Ryans Computer এর কিছু কথা

টিউন বিভাগ খবর
প্রকাশিত

আমার জানা মতে IDB তে Ryans Computer সবচেয়ে বড় Computer Accessories এর দোকান। আমার এক বন্ধু গত ফেব্রুয়ারিতে Ryans Computer থেকে ৬৭,০০০/= দিয়ে একটা HP Laptop কিনে। কয়েকদিন আগে কিছু সমস্যার কারণে আর Recovery Disc করে দেয়ার জন্য ওদের Service Center এ Laptop দিয়ে আসি। কিন্তু ভুল করে Adapter নিয়ে যাওয়া হয় নাই। কিন্তু ওরা বলে Recovery Disc করতে হলে Adapter অবশ্যই লাগবে। কিন্তু বাসা অনেক দূরে হওয়ায় ওদেরকে অনুরোধ করি Adapter কোনোভাবে Manage করে Servicing করে দিতে। পরে ওরা আমাকে বলে ৫ টা Blank DVD কিনে দিয়ে আসতে। ওরা কাজ করে রাখবে। আমি দুই দিন পর ওদের Service Center এ ফোন দিই Laptop এর Condition জানার জন্য। কিন্তু কেউ ফোন receive না করায় আমি Laptop আনতে চলে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি ওরা Laptop এর কোনো কাজই করে নাই। কারণ আমি Adapter দিয়ে আসি নাই। এরপর Adapter দিয়ে আসার ৫ দিন পর আমাকে Laptop Delivery দেয়। আমার কথা হলো ওদের এতো বড়ো নামকড়া একটা দোকান। আর ওদের কাছে সামান্য একটা Laptop এর Adapter থাকেনা??? যার কারণে একজন Customer কে চারবার যাওয়া লাগতেছে Servicing এর জন্য। Customer দেরকে কি এইসব Harassment করার জন্যই ওরা ব্যবসা খুলে নিয়ে বসছে??? ওদের কাছে আমার ফোন নাম্বার ও ছিলো। আমাকে ফোন দিয়ে Adapter এর কথা বললে আমি Adapter দিয়ে আসতাম। আর আমাকেও চারবার Service Center এ যাইতে হইতো না। মাঝখানে একদিন ওদের কাছে ফোন করি, Laptop এর কাজ কতটুকু হইছে জানতে আর Laptop টা যেন একটু তাড়াতাড়ি Delivery দেয়। আমাকে ওরা বলে যে, আপনার জলদি লাগলে আপনাকে দেখায় দিব, কিভাবে Recovery Disc করতে হয়। নিজে নিজে করে নেন। পরে আমি ওদেরকে বলি, আমি নিজে নিজে পারলে আপনাদের Service Center এ কি খুশিতে আসছি??? এ কথা বললে ওরা বলে, তাইলে আমাদেরকে আমাদের মত করে কাজ করতে দেন। আমার কথা হচ্ছে, Customer দের কি Urgent কাজ থাকতে পারেনা??? ওদের কাছ থেকে জিনিস কেনার আগে মুখে মধু থাকে, পরে চোখে টিনের চশমা পরে বসে থাকে।

Level 0

আমি সোহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 30 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

হুম…. সবাই আছে টেকার ধান্দায়

kotha thik kioisen vai…..

হা হা হা । যবর সত্যি

Level 0

***শোভন*** দেখে তো তাই মনে হয়।

যা হয়েছে দুক্ষজনক। কিন্তু এমন একই সমস্যাতে আমি ভাল সার্ভিস পেয়েছিলাম। আর টা যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। এখন পর্যন্ত তাই পেয়েছি। তবে বলতে হবে অনেক ব্যস্ত একটা জায়গা ryan’s সার্ভিস সেন্টার। তবে অর নিজেরাই ফোনে যোগাযোগ করে।

বেশি ভাল লাগলো না।

আ-কা-মা ( খাইয়া কাম নাই যার ) !!!

Level 0

vai rayans computer e computer diye asle ta porer din e diye dey na . 4/5 din por tarai apnak call kore laptop niye aste bolbe .

@akash99167 : vai…ryans theke amake bolsilo j porer din delivery diye dibe….ami duidin pore giyeo dekhi kono kaj kore nai……abar amare koise customer k phone naki oder kaaj na……customer kei nije theke phone kore khoj nite hobe……..

Level 0

ami akhonu pojonto konu kharap kicu pai nai.

সবাই একই গোওয়ালের গরু কিছুই করার নাই।

Level 0

vai ei same kahini amar shatheo hoisa.

Level 2

ভালোর সাথে খারাপের সহাবস্থান থাকবেই … তবে বাংলাদেশের ব্যবসার দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন ।

Level 0

আমি আমার ল্যাপটপ কিনছিলাম এদের থেকে। কিন্তু আমি ল্যাপটপ ব্যাগ পাইছিলাম প্রায় ১.৫ মাস পর। আমাকে ৩/৪ বার ঘুরায় ঘুরায় তারপর ব্যাগ দিছিল। 🙁

Level 0

এখানে নতুন কিছু টিউন করা ছাড়া অন্য কারো সমালোচনা না করি।
আমি নিজেও রাইয়ানস এর ভক্ত, তবুও বলবো সবার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
ল্যাপটপের ব্যাপারে বলতে চাই, কখন কি থেকে কি হয়ে যাবে কেউ বলতে পারে না, এমন জিনিস ল্যাপটপ। সুতরাং ওরা এই রিস্ক নিতে চায়নি বলে হয়তো আপনাকে অ্যাডাপ্টর দিতে অনুরোধ জানিয়েছে, আর ওরা আসলেই এত্তো বিজি থাকে কাজে, যে ওরা নিজেদের পরিবারকেও মাঝে মাঝে সময় দিতে পারে না, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

Level 0

ami o ak mot

Level 2

আমাকে ৭ কার্যদিবস পরে হার্ডডিস্ক আর মাদারবোর্ড চেঞ্জ করে দিছে। একবার ও না বলে নাই তা ভাল লাগছে কিন্তু বহু কষ্টে ১০ দিন অতিপাত করছি :p

Level 0

আমিও rayans থেকে ল্যাপটপটা কিনেছিলাম। rayans-এর উপর আমার ব্যাপক ক্ষার আছে। ওদের সার্ভিস সেন্টারে ল্যাপটপ দেখার জন্য ২ জন ইঞ্জিনিয়ার আছে। একজনের নাম সম্ভবত মাসুদ, আরেকজনের নাম জানিনা। তো আমি যেদিন ল্যাপটপ কিনলাম, সেদিন সরাসরি বাসায় নিয়ে গেলাম। তারপর দেখি নেট কানেক্ট করতে পারতেসি না। তখন, রাত হয়ে গিয়েছিল, rayans আর ইন্টারনেট অফিস দুইটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল; তাই আর কাউকে ফোন দিতে পারিনি। এরপর দিন আমি প্রথমে ইন্টারনেট অফিসে ফোন দিলাম, বললাম যে ইন্টারনেট কানেকশন হচ্ছে না, ওরা নেটওয়ার্কে গিয়ে নেটওয়ার্ক সেটআপ করতে বলল, যদিও আমি আমার ডেক্সটপ থেকে আগে নেটওয়ার্ক সেটআপ দিয়েছিলাম, কিন্তু ল্যাপটপ থেকে কিছুতেই পারছিলাম না। তাই, ওদেরকে বললাম যে, কষ্ট করে একটু লোক পাঠাতে। তারপর ইন্টারনেটের লোক আসল। তারা এসে বলল যে, আমাকে ল্যাপটপের Local Area Driver দেয়া হয়নি, এজন্য আমার নেট কানেক্ট হচ্ছে না। আমি তো আর তখন অত কিছু বুঝিনা, অল্প কয়দিন হল পিসি, ল্যাপটপ চালাই। তাই আমি ওদের বকে শেষ, বলতেসি যে, আমি গতকাল কিনে আনলাম নতুন ল্যাপটপ। ওরা সব দিয়ে দিয়েছে, আপনারাই পারতেসেন না মনে হয়। যাহোক, তারপর ওদের কথাতে সেইদিন-ই আমি আবার rayans-এ গেলাম ল্যাপটপ নিয়ে। ওখানে পৌঁছেছি দুপুর ২ টায়। গিয়ে বললাম যে, আমার ল্যাপটপে LAN Driver দেয়া হয়নি। ওরা রাখল। আমি দাঁড়িয়েই রইলাম। বিকালে আমার ল্যাপটপ ধরা হল। তারপর, দেখল যে উইন্ডোজ ৭ ৩২ বিটের জন্য আমার ল্যাপটপের মডেলের কোন LAN Driver নেই ফুজিৎসু-এর ওয়েবসাইটে। তারপর, আমাকে বলল যে, আমারটায় ৬৪ বিট ইন্সতাল দিতে হবে, ঐটার LAN আছে ফুজিৎসু-এর ওয়েবসাইটে। আমি বললাম দেন, সমস্যা নাই তো আমার! তারপর বলল যে, ৬৪ বিটের জন্য সব ড্রাইভার আবার ডাউনলোড করতে হবে, অনেক সময় লাগবে। সার্ভিস সেন্টার ৬ টায় বন্ধ হয়ে যাবে, তাই আজকে আর পারা যাবে না, কালকে নিয়েন। এটা শুনে তো আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কারন বাবা-মা গতকাল আমাকে এতগুলা টাকা দিয়ে একা পাঠাল ল্যাপটপ কেনার জন্য, তারা তো আর এগুলা চিনে না ঠিকমত, তাই বরাবরের মত সন্দেহাতিত, কেমন জিনিস কিনলাম, তারপর আবার দেখেছে যে, কিনার পরদিন-ই আমি আবার সার্ভিস সেন্টার-এ ছুটেছি! তারপর যদি শুনে যে নতুন ল্যাপটপ কেনার পরদিন-ই আবার সার্ভিস সেন্টারে রেখে আসতে হয়েছে, তাহলে তো আমাকে আস্ত একটা গাধা ভাববে, আর ভাববে আমি নিশ্চয়ই খারাপ জিনিস কিনেছি এবং ঠকেছি! যাহোক, আমার মাথা খারাপ হবার এটা কোন প্রধান কারন ছিল না। প্রধান কারন ছিল, হাতে একটা প্রোজেক্ট ছিল, সেটা খুব তারাতারি জমা দিতে হত। আর, বাসার ডেক্সটপটাও তখন সমস্যায় পড়েছিল। তাই, সেই রাতে ল্যাপটপ না থাকলে আমার আমার অনেক সমস্যা হবে, আর নেট-ও আমার লাগবে। তাই, ল্যাপটপটা ঠিক না করিয়ে ঐ দিন আমার না নিয়ে আর উপায় ছিল না। তাই, তখন আমি মাসুদ ভাই কে অনুরোধ করলাম যে, আজকেই ল্যাপটপটা দিতে। উনি বলল যে, সম্ভব না। ডাউনলোড করতে প্রচুর সময় লাগবে। হাতে আরও কাজ আছে। তখন, আমি রেগে গেলাম যে, আমি তো দুপুরে এনেছি। তখন যদি চেক করতেন, তাহলে তো তখন-ই ডাউনলোড দিয়ে রাখতে পারতেন সব ড্রাইভার, আর এখন শুধু সেটআপ দিয়ে দিতেন। কিন্তু, তখন তো দেখলেন না, আমারটা ধরলেন একেবারে আপনাদের সার্ভিস সেন্টার বন্ধ করার ঠিক আগ মুহূর্তে, আমার তো গতকাল কিনা ল্যাপটপ, নতুন, তাই এটায় তো আপনাদের একটু বেশি জোর দেয়া উচিৎ ছিল। উনি তাও বলে যে, আজকে দেয়া সম্ভব না। তারপর আমি মন খারাপ করে চলে যাচ্ছি ল্যাপটপ রেখে; হঠাৎ নিচে rayans এর সেলসম্যান(যার কাছ থেকে ল্যাপটপটা কিনেছিলাম, কিনার দিন উনার সাথে আমার ভালই খাতির হয়ে গিয়েছিল)-এর সাথে দেখা হয়ে গেল, উনি জিজ্ঞেস করল কি খবর আমার, তারপর উনাকে সবকিছু খুলে বললাম। তারপর, উনি বলল, এক কাজ করেন, ঐ সার্ভিস সেন্টারেই আপনি rayans এর এমডি কে পাবেন, উনার কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। কারন, আমি গতকাল আপনার কাছে ল্যাপটপ সেল করেছি, নতুন ল্যাপটপ যদি পরের দিনই এত দূর থেকে কষ্ট করে এনে আবার রেখে যেতে হত একদিনের জন্য -আমার নিজের ল্যাপটপ হলে আমারও খারাপ লাগত, সো, আপনি না নিয়ে যাবেন না আজকে ল্যাপটপ, উনার কাছে কমপ্লিন করেন। উনি দেখবে ব্যাপারটা। তারপর, উনার কথাতে আমি আবার উপরে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে এমডি কে সব কিছু বললাম। উনি তারপর মাসুদ ভাই কে ডাক দিয়ে বলল যে, গতকাল কেনা ল্যাপটপ মাত্র, দেখো না, আজকে দিয়ে দিতে পার কিনা… তারপর, উনি বলল, ঠিকাছে চেষ্টা করতেসি। এরপর, ঠিকই আধা ঘণ্টায় সব ড্রাইভার নামাল, আর ২০ মিনিটের মধ্যে সেটআপ, ৬ টা বাজার ১৫-২০ মিনিট আগেই কমপ্লিট হয়ে গেল আমারটা! যাহোক, তারপরও মাসুদ ভাই কে আমার খারাপ লাগে না। ফ্রেন্ডলি, খুটায়ে খুটায়ে নতুন ব্যাবহারকারি হিসেবে অনেক কিছুই জেনে নিয়েছিলাম উনার কাছ থেকে।
আমার ল্যাপটপটা প্রথম থেকেই কিছুটা স্লো ছিল। আমি ড্রিমওয়েভার, অ্যাডোব ফটোশপ একসাথে যখন চালাতাম, তখন কিছুটা স্লো হয়ে যেত। আমার এক বড় ভাই বলেছিল যে, ৬৪ বিটের জন্য ভাল পারফরমেনস পেতে হলে কমপক্ষে 4 জিবি RAM থাকা লাগবে। আমারটায় ছিল ২ জিবি। তাই, ৬-৭ মাস পর আমি 4 জিবি-এর একটা RAM কিনি এবং ওখানে নিয়ে যাই লাগিয়ে দেয়ার জন্য। প্লাস, এটাও বলি যে, ল্যাপটপটায় আরও কিছু সমস্যা হচ্ছে, সো RAM লাগিয়ে আবার নতুন করে যেন সেটআপ করে দেয়। তো রাখল আমার ল্যাপটপটা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেদিন ছিল শুক্রবার। দুপুরে গেলেও আমারটা ধরতে ধরতে সেই বিকাল। সারা দুপুর দাঁড়িয়ে থেকে, যখন বিকালে আমারটা ধরল, আমি কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। মাসুদ ভাই ছাড়া আরেকজনের কথা যে বলেছিলাম, উনি আমার ল্যাপটপটা দেখছে। উনাকে শুধু আমি একবার বললাম, ভাই, সি ড্রাইভ ফরম্যাট দিয়ে সেটআপ করে দিয়েন। উনি চেৎ দেখিয়ে বলল যে, আমি আপনাকে পেন ড্রাইভে ড্রাইভার সব দিয়ে দেই, আপনি নিজে গিয়ে বাসায় সেটআপ দেন; কোনটায় কি করা লাগবে-এটা আমাকে বলা লাগবে না। বাসায় সেটআপ দেয়া আমার পক্ষে কোন বেপার-ই না। তবে ভাবলাম, এত কষ্ট করে পড়ালেখা করে পাস করে একটা দোকানে জয়েন করে সারা দিন সার্ভিস সেন্টারে কাজ করে যখন এক সামান্য ইউজারের কাছ থেকে এরকম কিছু শুনলে মাথা গরম হওয়া হয়ত স্বাভাবিক। তাই, ভাবলাম, এরকম বলাটাই হয়ত আমার বেয়াদবি হয়েছে। তাই, মহান এক ইঞ্জিনিয়ার-এর কাছ থেকে আর ল্যাপটপ নিয়ে নেইনি বাসায় সেটআপ দিয়ে দিব-এই বলে। চুপ থেকে উনাকে উনার কাজ করতে দিলাম। কিন্তু, বেশিক্ষন চুপ থাকতে পারলাম না। হঠাৎ দেখলাম, সেটআপ দেয়ার পর সি, ডি, ই, এফ ইত্যাদি ড্রাইভারগুলোর পাসে System Folder নামে আলাদা একটা ড্রাইভার দেখাচ্ছে-যেটা আমি আগে কখনও দেখিনি। তাই, সভাবসুলভ কৌতুহলের কারনে জিজ্ঞেস করলাম, ভাইয়া, System Folder কি? উনি বেশ ভাব নিয়ে বলল, গুগলে System Folder লিখে সার্চ দিয়েন, দেখবেন আলাদা একটা বই-ই আছে System Folder নামে। ওখান থেকে জেনে নিয়েন System Folder কি! খুব একটা খারাপ লাগেনি হয়ত, তারপরও জীবনেও কোন সার্ভিস প্রভাইডারের কাছ থেকে এরকম ব্যাবহার পাইনি! তারপর উইন্ডোজ সেটআপ দেয়া শেষ হলে, দেখি উনি My Computer-এ right click করে properties-এ গিয়ে Disk Managenet-এ গিয়ে কিভাবে জানি LAN Driver টা ইন্সটল করল। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাইয়া, আমার এক ফ্রেন্ডের একই মডেলের ল্যাপটপ। ওর উইন্ডোজ আমি একবার সেটআপ দিয়ে দিয়েছিলাম, তারপর নতুন করে ড্রাইভার সব নামিয়েছিলাম, ওখানে LAN-এর যে ড্রাইভার দেয়া ছিল-ঐটাতে কোন সেটআপ ফাইল দেয়া ছিল না; তাই ইন্সটল করতে পারিনি। ওইসব নতুন নামান ড্রাইভারগুলোই তো আমার ল্যাপটপে রেখেছি, আর পুরানগুলো ডিলিট করে দিয়েছি। তো, ওইখানে তো LAN-এর সেটআপ ফাইল দেয়া নাই, আপনি Disk Managenet-এ গিয়ে কিভাবে ঐটা ইন্সটল করলেন-একটু দেখিয়ে দেন না আমাকে। উনি ল্যাপটপ অফ করে বললেন, আপনি যেভাবে চেষ্টা করেছিলেন, আমি সেভাবেই করেছি। ধৈর্যের বাঁধ আমারও ভেঙ্গে যাচ্ছিল সারা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে এরকম ব্যাবহার পাবার পর। তারপরও কিচ্ছু না বলে মনে মনে শুধু প্রতিজ্ঞা করলাম যে আর জীবনেও এখানে আসব না। তারপর, আমার ল্যাপটপের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিল(এখানে ল্যাপটপ নিয়ে যেই সমস্যার কথা বলে আগে পোস্ট দিয়েছিলাম)। তারপর আমি আবার উইন্ডোজ সেটআপ দিলাম। কিন্তু, সেটআপ দিয়ে তো পরলাম আবার বিপদে! কারন LAN আবার ইন্সটল দিতে পারছিনা। Disk Managenet-এ গেলাম, কিন্তু ওখান থেকে কিছুতেই কি করতে হবে বুঝলাম না। তাই বাধ্য হয়ে আবার গেলাম সেই rayans-এ। এরপর গিয়ে বললাম যে, ভাইয়া, LAN ইন্সটল হচ্ছে না- এই বলে আমি ল্যাপটপ রেখে চলে গেলাম, তারপর ১ ঘণ্টা পর এসে দেখি কাজ হয়ে গেসে আমারটার। আমার আর জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হল না কিভাবে করলেন। শুধু যাবার আগে বলে গেলাম, ভাই সেদিন যদি দেখিয়ে দিতেন, তাহলে আমার আর কষ্ট করে এত দূর থেকে আপনাদের এখানে আজকে আসা লাগত না। নিজেকে খুব ব্রিলিয়ান্ট ভাবেন না? শেষ কথাটি হয়ত উনি খেয়াল করেনি। এরপর আমি চলে যাচ্ছি। তারপর যিনি ল্যাপটপ জমা নেয়, উনাকে বললাম যে ভাই, আমার ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায় মাঝে মাঝে খুব; মোটামুটি ভাল কনফিগারেসন হওয়া সত্ত্বেও যদি আমি ভাল পারফর্মেনস না পাই, তাহলে তো আর লাভ হল না আমার, গতকাল আমি উইন্ডোজ নতুন করে সেটআপ দিয়েছি। কিন্তু, আমারতো মনে হচ্ছে, এটা উইন্ডোজের কোন সমস্যা না। যেহেতু, কিছুক্ষন পরেই প্রচুর গরম হয়ে যায় ইত্যাদি ইতাদি, তাই মনে হয় এটা হার্ডওয়্যারের সমস্যা। তাই, হার্ডওয়্যারগুলো যদি একটু চেক করে দিতেন, তাহলে ভাল হত। উনি বললেন, মাঝে মাঝে যেহেতু সমস্যা হয়, তাই এটা কয়েকদিন রেখে ব্যাবহার করে দেখতে হবে কোন সমস্যা আছে নাকি। তাই, এটা ফুজিতসু-এর সার্ভিস সেন্টার-এ নিতে হবে, ওখানে মিনিমাম ১ সপ্তাহ রেখে চালিয়ে দেখবে যে, কোন সমস্যা আছে নাকি। rayans এর এত সময় আছে নাকি ১ সপ্তাহ এটা observation-এ রাখার! তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম, একটু মাদারবোর্ড খুলে ফ্যানটা দেখবে ঠিকাছে নাকি, দুইটা দুই রকমের RAM একসাথে জয়েন করায় কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি-একটু চেক করবে-এই জন্য আমাকে ৭ দিনের জন্য ফুজিতসু-এর সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। এতদিন ল্যাপটপ না থাকলে আমি কাজ করব কিভাবে! তারচেয়ে যেভাবে আছে- সেই ভাবেই থাক, আমি চলে আসলাম চুপচাপ। এরপর আবারও একদিন উইন্ডোজ সেটআপ দিয়েছি, কিন্তু LAN তো আর ইন্সটল করতে পারিনা। তাই বলে rayans-এ আর যাইনি। ইন্টারনেট অফিসে ফোন করে বললাম যে, আপনাদের লাইনে সমস্যা হচ্ছে, লোক পাঠান। ওদের লোক এসে যখন স্বাভাবিকভাবে LAN সেটআপ করতে গিয়ে দেখল সেটআপ ফাইল নাই, তখন Disk Managenet-এ গিয়ে ইন্সটল করল, তখন উনার কাছ থেকেই দেখে নিয়েছি, কিভাবে করলেন উনি।
এসব কারনে ল্যাপটপে কোন সমস্যা দেখা দিলেও ওখানে নিয়ে যেতে আর ইচ্ছা করে না। ওদের product ভাল-এটা স্বীকার করি, কিন্তু সার্ভিস সেন্টার নিয়ে আমি মোটেই সন্তুষ্ট না

@dolar : ভাই…আপনার কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ…………

Level 0

ঠিক কথা বলেছেন।

ভাই আমি ওনাদের দোকান থেকে Desktop PC কিনছি কিন্তু তাদের এই সমস্যা টা কখন ঠিক হবে হইলে সবার জন্য ভালো হত

আমি রায়ান্স থেকে Acer aspire 4738 কিনেছিলাম ৪৬৫০০ টাকা দিয়া। এক মাস ও হয় নাই , হটাত দেখি ডিসপ্লে তে কালো কালো দাগ । দাগ আবার বাড়ে কমে , এদিক সেদিক যাওয়া আসা করে । নিয়া গেলাম Customer Care এ. একবার এইখানে পাঠায় , আরেকবার ওইখানে পাঠায় । শেষ পর্যন্ত যার কাছে পৌছুলাম তিনি বললেন , এইটা আঘাতজনিত প্রবলেম , কোন ওয়ারানটি নাই । আমার তো মাথা খারাপ । বললাম ভাইয়া আমার ল্যাপটপ কোন আঘান পায়নি । এইটা electronic fault. আঘাত পেয়ে ডিসপ্লে নষ্ট হলে , নষ্ট হওয়া জায়গা আবার ঠিক হয় না , দাগ এদিক সেদিক যাওয়া আসা করেনা । কিছুতেই মানবে না। বললাম আচ্ছা আপনারা executive technologies (acer er importer) এর কাছে পাঠান । ওনারা যদি বলে ওয়ারানটি পাবো না, তখন দেখা যাবে । কোন কথাই শুনল না। রাগারাগি করে চলে আসলাম। পরের দিন গেলাম গুলশান এর executive technologies এর service center , ওনাদের ইঞ্জিনিয়ার সমস্যা দেখে বলল ওয়ারানটি পাবো । ডিসপ্লে পালটাতে হবে । ১ দিন লাগবে । দিয়ে আসলাম বাসায় । শরীর তা জ্বলতে ছিল রায়ান্স এর ব্যবহার গুলান মনে করে । রাত তখন ১ টা । এসএমএস দিলাম 01711 541217 নাম্বার এ । নাম্বার টা রায়ান্স এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর । লিখলাম পুরো ঘটনা । সাথে বলে দিলাম , service যদি দিতে না পারেন , তবে service center খোলার কোন মানে হয় না । সাথে আরও অনেক কিছু । কিছুক্ষণ পর রিপলাই আসল। “dont worry, we will care of this tomorrow morning” . পরদিন সকালে ওদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এর ফোন আসল । আমি আমার ক্যাশ মেমো , executive এর ওয়ারানটি তে দেয়ার রসিদ সব ইমেইল করে দিলাম । বললাম সেই লোকের নাম ও । যতদূর সম্ভব সেই লোক এর চাকরি নট হয়েছিল । আর আমাকে সরি টরি বলে একটা পারসোনাল নাম্বার দিয়েছে , যে কোন সমস্যায় যেন সরাসরি টাকে ফোন দেই । ।। আগে যে নাম্বার টা দিয়েছি ওই নাম্বার এ ফোন দিয়ে কমপ্লেইন করতে পারেন , অথবা ওদের ফেসবুক এ কমেন্ট লিখুন । ইনশাল্লাহ দৌড় এর উপর থাকবে ।

ভাই আমার একটু অভ্যাস খারাপ। আমি আবার জায়গা মত খবর করি । এই স্টাইল এ আমি অনেক জায়গায় বাঁশ দিছি । একটু খুজতে হয় কোথায় বাঁশ দিলে কাজ হবে

হা হা হা……ভাই ঘুম চোর…।আপনি তো সত্যি ঘুম হারাম করে দিছেন… নাম্বারটার জন্য ধন্যবাদ…… কাজে লাগবে…

ami mone kori customer der saathe notebook receive korar por custormer care er all time phone connect thaka dorkar.

Level 0

Thanks for sharing your experience with us.

Level 0

Amar Tharmaltake casing er foot stand hariye felche :@

Level 0

shalara ak ak jon jomidar. mone hoy minister ar chakri kore. arokom protistan thakar chaaa na thakai vhalo.

Ryans Computers সম্পর্কে অনেকেরই ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা থাকতে পারে। তবে আমি কখনো তাদের সার্ভিস নিয়ে হতাস হয় নি। আমি তাদের কাছ থেকে অনেক প্রোডাক্টই ক্রয় করেছি। নিজের জন্য আবার অনেক সময় ফ্রেন্ডস অথবা ফেমিলির জন্য। যেকোন ল্যাপটপ কিনলেই দেখা যায় ওরা নিজে থেকে ফোন করে জিজ্ঞাস করে কোন ধরনের সমস্যা হলে তাদেরকে জানানোর জন্য। তাছাড়া তাদের ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করলে ভালোই রেসপন্স পাওয়া যায় এবং কোন ধরনের কমপ্লেইন করলে তাদের অথরিটি সাথে সাথে এটার একশন নেয়। সার্ভিস সেন্টারের লোকজন সবসময় দেখা যায় বিজি থাকে কারন এত বড় প্রতিষ্ঠান এইটাই স্বাভাবিক। তারাও তো মানুষ তাইনা রোবট বা মেশিন না। তাই যেকোন ডিসিশান নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের একটু সময় নিতে হয়। যেকোন কিছু সার্ভিস নেয়া বা দিয়ার ক্ষেত্রে রোলস ফলো করতে হয়। যাই হোক ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা সকলের জীবনেই থাকে। আশা করি পরবর্তীতে ভালো কোন অভিজ্ঞতা হবে।