অ্যাপল গুরু স্টিভ জবস এর বিখ্যাত একটি ভাষন পড়ুন

স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ।
স্টিভ

প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই। আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়।
আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প।
ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম?
এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গলল। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন।
এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারি কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।
পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম। ব্যবহূত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম। প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়। ক্যাম্পাসে সাঁটা পোস্টারসহ সবকিছুই করা হতো চমত্কার হাতের লেখা দিয়ে। আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যে মজা খুঁজে পেলাম।
এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিন্টোস কম্পিউটার ডিজাইন করি, তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমত্কার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল। আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।
আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।
আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প।
আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, জীবনের শুরুতেই আমি যা করতে ভালোবাসি, তা খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার বয়স যখন ২০, তখন আমি আর ওজ দুজনে মিলে আমাদের বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলাম। আমরা পরিশ্রম করেছিলাম ফাটাফাটি, তাই তো দুজনের সেই কোম্পানি ১০ বছরের মাথায় চার হাজার কর্মচারীর দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০, তখন আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার ম্যাকিন্টোস বাজারে ছেড়েছি। এর ঠিক এক বছর পরের ঘটনা। আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হই। যে কোম্পানির মালিক তুমি নিজে, সেই কোম্পানি থেকে কীভাবে তোমার চাকরি চলে যায়? মজার হলেও আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল যখন বড় হতে লাগল, তখন কোম্পানিটি ভালোভাবে চালানোর জন্য এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম, যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। এক বছর ঠিকঠাকমতো কাটলেও এর পর থেকে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে শুরু করল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলে আমি অ্যাপল থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং সেটা ছিল খুব ঢাকঢোল পিটিয়েই। তোমরা বুঝতেই পারছ, ঘটনাটা আমার জন্য কেমন হতাশার ছিল। আমি সারা জীবন যে জিনিসটার পেছনে খেটেছি, সেটাই আর আমার রইল না।
সত্যিই এর পরের কয়েক মাস আমি দিশেহারা অবস্থায় ছিলাম। আমি ডেভিড প্যাকার্ড ও বব নয়েসের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমাকে তখন সবাই চিনত, তাই এই চাপ আমি আর নিতে পারছিলাম না। মনে হতো, ভ্যালি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা জিনিস আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছিলাম, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। চাকরিচ্যুতির কারণে কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমেনি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
প্রথমে মনে না হলেও পরে আবিষ্কার করলাম, অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুতিটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে গেলাম, কোনো চাপ নেই, সফল হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের কৌশল নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। আমি প্রবেশ করলাম আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশে।
পরবর্তী পাঁচ বছরে নেক্সট ও পিক্সার নামের দুটো কোম্পানি শুরু করি আমি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের, যাকে পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেশন ছবি টয় স্টোরি তৈরি করি, আর এখন তো পিক্সারকে সবাই চেনে। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলে ফিরে আসি। আর লরেনের সঙ্গে চলতে থাকে আমার চমত্কার সংসার জীবন।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এগুলোর কিছুই ঘটত না, যদি না অ্যাপল থেকে আমি চাকরিচ্যুত হতাম। এটা ছিল খুব বাজে, তেতো একটা ওষুধ আমার জন্য, কিন্তু দরকারি। কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।
আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু।
আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ এ কথাটা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি, আজ তা-ই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম? যখনই এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে কয়েক দিন ‘না’ হতো, আমি বুঝতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।
পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাত্ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ। তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?
প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।
সারা দিন পর সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তাঁরা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিয়ে পেটের ভেতর দিয়ে গিয়ে টিউমার থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে এলেন। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলেন, তাই কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিল, চিকিত্সকেরা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, তখন তাঁরা কাঁদতে শুরু করেছিলেন। কারণ, আমার ক্যানসার এখন যে অবস্থায় আছে, তা সার্জারির মাধ্যমে চিকিত্সা সম্ভব। আমার সেই সার্জারি হয়েছিল এবং দেখতেই পাচ্ছ, এখন আমি সুস্থ।
কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য। এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি। এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।
তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাত্ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট কোরো না। যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।
আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল। এটা বের করতেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামের এক ভদ্রলোক। তিনি তাঁর কবিত্ব দিয়ে পত্রিকাটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।
স্টুয়ার্ট ও তাঁর টিম পত্রিকাটির অনেক সংখ্যা বের করেছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স যখন ঠিক তোমাদের বয়সের কাছাকাছি, তখন পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল—ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এবং আমি নিজেও সব সময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। আজ তোমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছেড়ে আরও বড়, নতুন একটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো।

এই পোস্টটি প্রথম আলো হতে কপি পেস্টকৃত পোস্ট। ভাষান্তর করেছেন সিমু নাসের।

চরম অভিযোগ

টেকটিউনসে টিউন করা আর রেসলিং খেলা একই কথা মনে হচ্ছে।আমি এর আগে এত প্যাচে পড়ি নাই।টিউনটি করতে আমার পাক্কা ৪৫ মিনিট লেগেছে যেখানে এই টিউনটি করতে সবোর্চ্চ ৫ মিনিট লাগার কথা।এত টাইম লাগলে টিউন করার ধৈর্য্য খাকেনা।আর টেকটিউনস এত স্লো হহছে বর্তমানে স্লো নাম্বার ওয়ান খ্যাতি পাবার যোগ্য ।আশা করি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা এইসব টিউনারদের প্রতি একটু দয়া করবেন।সবাই ভালো থাকবেন।ভবিষ্যতে যেনো ধৈর্য্য ধরে টিউন করতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন

আর এতদিনে বুঝলাম টেকটিউনসে টিউন কমার পিছনে এই্গুলোও একটা বিরাট কারন।

Level 0

আমি বিল্লাহ মামুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 142 টি টিউন ও 1447 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

করি মায়ের ভাষায় চিৎকার........ http://bloggermamun.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বিকাল থেকে চেষ্টা করছি একটা টিউন করার জন্য এখনও পারি নাই জানিনা পারবো কিনা প্রতিদিনই টিউন করতে বসি কিন্তু পোস্ট লেখার পেজ আসতেই যখন ২ ঘন্টা চলে যায় তখন আর করা হয় না

এই পেজটা লোড হতেই ৫ মিনিটের বেশী লেগেছে

    শাকিল ভাই আমারও একই টাইম লাগছে প্রায় ৫ মিনিট।পুরা মানসিক অত্যাচার।ভাইরে মাফ চাই দোয়াও চাই টেকটিউনস এর কাছে।

    টেকটিউনসে টিউন কমার পিছনে এইটা একটা বিরাট কারন।
    একমত।

    আমি মাফও চাইনা আর দোয়াও চাইনা টিউন করতে চাই তাই সমস্যার সমাধান চাই

    টেকটিউনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে রাত যতই গভীর হয় প্রভাত ততই কাছে আসে।

Level 0

আমি টেকটিউনস লোড দিয়ে ঘুমাতে কোলে যাই …..পুরা ১ টা ঘুম দিয়ে উঠে দেখি কেবল অর্ধেক পগে লোড হইছে……..কি অবস্থা এত স্লো হইছে কেন টেকটিউনস ?

    টেকটিউনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে রাত যতই গভীর হয় প্রভাত ততই কাছে আসে

    @মামুন ………তোমার জন্য এই লিঙ্কের প্রথম কমেন্ট উসর্গ করলাম।
    অনেক খুজে পাইলাম। 😛 😛 😛 😛 😛

    https://www.techtunes.io/web-development/tune-id/14528/

    আরে যখণ ওই টিউন করছিলি তখন টেকটিউনস এর অবস্হা অণেক ভালো ছিল আর এখন তো ডাইলে চাইলে খিচুড়ি।মিয়া তুমি সাংবাদিক হইলে ভালা করতা।

Level 0

আমি টেকটিউনস লোড দিয়ে ঘুমাতে চলে যাই …..পুরা ১ টা ঘুম দিয়ে উঠে দেখি কেবল অর্ধেক পেজ লোড হইছে……..কি অবস্থা রে ভাই? এত স্লো হইছে কেন টেকটিউনস ?

মামুন ভাই আপনের এই টিউন টা পইরা আমার একটা জিনিস করতে ইচ্ছা করতাছে। তা হলো এত টাকা দিয়া ভার্সিটিতে না পইরা ভার্সিটি থেইকা বাহির হইয়া যাই।
আসলে মানুষের যে বিষয় টি নিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে সেই বিষয় নিয়ে পড়া উচিত।

৩ ইডিয়টস্‌ মুভি ও স্টিভ জবস এর ভাষন দুইটা দেইখা আমার মন চাইতাছে আমার যে বিষয়ে আগ্রহ ওই বিষয় নিয়া পড়া।

কেউ সাজেশন দেনতো আমার এখন কি করা উচিত???

টেকরিডার ও টিউনার ভাই/বোনদের কাছে আমার এই একটা ই প্রশ্ন।
কেউ কি সাড়া দিবেন???

    “আসলে মানুষের যে বিষয় টি নিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে সেই বিষয় নিয়ে পড়া উচিত।”
    ভয়াবহ সত্য কথা বলসো রলিন ভাই।
    আপনার ওয়েব ডেভোলোপিং এর পরা পরতে যুক্তরাজ্য যাওয়া উচিত।
    আমি মনে করি। 😛

    রলিন ভাইজান শুনেন যদি পড়তে ইচ্ছা না করে তাহলে ওই সাবজেক্টটারে লাথি মারো কিন্তু লাথি মারার সময় খেয়াল কর তুমার আত্নবিশ্বাস কতটুকু।যদি আত্নবিশ্বাস না থাকে তাহলে যেটা পড়তেছো সেইটাই পড়তে থাক।আর যদি মনে কর তুমি পারবা আত্নবিশ্বাস আছে তাহলে মারো গুদাম লাথি।আরেকটা কথা যত কিছুই কর শেষ মেষ যদি সফল হইতে পারো তাহলে তোমার সাত খুন মাফ হয়ে যাবে আর যদি কোন কারনে ব্যর্থ হও তাহলে তুমিও গেছ সাথে কুবুদ্ধি দেবার দায়ে তোমার মা বাপ আমার নামে মামলা দিবো।তাই নিজেরে জিজ্ঞাস কর তুমি পারবা কিনা তোমার আত্নবিশ্বাস কতটুকু।

    ভাই আমার তো অনেক কিছু পড়ার ইচ্ছা আছে। যেমনঃ- প্রোগ্রামিং,ওয়েব ডেভেলপিং, রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। কিন্তু আমি তো সাইন্স এ পড়ি নাই।
    সত্যি কথা বলতে কি শুধু মাত্র বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা তে আছে যে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছাত্র/ছাত্রী রা সাইন্স এর বিষয় গুলো পড়তে পারবে না।

    আবার আছে অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছাত্র/ছাত্রী রা কমার্স বা বিজনেস সাব্জেক্ট নিয়ে পড়তে পারবে।

    আপনারা বাইরের দেশগুলোর দিকে তাকান সেখানে যে যে বিষয় নিয়ে পড়তে চায় তাদেরকে ছোট কাল থেকে সেই বিষয় এর উপর পড়ানো হয়।

    কিন্তু বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে বা পেছনের ইতিহাস গুলো দেখলে আমার আফসোস হয় কেন বাংলাদেশে জন্ম হল আমার।

    আর একটা জিনিস এই দেশের মানুষরা ভালো কিছু শিখাতে চায় না। ১০০% সত্যি কথা। সবাই চিনে শুধু টাকা। টাকা টা কেই সবাই বড় করে দেখে।(আরো কিছু বলার ইচ্ছা ছিলো ঝামেলা হতে পারে দেখে বললাম না)

    তারা দেখেনা মানুষের প্রতিভা এবং প্রতিভাবাবান রা কি করতে চায় কি উপহার দিতে চায় তা তারা বুঝতে চান না । তাই আমাদের মত হেয় ও প্রতিভাবাবান মানুষ সবসময় সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগে। আর আমাদের সুপ্ত প্রতিভা গুলোর উপর প্রতিদিন জং এর আস্তর পড়ে।

    মানুষ বাঁচেই বা কতদিন। যাতদিন বেঁচে থাকে কিছু করে যেতে হয়। কথায় আছে ” মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয়” । তাই আমরা যতদিন বাঁচবো ততদিন যেনো আমরা আমাদের নিযের পছন্দের/ ভালো লাগার বিষয়টি নিয়ে পড়তে পারি আমাদের সেই সুযোগ বা সুবিধা দেওয়া উচিত।

    আমার এই বাস্তব কথা গুলো শুনে আপনারা কেঊ কষ্ট পেলে আমাকে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন। আপনারা সবাই একটু চিন্তা করে দেখেন আমার কথা গুলো। আজ কে আমার মন অনেক খারাপ। তার পরও এই টিউনটা পরে ও মন্তব্য করে মনটা কিছুটা হাল্কা হয়েছে। এই জন্য মামুন ভাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    আর আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই ফালতু ও অপ্রাসংগিক কিন্তু যুক্তি সংগত মন্তব্যটি পড়ার জন্য।

    সব শেষে একটা চরম সত্যি কথা বলি। তা হল মানুষের প্রধান শক্তি হল তার ইচ্ছা শক্তি। একমাত্র প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরেই মানুষ সব বাঁধা কে জয় করতে পারে।

    আমিও তো ওই রকমই ক্লাস নাইনের পর আর ক্লাস করিনাই শুধু পরীক্ষা দিছি, কলেজ লাইফে কোন ক্লাস করি নাই কোন পরীক্ষাও দেইনাই শুধু এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিছি আর ইউনিভার্সিটিতে কোন ক্লাস তো ঠিকভাবে করিই না এমন কি কোন সেমিস্টারেই কোন সাবজেক্টের পুরো পরীক্ষা দেই না তারপরও ভালোই চলে আসে যদিও আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নেবো না আর এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পরীক্ষার সার্টিফিকেট গতবছরই ছিড়ে ফেলে দিছে।

    সবাই দোয়া করবেন এই পরিমান আত্নবিশ্বাষ যেন আমার সবসময়ই থাকে আর কোনদিন যেন আবার ঐ বস্তা পচা সার্টিফিকেট আবার সংগ্রহ করতে না হয়।

    রলিন, ভেরি ভেরি ওয়েল সেইড।

    “ভাই আমার তো অনেক কিছু পড়ার ইচ্ছা আছে। যেমনঃ- প্রোগ্রামিং,ওয়েব ডেভেলপিং, রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। কিন্তু আমি তো সাইন্স এ পড়ি নাই”
    সাইন্স এ পড়তে হবে এমন কোন কথা নাই সাইন্স নিয়া পড়ালেখা করতে হলে লাগে সাইন্সের প্রতি প্রেম ভালোবাসা। যেকোন ব্যকগ্রাউন্ত থেকে এসেও ইন্জিনিয়ারিং সাইন্স পাড়র যায় শুধুমাত্র এর সাথে প্রেম সৃষ্টি করতে পারলেই চলে । আনেক ssc, hssc তে সাইন্স ব্যকগ্রাউন্ডের স্টুতেন্টকেইতো দেখেছি তাদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি প্রেমনিই বলে তাদের কি দিয়ে বিজ্ঞানের কোন কল্যন সাধিত হয়না , সৃজনশীল কোন কিছু তারা করতে পারেনা।
    তাই ব্যকগ্রাউন্ড বর কথা না বড় কথা ইচ্ছা শক্তি এবং ইচ্ছার প্রতি ভালোবাসা তাহলেই যেকোন কঠিন কাজেই সফল হওয়া যায়।

    so চলে আসো, সাইন্স নিয়ে শুরু করো নতুন যাত্রা সফল তুমি হবেই .. ইনস্ -আল্লাহ।

    অনুপ্রেরনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আহমেদ আবদুল্লাহ ভাই

স্টিভ জবস কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি?
এইটা কি শুনলাম রে ভাই।
তাইলে তো আমিও স্টিভ জবস হইতে পারি। 😛 😛 😛
আর মেহেদি ভাই আর টিনটিন ভাইএর কাছে অনুরোধ WordPress Super Cache , DB Cache Reloaded , WP Minify এই প্লাগইনগুলো ইন্সটল করে আমাদের প্রিয় টেকটিউন কে একটু দ্রুত করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন।
আমি এই বিশইয়ে আমি খুব ই কম জানি।
তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।

    স্টিভ জবস কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে নাই শুধু তা না তিনি তার প্রথম জীবনে আপেল বাগানের শ্রমিক ছিলেন যে কারনেই তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছিলেন অ্যাপেল

স্টিভ জবস এর ভাষন এর মূল কথাগুলো অনেকটাই ৩ ইডিয়টস্‌ মুভির মত। কুংফু পান্ডা মুভিটার কথাও মনে পড়ে গেল, ওখানেও বলা হয়েছিল “There is no accident”. সব অ্যাকসিডেন্টের পেছনেই ভাল কিছু লুকিয়ে থাকে 🙂

পোস্টটা পড়ে অনেক ভাল লাগল 😀

আগে আমি টেকটিউসের স্লোমোসন নিয়া আনেক চিল্লাইছি আনেকে তখন আমাকে গালা গালিও করছেন আর এখন নিযেরাই বুঝতে পারছেন টেকটিনস কত স্লো….!!! এজন্যই আমি আর এখনে টিউন করি না।

স্টিভ জবস স্যার, আমি মনে আপনি পৃথিবীর অন্যতম সেরা মানব।