এলিয়েন পাওয়া যাবে পৃথিবীর ভেতরেই-সাবধান টেক টিউন ফ্যামেলী।

আমার প্রিয় পাঠক/পাঠিকাগন,প্রথমেই আমার সালাম নিন।প্রযোক্তি বিষয়ক এই প্রতিবেদনটি প্রথমে আমার এই সাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল।পরে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এখানে টিউন করলাম।কোন ত্রূটি হলে মার্জনা করবেন।

না,আর কোন সংকেত পাঠানোর গল্প নয় এবার এলিয়েন ধরার জন্য আপনি আপনার নিজের ঘরের মাটি খুড়া শুরু করে দিতে পারেন।

জি পাঠক/পাঠিকা মহোদয়গন,সংবাদটি আপনারা ইতিমধ্যে পেয়েও যেতে পারেন।প্রযোক্তি বিষয়ক এমন একটি প্রতিবেদন উপস্হাপন করতে পারায় সত্যি আনন্দ অনুভব করছি।

index5চাঁদে মঙ্গল গ্রহে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে প্রাণের অস্তিত্ব।লক্ষ লক্ষ কোটি আলোক বর্ষ দূরের নক্ষত্র থেকে কেউ পৃথিবীতে কেউ সিগনাল পাঠাচ্ছে কি-না তা দেখতে পাঠানো হচ্ছে কোটি ডলারের স্যাটেলাইট।কিন্তু পৃথিবী নামক গ্রহের মাটিতে আজো খোঁজা হয নি।ঘরের মাটি খুড়ে এতদিন দেখা হয় নি,এর ভেতরে কী লুকিয়ে আছে?কানের পেছনে ছুটতে ছুটতে শেষে যখন দেখা যাবে কান তো কানেরই জায়গায় তখন?আর তাই তো বলি বিঙ্গানীরা এখন উশখুশ হয়ে বলতে শুরূ করেছে,মাটির নিচেই নাকি লুকিয়ে আছে প্রানি জগতের অর্ধেকের বেশী প্রান।

ওয়াও,কবি যেভাবে মুক্ত খুজতে খুজতে শেষে নিজেরই ঘরের আঙ্গিনায় ঘাসের ডগার উপর চিকচিক করা শিশিরের বিস্দুকনার মাঝে খুজে পেয়েছিলেন।তাই তো বলি,কবি সাহিত্যিকরা মাঝে মাঝে কোন চেতনা বলয়ে চলে যান যে,যা লিখেন তাই সত্যিতে পরিণত হয়।জি জনাব,জুর্লবানের কথাই মনে করূন।পানির নিচে মানুষ যে সময় ডুব দিয়ে সর্বোচ্চ এক মিনিট থাকতে পারত,সে সময় তিনি পানির নিচের মহাসাম্রাজের বর্ণনা দিয়ে গেছেন।এরকম হাজারও দার্শনিকের উদাহরণ পাওয়া যাবে।প্রাণিজগতের বেশীর ভাগ বাসিন্দাই আনুবীক্ষণিক।আবার জুর্ল বার্নের গল্পের মত যদি পৃথিবীর কেন্দ্রে সত্যি সত্যি কোন দানব পাওয়া যায়,তাতেও নাকি বিঙ্গানীরা একটুও অবাক হবেন না।
প্রানের জন্য উপযোগী পরিবেশ মিলতে পারে ভূমির কয়েক কিলোমিটার নিচেও।ওই প্রাণি জগতকে এককরলে দেখা যাবে সংখ্যায় এরা জল ও স্হল প্রাণির সমান।পরিবেশ,কৃষি ও শিল্প সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান আসতে পারে ওই প্রাণি জগতের কাছ থেকেই।গত বছরের ডিসেম্বরে সানফ্রান্সিসকোয় আমেরিকান জিওগ্রাফিকাল ইউনিয়নের এক কনফারেন্সে এ কথা বলেছিলেন সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিষ্ট ক্যাটরিনা এডওয়ার্ডস।এডওয়ার্ড তো বলেই দিয়েছে,বাইরের জগতের পাশাপাশি এবার নিজেদের ঘরেও এলিয়েন খুঁজা উচিত।
বিঙ্গানিরা ওই প্রাণিদের বলছেন "সাব-সারফেস লাইফ"।তাদের বাস ভূ-পৃষ্ট এবং সমুদ্র তলের অনেক গভীরে।মাঝে মধ্যে গভীর জলের কোন এক্সপেরিমেন্টে হুট করে এমন প্রাণির দেখা মেলে।গত বছরের মাঝামাঝিতে সমুদ্রের তিন কিলোমিটার গভীরে পাওয়া পাওয়া গিয়েছিল অদ্ভুদ কিছু চিংড়ি জাতীয় প্রানি।তার আগে সমুদ্রতলের প্রায় দেড় কিলোমিটার গভীরে পাওয়া গেছে অনুজীবের অস্তিত্ব।
এত দিন পর কেন পৃথিবীর পেটের ভেতরের খবর নিয়ে তোড়জোড় শুরূ হল?কারণ,বেশ কিছুদিন ধরে জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু প্যানেল চিন্তা ভাবনা করছে গ্রিনহাউস দূষন নিয়ন্তনে আনতে ভূ-অভ্যন্তরে সরাসরি কার্বন ডাই অক্সাইড চালন করে দেয়া যেতে পারে।আর যা করা হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যেতে পারে পৃথিবীর বর্তমান প্রানের অর্ধেক অংশ।কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্যে মাটির নিচের প্রানি জগতের পরিবেশ ধ্বংশ হয়ে মারা পড়বে কোটি কোটি জীব।এ কারণেই ভেতরের খাবর জানাটা হঠাৎ করে এত গুরূত্বপূর্ন হয়ে দাড়িয়েছে।এর জন্য যে প্রোগ্রামের আয়োcanvas24জন করা হয়েছে সেই মিশনের প্রধান বিঙ্গানি হলেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ভূ-বিঙ্গানী অ্যান্ডু ফিশার।তিনি জানালেন,এই মিশন সফল হলে তথ্যের এক আগ্নেয়গিরি চারিদিকে ফেটে পড়বে।সমুদ্রতলের গভীরে কি ঘটছে ও কারা আছে তা জানা গেলে পৃথিবীর আদি অবস্হা সম্পর্কে অনেক স্পষ্ট ধারণা পাওযা যাবে।২০১১ সালে আটলান্টিকের 'নর্থ পন্ড' অঞ্চলে পৌছবে মিশনটির হাই-টেক খনন জাহাজ।সেখানে একে একে ছয়টি মান মন্দির স্হাপন করা হবে।স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভূমিতে স্হাপিত গবেষনা কেন্দ্রের সঙ্গে যেগুলোর যোগাযোগ থাকবে।মিশনটি দক্ষিন প্রশান্ত মহাসাগরের একটি মেহনায় নিযে যাবেন যুক্তরাষ্টের রোড আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সমুদ্র বিঙ্গানী স্টিভেন ডি হট।সেখানে সমুদ্র তলে সাতটি গর্ত খুড়ে পরীক্ষা করা হবে অনুজীবের লাইফ স্টাইল।ক্যাটরিনা এডওয়ার্ডের নেতৃত্বেও একটি খনন প্রকল্প শুরু করা হবে।গভীর সমুদ্রে খুড়া হবে চারটি গর্ত।সেখানে যদি বিচিত্র কোন প্রাণির দেখা মেলে তবে সেটা হতে পারে এলিয়েন ধরার উপযোক্ত রাস্তা।তত দিন আমাদের মুখ বন্ধ করে অপেক্ষার প্রহর গুনতেই হবে।আপনারা কি বলেন?

Level 2

আমি ওবায়দুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 52 টি টিউন ও 109 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

লিজেন্টদের কমিউনিটি টিটি তে আমার মতো সামান্য এক টিউনার আপনাদের সাথে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমি খুবই ক্ষুদ্র একজন ওয়েব ডেভলাপার। যেকোন ইকমার্স ওয়েবসাইট ডেভলাপ করতে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে যেকোন ডায়নামিক ওয়েবসাইট ডেভলাপ করতে যোগাযোগ করুন। http://websoftltd.com Mobile: 01718023759 http://www.fb.com/obaydul.shipon


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই আপনার টিউন পড়ে অনেক ভাল লাগলো। আর অপেক্ষার প্রহর গুনতে লাগলাম।

ভাল লাগলো

ধন্যবাদ সুন্দর একটি ইনফরমেশন শেয়ার করার জন্য। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরো টিউন চাই।

    দোয়া করবেন এরকম বিষয় নিয়ে যেন আসতে পারি ।

তাই নাকি এখনি ঘর খুদতে হবে……
কিন্তু নিচ তলার মানুষ কিছু বললে মানে বাড়িওয়ালার কাছে বিচার দিলে কিন্তু আপনার বাসায় আসবো থাকতে!

    এক্সকিউজ মি,আমার মনে হয় আপনার নিচ তলার মানুষগুলি এলিয়েন।ওরা আমাদের ধোকা দেয়ার জন্য ছব্দ বেশ ধরে আছে।থানায় ফোন দিন।আর ও হ্যা,আমার বাসাটা জানি কোথায়?

    আরে তাইতো! আজি জানলাম যে ওরা অ্যালিয়েন। বাচান ভাই!!! কালকে রাতে আমার বিড়ালতাকে খেতে আসছিল…
    আর হ্যা বাসার ঠিকানা আমার প্রোফাইলে আসে। আইডি – ৮০২। দেখে নিয়েন পাইলে রিপ্লাই কইরেন।

Level 0

ভালো হয়েছে

জানি না এ সমস্যাটা কারও হয় কিনা। তবুও বলি, আপনি যে লেখাটা নীল করে লিখেছেন তাতে আমার পড়তে সমস্যা হচ্ছে, বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না বা মনযোগ রাখা যায় না।
(উল্লেখ আমার চোখে সমস্যা।)

    আপনার কথা চিন্তা করে টিউনটির কালার পরিবর্তন করে দিয়েছি।

এত বছর যাতে কিছু হয়না এথও হবে না ইনসাল্লা

চমৎকার এবং তথ্যবহুল টিউন। কিন্তু এদেরকে কি আমরা এলিয়েন বলতে পারি। এলিয়েন বলতে আমরা যা বুঝি তা হল ভিন গ্রহের প্রাণী। সে জায়গায় ভূগুর্ভের প্রাণীগুলোকে আমরা রহস্যময় বা অজ্ঞাত প্রাণী বলতে পারি। এলিয়েন বলাটা কেমন হয়ে গেলনা?

Level 0

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

অনেক পুরাতন পোস্ট পড়ে ভালোই লাগলো