ওয়েব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালওয়্যার! সাবধান….

ওয়েব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়্যার। ক্ষতিকর এসব ম্যালওয়্যার বিস্তারে শীর্ষে রয়েছে ইয়াহুর বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ইয়েল্ড ম্যানেজার, ফক্স অডিয়েন্স নেটওয়ার্কের ফিমসার্ভ এবং গুগলের অ্যাডসেন্স বা ডাবলক্লিক। অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাভাস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যারের বিস্তারের কারণ অনুসন্ধানে জরিপ পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি। জরিপে দেখা যায়, বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইটগুলো থেকে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের অনেক ওয়েবসাইট ভিজিট করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। ওয়েব বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ভরযোগ্য মনে করেই সাধারণত ব্যবহারকারীরা তাদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। কিন্তু এসব বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালওয়্যার। শুধু সাধারণ ওয়েবসাইটেই নয়, গত বছর এ ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম নিউইয়র্ক টাইমস, রিপোর্ট ডটকম, টেকক্রাঞ্চ এবং হোয়াইটপেজ ডটকমের মতো উল্লেখযোগ্য সাইটের মাধ্যমেও বিস্তার ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
একইসঙ্গে ওয়েব বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে ক্ষতিকর ট্রোজান ভাইরাসেরও দ্রুত বিস্তার ঘটছে বলে জানিয়েছে অ্যাভাস্ট। আর এ ক্ষেত্রে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরাই হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ ব্যবস্থাপক লাইল ফ্রিংক বলেন, 'ওয়েব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কম্পিউটারে ম্যালওয়্যারের বিস্তার ছোট কোনো বিষয় নয়। ইয়াহু বা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও ভাইরাসের কবলে পড়ে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারযুক্ত বিজ্ঞাপনের বিস্তার ঘটাচ্ছে।'
গত ডিসেম্বর মাস থেকেই মূলত ওয়েব বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে ম্যালওয়্যারের বিস্তার শুরু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অ্যাভাস্ট ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২৬ লাখ ম্যালওয়্যারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ইয়াহুর ইয়েল্ড ম্যানেজার বিজ্ঞাপন থেকে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার আর গুগলের ডাবলক্লিক থেকে ১৬ হাজার ৩০০।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারের বিস্তার ঘটায় ইয়াহু ও গুগল পৃথকভাবে জানিয়েছে, ম্যালওয়্যারের বিস্তার রোধে তারা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী।

(আমার এ নিউজটা আজকের কালেরকন্ঠে প্রকাশিত।)

Level 0

আমি আল-আমিন কবির। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 15 টি টিউন ও 119 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

পেশা সাংবাদিকতা, কাজের ক্ষেত্র তথ্যপ্রযুক্তি। বর্তমানে দৈনিক কালের কন্ঠে কাজ করছি। ব্লগিংয়েও নিয়মিত।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

এই লিংকে যান আর দেখুন কি অবস্থ। এভাবে টিউন মুছার একটা বাজে প্র্রবণতা দূর করতে হবে।https://www.techtunes.io/reports/tune-id/21821/

    কি বললেন বুঝতে পারলাম না। বুঝিয়ে বলেন।

    Level 0

    https://www.techtunes.io/reports/tune-id/21826/ এই টিউনটি পড়ুন বুঝে আসবে।

    Level 0

    এই পোস্টের http://www.somewhereinblog.net/blog/asomoy/29122761
    ৪১ এবং ৪২ নং মন্তব্য দেখুন (লেখকের মন্তব্য বাদে মন্তব্য নাম্বার দেয়া হয়েছে) সেই হুজুর সা: এর ব্যঙ্গ করেছে। তার উপযুক্ত বিচার চাই

    A.r+r ভাই শুনেন রাগ খুব খারাপ জিনিস । আমিও এই ধরনের পোস্ট নিয়ে অনেক চিল্লাচিল্লি করেছি সামুতে । কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়না উল্টা আমারেই ব্যান করে ।
    পরে ভাইবা দেখলাম এ্‌ইসব পোস্ট নিয়ে ঘটনা হয়কি ,কাফেররা এই সব একটা কমেন্টস দিয়ে বইসা বইসা মজা দেখে । এরা যেহেতু আমাদের সামনে নেই তাই ভার্চুয়াল জগতে আমাদের কিছুই করার নেই । এদের বুদ্ধিটা হলো একটা কমেন্টস দিয়া বইসা বইসা মজা দেখবে আমরা কত চিল্লাচিল্লি করতে পারি । এদেরকে গুরুত্ব দিলেই এরা বেশি বেশি করে প্রবল উৎসাহে ইসলামের নামে খারাপ কমেন্টস করে । তাই নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হতে বলতে পারি চুপ থাকুন দেখবেন এরা উল্ঠো বিরক্ত হয়ে চুপ হয়ে যাবে । আর যদি আপনি এদেরকে গুরুত্ব দেন তাহলেই এরা আরও বেশী বেশি করবে । তবে হ্যা এরা যদি সরাসরি কিছু করতো তাহলে যেকোন মুসলিমই রুখে দাড়াতাম ।যেহেতু ইন্টারনেট তা্ই চুপ থাকাই শ্রোয় । এইরকম হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে যাদের কাজই ইসলামের বদনাম করা আপনি কয়টাকে কি বলবেন ।
    আর এ্ক সাইটের প্রতিবাদ আরেক সাইটে দেয়ার কোন নিয়ম নেই ।আপনি বরং সামুতে বা আমার ব্লগে মন্তব্যের ছবি সহ প্রতিবাদী পোস্ট দেন । আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি ।

    Level 0

    অনেকে হয়তো মনে করতে পারে আমি সামহোয়ারে প্রতিবাদ না জানিয়ে এখানে কেন বলছি, ভাবা টাই স্বাভাবিক। ভাই মামুন আমার সামুতে একিবারে নতুন ইউজার তাই আমি কম্মেন্ট করতে চাইলেও সুয়োগ নাই, কারন সেখানে আমি একিবারে নতুন ইউজার হওয়ায় এই লিখা দেখাচ্ছে——
    ***দুঃখিত আপনি এখানে মন্তব্য করতে পারবেন না ।
    লক্ষ্য করুনঃ নতুন ব্লগারদের জন্য নীতিমালা – নতুন ব্লগাররা প্রথম পাতায় একসেস না পাওয়া পর্যন্ত অন্য কারও ব্লগে মন্তব্য করতে পারবেন না । কিন্তু নিজের ব্লগে পোস্ট বা মন্তব্য করতে পারবেন । কিছু ব্লগারের নতুন নিক রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে, ফ্লাডিং এবং ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যকে ঠেকানোর জন্য সাময়িক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ।***

খবরটা আমিও পড়েছি।আসলেই খুব চিন্তার কথা।ওয়েব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে টুপাইস ইনকাম করব তার উপর ও ম্যালওয়্যার!কষ্ট পাইলাম

    ব্যাপারটি পিড়াদায়ক। হয়ত বিজ্ঞাপণে ক্লিক কমে যাবে। তবে গুগল অ্যাডসেন্স ইউজারদের বিজ্ঞাপণে ঝুকি খুবই কম। একেবারে নাই বললেই চলে। অ্যাভাস্টের জরিপে ধরা পড়া ২৬ লাখ ম্যালোয়্যারের মধ্যে মাত্র ১৬ হাজার গুগল অ্যাডেসন্সের। ভালো থেকো ভাই।…… মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

টিউন যে ভাল হয়েছে তা আর বলতে হবে না।

আচ্ছা আমার পত্রিকায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক হিসাবে কাজ করার খুবই ইচ্ছা আছে। কিভাবে করা যায় তা একটু জানাবেন কি?

আমি বর্তমানে দশম শ্রেণীর বিঙ্গান বিভাগের একজন ছাত্র ( S.S.C 2011)
আমার age ১৫ এবং
টেকটিউনসের ১২নং টপটিউনার।

    ইচ্ছা থাকলে একদিন তা সফল হবেই। তুমি এ ক্যারিয়ারে আসতে চাইলে আসতে পারো। আমি তোমাকে সাহায্য করবো। অবসর সময়ে ব্যাক্তিগতভাবে তোমাকে মেইল করে বিস্তারিত জানাবো। ভালো থেকো।

    (বি: দ্র: টেকটিউনার আমিনুল ইসলাম সজিবও তথ্যপ্রযুক্তি পাতায় লেখে। বিডিনিউজে। অনেক মেধাবী ছেলে সে। ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ার সময়ই ও যায় যায় দিন পত্রিকায় লিখত।)

    এ ব্যাপারে সাহায্য করার আস্বাশ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমি এখন যে কথাটা বলব তা শুধুমাত্র আমার মতামত। আমরা যখন কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করি অথবা কোনো নুতুন ওয়েব সাইটে ডোকি তখন মাঝে মাঝে আর একটা উইন্ডো অপেন হয়। আমার মতে ভাইরাস টা ঐ উইন্ডো তেকে আমাদের কম্পিউটারে আসে। তাই ঐ উইন্ডো দেখা মাত্র বন্ধ করা দরকার।