এয়ারড্রপ কি?ক্রিপ্টোকারেন্সি এয়ারড্রপ থেকে কিভাবে প্রতি মাসে 500+ Dollars পর্যন্ত আয় করা যায় ভিডিও সহ এসআর অনলাইন হেল্প

এয়ারড্রপ হচ্ছে বর্তমান সময়ে ফ্রি তে কাজ করে অর্থাৎ কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া মাসিক একটি ভালো এমাউন্ট আয় এর মাধ্যম। এই এয়ারড্রপে অসংখ্য অনলাইন কেন্দ্রিক মানুষ কাজ করে প্রতি মাসে $৫০০+ ডলার এরও বেশি উপার্জন করছে। যেখানে ১ ডলারের মূল্য ৮০-৯০ টাকা এর মধ্যে। কখনো কখনো তার বেশিও হয়।
তো এখন চলুন কথা না বাড়িয়ে এয়ারড্রপ এ কিভাবে কাজ করবো এর বিস্তারিত জেনে নেই।

তবে এয়ারড্রপ কি জানার পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি কি। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক ক্রিপ্টো কারেন্সি কি।

*ক্রিপ্টোকারেন্সি:

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
অনলাইনে ব্যবহৃত বিভিন্ন কারেন্সি হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি। অনলাইনে লেনদেন করার কারেন্সি।

ক্রিপটোকারেন্সি এর নাম আমরা অনেকেই শুনেছি।
যেমনঃ বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লাইটকয়েন, ডগিকয়েন, রিপল ইত্যাদি। এগুলো পপুলার ক্রিপটোকারেন্সি।

তবে অনেকেই আছেন যারা ক্রিপটো কারেন্সির নাম এর আগে শুনেন নি বা জানেন না। তাদের জন্য আর একটু বলি। অনলাইন আয় করার কারেন্সি অথবা অনলাইনে বিভিন্ন লেনদেন করার কারেন্সি যেমনঃ বিটকয়েন, লাইটকয়েন, ইথারিয়াম ইত্যাদি কে ক্রিপটোকারেন্সি বলে।
ক্লিয়ার? এই কারেন্সি গেটওয়ে দিয়ে আমরা বিভিন্ন ফ্রিলেন্সিং সাইট থেকে পেমেন্ট নিয়ে থাকি বা বিভিন্ন জিনিস বা সার্ভিস কিনতে বেবহার করে থাকি বা করতে পারি।

বিটকয়েন, ইথারিয়াম, লাইটকয়েন, ডগিকয়েন, ইত্যাদি ক্রিপটো কারেন্সি দিয়ে যারা অনলাইনে কাজ করে তারা পেমেন্ট নিয়ে থাকে বিভিন্ন সাইট থেকে এবং অনলাইনে কোন সার্ভিস কিনতে এসব পেমেন্ট গেটওয়ে বেবহার করে থাকে।

*এখন আসি মূল বিষয়ে অর্থাৎ এয়ারড্রপ নিয়ে।

প্রশ্ন:এয়ারড্রপ কি?

উত্তর:

এয়ারড্রপ মানে হচ্ছে "ফ্রি ক্রিপটো টোকেন"। প্রতি নিয়ত বিভিন্ন ক্রিপটোকারেন্সি লঞ্চ হচ্ছে অনলাইনে এবং আমরা সে সকল ক্রিপটো কারেন্সি এর কিছু সোশ্যাল প্রমোটিং এর কাজ করে দিয়ে এয়ারড্রপ বা "ফ্রি ক্রিপটো টোকেন" পেয়ে থাকি। সে সকল এয়ারড্রপ টোকেন বা নতুন লঞ্চ হওয়া ক্রিপটোকারেন্সি আমরা বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ সাইটে সেল করে ক্যাশ করতে পারি। অর্থাৎ বিকাশে, ব্যাংকে নিতে পারি।

আশা করছি কিছু টা হলেও বুঝাতে পেরেছি যে, ক্রিপটো কারেন্সি এবং এয়ারড্রপ কি।
আরো ভালো করে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

*যারা উপরের কথাগুলো মন দিয়ে পড়েন নি তাদের মনে এখনো প্রশ্ন আসতে পারে যে,

কেন নতুন লঞ্চ হওয়া ক্রিপটোকারেন্সি গুলো আমাদের ফ্রি টোকেন/ডলার দিবে?

আগেই বলেছিলাম তাদের নতুন লঞ্চ হওয়া ক্রিপটোকারেন্সি গুলোর সোশ্যাল প্রোমোটিং করে পপুলার হতে সাহায্য করার জন্য।

বিস্তারিত বলতে গেলে

নতুন লঞ্চ হওয়া ক্রিপটোকারেন্সি গুলোর প্রধান লক্ষ হচ্ছে তাদের কম্পানির প্রচার করা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের করেন্সি/কম্পানির ভালো রেপুটেশন গড়ে তুলা। কারন এই প্রচার/রেপুটেসন এর মাধ্যমে তারা তাদের কারেন্সি/কম্পানির টোকেন গুলো ইনভেস্টর দের কাছে পোঁছাতে পারে যেন তাদের টোকেন গুলো সেল হয়। তাদের কারেন্সি/কম্পানির প্রচার/রেপুটেশন আমরাই গড়ে তুলি কারন এখানে আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের কম্পানির সোশ্যাল একাউন্ট গুলো ফলো, সাবস্ক্রাইব করে সোশ্যাল মিডিয়াতে এঙ্গেজমেন্ট বা প্রমোট করা।

এই জন্নই মুলত তারা আমাদের নির্দিষ্ট এমাউন্ট এর টোকেন ফ্রিতে দিয়ে থাকে। যারা এয়ারড্রপে কাজ করে তাদেরকে এয়ারড্রপ ওয়ার্কার বলে।

*এখন আসি,
কিভাবে এয়ারড্রপে জয়েন হতে হয় বা কাজ করতে হয়।

ক্রিপটো কারেন্সি এয়ারড্রপে জয়েন বা কাজ করতে হলে আমাদের বিভিন্ন রকম সোশাল একাউন্ট এবং ক্রিপটো ওয়ালেট (পেমেন্ট নেয়ার জন্য) অবশ্যই থাকা লাগবে।

প্রয়োজন হবে
১, একটা ই-মেইল,

২, একটি ফেসবুক একাউন্ট(প্রয়োজনে ফেইক একাউন্ট করে নিবেন)(ফলো কমন, মাঝেমধ্যে শেয়ার)

৩, একটি টুইটার একাউন্ট https://twitter.com/
(পিন টিউন রিটুইট এবং ফলো কমন)

৪, একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট https://telegram.org/
(চ্যানেল এবং গ্রুপ জয়েন কমন)

এগুলো তে ফলো করতে বলে
কখনো কখনো অন্যান্য কিছু সোশ্যাল সাইটে ফলো করতে বলে।
আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের কম্পানির সাইন আপ করে তাদের সোশ্যাল একাউন্ট গুলো ফলো শেয়ার, সাবস্ক্রাইব করে সোশ্যাল মিডিয়াতে পপুলার হওয়াতে সাহায্য করা।

*সব শেষে টোকেন রিসিভ করার জন্য আমাদের একটি ERC20 বা My Ether Wallet একাউন্ট প্রয়োজন হবে। এখানে মনে রাখতে হবে ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন এর ক্ষেত্রে কখনো কয়েনবেস এর eth address ব্যবহার করা যাবে না।
My ether wallet এর eth address ব্যবহার করবেন।

কিভাবে my ethar Wallet করতে হয় তা ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। আপনারা বললে আমি ভিডিও তৈরি করে দিবো।

*এখন আসা যাক,

আপনার ethar ওয়ালেটে কখন টোকেন/কারেন্সি/ডলার পাবেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কম্পানির মেইন সেল যখন শেষ হয় তখন মুলত তারা এয়ারড্রপ ওয়ার্কার দের টোকেন/কারেন্সি/ডলার ডিস্টিবিউট করে থাকে। আপনি এয়ারড্রপে জইন হওয়ার পর থেকে এটা মুলত ২০ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লাগে আপনার ওয়ালেটে টোকেন/ডলার/কারেন্সি আসতে।

প্রতিদিনই কমপক্ষে ৫-১০+ টা করে ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রজেক্ট/কম্পানি লঞ্চ হয়। আমি কম করে বলেছি। তার মানে আপনাকে প্রতিদিন ৫-১০টা ক্রিপ্টো কারেন্সি কম্পানির এয়ারড্রপে জইন (কাজ) হতে হবে।

এখানে মনে রাখতে হবে,
সকল ক্রিপ্টো কারেন্সি কম্পানি টোকেন/ডলার/কারেন্সি পেমেন্ট করে না কারন এদের মধ্যে ফেক কিছু কম্পানি রয়েছে। তাই সকল এয়ারড্রপেই আমাদের জইন হয়ে ফলো করার কাজ করে রাখতে হবে। কোন এয়ারড্রপ টোকেন দিবে সেটা সঠিক ভাবে কেইউ বলতে পারে না। ভালো রেটিং প্রাপ্ত লেজিট/ট্রাষ্টেড এয়ারড্রপ গুলো পেতে আমাদের চেনেল ফলো(ইউটিউব, টেলিগ্রাম, টেকটিউনস) করুন যেখানে আপনি নতুন নতুন এয়ারড্রপ গুলো পাবেন এবং কিভাবে কাজ করতে পারবেন তার বিস্তারিত ভিডিও তে দেখতে পাবেন। আমি যদি ইউটিউবে ভিডিও নাও দিই তবে টেলিগ্রাম চ্যানেল এ এয়ারড্রপের লিঙ্ক দিয়ে দিবো। সকল এয়ারড্রপের কাজ এক-ই রকম।

এয়ারড্রপ নিয়ে আরো ভালো মতো বুঝতে ভিডিওটি দেখুন:

https://youtu.be/g7MlE79iXJc

Subscribe my channel:
https://youtube.com/channel/UCQlYQZusPyKvJfgsFMhNd3A

Join my telegram channel must:
https://t.me/SR_Online_Help

Level 2

আমি এএসআর অনলাইন হেল্প। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস