দোয়া ও মুনাজাতঃ ১. দোয়া কবুলের অনুকুল অবস্থা ও সময় ২. দোয়া কবুলের অন্তরায়সমুহ ৩. দোয়া প্রার্থনাকারী যা থেকে দুরে থাকবেন, ৪. দোয়া-মুনাজাতের আদাবসমুহ

দোয়া ও মুনাজাত

দোয়া বিশেষ ধরনের ইবাদত। দোয়া যে ইবাদত তা সহীহ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। কোন রাসুল কিংবা অলীর জন্য যেমন সালাত আদায় করা চলেনা, তেমনিভাবে কোন রাসূল অথবা অলীর নিকট (তাদের মৃত্যুর পর) আল্লাহকে ছেড়ে কোন দোয়া চাওয়া যাবে না।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “আল্লাহকে ছেড়ে কাউকে ডেকোনা, যে না তোমার কোন উপকার করতে পারবে, আর না কোন তি করতে পারবে। যদি তা কর অবশ্যই তুমি জালিমদের (মুশরিক) অন্তভূক্ত হয়ে যাবে”। (সুরা ইউনূস, ১০ঃ ১০৬ আয়াত)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যখন কিছু চাও একমাত্র আল্লাহর নিকট চাও, আর সাহায্য চাইলেও তাঁর নিকট চাও”। (তিরমিজি)

দোয়া কবুলের অনুকুল অবস্থা ও সময়ঃ

# আযান ও যুদ্ধের ময়দানে যখন মুজাহিদগন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যান
# আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়
# সিজদার মধ্যে
# ফরজ নামাযের শেষে
# জুমআর দিনের শেষ অংশে
# রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
# দুআ ইউনুস দ্বারা প্রার্থনা করলে
# মুসলিম ভাইয়ের অনুপস্থিতে তার জন্য দুআ করা
# সিয়ামপালনকারী, মুসাফির, মজলুমের দুআ এবং সন্তানের বিরুদ্ধে পিতা-মাতার দুআ
# আরাফাত দিবসে দুআ
# বিপদগ্রস্থ ও অসহায় ব্যক্তির দুআ
# হজ্ব ও ওমরাকারীর দুআ এবং আল্লাহর পথে অংশগ্রহনকারীর দুআ
# পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর মোনাজাত
(সালাত শেষে যে সকল দুআ ও জিকির হাদিস দ্বারা প্রমাণিত)

দোয়া কবুলের অন্তরায়সমুহঃ

# হারাম খাদ্য, হারাম পানীয় ও হারাম বস্ত্র
# সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ বর্জন করা
# দুআ কবুলে তাড়াহুড়ো করা
# অন্তরের উদাসীনতা
# ব্যক্তিত্বের এক বিশেষ ধরনের দুর্বলতা

দোয়া প্রার্থনাকারী যা থেকে দুরে থাকবেনঃ

# আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দুআ করা
# দুআয় সীমা লংঘন করা
# আল্লাহর রহমতকে সীমিত করার জন্য দুআ করা
# নিজের ও নিজের পরিবারের বা সম্পদের বিরুদ্ধে দোয়া করা
# সুর ও ছন্দ সহযোগে দুআ করা

দোয়া-মুনাজাতের আদাবসমুহঃ

# দুআ করার সময় তা কবুল হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দুআ করা
# বিনয় ও একগ্রতার সঙ্গে দুআ করা এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ ও তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচার প্রবল আগ্রহ নিয়ে দুআ করা
# আল্লাহর কাছে অত্যন্ত বিনীত ভাবে ধর্না দেয়া এবং নিজের দুর্বলতা, অসহায়ত্ব ও বিপদের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করা
# দুআয় আল্লাহর হামদ প্রশংসা করা ও রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দরুদ পেশ করা
# আল্লাহর সুন্দর নামসমুহ ও তাঁর মহৎ গুনাবলী দ্বারা দুআ করা
# পাপ ও গুনাহ স্বীকার করে প্রার্থনা করা
# প্রার্থনাকারী নিজের কল্যানের দুআ করবে নিজের বা মুসলিমের অনিষ্টের দুআ করবে না
# সৎ কাজের অসীলা দিয়ে দুআ করা
# বেশী বেশী ও বার বার দুআ করা
# সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় দুআ করা
# দুআর বাক্য তিনবার করে উচ্চারণ করা
# দুআ-মুনাজাতে উচ্চস্বর পরিহার করা
# দুআ-প্রার্থনার পূর্বে অযু করা
# দুআয় দুহাত উত্তোলন করা
# কিবলামুখী হওয়া

Level 0

আমি সমুদ্র। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 77 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুবই সুন্দর টিউন করেছেন । জরুরি জিনিস গুলো জানাবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

…..

Kobe sondor tune.kento kottokon eae tune tt er page a take setai dekar besoy

Level 0

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যখন কিছু চাও একমাত্র আল্লাহর নিকট চাও, আর সাহায্য চাইলেও তাঁর নিকট চাও”। (তিরমিজি)

ভাই…।আপনার এই কথা টি খুব সুন্দর হয়েছে।এই কথার সুত্র ধরে বলছি।তাবিজ এবং হাতের আংটি ও পাথর কিন্তু এটার আওতায় পরে।তাই তাবিজ ,আংটি ও পাথরব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।কারন তাবিজ ,আংটি ও পাথর কিছু দিতে পারেনা।যে দেয় তিনি হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা।

তাই যা কিছুই চাইবেন তা আল্লাহ তায়ালার কাছে চান।

আপনার লেখার জন্ন্য ধন্যবাদ।

    Level 0

    @Mukut ভাই, তাবিজ বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে অবশ্যই একমত। তবে আংটির বিষয়ে একমত হতে পারছিনা। কারন আমি যতদুর জানি নবীজি (সা:) নিজেও আংটি পরতেন। আকিক পাথর। আমাদের মাঝে আংটি নিয়ে একটা বদ্ধমুল ধারনা হচ্ছে যে এটা আদ্ধাতিক কোন একটা ব্যাপার।
    আসলে এটা মোটেই আদ্ধাতিক কোন ব্যাপার নয়। একটা সম্পুর্নই scientific. আপনি যদি Science এর student হয়ে থাকেন তবে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে, অন্য বিভাগের হলেও অসুবিধা নেই।
    Light reflection এর ভিত্ততে আংটির পাথর কাজ করে। সুর্যের আলো পাথরের উপর পড়লে বিভিন্ন রকম পাথর থেকে বিভিন্ন frequency এর আলো নির্গত হয়। এই frequency মানুষের brain এ effect ফেলে। অতি সংক্ষেপে এইটুকুই বল্লাম।
    আপনি নিশ্চই এই light Science কে আদ্ধাতিক বা জাদু মন্ত্র বলে উড়িয়ে দিবেন না। এটা যদি scientific না হত আর কাজের না হত তবে নবীজি (সা:) নিজেও নিশ্চই আংটি পরতেন না।

    Level 0

    আংটি তে কেমিক্যাল রিয়াকশন হয়।সেটা আমি জানি।
    আমি সেটা বলিনি।আমি বলেছি যে আংটি কারো ভাগ্য বদলাতে পারেনা।কারো ভাগ্য নির্ধারন একমাত্র আল্লাহ তায়ালা করতে পারেন।

    একটা হাদীস এ পরেছিলাম ্‌, হাদীস টা এমন……এক লোক আংটি পরেছে ভাগ্য বদলানোর জন্ন্য।তখন এক সাহাবী ওনাকে দেখে বললেন যে আংটি টা ফেলে দিতে।কারন যদি লোক্টি আংটি এই মনে করে পড়ে যে এটা তার ভাগ্য বদলে দিবে,তাহলে যতখন ওই লোকটি ওই আংটি তার হাতে পড়ে থাকবে তত খন তার ভাগ্য আরো খারাপ হবে।

    হাদীস টি আমার কাছে নেই।থাক্লে আমি তা শেয়ার করতাম

    Level 0

    হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) আংটি পরতেন কিনা সেটা আমার জানা নাই।কিন্তু আমার বিশ্বাস যে উনি নিজের ভাগ্য বদলানোর জন্ন্যে পরতেন না।জদি এমন হতো তবে সেটা পালন করা আমাদের জন্য সুন্নত হয়ে যেত।

    is that clear?

    ভাই, রাসুল (সাঃ) আংটি পরতেন এই সম্পর্কে সঠিক হাদিস চাই (হাদিস গ্রন্থের নাম + নম্বর সহ)

    ভাল লিখার জন্য ধন্যবাদ, প্রত্যেকটি কাজের সহিত দলিল (অর্থাৎ হাদিস গ্রন্থের নাম + নম্বর) থাকলে আরো ভাল হত, ভবিষ্যতে দলিল সহ আরো লিখবেন আশা করি? আল্লাহ সহায় হউন।

    Level 0

    @Mukut ভাই, ভাগ্য বদলানো কথাটাইতো আদ্ধাতিক আর একটা কুস্কার।
    আমি বলতে চাচ্ছি যে একটা Light Ray, Brain এর উপর effect ফেলতে পাতে আর তাতে অষুধের মত কাজ হতে পারে।
    বিভিন্ন frequencyর Light Ray দিয়ে অনেক রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে আমরা জানি। কিন্তু জনগন মনে করে আংটি মানেই ভাগ্য পরিবর্তন করে বিরাট বডলোক বানায়া দেবে; এই ধারনাটাকে একমাত্র কুস্কার ছাড়া আর কিছুই বলা যায়না।

    আর আমি কোন হাদিস উল্লেখ করতে পারছিনা, আমাকে ক্ষমা করবেন। এটা আমার জানা নেই। আর আমি এটা জোর দিয়ে বলতেও পারছিনা যে নবীজি আংটি পরতেন। কেননা আমি দলিল হাজির করতে পারছি না। আমি মসজিদে খুতবার সময় শুনেছিলাম, এটুকুই শুধু বলতে পারছি।

আসলেই একটা দারুন পোস্ট হয়েছে! ধন্যবাদ ভাইয়া।

    আপনাকেো ধন্যবাদ দেখার জন্য

সুন্দর করেছেন

Level 0

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “আল্লাহকে ছেড়ে কাউকে ডেকোনা, যে না তোমার কোন উপকার করতে পারবে, আর না কোন তি করতে পারবে। যদি তা কর অবশ্যই তুমি জালিমদের (মুশরিক) অন্তভূক্ত হয়ে যাবে”। (সুরা ইউনূস, ১০ঃ ১০৬ আয়াত
আমাদের সবার উচিত একমাত্র আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করা, অনেকে মাজারে গিয়ে অনুপস্তিত ব্যক্তির কাছে দোয়া পার্থনা করে এবং সিজদা দেয় যা অত্যন্ত মারাত্নক অপরাধ। অবশ্য জিয়ারত করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা ভাল।

    Level 0

    ভালো বলেছেন।

    মাজার এ সিজদা দেয়া শিরক।মাজার এ কিছু চাওয়া শিরক।

    মাজার জিয়ারত করবেন ভালো কথা।কিন্তু চাইবেন আল্লাহর কাছে।যে ওখানে শুয়ে আছে তার কাছে নয়।কারন দেয়ার মালিক তিনি নন।দেয়ার মালিক আল্লাহ।সবাই ভুল করে ওই জায়গাতেই।এজন্নই মাজার আমার একদম ভালো লাগেনা।আবার ওই খানে কাউকে কিছু উপদেশ দিতে গেলে মার খেয়ে আসতে হবে।তাই ভয়ে কিছু বলিনা।

      @Mukut: আমাদের দেশের মাজারগুলো আসলেই শিরক-বিদাতের এক-একটা বড় আখড়ায় পরিণত হয়েছে । সচেতন মুসলমান ও আলেম সমাজের এদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ ।নাহলে এরা সাধারণ মুসলমানদের মূর্খতাকে পূজি করে এই ব্যবসা চালিয়েই যাবে ।

Level 0

amar post ti share korar jonno donnobaad..

Er age eae jatio tune tt te takte dekene to tai bolce.cz apnar etai kono site er link nai 2nd eta kono technology bisoek tune na.valo takben.ALLAH apnake outtom jaja dan korok Amin

    keno vai.. techtunes ki ai rokom tune kora mana ache? ami to jani na!!!

অনেক সুন্দর হয়েছে ।

আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

AS-SALAMUALIKUM…. khub valo …..ALLAH amader shobaike valo manush hoar towfik den(amin)…R techtunes er kase ekti abedon —ISLAM name ekti alada bibhag khula hok….Karon amra projuktir pasapasi ISLAM ke jeno shodhik vabe jante pari & Its necessary 4 all muslim—Asa kori shobai amar sathe ekmot hoben….ALLAH-HAFIZ….

খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Level 0

ALHAMDULILLA.nice tune.ALLAH apnake uttom protidan dan koron .

ধন্যবাদ ভাই…….