আসুন উইন্ডোজ এক্সপি ভার্সনে সেই বিখ্যাত ওয়ালপেপার ব্যবহারের গল্পটা শুনে নিই।

আসসালামু আলাইকুম।

সবাইকে  ফালগুণের অগ্রীম  শুভেচ্ছা। আশা করি প্রিয় প্রযুক্তি সাইট টেকটিউনের  সবাই ভাল আছেন। চলছে ভাষা শহীদ দিবসের মাস। এই ভাষা দিবসে যারা শহীদ কিংবা আত্নত্যাগ করেছিলেন সেইসব সকল শহীদদের জানাচ্ছি সালাম এবং তাদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করি। আসলে ভাষা শহীদ তথা ফ্রেব্রুয়ারী মাসটা হচ্ছে বিশেষত বাংলা ভাষা চর্চার মাস এবং বাংলা ভাষার গুরুত্বতাবোধ।

আসলে পড়াশোনা ও অন্যান্য ব্যস্ততার কারনে টিটিতে তেমন পোস্ট করা হয় না। আর পোস্ট/টিউনই বা করব কি করে! কেননা টিউন করার মত পাকা হাত এখনো তৈরি করত পারি নাই। তবে এখানকার ভাল লেখকদের টিপস/লেখাগুলো অনুসরন করছি।

 

যাইহোক এবার টিউনের মূল আলোচনাতে যাচ্ছি-

 পিসি ব্যবহারকারীর দিক থেকে বর্তমানে এখনও প্রায় ৭৫% ব্যবহারকারি উইন্ডোজ এক্সপি ভার্সন ব্যবহার করছেন। সেই এক্সপির বয়স প্রায় ১১ বছর হতে চললো কিন্তু জনপ্রিয়তা কিন্তু এখনো ভাটা পড়েনি।যেখানে ভিস্তা কোন সফলতার পরিচয় পায়নি।সেখানে এক্সপি ……………এই কথা ভেবেই কিন্তু মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপি ভার্সন এর সেবার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল। এই মেয়াদ ২০১০ পর্যন্ত করার কথা ছিল কিন্তু অনলাইনে গ্রাহকরা অআপডেট করতে পারবেন ২০১২ এর নভেম্বর পর্যন্ত। বলা যায়, এই বছর পর্যন্ত মাইক্রোসফট অনলাইনে একস্পি ব্যবহার কারিদের সেবা দেবে। পরবর্তীতে হয়ত আর সেবা পাওয়া যাবে না।

যাইহোক আমরা যারা উইন্ডোজ এক্সপি ভার্সন ব্যবহার করি বিশেষ করে সার্ভিস প্যাক-০২।তারা পিসি ওপেন করলেই প্রথমত নিম্নরুপ ওয়ালপেপারে সাথে দেখা পান-

উপরের ছিবিটি কি চিনতে পেরেছেন? একজন সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী হলেও এটি চিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে এ ছবিটি হয়ত হাজারবার ভেসে এসেছে আপনার ডেস্কটপে। এবার আরেকটু ভিন্ন ভাবে আসা যাক, আচ্ছা, বলতে পারেন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি কোনটি?

হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দেখা এ ছবিটি হচ্ছে উপরের এই উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার, যেটি বিলিয়ন বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। ঘাসের উপরে নীল আকাশ, আর আকাশে খন্ড খন্ড সাদামেঘ। মাটি থেকে আকাশের অদ্ভুত এক ‘কম্বিনেশন’! উন্মুক্ত মাঠে নীল রং আর উজ্জল আলোর খেলা দেখা যায় এ ছবিটিতে। উইন্ডোজ এক্সপির এ ওয়ালপেপারটি দেখে অনেকেরই ধারণা, ছবিটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে করা হয়েছে, কিন্তু আসল ব্যাপারটি তেমন নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নাপাভ্যালীর একটি পথের ধারে তোলা ছবি যেটি ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার চাক ওরিয়ার (চার্লস ওরিয়ার)। তার তোলা উপরের এই ছবিটি কেবল উইন্ডোজ এক্সপির ওয়ালপেপার হিসাবেই আলোচিত নয়, এর দামের হিসাবেও এটি বেশ আলোচিত। জানা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ছবির তালিকায় এটি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে ওরিয়ার একেবারে জাত ফটোগ্রাফার।

ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ম্যাগাজিনে তিনি দীর্ঘদিন ফটোগ্রাফি করেছেন। এখানে কাজ করার সময়ই ওরিয়ারের ফটোগ্রাফি সুনাম ছড়ায় সর্বত্র। তাঁর এক্সপি ওয়ালপেপারের ছবিটি ক্যামেরাবন্দী করার কাহিনীটিও বেশ মজার। তখন সদ্য ৬০ পেরিয়েছেন। আর এ বয়সেই আবার নতুন একটি প্রেমে পড়েছেন এ জাত আলোকচিত্রী। রোদ্রোজ্জল এক দিনে নতুন প্রেমিকার সঙ্গে নিজেই গাড়ি হাকিয়ে যাচ্ছিলেন নাপা ভ্যালীর পথ দিয়ে। সঙ্গে ছিল তার অতিপ্রিয় ক্যামেরাটি। চারপাশে তখন ঝলমলে রোদ। রাস্তার দুপাশে আঙ্গুর বাগান। রাস্তার পাশেই উচু টিলা। আর টিলায় সারি সারি আঙ্গুর গাছ। টিলা তখন সবুজ ঘাসে ভরে উঠেছে। টানা রোদে অদ্ভুদ রঙ ছড়ায় এ ঘাসগুলো। আর এ রঙ চোখ এড়ায় না চাক ওরিয়ারের। গাড়ি থামিয়ে নামেন তিনি। একটানা বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। নিচে সবুজ ঘাস, আর আকাশে খন্ড খন্ড মেঘ।

নাপাভ্যালীর এ স্থানটি বেশ আকর্শনীয় হওয়ায় এখানে অনেক ফটোগ্রাফারই আসেন, ছবি তোলেন। তবে আকাশের রঙ আর ঘাসের এ অদ্ভুত মিল এর আগে খুঁজে পাননি কেউই। এই প্রথম চাক ওরিয়ারের ক্যামেরায় আলো আর নীলের মাঝে ঘাস আর মেঘের অদ্ভুত চিত্রটি ধরা পড়লো। ছবিটি দেখে বেশ পুলকিত হলেন ওরিয়ার, তবে তখনও তিনি ধারণা করতে পারেনি তার এই ছবিটিই ইতিহাসের একটি উজ্জল অধ্যায় হতে যাচ্ছে। এ ছবিটিই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেখা একটি ছবি। তবে একটি ভালো ছবি তুলে ফটোগ্রাফার যেমন মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটি হয়নি। ওরিয়ারেরর ভাষায়, ‘আসলে আমার নতুন প্রেমিকা তখন আমার সঙ্গে, ছবিটি দেখে বুঝলাম যে একেবারে অর্ডিনারি একটা ছবি এসেছে। তবে বেশিক্ষণ সেটি দেখার সুযোগ হয়নি। ক্যামেরা গুটিয়ে তড়িঘরি করে সেসময় গাড়িতে উঠি।’

ছবিটি তুলে এ নিয়ে আর ঘাটাঘাটি করা হয়নি ওরিয়ারের। এভাবেই বেশকিছুদিন পার হয়ে যায়। হয়ত ছবিটির কথা ভুলতেই বসেছিলেন তিনি। তবে না, এটির কথা আবার মনে করিয়ে দিলো তার এজেন্সি। কোথা থেকে যেন ওরিয়ারের ছবিটি দেখেছেন মাইক্রোসফট কর্মকর্তারা। আর এটি তাদের বেশ পছন্দও হয়েছে, যেটি তারা তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার করতে চায়। আর তাই মাইক্রোসফট কর্মকর্তারা এ এজেন্সির মাধ্যমেই চেয়েছেন ছবিটির মূলকপি। চুক্তি করে ছবিটির স্বত্ব কিনে নেয় মাইক্রোসফট। তবে ছবিটির জন্য ঠিক কত অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে সেটি গোপন রাখা হয়, চুক্তিতেও স্পষ্ট বলে দেয়া হয় যে, টাকার এ অংকটি কেউই প্রকাশ করতে পারবেন না! তবে ধারণা করা হয়, এটিই হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চদামে বিক্রি হওয়া ছবি।

সম্প্রতি ডেইলিমেইল এক সাক্ষাতকার নিয়েছিল চাক ওরিয়ারের। সেখানে তিনি তার এই বিখ্যাত ছবি সম্পর্কে বলেন, ছবিটি তোলার সময় একটুও ধারণা করতে পারিনি যে এটিই হতে যাচ্ছে একটি ‘আইকোনিক ফটো’। বাস্তবতা হচ্ছে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ছবি। এটা যদি বাংলাদেশের কোনো এক গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেখানো হয় তবে সেও যেমন চিনতে পারবে, তেমনি চীনের ব্যস্ত রাস্তায় যদি কাউকে ছবিটি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা এটি কিসের ছবি, সেও এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারবে।’ (স্টোরি টা পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো যে চাক ওরিয়ার বাংলাদেশের কথা বললেন!

বিশ্বের কোটি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারী তাদের কম্পিউটার চালুর সঙ্গে সঙ্গে চাক ওরিয়ারের তোলা এ ছবিটি দেখতে পান। তবে চাক নিজে তার কম্পিউটার চালুর পর এ ছবিটি দেখার সুযোগ পান না, কারণ তিনি ব্যবহার করেন Apple এর Mac, যেটি Apple এর নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমে চলে!

(তথ্যসূত্র- একটি ইংরাজী ব্লগ থেকে)

Level 2

আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই ডোমেইন হোস্টিং কোথা থেকে নিছেন ?

আমিও একটা সাইট ডেভলপ করলাম। বাট আর কয়েকজন থাকলে ভালো হতো। একা একা তো আর সাইট পর্যবেক্ষণ ঠিক মতো করা যায়না! আমার সাইটটা রেজাল্ট অর্থ্যাৎ শিক্ষা বিষয়ক। যদি কেউ আমার সাইট result-bd.com এ আমার সাথে কাজ করেন তাহলে খুবই উপকৃত হবো।

    @মোঃ মাসুদ রানা: হুম আপনার সাইটিও ভাল হয়েছে। আসলে এখন দেখছি সাইট বানানো সোজা বাট রক্ষা করা কঠিন। কেননা, হোস্ট ও ব্যান্ডউইথ কনজাম্পশন করতে গেলেই তো সাইট বন্ধ করা ছাড়া উপায় দেখছি না!! -ধন্যবাদ।

Level 0

আমার ইচ্ছা আছে কিন্তু সাধ্য নাই।

আমিও ভাবিছ খেলাধূলা বিষয়ক একটা সাইট করব

কিন্তু সাহায্য করার কেউ নাই