারনা করা হয় এটাই নুহের মহাপ্লাবন।তো মায়ান সভ্যতা আর নুহের কওমকে এক বলা যাচ্ছে না।এছাড়াও মায়ান সভ্যতার আবির্ভাব হল মেক্সিকোতে, আর নুহের কওম হল মেসোপটেমিইয়ান সমভূমি এলাকায়।‘নিবিরু’ নামক এক কাল্পনিক গ্রহের আকর্শনকে বলা হচ্ছে জোয়ার ভাঁটার কারনে সৃষট মহাপ্লাবন যার কারনে জাতিটি ধংস্বপ্রাপ্ত হয়।অথচ কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে,”সুতরাং আমি আকাশের দরজা সমূহ খুলে দিলাম এবং জমিনকে বিদীর্ন করে উচ্ছসিত পানির ধারা প্রবাহিত করে দিলাম”(সূরা-৫৪ঃ১১)।সুতরাং নুহের কওমের ধংস্বের কারন হল প্রবল বৃষটিপাত,গ্রহের আকর্শনজনিত জোয়ার ভাঁটা নয়।তাই মায়ান সভ্যতার সাথে নুহের কওমকে মেলান একবারে হাস্যকর।
প্লানেট এক্স এবং ডাম্বস প্রজেকটের ব্যাপারে নেটে বেশ চমকপ্রদ তথ্য পেলাম কিন্তু সবই এখনো গুজব পর্যায়ে রয়েছে।পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘড়ির কাঁটার বিপরিতে ঘুরছে,তাই সূর্জ পূ্রব দিকে উঠে পশ্চিমে অশ্ত যায়।সূর্য পশ্চিম থেকে পূর্বে উঠতে হলে এই ঘূর্নন উলটা হতে হবে। কথিত মেরু পরিবর্তন যদি হয়েও থাকে তাহলে পৃথিবীর ঘূর্নন কেন পরিবর্তন হবে?আর সূর্য পশ্চিম থেকে পূর্বে উঠার ব্যাপারটা কেয়ামতের ৭ টি বড় লক্ষনের একটি(খুব সম্ভব সর্বশেষ লক্ষন যার পরে কারও তওবা কবুল হবে না)যা ঘটবে ঈসা(আ) এর ৪০ বছর রাজত্বেরও অনেক পরে।অথচ লেখকের হিসাব অনুযায়ী তা হচ্ছে ২০১২ সালে!!
কুরআনুল কারিমের গানিতিক কোড সত্যই মহাববিশ্ময়ের।কিন্তু নিজের ইচ্ছামত তা ব্যাবহার করা দুঃখজনক।ইমাম মেহেদি আর ১৪৩৩ হিজরি মেলাতে গিয়ে লেখক কেন এত সূরা থাকতে শুধু আর রাহমানকেই বেছে নিলেন তা বুঝা গেল না।একটি বিশেষ আয়াত এর পুনরাবৃত্তির যোগফলের প্রাপ্ত দিনই যে পৃথিবির এক ভয়াবহ দুর্জোগের কাল হবে তা তিনি কোথা থেকে পেলেন?এরকম তো যেকোন আয়াত,শব্দ বা বর্নের পুনরাবৃত্তি যোগ করে আমি তো যেকোন দিনই বের করে বলতে পারি ঐ দিন কোন দুর্জোগ আসবে।
যে হাদিসগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলোর কোন রেফারেনস নাই।এর মধ্যে ২/৩ টা সহিহ ছাড়া বাকিগুলো কখনো শুনিনাই।সহিহ হাদিসে দাজ্জালকে রক্ত-মাংসের মানুষ হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে(যেমন তার চুল,চোখ,শরীরের গঠন ইত্যাদির স্পষট বর্ননা রয়েছে)।নবি(স) জামানায় এক ইহুদির শরীরের গঠন দাজ্জাল এর মিলে যাওয়ায় তিনি তার প্রতি সতর্ক দৃষটি রেখেছিলেন যে পর্জন্ত না সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।(দেখুন বুখারি শরীফের দজ্জাল অধ্যায়ের এ সম্পর্কিত হাদিসগুলো)।তো মূল হাদিসের বিপরীতে গিয়ে লেখক দাজ্জালকে প্রতারনাপুর্ন সংগঠন+দৈহিক মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করলেন কিসের ভিত্তিতে?
এবার তিনি দাজ্জালের রাজত্বকালের হাদিসে বর্নিত সময়কে আল্লাহর সময় হিসেবে ধরে নিয়েছেন কেন সে ব্যাপারে কোন ব্যাখ্যা নেই।লেখক কোন মুহাদ্দিস কিনা তা আমি জানি না যে তিনি শুরু থেকে নিজের ইচ্ছামত হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন।তার এই ব্যাখ্যা যদি সঠিকও হয় তাহলে কুরানের অপর এক আয়াতে (৭০ ঃ৪) ১ দিন=৫০০০০ বছর বলা হয়েছে।তাহলে তিনি কেন ৫০০০০ কে না নিয়ে ১০০০ কে কেন নিলেন?হিসেবের সুবিধার্থে?
আবার ইমাম মাহদির আগমন কাল বের করার জন্য ২০০১ সালের সাথে অতিরিক্ত ১৯ কেন যোগ করা হল?
ইসলামিক স্বর্নযুগ ছিল ৭৫০-১২৫৭ খ্রিঃ পর্জন্ত।এছাড়াও ১৯০০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সম্রাট বিশেষত নেপোলিয়ানের(১৭৬৯-১৮২১) নেতৃত্বে ফ্রান্স বিভিন্ন সময় পৃথিবীর সুপারপাওয়ার ছিল।তাহলে দাজ্জাল কিভাবে শুধু বৃটেনের সাহায্যে ৯০০-১৯০০ সাল পর্জন্ত বিশ্ব শাসন করল? বিশেষ করে ১২৫৭ সাল পর্যন্ত তো খিলাফত শাসনই ছিল।তারপর ১৯১৭-২০০১ পর্জন্ত আমেরিকানদের হাতে শাসনভার দিয়ে দেওয়া হল।অথচ ২য় বিশ্ব যুদ্ধের আগ পর্যন্ত বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকা তেমন কোন পরাশক্তি ছিল না।তারপর আবার ৯/১১ পর বিশ্ব শাসন ইহুদিদের হাতেই বা কিভাবে গেল তাও বুঝা গেল না।
আমার মতে বহু সম্পর্কহীন ঘটনাকে লেখক দারুনভাবে দৃশ্যত এক সূত্রে বাঁধতে চেয়েছেন।কিন্তু রচনাটির মধ্যে গভী্রতার অভাব আছে, যদিও লেখক কাউকে বিশ্বাস করার ব্যাপারে জোর করেননি।আমার মতে কিয়ামতের কাল,কিয়ামতের দুর্জোগ,ইমাম মেহেদি,দজ্জাল,ইসা (আ)-কখন আসবে এগুলো নিয়ে এত গবেষনার চেয়ে মৃত্যুর প্রশ্তুতি নেওয়া আরও জরুরি।কারণ হাদিসে এসেছে মানুষের মৃত্যু্র পরপরই তার কিয়ামত শুরু হয়ে যায়(বুখারি)।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলাই সবচাইতে ভাল জানেন।।

Level 0

পুনশ্চঃ দজ্জালের ৪০ দিন সংক্রান্ত হাদিসগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে,”একদিন সাহাবা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন,’ও আল্লাহর রাসূল দজ্জাল কতদিন পৃথিবীতে অবশ্তান করবে?’তিনি বললেন,’ ৪০ দিন।১ দিন ১ বছরের শ্মান,১ দিন ১ মাসের সমান,১ দিন ১ সপ্তাহের সমান এবং বাকি দিনগুলো সাধারণ দিনের মত।‘ তখন সাহাবিরা আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ তাহলে যেই দিনটি এক বছরের সমান সেই দিনে কি একদিনের নামাজ পড়লে হবে?’ রাসূল(সাল্লাল্লাহুয়ালাইহি অয়াশাল্লাম) বললেন, ‘না, তোমরা সময় গণনা(করে নামাজ পরবে)করবে।‘[সহিহ মুসলিম] অর্থাৎ একদিনে এক বৎসরের সমান নামাজ পড়তে আদেশ দেওয়া হয়েছে। এটি যদি আল্লাহর এক বৎসর হত অর্থাৎ মানুষের ১০০০ বছর হত তাহলে সাহাবিদের বলার সময় রাসূল(সাল্লাল্লাহুয়ালাইহি অয়াশাল্লাম)তাদেরকে ১০০০ বছরের কথাই বলতেন যেহেতু তাঁরা মানুষ।নাকি রাসূল(সাল্লাল্লাহুয়ালাইহিঅয়াশাল্লাম) এই ব্যাপারটি জানতেন না(নাউজুবিল্লাহ)। এ থেকে আরও বুঝা যায় ১ বছরের ব্যাপারটা শাব্দিক অর্থেই ব্যাবহৃত হয়েছে।কেননা পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে এক বছরের সময় গননা করেই একদিনের নামাজ পড়তে।ভাসা ভাসা জ্ঞাণ নিয়ে কুরআন ও হাদিস ব্যাখ্যা করার হাত থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

Level 0

ajgubi post , nirvorjoggo infor onek ovab.

Level 0

Thanks a lot.