এসইও লেয়ার কি? কিভাবে এসইও লেয়ার কাজ করে?

আপনি টার্গেটেড ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে খুব সহজেই আনতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করার মাধমে। এটি সার্চ রেজাল্টস এ রাঙ্কিং এর সাহায্য করে যার মাধ্যমে ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পায়।

SEO'র মূল উদেশ্য:

-লো-কম্পেটেটিভ কীওয়ার্ড এবং হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তাহলে সার্চ ইঞ্জিন তার রিলেভেন্ট সার্চ এ আপনার ওয়েবসাইটকে রেকমেনেড করবে।

- ইউসারদের জন্য পর্যাপ্ত ইনফরমেশন থাকে তাহলে ইউসার এক্সপেরিয়েন্স ভাল হবে এবং আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য তা ভালো হবে।

এসইও লেয়ারগুলো কি কি?

এসইও লেয়ার:

গুগল কনটেন্ট রাঙ্ক করে :

আমরা অনেকে এই ভুলটা করে থাকি যে, থিম এসইও রাঙ্কিং এ ভূমিকা রেখে থাকে। যদিও একটি রেস্পন্সিভ মোবাইল ফ্রেইন্ডলী থিম যাতে সকল রকম ফিচারস আছে এমন থিম ভিসিটরদের জন্য ভালো। বিবেচনা করে যে ওয়েবসাইট যত ভালো এসইও করা আছে তাকেই গুগল রাঙ্ক দিবে।

হেডলাইন:

আপনি কনটেন্ট এর হেডিং অবশ্যই h১ রাখবেন কিন্তু কনটেন্ট এর ভিতর সব সাব-হেডিং h২ তে রাখবেন।

হেডিং ট্যাগ অনুযায়ী সাযাবেন যাতে করে এসইও লেয়ার ঠিক থাকে।

সাইট অপ্টিমাইজ:

গুগল সবাধিক গুরুত্ব দেয় সাইট সেটআপ ও রাঙ্ক রেঞ্জার যাহা গুগল এলগরিদম অনুযায়ী বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে সাইট রাঙ্ক দেয়ার ক্ষেত্রে;

SSL:

যেসকল সাইট এ SSL থাকবে তাদের রেঙ্কিং এগিয়ে থাকবে। তাই সাইট এ অবশ্যই SSL ব্যবহার অত্যাবশকীয়। (https://www.nshamim.com/install-ssl/)

মোবাইল ফ্রেন্ডলি :

এখন মানুষ স্মার্ট ফোন এর মাধ্যমে যোগাযোগেই করছে না বরং যেকোনো ইনফরমেশন খুজতেও তা ব্যবহার করছে। জরিপে দেখা যায় এখন মানুষ কম্পিউটার থেকে স্মার্ট ফোন এ যেকোনো কিছু বেশি সার্চ করে। তাই মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট গুগল এগিয়ে রাখে।

আপনি যদি আপনার সাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি করেনও গুগল দেখবে আপনার সাইট মোবাইল রেস্পন্সিভ কিনা? আপনার সাইট লোডিং স্পিড কেমন? আপনার সাইট নেভিগেশন ঠিক আছে কিনা? আপনার ফন্ট ও বাটন ঠিক আছে কি না? মানে ক্লিক করতে পারবে কিনা?

আপনার সাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি কি না তা জানার জন্য আপনি এই লিংক এ যেয়ে চেক করতে পারেন; https://search.google.com/test/mobile-friendly

স্পিড:

একদম স্লো ওয়েবসাইটকে গুগল পেনাল্টি দিয়ে থাকে। স্পিড এর ক্ষেত্রে কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে যেমন আপনার হোস্টিং, আপনার ইমাজে সাইজ, জাভা ও সিএসএস স্ক্রিপ্ট ও ক্যাশ অনেক সময় স্পিড কমিয়ে দেয়।

কনটেন্ট অপটিমাইজিং :

গুগল এলগোরিদম রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল করছে;

১. কীওয়ার্ড টাইটেল ট্যাগের প্রথমেই রাখা:
ধরুন: আপনার কীওয়ার্ড “new york travel guide” তাহলে আপনি যদি এই ২ টি টাইটেল দিয়ে থাকে তবে গুগল কোনটি নিবে?

New York Travel Guide: 10 Things to Do In Brooklyn vs Have a Blast in Brooklyn With This New York Travel Guide
গুগল অবশ্যই ১মটি নিবে কারণ টাইটেল এর প্রথমেই কীওয়ার্ড দেয়া আছে। গুগল এইটাই বেশি পছন্দ করে থাকে।

২. কনটেন্ট লেন্থ :
আপনার ল্যান্ডিং পেজ বা হোম পেজ এ যদি পর্যাপ্ত পরিমানে ওয়ার্ড না থাকে তবে আপনার কনটেন্ট রাঙ্ক পাবে না। তাই আপনার কনটেন্ট যদি ইউসার ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে তবে সার্চ ইঞ্জিন রোবট সহজেই আপনাকে সার্চ রেজাল্ট এ রাঙ্ক দিবে। তাই আপনার কনটেন্ট যদি ভালো মানের হয় তবে রাঙ্কিং এ তা সহায়তা করে থাকে।

৩. কীওয়ার্ড :
আগে একটা সময় ছিল গুগল কীওয়ার্ড ডেনসিটি নিয়ে তেমন চিন্তা করতো না কিন্তু এখন আপনি কীওয়ার্ড খুব বেশি বার ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু ক্রলার কে আপনার টিউন বা পেজের বিষয়বস্তু বুঝতে কীওয়ার্ড সাহায্য করে থাকে। তাই কীওয়ার্ড এর ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই টিউন বা পেজ এর টাইটেল এ, কনটেন্ট বডিতে, মেটা ডেসক্রিপশন এ অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে কিন্তু টোটাল শব্দের 0.2% এর বেশি কোনো ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। আপনি আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড এর বদলে LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন যত খুশি ততো বার। কীওয়ার্ড এর জন্য আপনি এই ভিডিও দেখতে পারেন; https://www.nshamim.com/keyword-research/

৪. পেজ অথরিটি :
পেজ অথরিটি আসলে নিণয় করা হয়ে থাকে কত গুলো লিংক পাওয়া গেলো তাদের রাঙ্কিং কতটা ভালো? ভিসিটর যদি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তাহলে তা আপনার সার্চ রেজাল্ট এর জন্য ভালো কিন্তু যদি কোনো কীওয়ার্ড দিয়ে কোনো ইনফরমেশন খুঁজে থাকে তবে আপনার কীওয়ার্ড অনেক কম্পিটিশন এ পড়বে। \ সোশ্যাল মিডিয়াও আপনার ব্যাকলিংক এর জন্য বিশাল ভূমিকা পালন করে থাকে। মোট কথা ব্যাকলিংক আপনার পেজ অথরিটি বাড়িয়ে দিবে।

৫. ডোমেইন অথরিটি :
এসইও ইন্ডাস্ট্রিতে একটি কথা প্রচলিত আছে আপনার ডোমেইন যতই পুরানো হবে আপনার রাঙ্ক ততই ভালো হবে। আসলে ডোমেইন বয়সটাই এখানে প্রাধান্য পাচ্ছে। এইটা সত্য যে, নতুন সাইট তার নিস অনুযায়ী টপে থাকতে পারে না কারণ সে খুব বেশি ভিসিটর আনতে পারে না সাথে কীওয়ার্ড ও তেমন রাঙ্ক করতে পারে নাই তাই।

৬. ডুপ্লিকেট কনটেন্ট :

গুগল চায় এমন সাইটকে র্যাংক দিতে যাদের কনটেন্ট অরিজিনাল বা কোনো প্রকার নকল নয় এমন। আপনার ওয়েবসাইট এ যাতে কোনো প্রকার ডুপ্লিকেট কটেন্ট না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৭. ডোমেইন এর নাম এর প্রথমেই কীওয়ার্ড থাকা:

অবশ্যই টার্গেটেড কীওয়ার্ড প্রথমেই রাখবেন শেষেও না মাঝখানেও না। যেমন : আপনার কীওয়ার্ড যদি হয় "New york Travel" তাহলে এইটা রাঙ্কিং এও ভালো ভূমিকা রাখে। আপনি যদি "newyorktravelguide.com" এইটার বদলে "joeandcindydonewyork.com" এই নাম নেন তবে গুগল তা পছন্দ করবে না।

Level 2

আমি নাছির উদ্দিন শামীম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 48 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

LateNightBirds এর ফাউন্ডার। :) DevsTeam এর কো-ফাউন্ডার। আমাকে ফেইসবুক (fb.com/NasirUShamim) অথবা টুইটারে (@n_shamim) ফলো করতে পারেন। :)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস