ইসলাম ও সুদ। সুদ শোষণের হাতিয়ার ও কবিরা গুনাহ।সবাই পড়ুন।খুব দরকারি।আশা করি এই টিউন টি কতৃপক্ষ বন্ধ করে দিবেন না।

আস-সালামু-আলাইকুম।

সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো।কারন কিছুদিন ধরে টেক্টিউন্স এ যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো সেটার অবসান হয়েছে।

আমার এই লেখা টা অন্য যায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি।আশা করি টেক্টিউন্স কতৃপক্ষ এই লেখাটি মুছে দিবেন না।কারন এই লেখাটি প্রত্যেক মুসলমান এর জন্য খুব গুরুতপুর্ন।আমি এই লেখা টি অন্যান্য ফোরাম ও বাংলা সাইট এ পোস্ট করেছি।নিচে দেখুন।পড়ুন এবং আমল করুন।

সুদ শোষণের হাতিয়ার।

আমাদের দেশের অভিজ্ঞতায়ও বিষয়টি খুব স্পষ্ট। নানা কৌশলে সুদখোররা মজলুম মানুষকে প্রলুব্ধ করছে এবং তাদের ভাগ্যোন্নয়ন ও কল্যাণের নামে সর্বস্বহারা করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সুদ সম্পর্কে ইসলামের বিধান অত্যন্ত কঠোর। হাদিসে উল্লেখ আছে, সুদ খাওয়ার পক্ষে ছলছুতা ও চাতুরীর আশ্রয়ের প্রকারভেদে সুদখোরদের আল্লাহপাক হাসরের দিন কুকুর ও শূকর বানিয়ে উঠাবেন। যেমন_ বনী ইসরাইলের এক দল লোক, তাদের জন্য পবিত্র শনিবার মাছ শিকার করা নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও চাতুরির মাধ্যমে মাছ ধরার নিয়তে জলাশয়ের পাশে বড় বড় গর্ত খুঁড়ে রাখত। শনিবার সেই গর্তগুলোতে মাছ জড়ো হতো এবং রোববার তারা তা শিকার করে আনত। এ ষড়যন্ত্রমূলক চাতুরীর জন্য আল্লাহপাক তাদের বানর ও শূকরে পরিণত করে দিয়েছিলেন। একইভাবে সুদ খাওয়ার কোনো ফন্দি-ফিকির আল্লাহর কাছে অজ্ঞাত থাকে না। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। তাকে সহায়তা করা অপর মুসলমানের কর্তব্য। কেউ বিপদে পড়লে অথবা কারোর অর্থের প্রয়োজনে তাকে ধার দিয়ে সহায়তা করা যায়, কিন্তু তার বদলে সুদ গ্রহণ চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ। বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আইয়ুব সুখতিয়ানী (রহঃ) বলেন : ‘তারা আল্লাহকে এমনভাবে ধোঁকা দিতে চায়, যেমন_ কোনো শিশুকে মিথ্যা আশ্বাসে তারা প্রবঞ্চনা দিয়ে থাকে। তারা তা না করে যদি স্বাভাবিকভাবে সুদ খেত, তবে হয়তোবা তাদের শাস্তি কিছুটা লঘুও হতে পারত।’ রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন : ‘সুদের গুনাহ সত্তরটি। তার মধ্যে অপরাধের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন গুনাহটি হলো_ আপন মায়ের সঙ্গে ব্যাভিচারের গুনাহর সমান। আর সবচেয়ে জঘন্য প্রকারের সুদ হলো সুদের পাওনা আদায়ের জন্য কোনো মুসলমান ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি করা বা তার সম্পদ দখল করা।’_তারারানী ও ইবনে মাজা।

এ থেকে উপলব্ধি করা যায়, সুদ কত বড় জঘন্যতম অপরাধ।

সুদ কতটা জঘন্য ও পাপের কাজ তা বোঝানোর জন্য এর সঙ্গে ব্যভিচারের তুলনা করা হয়েছে। ইসলামী বিধানে ব্যভিচার মৃত্যুদণ্ডতূল্য অপরাধ। কিন্তু যারা সুদ গ্রহণ করে তাদের পাপ ব্যভিচারীদের চেয়ে যে বেশি তা বোঝানোর জন্যই এই তুলনা করা হয়েছে।

হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন : রাসূলুল্লাহ (স.) আমাদের উদ্দেশে এক ভাষণে সুদের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেছেন : সুদ থেকে অর্জিত এক দিরহাম পরিমাণ অর্থ ইসলামের দৃষ্টিতে ৩৬ বার ব্যভিচার করা অপেক্ষা গুরুতর অপরাধ। _আবিদ্দুনইয়া, বায়হাকী।

রাসূলুল্লাহ (স.) আরও এরশাদ করেন : ‘প্রকারভেদে সুদের ৭০ প্রকার গুনাহ রয়েছে, তন্মধ্যে সর্বনিম্ন গুনাহ হচ্ছে নিজের মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সমান।’ _ইবনে মাজা, বায়হাকী।

সুদ শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়। সমাজবদ্ধ মানুষের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এ ব্যবস্থা। সুদ এমনই এক প্রথা যা সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টিতে অবদান রাখে। যে কারণে ইসলাম শুধু সুদ গ্রহণকেই অবৈধ ঘোষণা করেনি সুদ দেয়াকেও নিষিদ্ধ করেছে।

হযরত আবু বকর (রা.) বলেন : মূলধনের বেশি গ্রহণকারী এবং বেশি প্রদানকারী উভয়েই দোজখী। অর্থাৎ যে সুদ নেবে এবং যে দেবে, উভয়েই সমান গুনাহগার।

আল্লাহ আমাদের যে কোনো ধরনের সুদ ব্যবসা থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন।

লেখক: খতিব, আল ইসলাহ মসজিদ, নারায়ণগঞ্জ।

ধন্যবাদ।  আমার সকল টিউন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

Level 0

আমি ওমর ফারুক মুকুট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 86 টি টিউন ও 2091 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি মুকুট বলছি ঢাকার মানিক নগর থেকে।ভালোবাসি হাসতে।ভালোবাসি ঘুরতে,গান শুনতে ,ছবি দেখতে। অপছন্দ করি বেশি কথা বলতে।সুদ , সিগারেট ও এলকোহল কে ঘৃণা করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

মাশাআল্লাহ ভালো হয়েছে……….ধন্যবাদ

অনেক ভালো হয়েছে। সুদ যুক্ত ব্যবসা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি সব সময়।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

    Level 0

    আমি দূরে আছি।নিজে দূরে থেকে অন্যজন কে খেতে দেখব কেন?তাই দিলাম।আমি সেই ছোট বেলায় ইসলাম শিক্ষা বই তে সুদ নিয়ে পড়েছিলাম।সেটা মাথায় আঠার মত ঢুকে গেছে।তাই এর থেকে দূরে আছি।শুধু আমি না।আমার পরিবার এর সবাই।

    এর পর বাংলাদেশ এ সুদের কিছু উৎস নিয়ে টিউন করবো।মডারেটর ডিলিট না করলেই হলো।

Level 0

খুব ভাল হয়েছে ভাই, প্রত্যেক মুসলমানেরই এটা পড়া উচিত। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আর ভাই মুসলমান হিসাবে দাড়ি রাখার ফজিলত এবং এর গুরুত্ব কতটুকু তা সহীহ হাদিস থেকে বিস্তারিত লিখে টিউন করলে আমাদের অনেক উপকার হত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ফি-আমানিল্লহ

    Level 0

    অবশ্যই।আপনাকে জানাবো।তার আগে এতটুকু জেনে রাখুন,দাড়ি কামানো কবীরা গুনাহ।মোছ রাখা হারাম(রাখতে পারবেন যদি সেটা কেচি দিয়ে কাটা যায়না এমন হতে হবে)

ধন্যবাদ সুদ সম্পর্কে জানানো জন্য।

Level 0

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। অনলাইন এ ইসলামিক মাসলা জানার জন্য কোনো বাংলাদেশি সাইট আছে কি?
যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আমাকে দয়া করে জানাবেন। E-mail: "[email protected]"

    Level 0

    আপনার জানার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি এই সাইটটি দেখতে পারেন। http://www.alkawsar.com/

    Level 0

    কাল জানাবো।ধন্যবাদ

Level 0

খুব ভালো হোইছে, আপনাকে thanks

Level 0

ধন্যবাদ আপনাকে। ইসলাম বিষয়ক কয়েটি সাইট দেখতে পারেন।
http://www.islamhouse.com
http://www.banglakitab.com
http://www.hadithshareef.org/
http://www.mumenoon.net/bengli/
http://www.bdislam.com
http://www.quraansherif.org

    Level 0

    ধন্যবাদ লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য।কাজে লাগবে।

আমিও সুদ যুক্ত ব্যবসা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি সব সময়।
। খুব দরকারি লেখা। ধন্যবাদ।

ভাই এই দেশে খুব কম মানুষ আছে যারা সুদ ছাড়া bank এ টাকা রাখে 🙁

    Level 0

    আমি আছি।
    DBBL এ সুদ পাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি তাদের কাছে আবেদন করে।এছারা ইসলামি ব্যাংক এ টাকা রাখি।তাই ঝামেলা নাই।কোনো সমিতি তে টাকা রাখিনা।সুদের সাথে সম্পর্কিত কোনো কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করিনা।

যারা সুদি ব্যাংকে চাকুরী করেন তারা তো সূদের সাথে জড়িত তাদের ক্ষেত্রে ফয়সালা কি ?

    স্যার এই ক্ষেত্রে অনেক ব্যখ্যা আছে। অনেক বড় হয়ে যাবে আমি বলতে গেলে। তবে মাসলা অবশ্যই আছে, মুকুট ভাই অথবা আতাউর রহমান ভাই হয়ত সংক্ষেপে বলতে পারবেন।

    ধন্যবাদ

    Level 0

    হুম।সমস্যা হলো সুদি ব্যাংক এ চাকরি করলে যে বেতন পাওয়া যাবে তা হারাম।সমাধান হলো ঃআপনি করতে পারবেন এই শর্তে যতক্ষন পর্যন্ত আপনি অন্য কোনো যায়গায় চাকরি না পান।চাকরি পেলে এই টা অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে।আর যদি আপনি জেনে শুনে চাকরি করেন তবে তার দায়ভার আপনার।
    আর একটা সমশ্যা হলো এই কথা গুলো কাউকে বললে বকা খেতে হয় এবং কথা শুনতে হয়।সে জন্য মাঝে মাঝে জেনেও কাউকে বলতে পারিনা।

    এই তথ্য গুলো আমি আমাদের মসজিদ এর ইমাম এবং একজন কোরআনে হাফেজ এর কাছ থেকে পেয়েছি।এছারা দিগন্ত টিভি তে এরকম উত্তর পেয়েছি,তার মানে হলো এটা সত্য কথা।

    সুদের সাথে সম্পর্কিত চার জন ব্যাক্তিকে আল্লাহ লা-নত করেছেন।
    ১ঃ যে সুদ খায়।
    ২ঃযে সুদ নেয়।
    ৩ঃ যে সুদ হিসাব করে।
    ৪ নাম্বার টা মনে পরছে না।নে জেনে দিলাম না।

মাশাল্লাহ… তবে আপনি নিজে লিখলে খুশি হতাম আরো বেশি 😛

    Level 0

    আপনার কথা অনুযায়ি লেখক এর নাম দিয়েছি।আমি লিখলে ভুল হতে পারে।এই গুলো সেন্সিটিভ ব্যপার তো।ভুল হলে জানান্নাম এ যেতে হবে।তাই কপি করে দিলাম।মনে কিছু নিবেন না।

Level 0

bank থেকে সুদ নিলে কি হবে? bank তো আমাদের টাকা ব্যবহার করে benefit পায়। ওইটার এক অংশ আমাদের কে দেয়। ওইটা ও কি নেওয়া যাবে না?

    Level 0

    এটা সম্পুর্ন হারাম।তারা যে টাকা উপার্জন করে আপনাদের তার ভাগ দেয়।আপনি বাংলাদেশ এর ইসলামিক ব্যাংক গুলো তে টাকা রাখুন।ঝামেলা মুক্ত থাকুন।আর সুদ খেলে কি হয় সেটা উপরেই দেখুন।

    বাংলাদেশ এর ইসলামিক ব্যাংক গুলো নিচে দেখুন।
    1: Islami Bank. 2:Shahjala Islami Bank.3 Exim Bank.4: Social Islami Bank.5: First Security Islami Bank.
    আরো থাকতে পারে।সেটা আমার জানা নেই।

এই লেখাটা ভাই টেক-সংক্রান্ত লেখা নয়। দয়া করে নিজের ও ধর্মের সম্মানহানি না করে রিমুভ করুন। ড্রাফটে নিয়ে নিন।

    Level 0

    আপনাকে একটা কথা বলি।আপনি কি নেগেটিভ কথা ছাড়া কমেন্ট করতে পারেন না?

    আমি টেক্টিউন্স কে অনুরোধ করেছি এই লেখাটি এখানে রাখতে।তাদের জদি কোনো প্রকার সমস্যা হত তাহলে তারা এই টিউন টি রাখত না।

    """""""দয়া করে নিজের ও ধর্মের সম্মানহানি না করে রিমুভ করুন।"""""""""
    আমাকে বলুন আমি আমার প্রিয় ইসলাম ধর্মের সম্মানহানি কোথায় করলাম?মানুষ কে ইসলাম সম্পর্কে জানানো কি পাপ?সেটা টেকি সাইট এই হোক আর যে সাইট এই হোক।আমাকে উত্তর দিন।এই টিউন করে যদি আমার সম্মান হানি হয় সেটা তে আমার কোনো আপত্তি নাই।কারন এই টিউন পড়ে যদি কেউ কিছু শিখতে পারে তবেই আমার কষ্ট সার্থক।

    পারি, যদি সেটা মানসম্মত হয়। আমার পেছনে লেগে কি হবে বলুন? সামহ্যোয়ারে একবার লেখাটা দিন। বুঝে যাবেন কেন বলেছি
    দয়া করে নিজের ও ধর্মের সম্মানহানি না করে রিমুভ করুন,

    আর শুনে রাখা ভাল যে নতুনরা যারা এইসাইটে জয়েন করেছে, তাদের মধ্যে পুরাতন টিউনারদের অসম্মানের হিড়িক লেগেছে। তাই অবশ্যই টিউনার সম্পর্কে জেনে কমেন্ট করা ভাল।
    এই লেখা এখানে সম্পূর্ণ বেমানান। যদি মানানসই হয়েই থাকে এর পরেই আমি টেকটিউন্সকে "অনুরোধ" করে কবিতা ছেপে বসব। সেটা কি ঠিক হচ্ছে? নিজে সিদ্ধান্ত নিন। আর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা না থাকলে পরামর্শ শুনতেই হবে।
    অনেক ভাল টিউনারের লেখা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অপ্রাসঙ্গিক টিউনের কারনে। যেমনঃ কলকাতা
    …ভাল থাকবেন…

    Level 0

    আপনার ভালো লাগেনি দেখে খুব খুশি হলাম।
    আমার টিউন যদি এতই খারাপ হত তাহলে সবাই এত দোয়া আর প্রশংশা করতোনা।সামু তে ইসলাম নিয়ে কোনো লেখা দেয়ার ইচ্ছা নাই।কারন ওইখানে ইসলাম নিয়ে লিখলে যে কমেন্ট আসে সেগুলা দেখলে মনে হয় দেশ আসলের ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিনত হয়ে গেছে।ওই খানে ইসলামি বাঙ্কিং নিয়ে যে তামাসা আর আর দুর্নাম হয় তার কথা আর নাই বললাম।

    আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    আমি সেকারনেই বলেছি। হঠাৎ কেউ এসে বাজে কথা বলা শুরু করলে মারামারি লেগে যাবে। তাই বলেছিলাম ঐকথা

Level 0

মাশাল্লাহ খুব ভাল হয়েছে ভাই । আল্লাহ্‌ আপনাকে রহমত বসিত করুন (আমিন )
এই রকম আরও লেখা আমি আপনার কাছ থেকে কামনা করছি 🙂
হিমায়িত দিহান এর কথা কান দিবেন না 🙁

মুকুট ভাই, খুবই সুন্দর ও চমতকার হয়েছে। আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনার অনেক অনেক মংগল করুন।

সুদের ভয়াবহতা ও পরিণতি সম্পর্‌কে প্রত্যেকে সতর্‌ক হওয়া উচিত ও সাধ্যানুযায়ী অপর ভাইকে সচেতন করা এখন ,বলা যায়, "সময়ের দাবি"।

সুতরাং, অতএব, কাজে কাজেই "নাস্তিক, মুনাফিক ইত্যাদি জাতীয় তথাকথিত মহান(!) ব্যক্তিদের কথায় বিন্দুমাত্র কর্‌ণপাত না করে, আপনি সঠিক পথে এগিয়ে চলুন, ইন্‌শাআল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনার সহায় হবেন এবং এই সাইটেরই ৯৯% ব্লগারদের বা মেম্বারদের অকুন্ঠ সমর্‌থন পাবেন।"

    Level 0

    আপনাদের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো।আশা করি আরো ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।ধন্যবাদ।

(14) মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। (Ar-Room: 39)
27) যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (Al-Baqara: 275)
(28) হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (Aali Imraan: 130)
(29) হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। (Al-Baqara: 278)
31) আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। (Al-Baqara: 276)
(18) অতঃপর যদি তোমরা(সুদ)পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না। (Al-Baqara: 279)
***আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই টিউনটির জন্য।আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন ইনশাল্লাহ।
সুদ হল মানুষের হক গ্রাস করা,আর আল্লার মানুষের হক গ্রাস কারিকে কখনই মাপ করেন্না যতক্ষন পর্যন্ত জুলুম হওয়া ব্যাক্তিটি মাপ না করেন।
**আজকে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন বিপর্যয়ের মুখে তখন একমাত্র ইসলামী সুদ বিহীন অর্থনীতিই টিকে ছিল।তাই আজ সারা বিশ্বই ইসলামী অর্থনীতির প্রতি ঝুকে পড়ছে,আলহামদুলিল্লাহ।
*তাই আসুন আমরা সবাই সুদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখি এবং অন্যকেও সুদের অভিশাপ থেকে বাঁচিয়ে রাখি।আল্লাহ আমাদের সকলের প্রতি সহায় হউন।

    Level 0

    আপনার দেয়া হাদীস গুলো খুব গুরুত্তপুর্ন।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
    আসুন আমরা সবাই মিলে সুদ যুক্ত অর্থনীতি পরিহার করি এবং সুদমুক্ত অর্থনীতি গ্রহন করি।

    আমার দেয়া সব গুলি উদৃতিই পবিত্র ক্বোরানের এখানে হাদিসের কোন কথা নাই।

Level 0

ঝাঝাকুমুল্লাহ্‌! আমাদের উচিত সবসময় এই ধরনের ঈমানী আলোচনা করা তাহলেই তো আমাদের ঈমান তাজা হবে। অনেক ভাল লাগল।

ইসলামিক ওয়েব ডাইরেক্টরির (Islamic web directory) জন্য দেখুন http://www.mumenoon.net/iwd আশা করি আপনি নিরাশ হবেন না; ইসলামিক কিছু খুঁজে পেতে।

Level 0

আপনি অবশ্যই ভালো একটা কাজ করেছেন, আপনাকে সাধুবাদ, আসলে সুধ ভিত্তিক অর্থনীতি এসছে গরিব মানুষকে কুরে কুরে খাওয়ার জন্য আর ধনীদের উত্তর উত্তর সম্মৃদ্ধির জন্য
আমার একটা লেখা আছে সুদ নিয়ে আশা করি মন্তব্য করবেন, আসুন সবাই শুধের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি, আমাদের এই প্রচেষ্টা একদিন কাজে দেবে ইনশাল্লাহ

http://www.sonarbangladesh.com/blog/iamrezaul/19901