বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার ত্রুটি সমূহ।আসুন সবাই এক হয়ে নিজেদের সাথে বেঈমানী করা বন্ধ করি

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার প্রথম টিউন শুরু করছি।টেকটিউনেস নিয়মিত ভিজিট করি প্রায় ২ বছর।কিন্তু একবার ও সাহস হয় নাই টিউন করার।চাই নাই আপনাদের শুধু শুধু বিরক্ত করতে।কারন আমি সেরকম কিছু জানিও না।

আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন।নারে ভাইসব।আমি খুব একেবারে ভাল নেই।আসলে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে খুব একেবারে ভাল থাকা যায় না।বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা সিস্টেমটা খুব-ই খারাপ সেটা আমরা সবাই জানি।কিন্তু এর থেকে আর একটা ব্যবস্থা রয়েছে,যার অবস্থা আরো খারাপ।আমার এই টিউনের উদ্দেশ্য সেই ত্রুতিযুক্ত ব্যবস্থা/পদ্ধতি আপনাদের সামনে তুলে ধরা।আর সেই ত্রুতিপুর্ণ ব্যবস্থা হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।কেজি থেকে শুরু করে ভার্সিটির পোস্ট গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত।দুরনীতিতে ছাওয়া সম্পুর্ণ এই শিক্ষা ব্যবস্থা।যা খুব-ই বাজে একটা পদ্ধতি।আপনারা দয়া করে আমার এই লেখাটি পুরো পড়েন।তাহলে সব বুঝতে পারবেন।

আপনারা সবাই জানেন অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক কিছুর দিক থেকে একটু পিছিয়ে রয়েছে।অবশ্য জনসংখা উৎপাদনের দিক থেকে মনে হয় একটু বেশি এগিয়ে।কিন্তু এর কারন কি?

কিন্তু তারপর ও তো আমাদের দেশে অনেকে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যাংকার হচ্ছে।হচ্ছে না?অনেকে তো বাহিরের দেশে থেকে,লেখা-পড়া করে সেইখানকার ইউনিভার্সিটির টিচার পর্যন্ত ও হচ্ছে।হচ্ছে না?

তাহলে অনেকে আমার মুখের দিকে আঙ্গুল তুলে দিয়ে চুপ করিয়ে দিতে চাইবেন এবং বলবেন ''শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি নেই।তুমি চুপ কর পাগল কোথাকার,আর যাও পড়তে বস।''আর আমার মনে হই তখন আমাকে চুপ করে যেতে হবে।

কিন্তু আমি চুপ করব না।আল্লাহপাক চোখ,কান,মুখ,নাক,হাত-পা দিয়েছেন বসে থাকার জন্যে নয়।দেখব,শুনব,বলবো,শুকবো এবং প্রয়োজনে হাত পা চালাব।

ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যাংকার তো একজনকেই হতেই হবে।পাস করে তো প্রতি বছরে অনেকেই বের হয়।৪-৫ বছর ধরে মানুষ কিছু না কিছু তো শিখে। এবং সেইটাই করে বেচে থাকি আমরা সবাই।কিন্তু আমরা কখনো চিন্তা করি নাই স্বাধীণতার আগ হতে পর মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা একটা ভুল পথে চলে এসেছি।এবং এখন ও অবধি চলেছি।বর্তমানে এই যুগে,এই পথে চলাটা যে কত শরমের একটা ব্যাপার সেটা বোধগম্য হবার চিন্তা করার শক্তি এখন ও আমাদের হয় নাই।

আমরা আমদের রুচি,পোষাক,আচারণ,ভাষা,আরো অনেক কিছু পৃথিবীর উন্নত সব জাতিদের অনুসরন করার চেস্টা করি।ভাল-খারাপ অনেক কিছুতেই তাদের অনুসরন করার চেস্টা করে থাকি।কিন্তু কেন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা অনুসরন করে থাকি না আমি এখন ও বুঝতে পারি না।

ছোটবেলায় আমরা সকলেই শুনে এসেছি ''পড়া লেখা করে যে ‌গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ে সে''।আর আমি বলব ''বাংলাদেশের পড়া লেখা করে যে গাধার পাশে পাশে হাটে সে''।যদিও আমি সেরকম একজন-ই মানুষ যে কিনা গাধার পাশে পাশে হাটে।আমরা সবাই।আমরা সবাই এর নির্মম পরিস্থিতির শিকার।আমি আপনি সবাই।

বাংলাদেশে কত মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।সারাদিন-সারারাত বই-এর পাশে বসে থেকে মুখস্ত করে।বই এর সব পাতার লাইন মুখস্ত করবে,আর তা পরীক্ষার খাতায় লিখে আসবে।আমার মনে হয় এইসব-পড়া লেখার কোন দাম নেই।এই করে কেও যদি জীবনে খুব ভাল জায়গায় দাড়ায় আমি তাকে খুব একটা বাহবা দিব না।দুই-একটা বই এর সম্পর্কে আপনার ধারনা ভাল থাকতে পারে।কিন্তু আপনি জ্ঞানী বা চিন্তাশীল মানুষ হতে পারবেন না।

একটি বাচ্চা ছেলে কেজি থেকে শুরু করে ভার্সিটির আগ পর্যন্ত যে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয় তা সম্পুর্ন ভুয়া একটা পদ্ধতি।আমি নিচে বেশ কিছু পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি।দেখেন আপনাদের সাথে আমার কতটা তা মিলে।

বাংলাঃ---------------------------

আমি এখন ও বুঝতে পারি না, যে ভাষা আমার মায়ের ভাষা,যে ভাষায় আমরা লেখি,পড়ি,বলি সেই ভাষার জন্যে এরকম পাঠ্য বই এর দরকার কি?

আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা ৩-৪টা কবিতা মুখস্ত করতাম।সেইটাই পরীক্ষার হলে লেখে আসতাম।তাও আবার দাড়ি কমা সহ।কারন দাড়ি কমা ভুল হলে নম্বর কমে যাবে।তারপর আমরা নানারকম ছোট-বড় প্রশ্ন মুখস্ত করে আসতাম-ই তো।

তারপর ৭ম,৮ম,৯ম-১০ম শ্রেণীতে দেখতাম আমার অনেক বন্ধুরা গল্পের লাইন,কবিতার লাইন মুখস্ত করে লিখে আসত।কিন্তু এইসবের মানে কি?

এইভাবে আমরা কিছু শিখতে পারিনি।শুধু আমরা আমাদের ব্রেনের উপর প্রেশার দিয়েছি।নিজের মনের উপর জোড় করেছি।আমাদের সময় নষ্ট করেছি।কাজি নজরুল ইসলাম,রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর,প্রমথ চৌধুরী,সুফিয়া কামাল,শামসুর রাহমান এতসব কবিতা,ছোটগল্প,প্রবন্ধ আমাদের মুখস্ত করানোর জন্য লিখেননি।তারা কোন সময় এইটা ভাবেন নাই যে তাদের লেখা গুলা বই আকারে ছাপা হবে এবং আমাদের মত শিক্ষার্থীদের মুখস্ত করতে হবে।তাদের মনে চেয়েছিল,ভাল লেগেছিল বলেই তারা লিখেছিলেন।আমাদের আনন্দ দিতে,সচেতন করতে,আমাদের মুখস্ত করানর জন্য না।

আজ আমি ঢাকা সিটি কলেজে পড়ি।এসির নিচে দাড়িয়ে ''মানিক বন্দোপধ্যায়ের'' ''পদ্মা নদির মাঝী'' উপন্যাস উচ্চস্বরে পড়ে সারা ক্লাসকে শুনানো লাগে।অথচ উপন্যাস হল কোন লেখকের চিন্তাভাবনার প্রতিচ্ছবি।মানুষ অবসরে,নিরবে তা পড়ে আনন্দ পায়।লেখক এর চিন্তাশক্তির নিকট সবাই পরিচিতি লাভ করে ।কিন্তু ক্লাস এর মাঝে দাড় করিয়ে এই ভাবে উপন্যাস পড়ানর উদ্দেশ্য টা কি তা আমার এখন-ও বোধগম্য হল না।আমার মনে হয় এইটা লেখক কবিগনদের প্রতি এক প্রকার অপমান ছারা বই-কি?

গল্প,কবিতা,উপন্নাস এর লাইন মুখস্ত করে আমাদের কি উন্নতি হবে?আমরা আমাদেরকে,সারা বিশ্বের সামনে এইভাবে তুলে ধরব?চিন্তা করুন আপনারা একবার।তার উপর রয়েছে কবি-লেখকদের সকল বই এর,সকল লেখার নাম জানতে হবে।তাদের জীবন-মরন এর সাল জানতে হবে।কবে তারা চাকরি পেয়েছিল না পায়নি সেইতাও আমাদের মুখস্ত রাখতে হবে।যদি আমরা রাখতে পারি তাহলে আমরা ভাল ছাত্র।আমরা দেশের সোনার ঘোড়ার একটা ডিম...।।আর না জানলে সে খারাপ ছাত্র,তার কোন মেধা নাই।

কবি লেখক এর বাবা-মা ,সন্তানরাও ঠিক মত জানেন কিনা তাদের জন্ম-মৃত্যু সাল।তারা কি কি বই লিখেছেন?তাহলে সেইগুলা আমরা জেনে কি করব?এতে আমাদের কি উপকার ?আমরা কেন আমাদের উপর প্রেশার দিচ্ছি।

অনেকে হয়ত বলবেন তাদের লেখা গুলা এই কারনে পাঠ্য অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে যাতে সেইগুলা পড়লে আমাদের ভেতরের চেতনা যাগে।আমি বরং তাদের জিজ্ঞাসা করব এই শিক্ষা ব্যবস্থায়?নিচের একটা উদাহরন খেয়াল করুন.........

ক্লাস ৯ম-১০ম শ্রেনীর বাংলা ১ম পত্র বইতে ''প্রমথ চৌধুরীর'' একটি প্রবন্ধ ছিল ''বই পড়া'' নামক।সেইখানে তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি উল্লেখ করে বলেছিলেন আমাদের বিদ্যালয়ের মাস্টার মসাইরা গাদা গাদা নোট তৈরি করেন আর তা,আমাদের ছাত্ররা মুখস্ত করে, এবং পরীক্ষার হলে তা উদ্গিরন(বমি)করে আসে।ব্যস শেষ শিক্ষার কর্ম সাধন।যদি ''প্রমথ চৌধুরী'' ক্ষুনাখারেও টের পেতেন যে তার-ই প্রবন্ধকে নিয়ে বিদ্যালয়ের মাস্টার মসাইরা নোট বানাবেন এবং তা ছাত্রদেরকে মুখস্ত করাবেন তাহলে তিনি যে কি করতেন শুধু তিনিই জানতেন।কিন্তু আমার-ও খুব জানতে ইচ্ছা করে।

নতুন যে সৃজনশীল পদ্ধতি এসেছে তা হচ্ছে আর একটা ফালতু পদ্ধতি।এইখানে সরকার একটা বড়-সর চাল খেলেছে।সৃজনশীল এর কারনে একজন শিক্ষার্থীকে বই এর প্রত্যেকটি লাইন প্রায় মুখস্ত এর মত রাখতে হয়।খুব-ই বাজে একটা পদ্ধতি।।সৃজনশীল এর অন্যতম শর্ত ছিল যে বাজারে এর কোন নোট-বই থাকবে না।কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় এই যে আজকের স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা নিজেরাই ঐসকল নোট-বই থেকে প্রশ্ন করেন।তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে চিন্তা করেন?কি আর বলব।কথা ছিল এই পদ্ধতির মাধ্যমে পড়া-লেখা শুধুমাত্র ক্লাস এর মাঝেই শেষ হয়ে যাবে।কিন্তু আরো দুঃখের বিষয় এই যে এই বিষয়ের এর জন্য এখন কোচিং-টিচারদের কাছে আর বেশি করে যেতে হচ্ছে।এই হল গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা ।

ইংরেজিঃ-------------------------------

একটা বাচ্চার মাতৃভাষা শিখতে লাগে সর্বোচ্চ ৮ বছর।আর আমরা ১২ বছর এমনকি ১৬-১৮ বছর ধরে একটা ভাষা ভাল করে শিখতেও পারলাম না।আমাদের শিক্ষা জীবন এ আমরা আর ইংরেজি ভাল করে শিখতে পারলাম না।যার ফলে অনেকে আরালে-লুকিয়ে,অনেকে সবার সামনে বিবিসি জানালাতে ফোন করে ঢু মারেন।যদি কিছু শিখতে পারেন।আমার মনে হয় অনেকে পারেন আবার অনেকে কিছু বুঝতেই পারেন না।আজ এখন ও আমারা ভাল ভাবে ইংলিশ বলতে পারি না,পারি না ভালভাবে লেখতে।কত যে ভুল হয় এই ভয়ে-এ অনেকে তো সচারচর ইংলিশ বলিই না।এইটাই প্রমান করে দেয় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কতটুকু জোর।

আসলে আমরা ইংরেজী বিষয়টাকে নিয়ে কি করতে চাই আমরা নিজেরাই ভাল করে জানি না।ইংরেজ শাসন আমলে ব্রিটিশরা আমাদের যে ত্রুটিপুর্ন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছিল আমরা এখন-ও সেই পদ্ধতিকেই আকড়ে ধরে রয়েছি।

আমরা paragraph,composition,letter,এই সব-ই মুখস্ত করি।কিন্তু অতি হাস্যকর বিষয় এই যে এইসব বাহিরের দেশের একটা মানুষের ১-২ মিনিট এর ভাষা বা বক্তব্য ছারা কিছুই না।আর আমরা সেইটাই মুখস্ত করার পিছনে ছুটে চলেছি।আমরা ক্লাস এর পর ক্লাস করি,কোচিং করি,এইখানে দৌড়াই সেইখানে দৌড়াই।শুধুমাত্র মার্কস পাওয়ার জন্যে।কিন্তু শেখার জন্যে না।আরে ইংরেজী একটা ভাষা।কোন জ্ঞান না।এই ভাষা আপনাকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে।কারন বাহিরের সব উন্নত দেশে বেশি চলে এই ইংরেজী ভাষা।আর আপনি যদি তাদের সাথে ভাল যোগাযোগ রাখতে চান সেই ক্ষেত্রে ইংরেজী্র গুরুত্ব কত আশা করি সেইটা বলার আর কোন অপেক্ষা রাখে না।আর সবচেয়ে মজার কথা এই যে আমরা এত কষ্ট করি এই ভাষা শেখার জন্য,কিন্তু পারি না,এই ভাষাটা শেখা কিন্তু খুব কঠিন ব্যাপার না।কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা এই জিনিসটাকে আরো কঠিন করে রেখেছে। আর যার ফলাফল আমরা সবাই জানি।ঘোড়ার আণ্ডাও না।

আমার বড় ভাই এর এক বন্ধু বছর দেড়েক আগে আমেরিকাতে গিয়েছিলেন।তিনি খুব ভাল ইংলিশ পারতেন না।আর বুঝা তো দুরের কথা।কিন্তু ২ মাস আমেরিকাতে থাকার পর তিনি আমার ভাইয়া কে বললেন ''দোস্ত,দেশে এত কষ্ট করছি ইংলিশ শেখার জন্য,কিন্তু কোন কাজেই আসে নাই।কিন্তু এইখানে ২মাস থাকার পর আমার ইংলিশ এর সব সমস্যা শেষ।সবার সাথে আমি এইখানে খুব সহজ ভাবে যোগাযোগ করতে পারি।

আসলে আমরা সবাই ভাবি যে ইংলিশ খালি থিওরি সাবজেক্ট।কিন্তু বাস্তব কথা হল এই যে এইটা একটা প্রাকটিকাল সাবজেক্ট ছারা কিছুই না।কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থা আপনারা ভাল করেই বুঝেন।তো বুঝেন কি অবস্থা...!!

গনিতঃ---------------------

এইবার আসি একটি অন্যতম গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে।আমার জানামতে অনেকে এই জিনিসটাকে অনেক ভয় পায়।আর তা হল গনিত।আমার অনেক বন্ধু আছে যারা গনিত বিষয়টাকে খুবই ভয় পায়...। না বুঝে অনেকেটা ঘোরের মাঝে থেকে অঙ্কগুলা এক প্রকার মুখস্ত করে।।পরে জানতে পারলাম শুধুমাত্র আমার বন্ধুরা নয়,প্রায় সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের এক অবস্থা।

আমাদের সকলের-ই এই গনিত বিষয়ের হাতে-খড়ি শুরু হয় একটা বিরাট ভুল পদ্ধতি দ্বারা।মনে করে দেখুন তো............
''তিন এক্কে তিন'' ''ছার নং ছএিশ'' ''সাত নং বিয়াল্লিশ''
তাহলে এক সেকেন্ড এর মাঝে পারলে বলুন দেখি এক বারে ১৭*৭ এ কত হয়?না না।ভাবতে পারবেন না।একেবারে বলতে হবে।পারলেন?না পারেন নাই একেবারে বলতে।

আসলে গনিত বিষয় সম্পর্কে ধারনাগুলো আমরা ছোটোবেলা থেকেই মুখস্ত করে আসছি।বুঝা তো পরের ব্যাপার।আর তা বাস্তবে জীবনে প্রোয়োগ করা আমি স্বপ্নেও ভাববো না।

এখন ও ৬ম-১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা জ্যামিতি মুখস্ত করে।না বুঝে অন্ধের মত।এই গুলার কোনো application নেই। সাজেসন্সের ভিত্তি তে কয়-একটা অঙ্ক করে পরীক্ষায় পাশ ঠিক-ই করছে কিন্তু শিখার জিনিস কিছুই শিখছে না।আপনারা সবাই বুকে হাত রেখে বলুন তো আপনারা কি তাদের মতন করেন নাই?অবশ্যই করেছেন।সবাই না করলে অনেকেই করেছেন।এইটা আমার আপনার দোষ না।আমরা সবাই এই পরিস্থিতির শিকার,আপনারা কি চান না এইটার পরিবর্তন হক?

আমরা যদি অঙ্ক জিনিসটাকে এতো ভয় পাই,এর basic জিনিসগুলা সম্পর্কে আমাদের যদি কোন ধারনাই না থাকে তাহলে আমরা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাবে কি করে?

বিজ্ঞানঃ-----------

আমরা সবাই জানি যে physics,chemistry,biology সব-ই সায়ন্সের subject.অন্যান্য বিষয় থেকে শুধুমাত্র সায়ন্সের এই বিষয়গুলোতে প্রাকটিকাল মার্কস একটু বেশী রয়েছে।কিন্তু এইখানেতেও মুখস্ত কারিগররা ও তাদের মেধা দেখায়।তবে সব গুলা নয়।কোন কোন জিনিস আধা আধা মত করে বুঝে অনেকে।সায়ন্সের কতগুলা নির্দস্ট প্রস্ন-ই ১-২ বছর পর পর গেপ দিয়ে পরীক্ষাতে আসে।তাই সর্ট-কার্ট নম্বর তুলার জন্যে অনেকে কোনরকম মুখস্ত করেই পার পেয়ে যাচ্ছে।কিন্তু জানা,শেখা,বাস্তব জ্ঞানার্জন খুব কম-ই হচ্ছে।

সারা বছর একটা ইয়া-বড় প্র্যাকটিকাল খাতা লেখানো হয়,শিক্ষার্থীরা চোখ বন্ধ করে লিখে যায়।ফাইনাল পরিক্ষায় খাতা জমা দিয়ে আসে।এবং সত্যি করে বলতে গেলে ঐ পরীক্ষকের হাতে কিছু টাকা আড়ালে গুজে দিয়ে আসা হয়।এইটা আমরা সবাই জানি।এবং প্র্যাকটিকাল এ পুরো নম্বর।

কিন্তু কিছুই হয় নাই শেখা।অনেকে বলে যে বাস্তব শিক্ষায় খরচ বেশী।আরে টাকা তো খরচ এমনিতেও হচ্ছে।অনেকে যে কোচিং করে সেইখানে কি টাকা খরচ হইতাসে না?আর অনেকে শিখতে পারলেও তা কোচিং এবং প্রাইভেট টিউটর এর কাছ থেকে।কিন্তু ক্লাস রুম থেকে নয়...।

হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসায় ণীতি ও প্রয়োগঃ-------------------------

Accounting subject-টা সবাই পারলেও কিন্তু এর বেসিক আইডিয়া খুব কম ছাত্ররাই জানে।ডেটর, ক্রেডিটর কেন হল এবং এর আরো গভীরে গেলে সবাই চুপ হয়ে যায়।কারন জানে না এবং পারে না।যা শিখে সবাই তাও আবার ক্লাসের বাইরে,not ভিতরে।

জানার capacity খুব কম।যাও বা শিখে সব ধোয়া ধোয়া এর মত।কারন এটি এমন একটি বিষয় যতক্ষন না পর্যন্ত এইটা বাস্তীব জীবনে প্রয়োগ না হবে তা শুধু ঘোলাই থেকে যাবে।কিন্তু আমাদের দেশে সেরকম ব্যাবস্থা নাই।এবং ইচ্ছা করেই করা হয় না।

আর সব চাইতে ফালতু সাবজেক্ট হচ্ছে এই বিষয়টি।যাকে অনেকে business introduction,business principal,business management নামে চিনেন।আসলে এইটা পুরটাই মুখস্ত নির্ভর।Definitions, আর points মুখস্ত কর।এই বিষয় নিয়া আর কিছু নাই লেখলাম।আমার মাথায় আগুন ধরে যাবে।

আর অনেক subject-এর কথা লেখতে চাইলাম।কিন্তু টিউন এর মান রক্ষার্থে,আর অন্য সব বিষয় সম্বন্ধে আমার তেমন একটা ধারনা না থাকায় আমি চেস্টা করব আগামী লেখায় সব ধরনের ত্রুটি তুলে ধরার।

মানুষের মত মানুষ হতে গেলে কি এত বই এর প্রয়োজন পরে?

এখন আর কিছু কথায় আসি।আপনারা,আপনাদের পরিচিতজন সবাই না কম বেশি লেখা-পড়া করে।আপনার ছেলে-মেয়ে,ভাই-বোন,মামা-খালা,চাচা-ফুফু...আপনার সব আত্বীয়দের কথা-ই চিন্তা করুন।কেও কেজিতে পড়ছে,কেও স্কুলে,কেও কলেজে কেও ভার্সিটিতে। কিন্তু শেখার মত শিখছে কয় জন এ?কেও কি ভালোবেসে বইগুলা ধরছে?আপনি নিজেকে জিগাসা করুন?তাদেরকে জিগাসা করুন।আমার মনে হয় আপনি ভাল ভাবে উত্তরগুলা পাবেন।

আজ সারাদেশ দুর্ণীতিগ্রস্থ,সন্ত্রাস,খুনাখুনি,যুবক সমাজ খারাপ পথে চলা,এলাকাতে গেঞ্জাম মারা-মারি,বিকৃত মন-মানসিকতা,এমনকি ইভ-টিসিং,মাদকাসক্তি,ধর্ষণ-রেপ,দেশের নেতাদের অবস্থা,সব কিছুর জন্য আমি আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ি করছি।এই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা এইসব অকর্মের পিছে প্রত্যক্ষ-এবং পরোক্ষ ভাবে কাজ করছে।হা, বাহিরের দেশে যে এইসব হয় না তা নয়।হয়,তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ি। আমি আমার সামনের লেখা-লেখিতে আরো বিস্তারিত ধারনা দিব এই সম্পর্কে আপনাদের।এবং প্রমান করে দিব আমার মন্তব্যের ব্যাপারে।আমার কিছু সময়ের দরকার। আপনারা নিজে চিন্তা করে দেখুন।কেন ছেলেরা পড়া-লেখা বাদ দিয়ে রাস্তায় নেমে খারাপ কাজ করবে?কেন বই এর প্রতি তাদের উদাসিনতা থাকবে?তাহলে নিস্চয়ই এই বই এর মাঝে সমস্যা রয়েছে।আমাদের দেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাতে কেও হাসি মুখে বই তুলে নিতে পারে না,তাদের মনের বিরুদ্ধে বই তুলে নিতে হয়।তাদের স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনা পর্যন্ত নষ্ট করে।আপনারা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন।অনেকে আমার কথা শুনে বলবেন যে ''স্কুল পালালে রবিন্দ্রনাথ হওয়া যায় না'' আমি তাদেরকে বলব চুপ চাপ থাকেন।কথা কম বলেন।স্কুল আগে পালাতে দেন।আপনি কোনসময় আমার মত হতে পারবেন না।আর আমি কোন সমায় আপনার মত হতে পারব না।আর রবিন্দ্রনাথ কোনসময় আমার হতে পারবে না।আর আমি কোন সমায় রবিন্দ্রনাথ এর মত হতে পারবো না।আমাদেরকে কি কোন সমায় চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছেন?সবসমায় চেয়েছেন যেন আমরা খালি বই-এর মাঝে ডুবে থাকি।কিন্তু এইভাবে কারো মেধা বিকাশ হয় না।মেধা নষ্ট হয়।

এইতো কয়-একদিন আগে ২জন ২টা লিঙ্ক শেয়ার করলেন।একজন online versity admission test এবং আরেকজন jsc,ssc,hsc question এর model test er site দিলেন।কিন্তু যেইখানে আমাদের দেশের বই এর এই দসা,শিক্ষা ব্যবস্থা্র বেহাল দসা,এইগুলা তা থেকে যে খুব আলাদা আমার খুব একটা মনে হই নাই।

আমারা সবাই জানি যে ঢাবিতে চান্স পাওয়া কি কষ্টের ব্যাপার।কিন্তু আমার মনে হই না একজন মেধাবি ছাত্র তার মেধা প্রয়োগ করে কোনসময় ঢাবিতে চান্স পাবে।কারন যে admission test বাংলা এবং ইংলিশ থাকে compulsary।যেইভাবে এইখানে প্রস্ন সেট করা হয় তাতে যারা মুখস্ত তে পারদর্শী তারাই কেবল মাত্র ভাল করতে পারবে অন্য কেউ নয়।আর যারা কমার্স লাইনে রয়েছে তাদের তো পুরাই মুখস্ত।বুঝে উত্তর দেওয়া যায় এমন খুব কম প্রশ্ন পাওয়া যায়।

কিন্তু কেও আমাদের একবার স্মরন করাল না যে আমাদের এই অবস্থা সম্পর্কে।

আমাদের দেশে স্কুল কলেজের ক্লাস হয় ৫-৬ ঘন্টা।একজন শিক্ষার্থীর যেতে-আস্তে সময় লাগে ১ ঘন্টা।আমার এক বন্ধু আছে,ওর যেতে-আস্তে লাগে ৫ ঘন্টা।তারপর প্রতিদিন ২টা করে কোচিং ক্লাস বা টিচার/প্রাইভেট ক্লাস এর জন্য ১.৩০ঘন্টা+১.৩০ঘন্টা=৩ঘন্টা।যেতে-আস্তে সময় লাগে ১-১.৩০ ঘন্টা।তাহলে মোট ঘন্টা দাড়াল ১১-১২ ঘন্টা।একটা মানুষের ঘুম দরকার ৬-৮ঘন্টা।তাহলে মত গেল ১৮-২০ ঘন্টা মত।বাকি থাকে ৪ ঘন্টা।বাড়িতে থাকতে,খাওয়া-দাওায়া,পড়াশোনা,গোসল,পরিবার এর সাথে গল্প,টিভি দেখা।আর আনুসঙ্গিক কাজ করতে লাগে আরো বেশি সময়।কিন্তু ২৪ ঘন্টায় একদিন......!!৩৪ ঘন্টায় নয়......!!

আমরা সবাই জানি সব মানুষের ভিতর আলাদা আলাদা প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।এবং তা নিয়মিত চর্চা করা অবশ্যই দরকার।এইতো কইদিন আগে আপনারা একটা টিউনে লক্ষ্য করেছেন যে ''স্টিভ জবসন'' একটা ইউনিভার্সিটিতে তার বক্তব্যে বলেছিলেন সবাই যেন নিজের প্রতিভা কে খুজে বের করে।এবং সেই কাজই তিনি করতে বলছেন যে কাজের জন্য তারা উপযুক্ত।

তাহলে আপনার-ই বলুন ১ম-১২ম শ্রেনী পর্যন্ত আমরা এতগুলা বই মুখস্ত করে আসছি।কোন কিছু আধা বুঝি তা আরেকটা আধা বুঝে আসছি।ক্লাসের স্যারদের ফালতু বক বক লেকচার শুনে আসছি,যা আমাদের বাস্তব জীবনে কোন প্রয়োগ নেই,কাজে লাগে না, টিচারদের বাসায়/কোচিং-এ দৌড়া-দৌড়ি করি তাহলে আমাদের সেই সমায়টা কোথায় যখন আমরা আমাদের প্রতিভার চর্চা করব?

ক্লাসের মাঝে তো mental আর physical torture তো আছেই।এখন ও ভাল ভাল নামি-দামি স্কুল কলেজে্র ক্লাসে এইসব হচ্ছে।আবার অনেক স্যারদের কাছে প্রাইভেট না পড়তে গেলে পরীক্ষার খাতায় ঠিকমত নম্বর দেন না।এইসব শিক্ষার নামে দুর্নীতি।।আবার আমাদের দেশের নতুন একটা ঢ়ং হইতাসে চুল নিয়ে।চুল একটু বড় হলেই একটা ছাত্রের উপর শারিরীক এবং মানসিক অত্যাচারের শেষ থাকে না।একজন শিক্ষক কি এইসব চিন্তা করেন না??যে তাদের এই ধরনের আচরন একটা শিক্ষার্থীর উপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে?কে জানে?

আমরা তো সবাই রোবট এর মতো হয়ে গেছি।এখন পর্যন্ত ssc hsc পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক টিচার এর কাছে যেতে হয়, অনেক কোচিং সেন্টারে যাওয়া লাগে।টিচার-কোচিং এর বেতন তার উপর স্কুল-কলজের বেতন তো আছেই।কিন্তু উন্নত বিশ্বে প্রাইভেট-কোচিং পড়ানোর কোন সিস্টেম নাই।তাহলে ঐ সব জায়গার মানুষ কি শিখছে না?পড়া-লেখা সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের মানুষেরা করে না।স্কুল-কলেজ থাকতে আবার কোচিং কিসের?কিন্তু ক্লাসে এ কত-টুকু শিখানো হয়?আপনারাই বলুন।আপনার পরিচিত জনেরা,এমন কি আপনি নিজেও প্রাইভেট পড়ছেন,কোচিং এ গেছেন।এইটা কি কোন ভাল শিক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়?

বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা দিতে গেলে সাজেসণ্স ও মডেল টেস্ট এর জন্য এক গাদা টাকা-পয়সা লাগে।এইগুলার নাম কি শিক্ষা?কোন গরিব মানুষের পক্ষে কি সম্ভব এত টাকা পয়সা জোগাড় করা?তা-ছাড়া আমরা ভাল করেই জানি বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার আগে ফ্রম ফিলাপের সময় অবৈধ উপায়ে নানা রকম হিসাব দেখিয়ে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।প্রথম আলো পত্রিকায় প্রায় এক-দেড় বছর আগে এই নিয়ে একবার মেইন হেডলাইন হয়েছিল......।তাই আমি বলি---''ডাক্তার-এর ছেলে ডাক্তার হয়,ইন্জিনিয়ার এর ছেলে ইন্জিনিয়ার হয়।কিন্তু একজন গরীব রিকশাওালার ছেলে কোনো সময় ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হতে পারে না।

আমাদের দেশে যে বয়সে ছেলেরা video games খেলে অন্য দেশে সেই বয়সে ছেলেরা গেম বানায়,সফটয়্যার বানায়,কোনো প্রোগ্রামে এ ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে পারে।তারা কি লেখা পড়া করে না?তাহলে আমরা কেন পারি না?জবাব আপনারা জানেন।

আমি আপনাদের একটা movier নাম মনে করিয়ে দিব।হুউম...!! 3 idiots...

তবে আনন্দের বিষয় এই যে এর মাঝেও এমন কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা এর মাঝেও নিজদেরকে গড়ে তুলে নেয়।কিন্তু দেশ তো আর কয়-এক জনকে দিয়ে চলবে না।বিশাল জনশক্তি কে উন্নত করে তুলে সবাই এক সাথে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের এই বাংলাদেশকে।

আমি facebook-এ একটা পেইজ খুলেছি।সরকার এর দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য।এই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরির্তন এর জন্য।এই ব্যবস্থার সংস্কা্র প্রয়োজন।জানি হাস্যকর।কিন্তু আমি তা পরিবর্তন করবই।আপনারা ও আমার সাথে আসুন।এত দিন আমরা একটা ভুল পথে চলে এসেছিলাম।আর নয়।আমাদের সামনের ছোট ভাই-বোন যেন আর সেই ভুল পথে না যায়।নানা ধরনের ত্রুটির বিস্তারিত বর্ণনা এবং কিভাবে এর হাত থেকে উপায় পাওয়া যায় এই নিয়ে আমার একটা ব্লগ খোলার ইচ্ছা আছে।খুব শিগ্রী এর কাজে হাত দেব।ইনশাল্লাহ...।।সেই ব্লগে এ সবাই সকল স্তরের মানুষ তাদের নিজস্ব মতা-মত প্রদান করতে পারবে,এবং সরকার এর সাথে যাতে ভাল বোঝাপড়া হয়।আর এই ব্লগ বাংলাদেশ এ প্রথম,শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরির্তনে্র জন্য online movement-এর সবরকম ব্যবস্থাই নেয়া হবে। আপনাদের সবার সাহায্য,সমর্থন,মতামত,আলোচনা,সমালোচনা কাম্য।

আমি টেকটিউনস এর প্রতি কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব তা বুঝতে পারছি না।এইখানে যারা টিউন করেন তারা হচ্ছেন এক প্রকার শিক্ষক।তারা অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন্য জায়গা হতে তথ্য যোগাড় করে আমাদের সামনে উপস্থাপান করেন।যাতে আমরা জানতে পারি।বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বই পড়ে জানার কোন সুযোগ নেই।এই টেকটিউনস থেকে কত কিছু যে জেনেছি,কত জ্ঞান যে আহরন করেছি তার হিসাব সত্যি আমার কাছে নেই।টিউনারদের প্রতি আমার সম্মান রইল।

আর আমি অনেক দিন আগে থেকেই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলাম।কিন্তু ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব বাদে কাওকেই বলতে পারি নাই।আমার লেখার পিছে ২টা ছবির উৎসাহ খুব বেশি। একটি হল ''আমির খান'' এর ''3 idiots'' এবং কিছুদিন আগের ''প্রসেনজিত চ্যাটার্জী''র সারা জাগানো ছবি ''চলো পালটাই''।আমি ছবি ২টার ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম।শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ছবি দুটি বানানো।আশা করি ভাল লাগবে।

3 idoits

''চলো পাল্টাই''

এবং ফেসবুক পেজ-এ লাইক দিন আমারা সবাই একসাথে হবার জন্য

Level 0

আমি শরীফ আহমেদ জনম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 288 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি এইবার বীরেশ্রষ্ঠ মুণ্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস কলেজ থেকে কমারস ssc পরিক্ষা দি্যেছি।কম্পিউটার আমার জীবন সঙ্গী।এর সাথে বলতে গেলে আমার বিয়ে হয়েছে।জীবনে সংগ্রাম করার সময় আমি কম্পিউটারকে কাছে পেয়েছিলাম।ওকে ভাল করে জানার জন্য আমার অনেক চেস্টা আর আগ্রহ।তারই মাঝে এক্তা হল TechTunes-এ আসা।জানব,শিখব যা জানি সাধ্যমত হলে সবার সাথে শেয়ার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই আপনি এত আশাবাদী, শেষে তো ছবিটায় কত ভুল করলেন? আর হ্যা, আমরা পারব, সবাই নিজ নিজ দেশ ক ভালোবেসে কাজ করলেই হবে। আপনার টিউনটি চমৎকার, তবে বানান ঠিক করুন।

    Level 0

    হা হা হা,আপনার বানানের প্রতি এত মাত্রাতিরিক্ত সতর্কতা!!!!

    জ্বী ভাই, ভুল বানান দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বাংলা ব্লগ, কত মানুষ দেখবে, বানান ভুল থাকলে তো খারাপ ধারণা রাখবে।

    Level 0

    আপনাদেরকে আমি একটা ওয়েব সাইটের নাম দিতে পারি যেখানে প্রতিদিন ৫ টি খবরের কাগজ- এর (সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, প্রথমআলো,ডেইলী স্টার) সব চাকুরীর বিজ্ঞাপন পাওয়া যায় সাইটটি হলো http://www.chakrimela.com

    হুউম…। আপনি ঠিক-ই বলেছেন।আমি প্রথম লিখেছি এই কারনে ভুল হয়েছে।তার থেকে বড় কথা আমি একটু বেশী উত্তেজিত ছিলাম।সরি।পরবর্তীতে ভুল না করার জন্য সচেষ্ট থাকব।দয়া করে রেগে যাবেন না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য 😀 @ মিনহাজুল হক শাওন

    ভুল হয়ে গেছে।ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখুন।সামনেরবার আশা করি ভুল হবে না।ধন্যবাদ। 🙂 (^_^) @Mithu Vai

😛

Level 0

বেশ ভাল লিখেছ. আছি তোমাদের সাথে

    আপনারা অন্যদের এই জিনিসটার ব্যাপারে সতর্ক করুন। সবাইকে জানান। ধন্যবাদ।

ভাল লিখেছেন, ড: মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই বিষয়গুলো নিয়ে সুন্দর কিছু লিখা লিখেছিলেন, বিশেষত: মুখস্থ করবার বিরুদ্ধে…তবে এই ব্যাপারে অনেক ভেবে চিন্তে এগুতে হবে। গত দেড় যুগ ধরে আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা/পরীক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে যে পরিমাণ কাটা-ছেড়া হয়েছে, তাতে লাভের লাভ একটাই হয়েছে – কনফিউশন!

শিক্ষা নিয়ে ব্যাবসা যতদিন চলবে, ততদিন আমাদের মনে হয় এই অবস্থার উন্নতি হবে না
আবার আমরা যদি "শিক্ষকতা মহান পেশা" এই বুলি আউড়ে মহত্ত্ব দিয়েই শিক্ষকদের পেট/সংসার চালাতে বলি সেটা হবে চরম হিপোক্রেসী

আমার মতে এই দুটো ব্যাপারে একটা ব্যালান্স আনা প্রয়োজন।
ধন্যবাদ

Level 0

অদৃশ্য ভাইয়ের সাথে একমত। আসলে সবকিছুর মূলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা। আর এ অবস্থার মূলে রাঘব বোয়ালদের দূর্ণীতি আর অদূরদর্শী রাজনীতি। আমাদের দেশে যে সকল পেশার মানুষ ২নং পথে টাকা কামায় তাদের বেতন কম দেয়া হয় বলেই এমন করে। আর বেতন কম, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল বলে।
হুম, ইংলিশ ব্যবহারিক বিষয়। এটা আমি বুঝতে পারি আমার বোর্ড ইংলিশ পরীক্ষা রেজাল্টে। ssc তে বইয়ের উপরে ভালো দখল ছিল। পুরো বই শেষ করে বোর্ডে ইংলিশ এ পাই A গ্রেড। আর hsc তে বইয়ের সাথে তেমন যোগাযোগই ছিল না, বইয়ের অর্ধেকও রিডিং পড়ে শেষ করিনাই। টিভির ইংলিশ খবর,ইংলিশ পেপার,মাঝে মাঝে ইংলিশ কথা বলা আর ইংলিশ গান শোনা। তার বিনিময়ে hsc তে ইংলিশে A+.
থিওরীর চেয়ে প্র্যাক্টিক্যালের গুরুত্ব যেখানে অন্যান্য দেশে বেশি সেখানে আমাদের দেশে প্র্যাকটীক্যাল প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।
সৃজনশীল পদ্ধতি ঠিকই আছে। ভুল হচ্ছে প্রশ্ন করার ধরনে। যতই সৃজনশীল সিস্টেম হোক না কেন, প্রশ্ন এমনভাবে করা হয়, উওত্তর মুখস্ত জানা ছাড়া উপায় থাকে না। আসলে দীর্ঘসময় মুখস্ত সিস্টেমে লেখাপড়া করার ও প্রশ্ন করার রেশ রয়ে গেছে ছাত্র ও টচারদের মাঝে।
ক্লাশে টিচাররা বাজে বকবক না করলে প্রাইভেটে তো আলাদা করে পড়তে আসবে না স্টুডেন্ট রা!!!!

আর জ্যমিতিকে অনর্থক সাবজেক্ট বলা তোমার উচিত হয়নি। এটার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং বা এ টাইপের কোনো সাবজেক্টে পড়তে গেলেই বুঝবে, ভুল হল আমাদের জ্যামিতি পড়ার পন্থায়।
তবে এভাবে লাইক পেজ বানিয়ে বা ব্লগে লেখালেখি করে আমাদের মত কিছু মানুষের টনক নড়াতে পারবে, তবে সরকারের টনক নড়বে না কারণ সরকারী কয়জন লোক এসবের দিকে চোখ রাখে?
তবে পড়ার সিস্টেম একেবারেই জিরো বলা যাবেনা। কারণ এই পড়া পড়েই তো অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে যাচ্ছে,চাকরীও করছে।

    সহমত

    না ভাই।বলে থাকলে ভুল করছি।আর জ্যমিতিকে অনর্থক সাবজেক্ট নয়।তবে যে মেথড-এ আমরা শিখি সেই সিসটেম এর দোষ আমি দিচ্ছি।হুউম…।

    আমি এর থেকে বেশি কিছু করতেও পারবো না।তবে এইটা কেবল শুরু।সামনে নিশচয় সেরকম কিছু করতে পারব বলে আশা করি।আপনি পারলে সবাইকে একবারের জন্য এই ব্যাপারে সচেতন করুন।

    আপনি আমার পুরো টিউন এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন নি।তাহলে আপনি এই কথা টা বলতেন না।

Vai, jibone je kotobar math e fail marsi tar hishab nai. Ekabar pura 0 paisilam!! Ekhon ei higher level (BBA) e aishew notun koira math porte dise. Taro abar sunodor ekta name dise…. ta hoilo "BUSINESS MATH." Amar vai ei desh e r kono asha nai. Je desh er highest position er 2i jon Lady 2i jon greatest liar! BBA ta konorokom shesh korei England e pari dibo. Buk e onek kosto nie kothagula bollam.

    এইটা আপনার দোষ নয় ভাই…।৭ম-৮ম শ্রেনিতে যখন পড়তাম স্যারদের বেতের বারির ভয়ে আমিও অঙ্ক জ্যামিতি মুখস্ত করতাম।পরে নিজের চেস্টায় অনেকিছু শিখতে পেরেছি।তবে ক্লাসের মাঝে থেকে আমরা কেও সেরকম কিছু শিখতে পারছি না।

ভাই তুমি যেটা বলেছ তার সবটুকু ঠিক নয় । তুমি অনেক জায়গায় বলেছ যে এটা পড়ে কি লাভ ,ওটা পড়ে কি লাভ ।একজন রিক্সাওয়ালা ম্যাট্রিক্স এর অংক জানে না, তুমি জানো, তোমার আর তার মধ্যে পার্থক্য কি? আর যেটা বাস্তবায়ন এর কথা বোঝাতে চাচ্ছ সেটা আমদের মত গরিব দেশ এ প্রায় অসম্ভব ।

    না ভাই…।তা নয়।যা আমাদের কাজে লাগবে না তা জেনে কি লাভ?

    আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রিরা সব পারলেও অঙ্ক খুব কম পারে।আমি তো আরো বলি যে বেশি করে অঙ্ক করানো হক।আমি বলব না যে অঙ্ক করে কি লাভ।কিন্তু আনুসঙ্গিক বিষয়গুলার কথা চিন্তা করুন।যা আপনি স্কুল জীবনে শিখেছেন তা কত টুকু কাজে লাগাতে পারেন?

    গণিত একটি বিমূর্ত বিষয় ।
    একে ভাল ভাবে আয়ত্ব করতে হলে মূর্ত করতে হবে অর্থাৎ বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্ক করাতে হবে ।
    কিন্তু আমাদের দেশে এরকম হয়না ।
    তাই গণিতে এ অবস্থা ।

    ঠিক বলেছেন।

মুখস্থ শব্দটা শুনলে আমার ভয় লাগে! কারন মুখস্থ করার ক্ষমতা আমার নেই।
টিউনের জন্য ধন্যবাদ।

    আমকে ধন্যবাদ দিয়ে কি লাভ ভাই।সবার সাথে জিনিসটা শেয়ার করুন।সবাইকে বলুন।জিনিসটাকে এইখানেতেই শেষ হয়ে যেতে দিবেন না।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষার তিনটি স্তর আছে । ১ । জ্ঞান ২। দক্ষতা ৩। দৃষ্টিভঙ্গি/মূল্যবোধ ।
আমরা এখনও জ্ঞানের স্তরেই পরে আছি ।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষার তিনটি স্তর আছে । ১ । জ্ঞান ২। দক্ষতা ৩। দৃষ্টিভঙ্গি/মূল্যবোধ ।
আমরা এখনও জ্ঞানের স্তরেই পরে আছি ।
বাংলাদেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তা বাস্তবতার সাথে মিল কম ।
বিদেশ থেকে ধার করা পদ্ধতি ।

    কিন্তু স্যার আর কত দিন?আমরা যে ডিজিটাল বাংলার স্বপ্ন দেখছি সেইটা কিন্তু এইখানেতেই মুখ থুবড়ে পরে থাকবে।যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়।

    Level 0

    শিক্ষা পদ্ধতি ত্রুটি পূর্ণ,বুঝলাম,কিন্তু আপনি কি এটাও বলবেন যে, বাংলা, শারীরীক শিক্ষা,কৃষিশিক্ষা এগুলা আমাদের লাইফে দরকার হয়নি, তাই এগুলো বাদ দেয়া হোক? এগুলা সম্পর্কে কি ন্যুনতম ধারণাও কি থাকা উচিত নয়?

    আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে বিষয়গুলো আছে তার বেশির ভাগই প্রয়োজনীয় গুটিকয়েক ছাড়া তাও আবার আমাদের দেশের বাস্তবতার নিরিখে ।
    আমাদের যে শিক্ষাক্রম আছে তা দেখলে বুঝা যাবে যে কিভাবে শিক্ষা দেয়া ও কি লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছে ।
    সমস্যা হল শিক্ষাক্রমে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর কথা বলা হয়েছে তা আমরা অর্জন করতে ব্যর্থ হই । এ কারণে আমাদের এই দূরবস্থা ।

Level 0

"যা আমাদের কাজে লাগবে না তা জেনে কি লাভ?" এটাতো টোটালি ভুল আর না ভেবে বলার মত কথা হয়ে গেলো। পড়ালেখা করে কেউ ডাক্তার হয়,কেউ ইঞ্জিনিয়ার,কেউ বা অন্যকিছু। যদি কেউ ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়, এখন তার কি বলা উচিত তাহলে, "আমি কেনো বাংলা পড়লাম,বা আমি কেন কৃষি শিক্ষা পড়লাম,বা কেনো শারিরিক শিক্ষা পড়লাম ?" ইঞ্জিনিয়ারের কি বলা উচিত "আমি কেন বায়োলজী পড়লাম" । শুনো, বায়োলজী বা জীববিজ্ঞানের বদৌলতেই আজ আমরা অনেক ছোট থেকে মাঝারি শারীরীক সমস্যায় অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরাই সমাধান করতে পারি,সে যদি ইঞ্জিনিয়ারও হয়। তুমি কি চাও আমেরিকানদের মত হতে মূর্খ থাকতে বাস্তবে যাদের outknowledge একবারেই নেই। বহির্বিশ্ব সম্পর্কে যাদের কোনো ধারণা নেই। আমি তোমাকে বুঝানোর জন্য আমেরিকানদের উদাহরন দিলাম, জীবনের কমন দিকগুলোতে কিছুটা কমন ধারণা রাখার জন্যই এ সকল সাবজেক্ট পড়ানো হয় যাতে, পরবর্তীতে তোমার গন্ডির বাইরে অর্থাৎ তোমার সাথে রিলেটেড না এমন কোনো সমস্যা হলেও যেনো সে সমস্যার কারণ,ধরণ এসব বুঝতে পারো। তুমিতো শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা করতে গিয়ে শিখার বিষয়গুলোরই বিরোধিতা শুরু করছ,দুইটা দুই জিনিস। হয়তো বুঝতে সময় লাগবে,কিন্তু পরে ঠিকই বুঝবে। তবে আমি শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা নিজেও করি।

    আপনি কেন আমেরিকানদের মুর্খ বললেন আমি কিছুতেই বুঝলাম না।আর কেন আমাদের বাঙ্গালিদের এক-একজনকে বিদ্যার কেশবনাথ বলছেন সেইটাও বুঝলাম না।

    বাংলা পড়ে আমাদের জীবনে কি কাজে লাগে সত্যি এইটা আমি এখন ও বুঝতে পারি নাই।আমার বড়-ভাই বোন যারা এখন ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার এবং ভার্সিটিতে পড়া লেখা করছেন তারা আমার সাথে একমত হয়ে বলেছেন আসলেই সেইগুলো শিখে তাদের কোন কাজেই আসে নাই।শুধু শুধু মুখস্ত করেছিলাম আর এডমিশন টেস্ট দেবার সময় কাজে লেগেছিল।ব্যাস এই পর্যন্ত।

    আর বিয়োলোজী-এর কথা বললেন,ক্লাস-এ থেকে কতজনে শিখতে পারে?যা শিখে বেশির ভাগ-ই তো ক্লাসের বাইরে।

    আমি আবারো বলছি বাংলাদেশের বই এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপুর্ন।এর উপযুক্ত সমাধান হওয়া দরকার।

    বই পরে আদৌ আপনি শিখছেন?যা পড়েছেন তা মনে আছে?আপনি হয়ত পারেন।কিন্তু বাকি দশজনের কথা চিন্তা করবেন।কারন এই বিপুল জনগষ্ঠির মাত্র একজনের উন্নতি দিয়ে জাতি বা দেশের উন্নতি হবে না।সব মানুষের উন্নতি করতে হবে।যেমনটা বাহিরের দেশের মানুষেরা করে থাকে।জাপান,আমেরিকা এদের কথা একবার ভাবুন।আমার আর কিছ বলার নেই।

    Level 0

    ভাইয়া,কিছু মনে করোনা,শিক্ষা বা লেখাপড়া নিয়ে তোমার মাঝে অদূরদর্শী চিন্তাভাবনাই প্রকাশ পাচ্ছে। আমি আমার কোন লাইনে বাংগালীদের বিদ্যার কেশবনাথ বললাম ? আমেরিকানদের মূর্খ বলার সাথে তুমি যে একমত হতে পারোনি,এতেই আমি বুঝে গেছি বাইরের ওয়ার্ল্ড সম্পর্কে তোমার ধারণার অভাব থাকতে পারে+তোমার বোধ হয় বই টই পড়ার অভ্যাসও কম(অ-পাঠ্যবই)। যাই হোক, আমেরিকানরা এতটা outknowledge থেকে বিচ্ছিন্ন যে বাইরের জগত,এমনকি নিজের দেশ সম্পর্কে ও তাদের ধারণা নেই। এমনকি তারা তাদের ধর্ম সম্পর্কেও ঠিকমত জানেনা। আমেরিকানদের এ অবস্থা সম্পর্কে পুরা দুনিয়া জানে আর তুমি জানোনা,এটা সত্যিই দুঃখজনক। মুহম্মদ জাফর ইকবালের কোনো একটা বই(নাম মনে নেই,তবে বইটা বিখ্যাত ছিল) তিনি এ বিষয়ে লিখেছিলেন। তারা মূলত IT সেক্টরের জোরেই আজ এত এগিয়ে আছে। তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি তাদের মত হতে চাও কিনা। আর বায়োলজীর কথা বলতেছ, ক্লাশের বাইরে শিখছ। যেখানেই শিখো,এইটাতো বলতে পারোনাই যে, বায়োলজী শেখা অর্থহীন। ভবিষ্যতে তোমার কি একটুও খারাপ লাগতো বলে মনে হয় না, "ইস!!!! চাকরী করছি,বাকরী করছি,আমার বাংলায় কথা বলছি,অথচ আমার দেশের কবি লেখকরা কি লিখেছেন এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই!!!!" বাংলা সাবজেক্ট না থাকলে তুমি নজুল আর রবীন্দনাথ ছাড়া আর কারো নামও জানতে পারতে না, এটা কি বাংগালী হিসেবে তোমার জন্য অপমানজনক হত না? আমার তো মনে হয় তুমি, ধর্ম আর ড্রইং,শারীরীক শিক্ষা,কৃষিশিক্ষা সাবজেক্টও বাদ দিতে চাইবে। শুনো,শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি যে,আজ আমাদের অনেকের বাবা মা এতই ব্যস্ত থাকে যে বাচ্চাদের ধর্মীয় কাজ শিখানোর কোন সুযোগও হয় না,আর এত প্রয়োজনও মনে করেন না,যতটা মনে করেন স্কুল কলেজকে। একটা শিশু বিয়ের বয়স হয়ে যায়,কিন্তু বাবা মা একবার নামাজও পড়তে বলে নাই,এমন অনেক ফ্যামিলি আছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ভুল,সেই সাথে ভুল আমাদের মানসিকতা,তুমি নিজে+তোমার ডাক্তার ইঞ্জিঃ বড় ভাই খালি চাকরী আর টাকা ইনকামের দৃষ্টিতেই পড়ালেখা বিচার করতেছ,জ্ঞানার্জনের দৃষ্টিতে নয়। তুমি কি ভাবছ, ইংলিশ দেশগুলোতে ইংরেজী শেখানো হয় না ?গল্প কবিতা পড়ানো হয় না? পুরাই আজব চিন্তা ভাবনা ?
    তুমি কি বলতে পারবা, ভবিষ্যতে তুমি কি হবে,ডাক্তার,ইঞ্জিঃ নাকি বাংলার টীচার।৩য়টা হলে তো বাংলা জানতে হয়ই। আমি আবারো বলছি শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি আর সাবজেক্ট ত্রুটি এক নয়। তুমি কিন্তু বারবার ২য়টার কথাই বলতেছ।

    ইসস…!! আপনার মত জ্ঞানী বুদ্ধিমান যদি সবাই হত তাহলে দেশের এই অবস্থা সত্যি হত না।

    আপনি কৃষি, শারিরিক শিক্ষার প্রতি জোড় দিচ্ছেন।কিন্তু যারা কৃষি পড়ে ক্লাসে তাদের থেকে গ্রামের একজন কৃষক কৃষি সম্পর্কে ভাল জানে।আর এইগুলা না পড়েও বাস্তব জীবনে থেকে শিক্ষা নেওয়া যায়। মানুষ তো এইগুলা না পড়েও বেচে আছে।আছে না?আমি এইসব বিষয়কে neglect করব না।কিন্তু ভাল একটা সিস্টেমের মাঝে এইগুলা শিখানো হক।যাতে ছেলে-মেয়েদের উপর প্রেশার না পরে।তারা যেন মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারে।

    আজ নানারকম রোগ-বিধি আর প্রতিকার আবিস্কার হচ্ছে কোন দেশে?আর আইটি সেক্টরে উন্নত শুধু মাত্র আমেরিকাতে নয়।সারা পৃথিবীতে আর অনেক দেশ রয়েছে।আর অন্য জাতি নিয়ে আমি কি বলব।আমরা তো নিজেরাই ঠিক না।আমাদের দেশে মানুষের অবস্থা তো ভাল না।সারা দুনিয়া তে যে বিশ্ব-সংস্কৃতি রাজত্ব করছে কারা?আপনি যদি আমেরিকানদেরর মুর্খ বলেন তাহলে আমার আপনাকে বলার কিছু-ই থাকবে না.

    মুহম্মদ জাফর ইকবাল আমার শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ।কিন্তু phd করতে তিনিই আমারিকাতে washingtone-এ গিয়েছিলেন।শুধু তিনি নন।সারা পৃথিবির অনেক মানুষ সেইখানে পড়তে যায়।হা হা হা।আপনার কথা শুনে আমার হাসি পেল।মুর্খদের কাছে সবাই পড়তে যায়।

    Biology সেখা অর্থহিন না।অন্য বিষয় এর মত সব মানুষের-ই Biology প্রতি কিছু সাধারন ধারনা থাকা আবশ্যক।প্রানি এবং জীব দেহের কার্যবিধি জানাটা মোটা মুটি সবার জানা থাকা উচিত।এইটাকে অর্থহিন বলি নাই।

    আপনার কথা আমার সুবিধা লাগছে না।আপনি মনে হয় সাহিত্য চর্চা খুব কম করেন।আমাদের পাঠ্য বইতে কত জন লেখকর কয়টা লেখা রয়েছে?আপনি আমার টিউনটা ভাল করে পড়েন, নাই।যদি আমার কথা না বুঝেন তাহলে মনযোগ সহকারে ৫ বার পড়েন।ঐসব লেখকরা এই কারনেই লিখে গিয়েছেন যাতে আমরা সেইগুলা পড়ে তাদের মন-মানসিকতার,চিন্তা-ভাবনার সাথে পরিচিতি লাভ করতে পারি।সেইগুলা মুখস্ত করার জন্য নয়।

    আজকের হাসপাতালে গেলে রোগির চিকিৎসা করার আগে হাসপাতালে টাকা জমা দেয়া লাগে।তারপর চিকিৎসা।

    আর ভাই ধর্মের কথা বললেন,নিজে ভাল তো দুনিয়া ভাল।তারপর ও বলি,আপনাদের বাসার পাশে মনে হয় না কোন মসজিদ মাদ্রাসা আছে,যার কারনে আপনি ধর্ম বই থেকে শিখতে চান।শিখুন।

    আপনি না বললে ও, এইটাই বুঝাতে চাইছেন যে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন সমস্যা নেই।আমি ভুল বলেছি।যেইখানে সবাই আমার সাথে একমত শুধুমাত্র আপনি,আমার মতা-মত এর বিরুদ্ধে যাচ্ছেন।বুঝতেছি না আপনার কি সমসসা?এইসব পাঠ্য বই আর শিক্ষা ব্যবস্থায় সত্যি সমস্যা রয়েছে এইটা অনেক টিচার এবং স্টুডেন্টরা মনে করছেন।কিন্তু আপনি দেখছি অন্যরকম ভাবে নিচ্ছেন।

    আমার ভাবনা আজব না।আপনার ভাবনা আজব।আশা করি পরবর্তিতে আক্রমনাত্নক ভঙ্গিতে কমেন্ট করবেন না।

    Level 0

    উফফফফ,আমি টায়ার্ড,ভীষণ টায়ার্ড। যে বুঝেনা,তাকে বুঝানো যায়। কিন্তু যে বুঝার চেষ্টা করে না,তাকে কোনোভাবেই বুঝানো যায়না। কথাসর্যস্ব লজিকের চেয়ে তথ্যপূর্ণ লজিক দেয়াই কি ভাল নয়? আমি আমার কমেন্টে "তবে আমি শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা নিজেও করি।" আর "আমি আবারো বলছি শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি আর সাবজেক্ট ত্রুটি এক নয়। তুমি কিন্তু বারবার ২য়টার কথাই বলতেছ।" এই কথা বলার পরেও কেন বলতেছ,আমি "শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি নেই" বলছি? তুমি কি কোন কথাই বোঝো না ?
    ১) কে সঠিক? মুহম্মদ জাফর ইকবাল যিনি নিজে আমেরিকায় গিয়েছেন এবং চাক্ষুষ অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি আমেরিকানদের ব্যাপারে এ কথা বলেছেন নাকি একজন যে নিজে শুধু না জেনে বা আমেরিকায় না গিয়ে নিজের ধারনা থেকেই আমেরিকানদের ব্যাপারে কথা বলেছে। এছাড়া যেখানে যাকের নায়েক নিজেও একই মন্তব্য করেছেন। তোমার কাছে অনুরোধ থাকবে, তোমার যে বন্ধু জাফর ইকবাল স্যারের বইয়ের পোকা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে পার।
    ২) তুমি কি লজিক দেখাচ্ছ নাকি কৌতুক করতেছ তা তুমিই ভালো জান। মসজিদ মাদ্রাসা বাসার পাশে থাকলেই কি মানুষ নিজে থেকে ধর্ম কর্ম সম্পর্কে সচেতন হয়ে নামাজ পড়া শুরু করে দেয় মসজিদে গিয়ে ? এজন্য কি পরিবারের মুরুব্বিদের কি কখনো তাগিদ দেয়া লাগেনা? মানুষ যদি এতটা সৎ হইত তাহলে এত র‍্যাব পুলিশ আর আইনের দরকার ছিল না। আর পরিবারের মুরুব্বিরা যেহেতু ব্যাস্ততা বা উদাসীনতার কারণে ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করেন না(অনেক ফ্যামিলিতে এমনটা দেখা যায়),তাই সেক্ষেত্রে ধর্ম বই থেকেই এই তাগিদ পাওয়া যায়,এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়।
    ৩) মূর্খ কথাটা বিভিন্ন অর্থ বহন করতে পারে। আমি যে অর্থে বলছি তা তুমি বুঝোনি। তাদের বহির্বিশ্ব সম্পর্কে ধারনা বা outknowledge এর অভাব বুঝাতেই আমি এ কথাটি বলেছি।
    ৪) "যে জাতি তার ইতিহাস ঐতিহ্য সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেনা,সে জাতি টিকেও থাকতে পারেনা" এই কথা কি তুমি কখনো শুনোনি ? এগুলো তো মানুষ তার ছাত্রাবস্থাতেই অর্জন করতে পারে বাংলা (সাহিত্য সংস্কৃতি), সমাজ(ইতিহাস ঐতিহ্য) সাবজেক্টের মাধ্যমে। আর এসব সাবজেক্টকে যদি বাদ দাও, তাহলে জাতির অতীতকে লালন করবে কে?
    ৫) হ্যা, এসকল সাবজেক্ট পড়ে লাভ নেই,যখন কেউ চাকরী করার উদ্দেশ্যেই পড়াশুনা করে। তুমিও কি খালি চাকরী করে টাকা আয় করার উদ্দেশ্যেই পড়ালেখা কর?

    আমি mithu ভাই এর সাথে একমত। কারন? কারন বলছি।
    আমি আমার varsity এর mechanics লেকচারার এর কয়েকটা কথা তুলে ধরছি।
    সার যা বলল “আমি dhaka university থেকে পাশ করে phd করার জন্য জাপান যান।সেখানে একটা university থেকে scholarship নেন।তিনি বললেন আমি দেখলাম সেখানে সবচেয়ে ছোট যে project হয় তার খরচ আমাদের একটা university বানানোর সমান।আর মাঝামাঝি মানের একটা project করতে বাংলাদেশ এর বাজেট এর সমান।আর বড় project, তার কথা নাই বললাম।
    শুনতে অবাক লাগছে। মনে হয় গুল মারছি।যেকোন varsity এর একটা স্যার কে জিজ্ঞাসা করলেই হবে।
    আমাদের বই হচ্চে থিওরিকাল আর বিদেশিরা প্যাকটিকাল।সে কারনে আমাদের পড়তে এতো বোরিং লাগে ।
    কিন্তু কি করবেন।যে দেশে ৫০ জন ছাত্রের জন্য একজন সিক্ষক, আর এমেরিকায় ৩ জনের জন্য ১জন সিক্ষক, সে দেশে কিভাবে practical করবেন।যেখানে ভালো কলেজগুলোতে ১০০ জন ছাত্রের জন্য ৫ টা স্লাইড ক্যালিপাস নেই সেই দেশে আপনি practically পড়ালেখা খুজছেন।
    আরেকটা কথা বলি ৫০ জন বিদেশি ছাত্রকে বাংলাদেশ এ পাঠান, challenge করতে পারি তারা ঠিকমত পাশ করতে পারবে না।কারন বাংলাদেশ এর সেই জন্ত্রপাতি নাই।
    আমাদের যদি সেরকম যন্ত্রপাতি থাকত তবে দেখিয়ে দিত আমরা কি জাতি।
    আর বাংলা সাবজেক্ট এর কথা বলেন।world এর এমন কোন দেশ পাবেন না যাদের higher লেভেল এর আগ পর্যন্ত তাদের মায়ের ভাষা নেই।
    আপনি আমেরিকার যাবেন সেখানে higher level এও ইংলিশ লিচারেচি এর উপর পরায়।আমেরিকায় shakespear,john barnadsha এর বই পরায় সেটা কোন পড়ায় কাজে লাগবে।পড়াকে শুধু পড়া হিসেবে নিলে চলবে না।একে নিতে হবে খেলা হিসেবে।আর খেলায় শুধু ৪,৬,আউট থাকলে চলবে না সেখানে নো,wide ও থাকতে হবে।
    আপনি বললেন পরিক্ষার খাতায় মুখস্ত লিখতে হয়, এটা তো আর বই এর দোষ না।এর আমাদের সিক্ষাব্যাবস্থা এর ত্রুতি।
    আপনি চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন আপনি সেই ছোটবেলায় চলে গেছেন,আপ্নি সুর করে পড়ছেন
    “ওই দেখা যায় তালগাছ,অই আমাদের গা,অইখানে বাস করে কানাবগীর ছা……………………)
    দেখবেন আর কখনও বলবেন না বাংলা আমাদের কাজে লাগে না।

    Level 0

    @sabiha: হ্যা, একমত, আমাদের দেশ যে প্র্যাকটিক্যাল এর খরচ নিতে পারবেনা এ তো জানা কথা।
    আর আমিও বলেছি, "ইংলিশ দেশ গুলোতে কি তাদের মাতৃভাষা শেখানো হয়না?" উনি তো জানি না কেন, অকারনেই এ ব্যাপারে কোনো জবাব দেননি। thnaks to sabiha apu, 🙂
    @jonom: তুমি তো তোমার টিউনের কোথাও সরাসরি লেখনি, বাংলা,সমাজ হেনতেন সাবজেক্ট বাদ দেয়া উচিত। তাই তুমি সমর্থন পাইছ। তোমার টিউনে "বাংলা", "অর্থনীতি " এসব শিরোনাম না দিয়ে যদি এমন শিরোনাম দিতে "বাংলা বাদ দেয়া উচিত কারণঃ" ,তাহলে দেখতে কে তোমাকে সমর্থন করত। তুমি যে এসব সাব্জেক্ট একেবারে বাদ দিতে চাও তা শুধু তোমার কমেন্ট গুলোতেই উল্লেখ করছ। টীউনে নয়। আর এতেই বুঝছি, তোমার আসলে ক্ষোভ এসব সাব্জেক্টের উপরে।

    ১।আমি আবারো বলছি যে ''আমি এইসব বিষয়কে neglect করব না।কিন্তু ভাল একটা সিস্টেমের মাঝে এইগুলা শিখানো হক।যাতে ছেলে-মেয়েদের উপর প্রেশার না পরে।তারা যেন মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারে।'' মুক্ত ভাবে চিন্তাকরার জন্য সাহিত্য আবশ্যক।

    ২।মানি যে আমিরিকানরা অনেকে নিজেদের অতীত সম্পর্কে সচেতন নয়।কিন্তু কাওকে মুর্খ আমি বলতে পারব না।আমার নিজের কান-চোখ রয়েছে।আর ঐখানে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয় নাই।তবে আমার অনেক বড়-ভাই ঐখানে থেকে লেখা-পড়া করে।অন্যের দোষ ত্রুটি খুজে বের করার থেকে নিজেদের দোষ ত্রুটি খুজে বের করা ভাল।আর ওদের এই অজ্ঞতার সমাধান নিজেরাই করছে।ওদের এখন অনেক ছবিতে নিজেদের ইতিহাস তুলে ধরে সবাইকে জানানোর চেস্টা করছে।

    ৩।বাংলাদেশে মুসলমান সব ঘরেই নামায পরতে উৎসাহ দেওয়া হয়।অনেকে হয়তো নামাজ পড়া ছেড়ে দেয়।পরে বিয়ে হবার পর,চাকরি হবার পর,বা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর নামায পড়া পুনরায় শুরু করে।আমার মনে হয় না ধর্ম বই পড়লে জাতি খুব ধর্ম শিক্ষিত হবে।আর না পড়লেও খুব ক্ষতি হবে।তবে পড়ানোটাই ভাল মনে হয়।হাজার হোক।মরনের পরেও একটা জীবন আছে।তবে আপনি যদি মনে করেন ঐ টুকু বই পড়ে যে কেও আমাদের ধর্ম সম্পর্কে সব জেনে যাবে তাহলে ভুল করছেন।তাহলে ধর্ম সম্পর্কে এত বই রয়েছে তাহলে সেইগুল পড়বে কে?একটা ছাত্র কতগুলা বিষয় পড়বে?

    ৪।আসলে বাংলাদেশের খুব কম মানুষ-ই লাইব্রেরীতে যায়।যাদুঘরে কে যায় কে জানে। যার কারনে সবাই ঐ পাঠ্য বই থেকে জানার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। একটা ছাএকে আপনি জোড় করে কত বিষয় গিলাবেন?যদি সে সহ্য করতে না পারে?এইটাতে তার কত-টা ক্ষতি হয় জানেন।ইতিহাস জানার জন্য অনেক উপায় রয়েছে।পাঠ্যবইতে সব কিছু পরিস্কার করে দেওয়া নেই।কিন্তু আপনি অনেক উপায় অবলম্বন করে ইতিহাস সম্পর্কে আর ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।আর আমি বলি কি এতো নিজেদের অতীত জেনে কি হবে?নিজেদের ভবিষ্যত গড়ে নেওাটাই ভাল কাজ।না না।অতীত জানব,তবে যতটুকু আমাদের সাধ্যে কুলায়।

    আমি আরো একটা কথা বলি।খুব কম ছেলে-মেয়েরাই হাসি মুখে বই তুলে নেয়।তারা যে কি পরিমান মানসিক চাপে রয়েছে খুব কম মানুষরাই বুঝবে।আমার বোন ঢাবিতে পড়ে।গতকাল ওদের ক্লাসের এক প্রফেসর এই নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।তিনি তার মেয়েটার কথা বলেছেন ,পড়ানোর নামে দিন-রাত সবসময় তার মেয়েকে বই এর মাঝে ঢুবে থাকতে হই।এতগুলা subject কিভাবে একটা ছোট মেয়ে কুলাতে পারবে?

    দেখুন আমি মানি যে কিছু কিছু বিষয় অনেক প্রয়োজন রয়েছে।কিন্তু সবাই সবকিছুতে ভাল নয়।আপনি জোড় করে কাওকে শিখালে সেইটা অত্যাচার হবে।এক এক জন এক এক জিনিসে ভাল।হা আপনার সাথে আমি একমত যে আমি বিষয় বিরধিতা করেছি।কিন্তু আমার এই শেষের কথা গুলা চিন্তা করুন।

    পৃথীবির অনেক বড় বড় মানুষ সবসমায় নিজেদের জানার জন্য এত কিছু করেনি।তারা সেইটায় করেছে যেটা তাদের ভাল লেগেছে। কিন্তু আজ তারা সবার আদর্শ।সবাইকে জোড় করে সবসমায় সবকিছু হয় না।@mithu

    আমি জানি।আমি আপনাদের সবকিছু-ই বলব।আমার আরো সময় দরকার।তথ্য ও প্রমান।তারপর আমি আপনাদের দেখিয়ে দেব যে বাংলাদেশও এইটা বাস্তবাওন সম্ভব।যদি আমরা রাজি হই।কিন্তু যেকনো একজনের বিমুখতা পোষন হলে এইটা অসম্ভব।@sabiha

    Level 0

    আমি বুঝিনা তুমি কথা এত কম বুঝো কেন? আমেরুকানদের outknowledge কম মানে কি তারা অতীত jজজানে না,যে মানুষ কথা উলটা বুঝে তার সাথে কি কথা বলব
    ১) এইসব বিষয় নেগলেক্ট করব না, এই কথা এখন বলছ। আগে নেগ্লেক্ট করছ। আমিও পড়ার সিস্টেমের বিরোধী,একথা তোমাকে বারবার বলছি,কিন্তু তুমি আমার কথার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝোনাই
    ২)নিজের দোষ সবারই খোজা উচিত,তোমারও। তোমার দোষ, তুমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উদাহরন বা কোন তথ্য না দিয়ে কথা নির্ভর লজিক দিচ্ছ। তোমাকে তোমার জাফর স্যারের বইয়ের পোকা বন্ধুর কাছ থেকে জানতে বলার পরও তুমি এটা মেনে খালি নিজের থেকে কথা বলছ। এ ব্যাপারে এরপর আর কোনো কথা থাকতে পারেনা।
    ৩)"বাংলাদেশে মুসলমান সব ঘরেই নামায পরতে উৎসাহ দেওয়া হয়" এই কথা বললে আমি মনে করব তুমি বোকার স্বর্গে আছো। অনেক বাবা মা ই তো ধর্ম কর্ম করার ব্যাপারে উদাসীন তো ছেলেকে বলবে কি? এইখানেও তুমি কোনো উদাহরন বা তথ্য দাওনি,নিজের ধারণা থেকেই কথা বলছ। আমি তো উদাহরণ হিসেবে তোমাকে ১০জন পাব্লিক দেখাতে পারি।
    ৪) এখানেও নিজের উদাঃ বা তথ্য ছাড়া নিজের কথানির্ভর লজিক দিছ। জাদুঘর থেকে ইতিহাস শেখা যায়(তাও পুরা না), সাহিত্য না।
    বেশির ভাগ ছাত্র হাসি মুখে বই নেয় না, কারণ, পড়ানোর সিস্টেমটা তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে, স্কুলে যদি বাংলা বইয়ের একটা গল্পকে অভিনয় করে দেখিয়ে পড়ানোর সিস্টেম থাকত কোন মঞ্চে, তাহলে ঐ সিস্টেমে সবাই বাংলায় আগ্রহ পেত, এভাবে অন্যান্য সাবজেক্টেও প্রয়োজনীয় সিস্টেম অনুসরন করলে সবাই আগ্রহ পেত।
    এখন সকালে ঘুম থেকে ব্যায়াম করলেই কি হবে। যথাযত নিয়মে ব্যায়াম না করলে শরীর বেখাপ্পা ফুলে যায়। শারীঃ শিক্ষা এইজন্যই দরকার।
    আমি আবারো বলছি "তুমি কি মনে কর বাইরের দেশে অনেক কম সাব্জেক্ট" ? মাথা ব্যাথা তাই মাথা কেটে ফেলবে এত বোকা তারা নয়,যেটা তুমি করতেছ।
    আবারো বলছি , "তুমি শিরোনাম চেঞ্জ করে রিপোষ্ট দাও"। শিরোনাম দাও "ধর্ম বাদ দেয়া উচিত কারণঃ "। তারপর দেখো অবস্থা।
    সব চেঞ্জ করবা তো ? আজকের তারিখ মনে রেখো, তুমি সিস্টেম চেঞ্জ করতে পার,কিন্তু কোনো সাব্জেক্টকে অপ্রয়োজনীয় বলে কখনো দাড় করাতে পারবে না, আমি বলে রাখলাম। মাত্র তো কলেজে পড়। তাই অনেক কিছুই তোমার বোঝার বাকি আছে।

    আপনার ফোন নং টা দেন।আমি আপনাকে ফোন করে সব বুঝিয়ে দেব।এইখানে দিতে না চাইলে mail করুন [email protected] আর যদি না না দেন আমার কিছু-ই করার নাই।

Level 0

Darun Brother
Sahomot

    ধন্যবাদ।খুশি হলাম যে আমার চিন্তা-ভাবনা কিছুটা হলেও সঠিক।

ঠিক বলেছেন।

Level 0

Sabiha n Mitu apu apnader sathe ekmot hote parlam na,sorry. VVI – [age Promoth saheber articleta agagora pore niben]
* Napit r doctor er golpo to janen e, Napit o operation korto, r Doctor o operation korto. Duitai operation. Kaj hoito duitatei, ekta thik r arekta bethik. Amader systemtao Napit er motoy, vat amara khay thik e , tobe hat ghuriye :).Eta jodi mone koren valo system to ….
* Engnr r Doctor er kotha bollen na? ha tyri hosse thik e, amar bonduder deksi to kmn doctr hosse ora, oder jiboner ektai target ekon, konomote Semister par kore Kormokhetre jawa. J chikitsha bidda apnara/Govt ra rekesen [eto sohoj r anondodayok je ]sekane e stdy sesh kore Mul takata tulte parlei bache ora, Rogir seba na, nijer seba kore konovabe jibon dharon e ekon real factor.
* "Gronthogoto bidda r por….. " jana ase ofcrs apnader, to
* Krishi bidda kajor e chash kore Kivabe apni ekjon Krisok hoben?
* Sahittoke mukosto kore kivabe Upolobdhi koren?
* Kivabe Kagoj e bose apni Vugol e vougolik hon?
* Kivabe mukosto kore upolobdi na korei ekjon valo Muslim / Hindu hon?
Apnara nijerao Mukosto ekta duniya theke ber hoye eshe chockh khule dekhun, amader koto valo doctor er ovab, koto valo Engnr er ovab, koto bigganir ovab. amader koto kisu backdated hoye gese, Sompod to amader tmn kisuy nei, je medha sokty ase setao jodi Duniyabasider sathe kaje namta na pari to ovab daridro r ondhokar amader samne. Jehetu nijeder sompod kom sehetu international porjay e kajbaj na kora sara r upay deki na.
bidesira apnar sundor mukosto math, literature, religion kisuy dam debe na, tara chaibe <u>Medha, Dokhkhota.</u> konta ani dakaben? Napit marka education?
শরীফ আহমেদ জনম সাহেব তো কমই বলেছেন, আমিতো পুরাই ঘৃনা করি এ ব্যবস্থাকে।আপনাদের কাছে হয়তো কুয়োর ব্যাং এর মতো এ সিস্টেম ভালো লাগছে। একটা উদাহরন দিই,
চ্যাণেলটা ছিল সম্ভবত cctv যাহোক আজ থেকে ৪/৫ বছর আগের কথা, দেখলাম যে টিচাররা বাচ্চাদের (১২-১৩ বছর বয়স সবার) স্কুলের বারান্দায় ডাকছেন, অতপর তাদের একটা বড় বালির স্তুপের সামনে বসিয়ে হাতে খেলনা সাবল, ব্রাশ দিয়ে বসিয়ে দেয়া হলো। বাচ্চারা কিছুক্ষন খুড়বার পর নিচ থেকে ভাঙ্গা কলস, পট বেরীয়ে এলো। উদ্দেশ্য ছিলো পুরাকীর্তি কাকে বলে তা শেখানো। মনে হয়না এরপর আর তাদের কোনো ক্লাসরে দরকার হবে, মাত্র ১০ মিনিটের প্রাকটিকাল ছিরো এটা, আনন্দদায়কও বটে, শুধু ওর শিখেনী, আমিও নতুন একটা ব্যপার বুঝলাম।
আচ্ছা আপুরা, এই প্রাকটিকালগুলোতে কি লক্ষকোটি টাকা যেত? আমার বিশ্বাস সব বিষয়ই এভাবে শেখানো সম্ভব, যদি না পারেন তবে সেটা আপনার পদ্ধতি জানার অভাব।
সবশেসে একটা কথা বলব, বিশ্লেষন করলে বুঝবেন, "Think Globally, Work Locally"

Level 0

Sikhkha khat e amar janamote khub e kom Budjet hoy amader, ar jao samanno kisu hoy tar maximum e prantik porjaye ashe na,

ভাই টিউনটি আমার মনের কথাগুলার সাথে একদম মিলা গেছে। আমারও এই শিক্ষা ব্যাবস্থা একদম ভালো লাগে না।
মাঝে মাঝে মনে হয় সিস্টেমটাকে একটু নিজে হাতে ডিবলপ করি কিন্তু পারিনা। ওই যে কথাই আছে, একা মানে বোকা।
যাই হোক আমার মতো কাওকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
তাহলে চলেন ভাই এই সিস্টেমটাকে একটু উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে করে, যেন সবাই পড়াটাকে একবার দেখেই মনে রাখতে পারে।
মানে অনলাইনে এই শিক্ষা ব্যাবস্থাকে একটু উননতির দিকে নিয়ে যাই………… কেমন হবে !!
আসেন ভাই সবাই এক সাথে হাল ধরি, যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আর স্কুল পালানো না লাগে, পরীক্ষাই যেন আর ফেল না করা লাগে……………………
আর যদি আপনারা কেও এক সাথে না পারেন তবে আমাকে হেল্প করেন।
কেও না করুক আমি এটা করবই……………