চলুন দেখে আসি মধ্যযুগীয় কিছু মেশিন, যেগুলোর সৃষ্টি হয়েছে অমানুষিক অত্যাচার এবং হত্যা করার জন্য। (মেগা টিউন)

ভায়োলেন্স সহ্য করতে পারেন না এবং যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদের অনুরোধ  টিউনটি না দেখার জন্য

আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। বেশ কিছুদিন বিরতির পর আপনাদের কাছে ফিরে আসলাম। ক্লাসের আলটিমেট চাপ এবং সময়ের অভাবে টিউন করা হয়ে উঠছে না তবে চেস্টা করছি নিয়মিত হতে। তবে ভিজিটর হিসাবে কিন্তু নিয়মিতই আপনাদের সাথে আছি। অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমি সব সময়ই চেস্টা করে থাকি আপনাদের এক্সক্লুসিভ সব টিউন উপহার দিতে এবং তার সাথে আপনাদের ভালোবাসা কুড়াতে। ঠিক তেমনি আজ ও আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ব্যাতিক্রমধর্মী এই টিউনটি। আশা করি আপনাদের সবারই ভালো লাগবে, সাথে খানিকটা ভয় ও পেতে পারেন, ব্যপার না। এটাই টিউনের মজা।

আজকে আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো কিছু মেশিনের সাথে যেগুলোর সৃষ্টি হয়েছে বা হয়েছিলো মানুষকে হত্যা করার জন্য। আপনারা অনেকেই মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা শুনেছেন, আজ সেগুলো ফিল করতে পারবেন। তাই এই টিউনটি দুর্বল হৃদয়ের ভিউয়ারদের জন্য নয়। এছাড়া যারা ভায়োলেন্স সহ্য করতে পারেন না এবং যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদের অনুরোধ করবো টিউনটি না দেখার জন্য। ভবিষ্যতে অবশ্যই আপনাদের উপযোগী টিউন নিয়ে আসবো। চলুন আপনাদের নিয়ে যাই মুল টিউনে........................

খ্রীস্ট-শতাব্দী মতে ৫০০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দ হচ্ছে এখনকার হিসেবে মধ্যযুগ। মানুষ ছিলো অত্যান্ত বর্বর। ক্ষমতা চার্চের লোকেদের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো। প্রধানত দু শ্রেনীর সম্প্রদায় সমাজে বিদ্যমান ছিলো। উচু সম্প্রদায় এবং নিচু সম্প্রদায়। নিচু সম্প্রদায়ের লোকেদের কারনে অকারনে নির্যাতন করা হত। মৃত্যুদন্ড ছিলো মুড়ি মুড়কির মত। সামান্য কারনে বিভিন্ন অমানুষিক অত্যাচার করা হত। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তারা তৈরি করেছিলো বিভিন্য প্রকার মেশিন। যেগুলো দিয়ে মানুষকে অমানুষিক যন্ত্রনা দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হত। সেই মেশিন গুলোর কথাই আজ আপনাদের বর্ননা করবো।

১. Rack

* ফরাসীরা এটি আবিস্কার করেছিল। এটি একটি টর্চার ডিভাইস, সাধারনত একটি কাঠের ফ্রেম দ্বারা নির্মিত। এর দুই দিকে দুটি লিভার অর্থাৎ হাতল থাকে। এবং চিত্রের মত এতে দড়ি লাগানো থাকে। মানুষটিকে মেশিনের মাঝের টেবিলে শোয়ানো হত আর দুই দিকের

দড়ির দুই প্রান্ত ভিকটিমের দুই হাত এবং দুই পা এর সাথে বাধা থাকতো। এ কাজের জন্য দুটি জল্লাদ লাগতো। তারা দুই দিকের দুটি লিভার ধরে টান দিতো এবং তাদের প্রয়োগকৃত বল লিভারের কারনে কয়েকগুণ বেশি হয়ে প্রয়োগ হত এবং ভিকটিমের অসহ্য যন্ত্রনা শুরু হত। প্রথমে তাদের হাত পা এর লিগামেন্ট গুলো ছিড়ে যেত এবং পরে সেগুলো সকেট থেকে খুলে আসত। প্রচন্ড ব্যাথা আর রক্ত ক্ষরনে ভিকটিমের যন্ত্রনাদায়ক একটি মৃত্যু ঘটত।

ইতালিয়ানরা এর একটি উন্নত সংস্করণ তৈরি করেছিলো, যেটির টেবিল ছিলো কাটা যুক্ত। এর ফলে ভিকটিমের যন্ত্রনা আরো বেড়ে যেত, মৃত্যু হত আরো ভয়ংকর।

২. Iron Maiden

আরেকটি ভয়ংকর টর্চার ডিভাইস হচ্ছে আয়রন মেইডেন!!! এক অনন্য হত্যাকারী। এটি একটি কুঠুরী বিশেষ। এর দুটি দরজা আছে।

কুঠুরির ভেতর এবং প্রত্যেকটি দরজায় অসংখ্য লম্বা লম্বা কাটা আছে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীকে প্রথমে জোর করে এর কুঠুরির ভেতর ঢুকানো হত। তারপর বন্ধ করে দেওয়া হত সেই মারন দরজা দুটি। ভিকটিমের গুরুত্বপুর্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলির মাঝ দিয়ে ঢুকে যেত কাটা গুলি। প্রবল যন্ত্রনায় এবং রক্তপাতে ভিকটিমের মৃত্যু হত কিছুক্ষন বাদেই.............

The Skull Crasher

নাম শুনেই হয়তো বুঝতে পারছেন যে কি ধরনের টর্চার ডিভাইস এটি! এই টর্চার ডিভাইসটির কার্য প্রণালী জানলে গা শির শির করবে সবারই। প্রাচীন রোমানরা এর উদ্ভাবক।

মেকানিক্যাল পদ্ধতি, স্ক্রু মেকানিজম কে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই ডিভাইস, যা দিয়ে চুর্ন করে দেওয়া হত ভিকটিমের খুলি। স্ক্রু মেকানিজমের ফলে প্রয়োগকৃত বল বহুগুনে বেড়ে গিয়ে চুর্ন করে দিত ভিকটিমের খুলি আর নিশ্চিত করত একটি যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু।

Impalement

এটির কথা শুনলে আপনাদের গায়ে কাটা দিবে নিশ্চিত। আমরা অনেকেই ছোটবেলায় রুপকথার গল্পে অপরাধীদের শুলে চড়ানোর কথা পরেছি। এবার বাস্তবে দেখে নিন জিনিসটি আসলে কি..

এক্ষেত্রে একটি লম্বা কাঠের অথবা লোহার সুচালো রড মাটিতে গাথা থাকে। এবং ভিকটিম কে সম্পুর্ন উলঙ্গ করে তার পশ্চাৎ দেশ দিয়ে লোহার রডটি প্রবেশ করিয়ে এর সাথে গেঁথে দেওয়া হয় ফলে রডটি তার ঘার অথবা পিঠ দিয়ে বেরিয়ে আসে এবং প্রবল যন্ত্রনার সাথে ভিকটিমের মৃত্যু ঘটে। প্রাচীন রোমানরা এর উদ্ভাবক।

Judas Cradle

এটাও আরেকটি ভয়ংকর এবং যন্ত্রনাদায়ক টর্চার ডিভাইস। এক্ষেত্রেও ভিকটিম কে সম্পুর্ন উলঙ্গ করে তার পশ্চাৎদেশ অথবা গোপনাঙ্গ ত্রিকোনা আকৃতির সুচালো অংশটায় রাখা হয়।

এবং ভিকটিমকে লোহার ফ্রেম দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রাখা হয় যাতে সে নড়াচড়া করতে না পারে। ফলে খুব ধীরে ধীরে একটি যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু নিশ্চিত হত।

The Pear of Anguish

রোমানদের আরেকটি ভয়ংকর টর্চার ডিভাইস। মিথ্যাবাদী এবং সমকামীদের হত্যা করার জন্য এই ডিভাইসটি ব্যবহার করা হত। এটি তাদের স্ক্রু ম্যাকানিজমের আরেকটি অনন্য সৃষ্টি।

প্রথমে তাদের হাত পা বাধা হত তারপর এটি তাদের মুখ, পশ্চাৎদেশ অথবা গোপনাঙ্গে প্রবেশ করানো হত এবং স্ক্রু ঘুরিয়ে যন্ত্রটি খোলা হত।

শরীরের টিস্যু গুলি ফেটে যেত এবং রক্তপাত শুরু হত। ছটফট করতে করতে রক্তপাতে মারা যেত ভিকটিম।

Saw Torture

এটি আরেকটি ভীবৎস টর্চার ডিভাইস। কড়াত দিয়ে ভিকটিম চিরে ফেলা, হ্যাঁ মধ্যযুগে এটাই করা হত।

এক্ষেত্রে ভিকটিম কে একটি কাঠের ফ্রেমে উল্টা করে বাঁধা হত। এরপর দুজন জল্লাদ একটি ধারালো কড়াত দিয়ে ভিকটিমকে মাঝ বরাবর চিরে ফেলতো!! মৃত্যুটি হত খুবই যন্ত্রনার।

The Knee Splitter

এটি একটি স্প্যানিশ টর্চার ডিভাইস যার মাধ্যমে প্রাচীন স্প্যানিশদের অগাধ মেকানিক্যাল জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। এই জ্ঞানকে তারা কাজে লাগিয়েছিল এই মারন যন্ত্রটি তৈরি করতে। এটিও স্ক্রু মেকানিজমের সাহায্যে কাজ করে।

এটি একটি কাঠ বা লোহার ফ্রেম যার মাঝে দুই সারি লোহার কাটা যুক্ত দাঁত থাকে। দণ্ডপ্রাপ্ত ভিকটিম এর দুটি হাঁটু এর ভিতর ঢুকানো হয় এবং যন্ত্রটির স্ক্রু ঘোরানো হয়। দাঁত গুলি ভিকটিমের হাটুর হাড় ভেদ করে চলে যার এবং অসহ্য যন্ত্রনায় এবং রক্তপাতে ভিকটিমের মৃত্যু ঘটে।

Boiling Alive

অত্যান্ত জঘন্য একটি টর্চার ডিভাইস। জীবন্ত সিদ্ধ করে মারা। খুব সম্ভবত মঙ্গোলিয়ায় এই প্রথার উৎপত্তি হয়, তারপর দ্রুত সারা বিশ্বে ছরিয়ে পরে। এক্ষেত্রে একটি খুব বড় ধাতব ডেকচি ব্যবহার করা হয়।

ডেকচিটি পানি দিয়ে পুর্ন থাকতো। দন্ডপ্রাপ্ত ভিকটিমের হাত, পা বেঁধে ডেকচিতে রাখা হত এবং নিচে প্রজ্জলিত করা হত ভয়ংকর অগ্নিকুণ্ড। আস্তে আস্তে পানি ফুটত এবং ভিকটিম সিদ্ধ হয়ে যন্ত্রনাদায়ক একটি মৃত্যু উপহার পেত।

Execution by Flaying

আরেকটি গা শির শির করা টর্চার মেথড। জীবন্ত চামড়া ছাড়ানো!!!!!!!! এক্ষেত্রে অপরাধীকে একটি টেবিলে শোয়ানো হত।

এবং জল্লাদরা তার চামড়া ছাড়িয়ে নিত জীবন্ত অবস্থাতেই। ভয়ংকর জ্বালা এবং যন্ত্রনা পেয়ে অপরাধীর মৃত্যু ঘটত।

Guillotine

এটি ফরাসিদের তৈরি আরেকটি ভয়ংকর ডেথ ডিভাইস। ফরাসী বিপ্লবের সময় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের সংখ্যা প্রচুর হারে বাড়তে লাগলো। সেক্ষেত্রে তারা একটি মেশিনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো যেটা দিয়ে আরো দ্রুত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যায়, যে ভাবা সেই কাজ।

ফরাসী প্রকৌশলীরা বানীয়ে ফেলল এমন একটি মারন ডিভাইস যেটি দিয়ে খুব দ্রুত এবং অধিক হারে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যেত। সেটি হচ্ছে গিলেটিন।

একটি কাঠের ফ্রেমে একটি বাঁকানো এবং খুব ভারী ব্লেড লাগানো থাকতো যেটিকে একজন জল্লাদ টেনে উপরে তুলতো। কাঠের ফ্রেমে একটি গর্ত থাকতো যেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত মানুষের মাথাটি ঢুকানো হত। জল্লাদটি দড়ি ছেড়ে দিত। এবং ১ সেকেন্ডের দশভাগের একভাগ সময়ে মাথাটি দেহ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে সামনে রাখা ঝুড়িতে পরত, এবং রক্তগুলো সংগ্রহের জন্য একটি বালতি থাকতো। এভাবে প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হত।

Garrote

আরেকটি অমানবিক ডেথ ডিভাইস। স্ক্রু মেকানিজমের উপর ভিত্তি করে এটি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিকটিমকে একটি চেয়ারের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হয়।

ভিকটিমের ঘাড়ের পিছনে একটি সুচালো স্ক্রু থাকে যেটিকে একটি হ্যান্ডেল দিয়ে ঘুরানো হয়। এর ফলে স্ক্রু টি ভিকটিমের স্পাইনাল কর্ডকে মস্তিস্ক থেকে আলাদা করে দেয়। মৃত্যু নেমে আসে খুব দ্রুত!!!

Brazzen Bull

শুনলে ভয় পাবেন নিশ্চিত!! অত্যান্ত অমানবিক,অমানুষিক এবং পৈচাশিক একটি ডিভাইস, নাম ব্রাজেন বুল। প্রাচীন গ্রীকরা এর উদ্ভাবক। এটি একটি পিতলের তৈরি ডিভাইস যেটির আকৃতি ষাঁড়ের মত।

এর পিঠে একটি ঢাকনা রয়েছে যেটি দিয়ে ভিক্টিম কে ষাঁড়ের পেটের ভিতর জোর করে ঢুকানো হত এবং ঢাকনাটি বন্ধ করে দেওয়া হত। তারপর এর পেটের নিচে আগুন দেওয়া হত। পুড়ে কাবাব হয়ে মারা যেত ভিকটিম।

ষাঁড়ের মুখে থাকতো একটি প্যাঁচানো পিতলের পাইপ, যেটি ভিকটিমের আর্তনাদকে ভয়ংকর অমানুষিক একটি ধ্বনিতে রুপান্তরিত করতো। গ্রীকরা তাদের বাৎসরিক ব্যাংকুয়েটে (বিশাল ভোজ সভা) আমন্ত্রিত অতিথিদের এই ব্রাজেন বুলের চিৎকার শুনাতো।

The Pendulum

আরেকটি মধ্যযুগীয় মারন যন্ত্র, যেটি তৈরি হয়েছিলো ঘড়ির পেন্ডুলামের নীতির উপর ভিত্তি করে। এক্ষেত্রে একটি কাঠের ফ্রেমে জটিল যন্ত্র কৌশলের মাধ্যমে একটি অত্যান্ত ভারী ব্লেড লাগানো থাকতো, যেটি পেন্ডুলামের মত দুলে দুলে একটু একটু করে নিচে নেমে আসতো।

নিচে হাত পা বাধা অবস্থায় অপরাধী শুয়ে থাকতো, এবং দেখতো, যে কিভাবে আস্তে আস্তে মৃত্যু তার দিকে নেমে আসছে। শেষ পর্যন্ত ভারী ব্লেডটি আস্তে আস্তে তার বুকের পাঁজর কেটে বসে যেত। প্রচন্ড যন্ত্রনা নিয়ে মৃত্যু হত অপরাধীর।

The Great Wheel

বিভব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রাচীন রোমান ক্যাথলিকরা মানুষের কার্যকর করত। এটি একটি রোমান টর্চার ডিভাইস। একটি ভারী কাঠের গোলাকার ফ্রেমের সাথে দন্ডপ্রাপ্তকে বাঁধা হত।

এরপর সেটিকে নিয়ে যাওয়া হত উচু ঢালু জায়গায়। তারপর সেখান থেকে ফ্রেমটিকে গড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হত। ঘাড় ভেঙ্গে সাথে সাথে মৃত্যু হত ভিকটিমের!!

The Body Crusher

ভয়ংকর এই ডিভাইসটি গ্রীকরা বানিয়েছিলো। এই মেশিনটির কাটা যুক্ত দুটি চেম্বার থাকে। একটিতে ভিকটিমকে শোয়ানো হয়। অন্যটি স্ক্রু মেকানিজমের মাধ্যমে নিচে নামানো হয়। কাটা গুলো ভিকটিমের সারা শরীরে ঢুকে যায়। মৃত্যু আসে খুব নিঃশব্দে।

The Wicker man on Fire

একসাথে অনেক অপরাধীকে পুরিয়ে মারার জন্য এই ডিভাইসটির জন্ম। এটি একটি বিশাল মানুষের আকৃতির ফ্রেম যা নির্মিত হয় বাঁশ, কাঠ, খড়, শুকনো লতাপাতা এবং বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ দিয়ে।

এবং একাধিক অপরাধীকে এই ফ্রেমে আটকানো হত। তারপর গোধুলী লগ্নে ফ্রেমে দেওয়া হত আগুন। কয়েক মিনিটের মাঝে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পরত ফ্রেমে! জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যেত অপরাধীরা, পুড়ে কয়লা হয়ে যেত।

Crusifiction

আরেকটি যন্ত্রনাকর অমানবিক ডিভাইস হচ্ছে ক্রুসিফিকশন। এক্ষেত্রে ক্রস আকৃতির একটি কাঠের ফ্রেম নেওয়া হয়। এবং অপরাধীকে সেই ফ্রেমে শোয়ানো হয়।

তার দুই হাত ক্রসের দুই সাইডে নেয়া হয়, এবং তাতে বড় বড় দুটি লোহার গজাল হাতের তালুর মাঝখান দিয়ে ফ্রেমের সাথে গেঁথে দেওয়া হয়। এর পর ফ্রেমটিকে দাঁড়া করিয়ে জনসম্মুখে রেখে দেওয়া হয় যতক্ষন না পর্যন্ত অপরাধীর মৃত্যু ঘটছে। ক্ষুধা,তৃষ্ণা এবং যন্ত্রনায় অপরাধী দু এক দিনের মাঝেই মৃত্যুবরন করে।

Revolving Drum

আরেকটি গা শির শির করা টর্চার এন্ড ডেথ ডিভাইস এটি। দা রিভলবিং ড্রাম!!!!! এটিও একটি কাঠের ফ্রেম যার মাঝে একটি স্পাইক যুক্ত ড্রাম থাকে যেটি হাতলের সাহায্যে ঘোরানো যায়। ভিকটিমকে ড্রামের সাথে উল্টা করে বাঁধা হয়।

মাথাটি গোলাকার গর্তে ঢুকানো থাকে এবং এমন ভাবে থাকে যাতে তার পেটটি ড্রামের সাথে লাগানো থাকে। একজন জল্লাদ ড্রামটিকে ঘোরায়, এর ফলে ভিকটিমের নাড়ি ভুরি ছিরে ফুরে বের হয়ে আসে। প্রচন্ড যন্ত্রনায় মৃত্যু ঘটে ভিকটিমের.........................

Roman Colosseum

আমরা এখন যেটিকে দর্শনীয় স্থান হিসাবে চিনি, সেটি ছিল আসলে একটি ভয়ংকর ডেথ চেম্বার!! এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লোক এতে মারা গিয়েছে। প্রায় ৬-৭লক্ষের বেশি!! এর মাঠের নিচে একটি চেম্বার (বর্তমানে ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গিয়েছে) ছিলো যেটাতে ভর্তি থাকতো ক্ষুধার্ত বাঘ, সিংহ, কুমির, চিতা ইত্যাদি নরখাদক প্রানী। দন্ডপ্রাপ্তদের ছেড়ে দেওয়া হত মাঠে, সাথে দেওয়া হত সামান্য একটা ছুরি। এর ছিলো একটি ম্যানুয়াল লিফট সিস্টেম। লিফটের মাধ্যমে একদল কর্মী নিরাপদে থেকে পশু গুলোকে উপরে তুলে দিত।

মাঠে মাটির সাথে অনেক গুলো গোপন পাটাতন দরজা থাকতো যেগুলো দিয়ে পশু গুলো মাঠে প্রবেশ করতো, এবং ছিড়ে খেয়ে ফেলতো ভিকটিম কে। লক্ষ লক্ষ লোক এই ভীবৎস খেলা টিকিট কেটে দেখতে আসতো!!

তথ্য সুত্রঃ- ইন্টারনেট (সংকলিত)

----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

তো এই ছিলো আপনাদের জন্য আমার ছোট্ট এই আয়োজন, কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাবেন...........

টিউনটি, সময় নিয়ে গুছিয়ে করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি তা আপনারা ভাল বলতে পারবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন এবং একটা অনুরোধ, ভাল মন্দ যে কোন ধরনের কমেন্ট এবং সমালোচনা বেশি বেশি করবেন,যার ফলে এই টিউনের ভুল গুলো আমার চোখে পরবে এবং নেক্সট টিউনে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেস্টা করবো ফলে ভবিষ্যতে আরও ভাল টিউন আপনাদের উপহার দিতে পারব।

ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ সবাই কে।

আকাশ

আমার আগের টিউন গুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

Level 0

আমি শুভ্র আকাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 72 টি টিউন ও 1922 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

আকাশ টাইটেল এ একটু লিখে দিত্ত যাতে দুর্বল চিত্তের কিংবা ছোটরা যাতে না দেখে

আর বরাবরের মতই ব্যতিক্রমধর্মী টিউন

আকাশ ভাই অনেক দিন পর টিউন করলেন, ভয়ংকর কিছু টর্চারের কথা জানলাম যা জানা ছিলনা, সুন্দর একটি তথ্যবহুল টিউনের জন্য ধন্যবাদ

Awesome, গুরু ধন্যবাদ

গিলিটিন এর নামটা শুনছিলাম । আ টেল অব টু সিটিজ বইতে পরেছিলাম । আজ এর সম্বন্ধে জানতে পারলাম ।ধন্যবাদ ।

swordfish ভাই ঠিক বলছে । তাইলে ভিজিটর ও বাড়ত ।

ভয়ঙ্কর , তথ্যবহুল পোষ্ট । কিন্তু আরো একটা ব্লগে শেয়ার করতে মন চাইছে । শুভ্র ভাই অনুমতি পাওয়া যাবে কি ??

জানলাম অনেক কিছু।সময়ের ব্যবধানে আজ এরা সভ্যজাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে আর আমরা ফিরে যাচ্ছি সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতায়।এখন কেউ আর বুলেটও খরচ করতে চায় না,শুধু জবাই করে।যারা অতি উৎসাহি তারা আবার কয়েক টুকরো করে।Colosseum সহ রোমান সাম্রাজ্যের অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।ধন্যবাদ আল্লাহকে সজন্য।
ধন্যবাদ আকাশ ভয়ংকর কিন্তু চমৎকার গাঁ শিউরানো টিউনটির জন্য।সেই সাথে প্রার্থনা রেখে গেলাম এমন ভংকর মৃত্যু যেন কারো না হয়।

সুন্দর !

সুন্দর

বাপরে! হাত পা শির শির করছে ……তবে ভারত বর্ষেরগুলো বাদ পরছে যেমন মুঘলরা হাতির পায়ের নিচে মাথা পিষ্ট করে হত্যা করত । ভেরার চামরা ছিলে তা ব্যগ এর মতো বানিয়ে জিবন্ত মানূষকে তার ভিতর ঢুকিয়ে রোদের মধ্যে ঘোরার পিছনে বেধে দিত, গরমে চামরা লোকটির শরিরের সাথে এটে যেত । ফলাফল লোকটি শ্বাষরুদ্ধ হয়ে মারা যেত । তাছারা মুঘলরা উচু স্থান থেকে ফেলে দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করত । যেমন চারতলা পাচতলা সমান উচা যায়গা থেকে । আবার সবার শাস্তি এক রকম হতো না । মুঘল বংশের কেও মৃত্যুদন্ড দেবার মতো অপরাধ করলে তাদের শিরোচ্ছেদ অথবা উচু স্থান থেকে ফেলে মৃত্যুদন্ড দেয়া হতো ।

Good tune.Valo legese..Osesh Donnobad.

আমি খালি picture দেইখাই মুগ্ধ।

Level 0

HOLY SHIT!!! totally scary!!!
anyway আপনি থাকেন কথায় বস? আপনার টিউনের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করি। কিন্তু আপনার লেখা তো আর পাই না। আরেকটু বেশি কি লেখা যায় না? বলা ঠিক হবে না, কিন্তু আপনি আমার most favorite tuner. আপনার অস্ত্র নিয়ে সবগুলো টিউন আমার favorite এ। প্লিজ আমাদের কথা মনে রেখে আরেকটু বেশি লেখা কি যায় না? 🙁

    @tech_no: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্যই টিউন গুলো করি আর যখন সেটা পাই তখন খুব ভালো লাগে। টিউন নিয়মিত করার চেস্টা করি বাট সময় নিয়ে খুব ঝামেলা হয়। ফায়ার আর্মসের নেক্সট সিক্যুয়াল গুলো কিছুদিন পরই নিয়ে আসছি। সাথে থাকুন………………

কয়েকটার কথা আগেই জানতাম। নতুন অনেকগুলা শিখলাম। মানুষ এত্ত খারাপ?
btw,আমি কালকে ২ দিনের সফরে বাসা থেকে ঘুরে গেলাম!

আমি আগেই জানতাম তোমার টিউন বিশাল হবে তাই বাংলালায়ন নেট এক্টিভ করে তারপর টিউন পড়তে আসলাম। 😀
অসাধারণ ভয়ের এক জগতে ঢুকে গিয়ে ছিলাম।
পরের টিউনের অপেক্ষায় রইলাম।

    @হাসান যোবায়ের (আল-ফাতাহ্): অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই। কমেন্ট পেয়ে বড়ই ভালো লাগলো!! আপনার মত ভিআইপি টিউনারের মন্তব্য এই চুনোপুটির টিউনে পেয়ে নিজেকে খুব ধন্য মনে হচ্ছে, গড প্রমিস, একটুও বাড়িয়ে বলছি না। তা ভাই আপনার জিএফ এর খবর কি? ওই দিন তো আপনাদের দেখলাম রমনার ওই চিপায়……………. 😀 😀 😀
    প্লীজ মাইন্ডে নিয়েন না হেঃ হেঃ

কি আর লিখব !!! ভয় পাইছি । oooobooo

অনেক কিছু জানলাম। তবে সব কিছুই দেখলাম বর্তমান সভ্য জাতি বলে নিজেদের পরিচয়দানকারী জাতিগুলোর অসভ্য কাজ। ভাইয়া, The wicker man on fire কোন জাতির আবিস্কার? আমি অবশ্য Necolas caige এর একটা মুভিতে এটা দেখেছিলাম।

    @Masum Rahman Toha: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। The wicker man on fire রোমানদের আবিস্কার। তারা জাতি ছিলো একটা!!!

পুরোপুরি বীভৎস……. ধন্যবাদ ব্যাতিক্রম ধর্মী টিউনটির জন্য।

Level 0

ভয়

তো এই ছিলো আপনাদের জন্য আমার ছোট্ট এই আয়োজন, কেমন লাগলো তা অবশ্যই জানাবেন

ছোট্ট আয়োজন !! মাথাটা গেল নাকি আপনার !
আকা ছবি তাই বেশি ভয় পাই নাই। ভাগ্যিস আমি ১৮+ হইছি কয়েকমাস আগে 😛

খাইসেরে. পরসি আর নিজের মাথায় হাতাইসি জায়গায় আসে কিনা দেখার জন্য. ভয়ংকর টিউনের জন্য ধন্যবাদ আকাশ ভাই

Level 0

ব্যপক!! ব্যাপক!! অস্থির!!
ভাই আমি তো আপনার এ সি হইয়া গেলাম… 😀 😀

একি দেখালেন ভাই!!! দারুণ উপভোগ করলাম আর সাথে সাথে এই ভেবে শান্তি পেলাম, এখন তো আর মধ্যযুগ নাই!! 😀 😀

রোমানদের কি অন্য কোন কাজ ছিল না, এইসব ডিভাইস তৈরী করা ছাড়া !

    @mountain boy: আমার মনে হয়, না। তারা বিজ্ঞানে খুব পারদর্শী ছিল। বিজ্ঞানকে তারা কাজে লাগিয়েছে এই সব কাজে।

Level New

Totthobohul, Donnobad.

অসাধারন টিউন। আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব সে ভাষা আমার নেই। টিউনটি পড়ে আমি খুব অভিভূত হয়েছি। আসলে আপনার সবগুলো টিউনই হয় অসাধারন। টিউনটি নির্বাচিত করা হোক। পরিশেষে আবার বলছি আপনাকে অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। ও আর একটি কথা বলতে ভুলে গেছি, যারা টিউনটির পিডিএফ সংস্করণ ডাউনলোড করতে চান, তারা নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিবেন।

নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করুন টিউনটির পিডিএফ সংস্করণ।

http://www.mediafire.com/?6h6zt6mw5e6167u

Level 0

খুব সুন্দর টিউন। আমি একবার Brazzen Bull, Roman Colosseum, The Great Wheel, The Wicker man on Fire, The Skull Crasher ও আরো কয়েকটি পদ্ধতি সহ Discovery Channel এ ভিডিও দেখছিলাম খুব ভয় লেগেছিলো। তবে ওরা মানুষ এর জায়গায় ডামি ব্যবহার করেছিলো। যা হোক ধন্যবাদ এত বড় একটা টিউন শেয়ার করার জন্য।

এসব কি? এসব কি? :O এই জন্যই বর্বরতার যুগ বলা হয়! সাধে তো আর বলে নাই….. যাইহোক এটা বুঝতে পারলাম যে আমি দুর্বল হার্টের নই ।

just awesome………………………………………

বাপরে…কমেন্ট করতে এক্টু দেরি হয়ে গেলো

আরে…।আকাশ ভাই নাকি।অনেক দিন পর।আপনার লেখা সব সময়ের মতই অসাধারন।ডিস্কোভারি চ্যানেল এ এটা নিয়ে একটা প্রোগ্রাম দেখায়।আপনি যত গুলো উদাহরন দিলেন তার প্রায় সবটাই দেখেছি।কি সাংঘাতিক আর কি ভয়াবহ।

Level 0

খুব ভালো লাগলে । ধন্যবাদ ।

ভাই এইটা কী দেখাইলেন!!
ব্যাফুক ভুই পাইলাম 😥
আপনার টিউনতো অসাধারণই হয় 😀 :mrgreen:

The Pear of Anguish টা interesting লাগলো ।

এখনকার জিনিসগুলো এক দিক দিয়ে ভাল আছে । মারতে বেশি সময় নেয় না ।

btw জটিল টিউন আকাশ ভাই ।

Level 0

অনেক সুন্দর হয়েছে , বর্বরতার যুগ অনেক ভয়ঙ্কর এটা শুধু শুনেছি ,আজ তা অনুভব করলাম…

আপনার টিউনটা পুরাটা পড়ার পরই জানলাম যে আমার হার্ট দুর্বল… 😛

Level 0

@ tune: wowwwwwwwwwwwwwwww
@ torturing process: wowwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwww
@ শুভ্র আকাশ: wowwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwwww

Level 0

ভয়ংকর। পড়ব না পড়ব না করে পড়েই ফেললাম। না পড়লেই ভালো ছিল।

    @Mask: দুর্বল চিত্তের ভিউয়ার দের না পড়াই ভালো, যাই হোক যেহেতু পড়েই ফেলেছেন তাই কি আর করা, সাহসের জন্য একটা ধন্যবাদ নিন।

Level 0

বাপস !!! কি বীভৎস !!! এর চেয়ে ভাল কাজে কিছু মাথা খাটালেও কিছু ভালো কিছু আস্ত

চমৎকার ও ভয়ংকর টিউন।

Level 0

জীবনে এই প্রথম দেখলাম! এ ও কি সম্বভ৤

@শাহনেওয়াজ রহমানী: তার জন্যই তো এই টিউন, অনেক ধন্যবাদ।