বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের অনলাইন প্রতারণা : কোন প্রতিকার নেই ??!!!

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

আমি অনেকদিন ধরেই বাংলা ভাষার প্রযুক্তি বিষয়ক সর্ববৃহৎ সাইট ‘টেকটিউন্সে’র নিয়মিত পাঠক। কিন্তু কখনো টিউন করা হয়নি, কারণ প্রযুক্তি বিষয়ে আমার জ্ঞান সীমিত- টেকটিউনে আসি কিছু জানার জন্যে। আজ বাধ্য হয়েই এই টিউন (প্রকৃত পক্ষে একটি মহা - প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চেষ্টা) লেখা। এখন মূল বিষয়ে আসি-

পড়াশুনা, ব্যবসা, ধর্মীয় কাজ, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবেশী ভারতে যাতায়াত করে। প্রায় বছরখানেক হলো বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন ফরম পূরণ ও আবেদনপত্র জমা দেবার কাজ করে আসছে। বাংলাদেশে এ কাজে তারা ভারতেরই আরেকটি সরকারী প্রতিষ্ঠান State Bank of India- কে দায়িত্ব প্রদান করে। State Bank of India আবার Indian Visa Application Centre (IVAC) নামক সাইটের মাধ্যমে কাজটি করতে থাকে।

ভিসা প্রদানের জন্য ভারতীয় দূতাবাস কোন ফি না নিলেও ভিসা প্রসেসের জন্য Indian Visa Application Centre (IVAC) 5০০ – 6০০ টাকা ফি নিয়ে থকে। অনলাইনের মাধ্যমে ভিসাসংক্রান্ত কাজ সহজেই করা যাবে বলে সকলেই এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। শুরুতে অনেকেই ঘরে বসে নিজেরাই অনলাইনে এ কাজটি করতে পারতেন। আর যারা কম্পিউটার বা মোবাইলে নেট ব্যবহার করেন না তারা কোন সাইবার ক্যাফেতে ২০০ / ৩০০ টাকার বিনিময়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারতেন।

অনলাইনে ফরম ফিলাপ করার পর অবস্থাভেদে তিন দিন থেকে এক/দেড় মাসের ভিতরে তারিখ পাওয়া যেত। কিন্তু দুয়েকমাস যেতে না যেতেই ভারতীয় ঐ প্রতিষ্ঠানটির আসল রূপ প্রকাশ পেতে থাকে। তাদের পরিচালিত সাইটটিতে ফরম ফিলাপ করার পর ডেট নেবার জন্য সাবমিট করলেই দেখা যেতে থাকে “No appointment date available”. দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই একই বার্তা- “No appointment date available”. অবশেষে খোঁজ নিয়ে জানা যায় State Bank of India- র সাইটটি যারা পরিচালনা করেন তাদের কাছে টাকা পাঠালেই তবে ডেট পাওয়া সম্ভব।

দালালরা আবেদনকারীর WEB File নম্বরহ বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালেই তবে সংযোগ মিলছে। IVAC-এর পরিচালনাকরীরা অতিরিক্ত অর্খ আদায়ের জন্য গুলশান-মতিঝিলসহ সারাদেশের প্রতিটি জেলায় দালাল চক্র সৃষ্টি করেছে আর তাদের মাধ্যমে অবৈধভাবে এদেশের অসহায় মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র অনলাইন ফরম ফিলাপের জন্য পাশপোর্ট প্রতি ৫০০ – ১০০০ টাকা নিলেও বর্তমানে এর পরিমান পাশপোর্ট প্রতি ৩০০০ – ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পৌছেচে (অফিসিয়াল নির্ধারিত ফি ৫০০ – ৬০০ এর অতিরিক্ত) এবং বাংলাদেশের অসহায় জনগন মুখবুজে এ টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন অথবা অনন্যোপায় হয়ে বিনা পাশপোর্টে যাবার জন্য অবৈধভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভারতের দিকে পা বাড়াচ্ছেন।

এ ধরনের প্রতারণ কি মেনে নেয়া যায়?

আসুন একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এ প্রতারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। দেশের অসহায় মানুষকে এ প্রতারণা থেকে বাঁচাতে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করি।

কিভাবে প্রতিবাদ করা যেতে পারে?

  • ১। এই লেখাটি কপি-পেস্ট করে বা নতুন করে তথ্যবহুলভাবে লিখে বিভিন্ন ফোরামে পোস্ট করা যেতে পারে
  • ২। বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় খবরটি প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে
  • ৩। ভারতীয় দূতাবাস/ ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিগোচরে আনার ব্যবস্থা
  • ৪। দেশের ৬টি (ঢাকার গুলশান ও মতিঝিল, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী) Indian Visa Application Centre (IVAC)- এর সামনে বিক্ষোভ/সমাবেশ ইত্যাদি।
  • ৫। উপরোক্ত প্রতিবাদে কাজ না হলে দেশের বিভিন্ন হ্যাকিং গ্রুপ Indian Visa Application Centre (IVAC)- এর সাইটটি হ্যাক করে কড়া প্রতিবাদ জানাতে পারে।

সাইটটির লিংক: http://www.ivacbd.com/

বাংলা ভাষার প্রযুক্তি বিষয়ক সর্ববৃহৎ সাইট ‘টেকটিউন্সে’র সচেতন পাঠকবৃন্দের কাছে আহ্বান আসুন আমরা একটা কিছু করি।

Level 0

আমি হিমেল হাওয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 169 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

প্রতিদিন হাজার হাজার লোক পতারিত হচ্ছে …

    Level 0

    হিমেল ভাই, আমি আপনার সাথে একমত।
    তবে আমার কিছু কথা আছে । আমি ই টোকেন নেয়ার kaj করি , ৫০০ – ৭০০ থাকে অন্য ফাইল প্রতি। প্রতিদিন একটা fixed টাইম এ Date দেয় ।
    জানি অনেক দালাল সাইট থেকে অন্য উপায়ে date তুলে নিতেছে, কিছু করার নেই, আমরা হয়তো শুধু কিছু কাজ করে কিছু টাকা উপার্জনের চেষ্টা করি।
    আমরা আগে ২০০ টাকায় ও কাজ করেছি, ৩-৪ মাস আগে হয়তো, কিন্তু date পাওয়া hard হয়ে যাওয়ার কারণে FILE rate বাড়তেছে ।
    তবে রাজশাহী এবং চিটাগাং ভিসা এখন তো ফ্রি হয়ে গেছে কিছু catagory এর জন্য । যারা ছাত্র, রোগী, সাংবাদিক, অন্যান্য জরুরী ভিসা ফ্রি করে দিয়েছে ।
    শুধুমাত্র tourist visa ফ্রি হয়নাই। ঢাকায় ও হয়তো এমন করে দিতে পারে। তবে আপনি নিশ্চয় চিন্তা করতে পারবেন যে যদি ফ্রি করে দেয়া হয় তবে ঢাকায় ১ দিনে কি পরিমাণ
    application জমা হবে!!! যার visa পেতে ৪-৫ মাস ++ লাগবে, একজন emergency রোগী ৪-৫++ wait করলে তো শেষ হয়ে যাবে!!!
    সে যদি ২০০০-৩০০০ হাজার টাকায় ৭ দিনে date টা পায় তবে তার জন্য হয়তো সেটা অনেক বেশি টাকা না।
    তবে এটা সত্যি যে অনেক জায়গায় অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়, সুযোগ নেয় তারা , এটা ঠিক না , আর ambassy তে কিছু দালাল আছে সরাসরি কাগজপত্র উলটা পাল্টা দিয়ে কাজ সেরে দেয় যেটা বাংলাদেশের সরকারি যেকোন জায়গায় চলতেছে যেটা হ্যাকার ও কিছু করতে পারবেনা, সরকার ও কিছু করবেনা, আমরা ও দাঁত কিটমিট করে সহ্য করতেছি ।
    আমি নিজে ৪ মাস আগে ডেইলি ৩-৪ টা ফাইল তুলতাম, ২০০-২৫০ করে পেতাম, আর যে কাস্টমার থেকে অর্ডার নিতো সে নিতো ৪০০-৫০০ টাকা । তখন সহজ ছিল । আমরা যারা ডেট তোলার কাজ করি তারা চাই যে কাজ সহজ হয়ে যাক , আমরা ডেইলি ফাইল প্রতি কম টাকা পাই কিন্তু যাতে বেশি ফাইল তুলতে পারি । তাতে সাধারণ লোক যারা ইন্ডিয়া যেতে চায় খরচ কম পরবে ।
    আর এটা সত্যি যে tourist visa ফ্রি করে দিলে সেটা সামাল দেয়া ambassir পক্ষেও সহজ হবে না ।

Level 0

ami ekmot

ভাই আমিও আপনার সাথে একমত, techtunes এ এমন কেউ কি নাই ইন্ডিয়ান ভিসা হ্যাক করার মতন !!!!!!

এদের আসলেই শিক্ষা হওয়া উচিৎ!

    @Ultimate_SoHeL: ধন্যবাদ । যে কেউ একদিন ভিসা অফিসের সামনে লাইনে দাঁড়ানো শত শত লোককে জিজ্ঞেস করলেই বিষয় টির ভয়াবহতা বুঝতে পারবেন

Level 0

thx u i will agree with u . nway ai kothati sob block side & facebook side soriyedin plz

বড় ধরনের কোন হ্যাকার যদি সাইটি হ্যাক করতো তাহলে সহজেই এরা তারের মতো সোজা হয়ে যেতো। আমি ৫ মাসেওে সিরিয়াল পাইনি।

Level 0

আমিও চাই এর প্রতিকার, এদের এই জঘন্য কাজ থেকে মানুষ কে উদ্ধার করার জন্য বড় কোন হ্যাকার গ্রুপ কে এগিয়ে আসতে হবে। আসুন সবাই মিলে এদের প্রতিকার করি।

Level 0

অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত ।

    @killer11: @killer11: একটা বিদেশী সাইট থেকে দেশের মানুষ এভাবে দিনের পর দিন প্রতারিত হবে তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না ।

আমি ৩ মাস চেষ্টা করে appointment date না পেয়ে বাধ্য হয়ে দালালকে প্রতি পাসপোর্টে ২,০০০টাকা করে দিয়ে Date পেয়েছি। এখন নাকি ৩০০০-৫০০০টাকা লাগছে!
ভিসা ফর্ম জমা দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ বিল কয়েক মাস আগের হওয়ায় ভিসা দেওয়া যাবেনা বলে দেয়, পরে ওই অফিসের ভিতরেরই এক দালাল ১,০০০টাকার বিনিময়ে অন্য একটি বিদ্যুৎ বিলে আমার নাম লিখে দেয়, আর সেই ভুয়া বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়ে ভিসা পাই! এই হল Indian Visa Application Centre এর অবস্থা!
আমার মতে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিবাদ হল সাইটটি অবিলম্বে হ্যাক করা!

    @নীলসুর: ৪ জনের এক পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য শুধুমাত্র ফরম পূরণ খরচ ২০,০০০ টাকা! অথচ দূতাবাস বলছে ভিসা ফ্রী!!!

অজ্ঞাত কারণে টিউনটা ৫ ঘন্টার মতো Draft হয়ে ছিল (?? Forbidden contents)

Level 0

সচেতনামূলক পোষ্ট। কেহ প্রতিবাদ করে না। গ্রেট চিটার, আমিও এই প্রতারনার স্বীকার

    @Kajal bai: সারা দেশের মানুষই প্রতারিত হচ্ছে ভাই। কিছু একটা করা উচিত।

Level 0

সহমত। আমরা প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছি। আমার মতে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিবাদ হল সাইটটি অবিলম্বে হ্যাক করা! কিভাবে ব্যাবসা হচ্ছে চিন্তা করেন মনে করেন দালালের মাধ্যমে শেষ যে ব্যাক্তি থাকে সে পায় ৫০০ টাকা। তাহলে প্রতি নিয়ত তার পকেটে কত টাকা ঢুকছে তার হিশাব হলঃ ৫০০০*৫০০= ২৫,০০,০০০ (আনুমানিক) তাহলে মাসে কত ?

আমি আপনার সাথে একমত। তবে আরো একটু বলতে চাই…..প্রতিদিন বাংলাদেশ Dhaka Mission থেকে ১৫০০-১৬০০ লোককে Appointment Date দেওয়া হয় তাহলে হিসাব করলে দাড়ায় ৪০ লক্ষ টাকা পুরোটাই সাধারন মানুষের। আমার মনে হয় বাংলাদেশ সরকারের এর সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত এবং অন্যথায় ওদের সার্ভারটা জেন হ্যাক করা হয় তাহলে উচিত শিক্ষাটা পাবে। ছোট মুখে অনেক বড় কথা বললাম ………………………………

এদের শিক্ষা দেওয়া উচিৎ…।।আপনার সাথে একমত।

Plz হাকার ভাইদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি l

    @masud08rana: ধন্যবাদ আপনাকে। আসুন বিভিন্ন অবসথান থেকে প্রতিবাদ করতে থাকি ।

আমি ৪০০০ হাজার টাকা দিয়ে ফর্ম পূরন করে ডেট নেয় পরে ফর্ম পুরন ভুল হলে তা বাতিল হই আবার দালাল ২০০০ টাকা চাই পুরাই ধান্দা। হাকার ভাইদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।

Level 0

Bangladesh High court a ederke tolob kore karon dorsanor notish deya uchit. coz era oboidho bhabe montly 15/20 koti tk hatiye nichche. and public k chorom hoirani korche and durniti sikachche

কোর্ট এ তেমন কিছু prove করা যাবে বলে মনে হয় না । সাইট হ্যাক করাই উপযুক্ত জবাব।

Level 0

কোথায় প্রতিবাদ জানাব?সব তো কুত্তারবাচ্চা।ভারতীয় দুতাবাস সবকিছু জেনেও না জানার ভান করে থাকে।

    @sumangain: ভারতীয় দূতাবাস না জানলে তাদেরই নিয়োগ করা একটা প্রতিষ্ঠান এভাবে দিনের পর দিন প্রতারণা চালিয়ে যেতে পারে না

bro hak char r kono upay monehoy ne……………………………………………