স্বপ্নদোষ কেন হয় এবং তার প্রতিকার

টিউন বিভাগ অন্যান্য
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

আশাকরি সবাই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সামনে আমার প্রথম টিউন নিয়ে হাজির হলাম। ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে ক্ষমা করবেন।

নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কি নিয়ে কথা বলবো। চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে জানা উচিত কেন বা কি কারনে স্বপ্নদোষ হয়।
আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীরে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোনের কাজ হলো আমাদের মাংসপেশিকে আমাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখা। এর ফলে আমরা যখন স্বপ্ন দেখি তখন আকস্মিক কোন movement হয় না। এই হরমোন না থাকলে আমাদের বড় অসুবিধা হত বটে। কারণ আমাদের স্বপ্নের স্থায়িত্ব খুবই অল্প সময়। এই অল্প সময়ে আমরা হুলুস্থুল বাধিয়ে দিতাম এই হরমোন যদি কাজ না করতো।

ঘুমের মাঝে কিন্তু অন্যান্য কাজ ঠিকই চলে। যেমন, হজম প্রক্রিয়া, হৃদপিন্ড এর কাজ, রক্ত সঞ্চালন ইত্যাদি। আর এই সব কাজের একটি হচ্ছে kidney এর বর্জ্য নিষ্কাশন। আমাদের kidney আজীবন আমাদের দেহের সব বর্জ্য নিষ্কাশনের দায়িত্ব পালন করে, এমনকি কোন দিন কোন প্রকার ছুটি না নিয়ে। আমরা ঘুমালেও জেগে থাকে এই kidney দুটো। আর সারা রাত জেগে জেগে কাজ করে। রাতের বেলা ঘুমানোর পর kidney বেশি কাজ করে। কারণ তখন দেহের অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ বন্ধ বা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তখন kidney গুলা দেহের বেশির ভাগ শক্তি ব্যবহার করতে পারে।

Kidney এর এই দ্রুত কাজ আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। আমাদের Urinary Bladder প্রত্যেকটি প্রায় ৫০০ মিলিঃ করে বর্জ্য ধারন করতে পারে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, মাত্র ২২০ মিলিঃ ভরলেই আমাদের প্রচন্ড প্রস্রাবের বেগ পায়। তো ঘুমের মাঝে যখন Urinary Bladder দুটো ১৮০ মিলিঃ করে জমা করে, তখন দেহের তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হয়। এই প্রচন্ড চাপ হয়তবা জেগে থাকলে আপনি চেপে রাখতে পারতেন। কিন্তু শরীরের উপর আপনার জোড় নাই তখন। তাই শরীর নিজেই তা নিষ্কাশনের দায়িত্ব নেয়। আপনার ঘুম ভাঙলে স্বাভাবিক ভাবে আপনি বেগ অনুভব করবেন এবং প্রকৃতির ডাকে সারা দিবেন। কিন্তু আপনার যৌনাঙ্গে তখন যদি উষ্ণ অনুভূত হয় তাহলেই স্বপ্নদোষ হবে। এই উষ্ণতা আপনার শুক্রাণু বেরিয়ে আসার জন্য আহ্বান করে, এবং এর ফলে শুক্রাণু বের হয়ে আসে। আর এই জন্য আপনি স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখার জন্য আপনার দোষ হয় না। বরং দোষ এর জন্য আপনি স্বপ্ন দেখেন।

মুলত স্বপ্নদোষ এর মূল কারণ হলো যৌনাঙ্গে উষ্ণতা আর Urinary Bladder এ তৈরি হওয়া চাপ। তাই এর প্রতিকারও দুইটি:

১. ঘুমানোর আগে ভাল ভাবে মুত্রত্যাগ করে ঘুমাবেন।

২. রাতে খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাবেন না। একটু সময় নিন। অন্ততপক্ষে ১ ঘন্টা পরে ঘুমাবেন।

৩. উপর হয়ে ঘুমাবেন না। এতে দেহের বিভিন্ন অসুবিধার জন্ম দেয়। মেরুদন্ডের সমস্যার মূল কারণগুলার মধ্যে এটি অন্যতম। তা ছাড়া স্বপ্নদোষেও বেশ বড় ভূমিকা পালণ করে এই ভঙ্গি। চেষ্টা করবেন কাত হয়ে ঘুমানোর জন্য, বিশেষ করে ডান কাত হয়ে।

৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি পান করুন, তবে সীমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।

আশা করি এগুলাই যথেষ্ট। এগুলো মানলে আপনার সপ্নদোষ দেখা দিবে না।

Level 0

আমি ডাঃ শাফি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস