২০১৮ এর বেস্ট প্রিন্টারগুলো

প্রিন্টার! তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বহুল ব্যবহৃত একটি ডিভাইসের নাম। প্রিন্টারের মাধ্যমে আমরা প্রিন্ট করে থাকি। ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসা, অফিস সহ অনেক ক্ষেত্রে আমরা প্রিন্টার ব্যবহার করে থাকি। বাজারে বিভিন্ন দামে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রিন্টার পাওয়া যায়। তাই আপনার জন্য সঠিক প্রিন্টারটি বেছে নেওয়া একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কারণ প্রতিটি প্রিন্টারের ফিচারগুলো এক এক রকমের, আর আপনার ঠিক কোন ধরনের কাজের জন্য প্রিন্টার দরকার হবে আপনাকে সেটা আগে ঠিক করে নিতে হবে। তারপর আপনার বাজেট নির্ধারণ করে নিতে হবে এবং তারপরেই আপনি বাজার থেকে প্রিন্টারগুলোকে পরখ করে নিতে পারবেন।

আমরা সাধারণত ব্যবহারের দিক থেকে প্রিন্টারগুলোর শ্রেণীবিভাগ করে থাকি। যেমন জেনারেল ব্যবহারের জন্য প্রিন্টার, বিশেষ ব্যবহারের জন্য প্রিন্টার, বাসার কাজে ব্যবহৃত প্রিন্টার, অফিসের কাজে ব্যবহৃত প্রিন্টার এবং টেকনোলজি ভিক্তিক প্রিন্টার ইত্যাদি।

বাজারে মোষ্ট ইংঙ্কজেট প্রিন্টারগুলোকে ফটো প্রিন্টার হিসেবে আমরা পেয়ে থাকি। এই প্রিন্টারগুলোকে জেনারেল কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়। অর্থ্যাৎ এগুলো দিয়ে আপনি টেক্স, গ্রাফিক্স, ফটোস ইত্যাদি প্রিন্ট করতে পারবেন। আর বিশেষ ব্যবহারের জন্য প্রিন্টারগুলোর মধ্যে রয়েছে পোর্টেবল প্রিন্টার, ডেডিকেটেড ফটো প্রিন্টার, লেবেল প্রিন্টার এবং সবথেকে ইউনিক কাজের প্রিন্টারটি হচ্ছে 3D প্রিন্টার! বাজারে যেসকল প্রিন্টারগুলো All in One প্রিন্টার হিসেবে বিক্রি হচ্ছে সেগুলোও একধরণের জেনারেল প্রিন্টার। আর টেকনোলজির ক্ষেত্রে আমাদের দেশে মূলত দুই ধরনের টেকনোলজির প্রিন্টার ব্যবহৃত হয়ে থাকে, সেগুলো হলো লেজার প্রিন্টার এবং ইঙ্কজেট প্রিন্টার। যে সকল প্রিন্টারগুলো কাগজের উপর ইঙ্ক বা কালি রং ছিটিয়ে প্রিন্ট কার্যাবলি সম্পন্ন করে থাকে সেগুলোকে ইঙ্কজেট প্রিন্টার বলা হয়, এগুলো দামে অপেক্ষাকৃত সস্তা এবং এগুলোর প্রিন্টার সামগ্রী কম দামে বাজারে পাওয়া যায়।

অন্যদিকে যে সকল প্রিন্টারগুলো লেজার আলোক রশ্মির সাহায্যে প্রিন্ট করে থাকে তাদেরকে লেজার প্রিন্টার বলা হয়। লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট করার জন্য সাধারণত তেমন কোনো কিছু কিনতে হয় না এবং এগুলো পার্টস পাতি সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় না। স্বভাবতই ইঙ্কজেট প্রিন্টারের থেকে লেজার প্রিন্টারের প্রিন্ট কোয়ালিটি, দ্রুত প্রিন্ট করার ক্ষমতা এবং তাড়াতাড়ি নস্টও হয় না। আবার লেজার প্রিন্টারের দাম একটু বেশিই হয়ে থাকে।

অন্যদিকে 3D প্রিন্টার নিয়ে এখানে আজ কথা বলবো না কারণ এটা নিয়ে এখানে কথা বলার প্রয়োজন হবে না। এখন আপনি যদি টেক্স প্রিন্ট করে থাকেন বেশি তাহলে ইঙ্কজেট প্রিন্টার কিনে নিতে পারেন, আবার ফটো কিংবা ফটো এবং টেক্স দুটোই প্রিন্ট করতে চাইলে লেজার প্রিন্টারই কিনে নেওয়া আপনার জন্য উত্তম হবে।

এছাড়াও বাজারে আরেক ধরনের প্রিন্টার পাওয়া যায় যার নাম AIO বা All in one Printer হিসেবে পরিচিত। অল ইন প্রিন্টারগুলো মাল্টিফাংশন প্রিন্টার হিসেবেও অনেকে আখ্যায়িত করে থাকেন। এই জাতীয় প্রিন্টারগুলো দিয়ে প্রিন্ট, স্ক্যানিং, কপিং, ফ্যাক্সিং এবং ফটোকপিরও কাজ করা যায়। আর এগুলো দাম সাধারণ লেজার প্রিন্টারের থেকে বেশি হয়ে থাকে।

এই হলো প্রিন্টার নিয়ে আমার প্রাথমিক ধারণা। এবার আমি টিউনের মূল বিষয়ে চলে যাচ্ছি। ২০১৮ সালে নতুন বছরে প্রিন্টার কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে আজকের এই টিউনটি আপনারই জন্য! নিচে আমি এ বছরের জন্য সেরা কয়েকটি প্রিন্টারের নাম, বৈশিষ্ট্য এবং দামগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো। উল্লেখ্য যে প্রিন্টারগুলোর ইন্টারন্যাশনাল দাম এখানে দেওয়া হয়েছে, আপনার দেশে প্রিন্টারটির দাম বেশি হতে পারে।

১) Brother HL-L8360CDW

ব্রাদার এইচএল-এল৮৩৬৯সিডিডব্লিউ হচ্ছে একটি কালার লেজার প্রিন্টার যেটি জনপ্রিয় প্রিন্টার ব্রান্ড ব্রাদারের একটি বহুল ব্যবহৃত লেজার প্রিন্টার। এই প্রিন্টারটি দিয়ে আপনি একই সাথে হাই কোয়ালিটির ফটো প্রিন্ট এবং দ্রুততর সময়ে টেক্স প্রিন্ট করতে পারবেন। এতে রয়েছে চমৎকার এক্সপেন্ডাবিলিটি, রয়েছে একই সিরিজের অনান্য ব্রান্ডের লেজার প্রিন্টারের থেকে দ্বিগুণ মেমোরি এবং রয়েছে হেভি ডিউটি সাইকেল। এতে বিদ্যুৎ অপেক্ষাকৃতভাবে কম খায় এবং সিকুরিটি অপশনগুলোও বেশ চমৎকার। এছাড়াও এতে আপনি পাচ্ছেন NFC (near-field communicaiton) এবং বিল্ট ইন কালার টাচ স্ক্রিণ।

প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হচ্ছে 12.3 by 17.3 by 19.1 ইঞ্চি এবং এর ওজন হচ্ছে মাত্র ৪৮ পাউন্ডস। প্রিন্টারটিতে আপনি প্রায় ১০৫০টি কাগজ শীট জমা করে রাখতে পারবেন। এর জন্য পাচ্ছেন তিনটি এক্সট্রা ২৫০ শীট ট্রে। এই প্রিন্টারটি আপনাকে ৪০০০০ পেজ প্রিন্টের গ্যারান্টি দেবে। তবে রেকর্ড রয়েছে যে এই প্রিন্টারটি দিয়ে প্রায় ৬০০০০ প্রিন্টের কাজ করা হয়েছে।

কানেন্টিং এর জন্য রয়েছে Gigabit Ethernet, Wi-Fi এবং সিঙ্গেল পিসির জন্য ইউএসবি কানেক্টশন সিস্টেম।

প্রিন্টারটি দিয়ে আপনি মিনিটে ৩৩টি পেজ প্রিন্ট করতে পারবেন। তবে ফটো প্রিন্ট এর ক্ষেত্রে এই রেটটি একটু কমে যাবে।

প্রিন্টারটির আর্ন্তজাতিক দাম হচ্ছে প্রায় ৩৫০ মার্কিন ডলার। তবে আপনি চাইলে সিরিজের আগের প্রিন্টার Brother HL-L8260CDW কিনে নিতে পারেন যেটার দাম হচ্ছে ২৮০ মার্কিন ডলার।

২) Brother MFC-J6935DW

আমাদের আজকের লিস্টের ২য় স্থানে রয়েছে ব্রাদার কোম্পানির এমএফসি-জে৬৯৩৫ডিডব্লিউ প্রিন্টারটি। অনেক কম রানিং কস্ট, ভালো আউটপুট কোয়ালিটি, প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি, ফ্যাক্সের সুবিধা রয়েছে এই প্রিন্টারে। আর অসুবিধা বলতে বলা যায় এই প্রিন্টারটির আকার অনেক বড় এবং ওজনেও বেশ ভারী। তবে রানিং খরচ কম হওয়ায় ওজন আর আকারকে অনেকেই পাত্তায় নিবেন না আমি আশা করি।

এই প্রিন্টারটি এক কালার ইঙ্কজেট অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার যেটা সাধারণত বাসায় কিংবা মাইক্রো অফিসে ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে শুধু প্রিন্ট নয়, এটি দিয়ে ফটোকপি, স্ক্যান এবং ফ্যাক্সও করা যাবে।

তবে ইঙ্কজেট প্রিন্টার হিসেবে এই প্রিন্টারটি বেশ বড় এবং হেভি। প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হলো 14.7 x 22.6 x 18.8 ইঞ্চি এবং এর ওজন হচ্ছে প্রায় ৫২ পাউন্ডস। এর জন্য আপনাকে আলাদা টেবিল ব্যবহার করতে হবে এবং এর মুভমেন্ট এর জন্য দুইজন ব্যক্তির সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন হবে। প্রিন্টারটির পেপার ক্যাপাসিটি হলো ৬০০ শীটস। প্রিন্টারটি দিয়ে একই সময়ে একই পেজের দুই সাইডে প্রিন্ট করতে পারবেন আপনি। প্রিন্টারটি দিয়ে আপনি ৩০০০০ প্রিন্ট করার গ্যারান্টি পাচ্ছেন।

প্রিন্টারটি দিয়ে আপনি মিনিটে ১৬টি পেজ প্রিন্ট করতে পারবেন। মানে প্রতি ৮ সেকেন্ডে এক পেইজ। এটি মন্দ নয়। প্রিন্টারটির আন্তর্জাতিক মূল্য রাখা হয়েছে ৩২৯ মার্কিন ডলার।

৩) Brother HL-L2370DW

আমাদের আজকের লিস্টের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাদার এইচএল-এল২৩৭০ডিডব্লিউ প্রিন্টারটি। তাহলে বুঝা গেল যে লিস্টের প্রথম তিনটি প্রিন্টারই ব্রাদার কোম্পানির! এই প্রিন্টারটি দাম অনেক কম অনান্য প্রিন্টারের থেকে, টেক্স এবং ভালো গ্রাফিক্স কোয়ালিটির রয়েছে, স্পিডও ভালো পাবেন, রয়েছে Wi-Fi, Wi-Fi Direct, Ethernet এবং USB কানেক্টশনের সুবিধা। কিন্তু ফটো প্রিন্ট এর ক্ষেত্রে আপনি ভালো ফটো কোয়ালিটি পাবেন না। প্রিন্টারটি একটি লেজার প্রিন্টার যেটি মূলত মাইক্রো এবং হোম অফিসের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র টেক্স প্রিন্ট দেবার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি বাজেট সাইজের লেজার প্রিন্টার খুঁজে থাকেন তাহলে এই ব্রাদার এইচএল-এল২৩৭০ডিডব্লিউ প্রিন্টারটি আপনার জন্য পারফেক্ট। প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হচ্ছে 7.2 x 14 x 14.2 ইঞ্চি এবং ওজন হচ্ছে মাত্র ১৬ পাউন্ড। এটি আপনার কম্পিউটার ডেক্সে সহজেই মানিয়ে নেবে। প্রিন্টারটিতে আপনি ২৫০টি পেপার শীটস স্টোর করে রাখতে পারবেন। আর প্রিন্টারটিতে আপনি ১৫০০০ পেজ প্রিন্ট এর গ্যারান্টি পাবেন। প্রিন্টারটি মিনিটে ৩৩টি পেইজ প্রিন্ট করতে পারে। এর মধ্যে ওয়ার্ড ফাইল, পিডিএফ ফাইল এবং এক্সেল ফাইল রয়েছে। প্রিন্টারটির আন্তর্জাতিক মূল্য রাখা হয়েছে ১২৯ মার্কিন ডলার।

৪) Canon Pixma TR8520

আমাদের আজকের লিস্টের ৪র্থ স্থানে রয়েছে ক্যানন পিক্সমা টিআর৮৫২০ প্রিন্টারটি। এতে পাচ্ছেন এক্সেলেন্ট প্রিন্ট কোয়ালিটি, এসডি কার্ড স্লট, Ethernet সার্পোট, আরো থাকছে দুটি কালো ইঙ্ক, দুটি পেপার ইনপুট ট্রে, ২০-শীট এডিএফ এবং XXL ink cartridges এর সুবিধা। তবে এই কোয়ালিটির হিসেবে এর দামটি একটু বেশি। এটি একটি all-in-one প্রিন্টার।

সম্প্রতিটি ক্যানন তার পুরোনো মডেলকে নতুন প্রিন্টার ইঞ্জিন এবং নতুন লুক দিয়ে MX সিরিজ কে TR সিরিজ দিয়ে আপগ্রেড করে নিয়েছে। ক্যানন পিক্সমা টিআর৮৫২০ প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হচ্ছে 7.5 x 17.3 x 13.8 ইঞ্চি আর প্রিন্টারটির ওজন হচ্ছে 17.8 পাউন্ডস। এটি তার আগের সিরিজের থেকে ছোট এবং ওজনে ৮ পাউন্ড কম। প্রিন্টারটি এভারেজ ডেক্সটপে ফিট হয়ে যাবে সহজেই। ক্যানন পিক্সমা টিআর৮৫২০ একটি ইঙ্কজেট প্রিন্টার আর এতে আপনি CMYK কালার মানে cyan, magenta, yellow and black কালারের ইঙ্ক পাবেন। প্রিন্টারটি দিয়ে আপনি মিনিটে ১৫টি পেজ প্রিন্ট করতে পারবেন। প্রিন্টারটি আন্তজার্তিক বাজারমূল্য রাখা হয়েছে ১৩৯ মার্কিন ডলার।

৫) Canon Pixma TS9120 Wireless

আমাদের আজকের লিস্টের পঞ্চম স্থানে রয়েছে ক্যাননের আরেকটি প্রিন্টার মডেল ক্যানন পিক্সমা টিএস৯১২০ ওয়্যারলেস ইঙ্কজেট অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারটি। প্রিন্টারটি একটি লাইটওয়েট এবং কমপ্যাক্ট প্রিন্টার। এটি দিয়ে উচ্চ কোয়ালিটির ছবি বের করার জন্য এতে রয়েছে অতিরিক্ত দুটি ইঙ্ক কার্ট্রিগেজ। রয়েছে দুটি পেপার ইনপুট ট্রে। রয়েছে এসডি কার্ড স্লট, Ethernet এবং Bluetooth 4.0 সার্পোট। রয়েছে এক্সসেলেন্ট প্রিন্ট কোয়ালিটি এবং ফাস্ট স্ন্যাপশট প্রিন্টিং। তবে এখানে আপনি অটোমেটিক ডকুমেন্ট ফিডার, NFC এবং Wi-Fi Direct সার্পোট পাচ্ছেন না এবং প্রিন্টিং স্পিডও বেশ কম।

ইঙ্কজেট প্রিন্টার দিয়ে ফটো প্রিন্ট করার দুঃসাহস দেখিয়ে ফ্ল্যাগশীপ মডেল হিসেবে ক্যানন তাদের পিক্সমা টিএস৯১২০ মডেলটি বাজারে কিছুদিন আগে এনেছিল। প্রিন্টারটিতে রয়েছে ছয়টি ইঙ্ক মেশিন যেটি দিয়ে প্রাইমারি ভাবে ফটো প্রিন্ট দেওয়া যাবে। এছাড়াও এটি দিয়ে ফটোকপির কাজও করা যাবে তবে এটি বেশ স্লো কাজ করে বলা যায়। সিরিজের আগের মডেলটির থেকে এটির দাম মাত্র ২০ ডলার বেশি এবং ২০ ডলার বেশি দিয়ে আপনি অনেক উন্নত আপগ্রেডেড সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। প্রিন্টারটি তিনটি রংয়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, লাল, গ্রে এবং সোনালি কালারে। এই প্রিন্টারটি সিরিজের সবথেকে দামী প্রিন্টার এবং সবথেকে বেশি ফিচারও রয়েছে এতে! প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হচ্ছে 5.6 x 14.7 x 12.8 ইঞ্চি এবং প্রিন্টারটির ওজন হচ্ছে ১৪.৭ পাউন্ডস। প্রিন্টারটি মিনিটে ১৫টি পেজ কপি এবং প্রিন্ট করতে পারবে। প্রিন্টারটির আন্তজার্তিক মূল্য রাখা হয়েছে ১২৯ মার্কিন ডলার।

৬) Dell Color Smart Multifunction Printer S3845cdn

আমাদের আজকের লিস্টের ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ডেল কোম্পানির প্রিন্টার। ডেল কোম্পানির থেকে অনেক বছর পর আমরা একটি কালার লেজার অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার দেখতে পাচ্ছি। ডেল কালার স্মার্ট মাল্টিফাংশন প্রিন্টার এস৩৮৪৫সিডিএন প্রিন্টারটির রয়েছে গুড প্রিন্ট, স্ক্যান এবং ফটোকপির কোয়ালিটি, রয়েছে ফাস্ট প্রিন্ট স্পিড, রয়েছে উচ্চমূল্য রানিং খরচ, রয়েছে পেপার ক্যাপাসিটি এক্সপেন্ড করার সুবিধা, রয়েছে ৫ ইঞ্চির টাচ কন্ট্রোল প্যানেল, রয়েছে শক্তিশালি সিকুরিটি ফিচার। আর নেগেটিভ ফিচার হিসেবে প্রিন্টারটি বেশ ভারী এবং ক্রয় খরচও বেশি আর রানিং খরচও সেইরকম! আর NFC সার্পোট নেই! প্রিন্টারটির রানিং খরচ বেশি হলেও একই সিরিজের অনান্য ব্রান্ডের প্রিন্টার বিশেষ করে স্যামসং মাল্টিফাংশন প্রিন্টার প্রোএক্সপ্রেস সি৩০৬০এলডব্লিউ এর থেকে বেশ কম। আপনি যদি এই প্রিন্টারটিকে উচ্চ মাত্রায় প্রিন্টিংয়ের কাজে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার অনেক টাকা সাশ্রয় করে দেবে এই প্রিন্টারটি।

প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হচ্ছে 23.6 x 17.4 x 21.2 ইঞ্চি এবং ওজন হচ্ছে পায় ৮৬ পাউন্ডস! প্রিন্টারটিকে বক্স থেকে খুলে নিয়ে কোনো বড় টেবিলে সেট করার জন্য দুইজন হেলথি লোকের দরকার হবে। প্রিন্টারটি USB ক্যাবল কিংবা Ethernet ক্যাবলের সাথে পিসিতে আপনি সংযুক্ত করতে পারবেন। আর প্রিন্টারটির Wi-Fi ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে ৬০ ডলারের আলাদা একটি ডেল ওয়্যারলেস কার্ড কিনে নিয়ে প্রিন্টারটির পেছনে প্লাগ-ইন করে নিতে হবে। প্রিন্টারটির মোবাইল কানেক্টিভিটি হিসেবে রয়েছে অ্যাপল এয়ারপ্রিন্ট, গুগল ক্লাউড প্রিন্ট এবং Mopria। প্রিন্টারটির স্ট্যান্ডার্ড পেপার ক্যাপাসিটি হলো ৭০০ শীটস। প্রিন্টারটি মিনিটে ৩৬টি পেজ প্রিন্ট করতে পারবে। আর ডাবল সাইট প্রিন্টিংয়ে প্রিন্টারটি মিনিটে ২৪টি পেজ প্রিন্ট করতে পারবে। দামে বেশি হওয়ায় প্রিন্টারটির ফটো প্রিন্ট কোয়ালিটি বেশ ভালো। প্রিন্টারটির আর্ন্তজাতিক বাজার মূল্য রাখা হয়েছে ৭৫০ মার্কিন ডলার।

৭) Epson SureColor P5000

আমাদের আজকের লিস্টের সবথেকে দামী প্রিন্টারটি হচ্ছে এই ইপসন সিউরকালার পি৫০০০। প্রায় ১৯৯৯ মার্কিন ডলার মূল্যের এই প্রিন্টারটি হচ্ছে একটি প্রোফেশনাল গ্রেড ফটোগ্রাফ এবং গ্রাফিক্স আর্ট প্রিন্টার। প্রিন্টারটি দিয়ে আপনি ১৭ ইঞ্চির গ্রাফিক্স আর্টওর্য়াক প্রিন্ট করতে পারবেন। প্রিন্টারটির রয়েছে চমৎকার প্রিন্টিং কোয়ালিটি, রয়েছে অনেক ধরনের পেপার সাইজের প্রিন্ট করার সুবিধা, অটোমেটিকল কাট টু রোল সুইচ সুবিধা রয়েছে, রয়েছে মার্চেন্ডাইজ এবং ম্যানুয়াল কাটার। দামে বেশি এবং ওজনে ভারী হলেও প্রিন্টারটির রানিং খরচ খুবই কম যেটায় আপনার প্রোফেশনাল প্রিন্টিং খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে এই প্রিন্টারটি।

প্রিন্টারটির মেজারমেন্ট হচ্ছে 15.9 x 34 x 30.2 ইঞ্চি এবং ওজন হচ্ছে প্রায় ১১৪ পাউন্ডস। প্রিন্টারটি বাজারে তিনটি সংস্করণে আসছে, প্রথমটি হচ্ছে ২০০০ মার্কিন ডলারের স্ট্যান্ডার্ড এডিশন যেটা দিয়ে প্রিন্টিং ফটোগ্রাফ এবং আর্টওর্য়াক করা হয়, একই মুল্যে (২০০০ ডলারের) কর্মাশিয়াল এডিশন রয়েছে যেটায় আপনি কমার্শিয়াল বিভিন্ন কাজ এবং flexographic কাজ কারবার সেরে নিতে পারবেন এবং আরেকটি হলো ২৪৯৫ মার্কিন ডলারের ডিজাইনার এডিশন যেটি দিয়ে আপনি Advanced RIP (raster image processing) এবং কালার ম্যাচিং সফটওয়্যারের কাজ করতে পারবে। এভারেজ ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্য প্রিন্টারটি বেশ বড় এবং অনেক ভারী!

৮) HP OfficeJet 250 Mobile

আমাদের আজকের লিস্টে সর্বশেষে রয়েছে এইচপি অফিসজেট ২৫০ মোবাইল অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টারটি। প্রিন্টারটি একটি পোর্টেবল প্রিন্টার যেটির মাধ্যমে আপনি প্রিন্ট, স্ক্যান এবং ফটোকপির কাজ করতে পারবেন। রয়েছে ওয়াই ফাই, ওয়াই ফাই ডাইরেক্ট, ইউএসবি কানেক্টের সুবিধা, রিচার্জেবল ব্যাটারি, রয়েছে ৫০টি শীটস পেপার ইনপুট ট্রে। প্রিন্টারটির আউটপুট কোয়ালিটি প্রায় একটি এভারেজ ডেক্সটপ ইঙ্কজেট প্রিন্টারের কাছাকাছিই বলা চলে। তবে পোর্টেবল প্রিন্টার হওয়ার পরে এতে আপনি ইউএসবি ক্যাবেল মিসিং পাবেন এবং এভারেজ ল্যাপটপের থেকেও এটি ওজনে বেশ ভারি বলা চলে।

প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি করার সুবিধা নিয়ে এই পোর্টেবল প্রিন্টারটিকে আপনি ট্রাভেল ব্যাগে ফিট করে নিয়ে যেখানে সেখানে ট্রাভেল করতে পারবেন কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। প্রিন্টারটি বন্ধ থাকা অবস্থায় এর মেজারমেন্ট হলো 3.6 x 15 x 7.8 ইঞ্চি আর চালু থাকায় অবস্থায় এটি 10.6 x 15 x 15.8 ইঞ্চি হয়ে যায়। আর প্রিন্টারটির ওজন হলো ৬.৫ পাউন্ডস (ব্যাটারি সহ ৬.৭ পাউন্ডস)।

প্রিন্টারটি মিনিটে ১০টি পেজ প্রিন্ট করতে পারবে এবং ব্যাটারিতে মিনিটে ৯টি পেজ প্রিন্ট করতে সক্ষম হবে। প্রিন্টারটির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য রাখা হয়েছে ২৮০ মার্কিন ডলার।

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

bro Brother MFC-J6935DW প্রিন্টারটি ফটো পিন্টের ক্ষেত্রে কতটুকু উপযোগী? আর আমি কি এই প্রিন্ট ব্যবহার করে ল্যাব প্রিন্ট দিতে পারব? আর এই প্রিন্টের প্রিন্টিং লিমিট শেষ হওয়ার পর কি এটা বাতিল হয়ে যাবে এবং এর কালি, কার্টিজ সব কিছু বাংলাদেশে পাওয়া যাবে?

ভাই ৫০০০ টাকার ভীতর কী কী ্ন্টার পাওয়া যাব? যদ িকটু তালকা দেন তাহল উপকার হব।

You can search for printers , photocopier in bdstall , https://www.bdstall.com/copier/toshiba/

প্রিন্টার কেনার খুঁটিনাটি ঃ https://www.bdstall.com/magazine/post/bn/309/