মহাশূণ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য [মেগা টিউন]

আজ মহাশূণ্যের কিছু তথ্য দিচ্ছি আপনাকে জানতে অনেক আগ্রহী করে তুলতে পারে।
জেনে নিন অবিশ্লেষ্য কিছু বিজ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর ঃ

প্রশ্ন ঃ পৃথিবী ঘুরে কেন ?

পৃথিবী

উত্তর ঃ আজ থেকে প্রায় কয়েক'শ বিলিয়ন বছর পূর্বে এক অতি অতিকায় বৃহৎ বস্তু পিণ্ড থেকে মহাবিশ্বের সকল পদার্থের সৃষ্টি। সৃষ্টি থেকে প্রত্যেক পদার্থই একে অপরের সাথে এক অবিচ্ছেদ্য আকর্ষণ বলে আকর্ষিত। এক পদার্থের সাথে অন্য একটি বস্তুর আকর্ষণকে "মধ্যাকর্ষণ বল" বলে। আর একটি বস্তুর সাথে অন্য একটা বস্তুর টান জনিত force কে "মধ্যাকর্ষণ শক্তি" বলে। একটি বড় বস্তুর সাথে ছোট একটা বস্তুর আকর্ষণ হয় শক্তিমুখী। অর্থ্যাৎ যার শক্তি যতটুকু সে ততটুকুই স্থির থাকার প্রাবল্যতা থাকে। আর অন্যান্যরা বড় বস্তুর সাথে যোগাযোগটা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দিষ্ট অরবিটে একটা গোলাকার কক্ষপথে নির্দিষ্ট বেগে ঘুরে চলে। পৃথিবীও তার ব্যতিক্রম নয়। সৃষ্টি থেকেই স্রষ্ট্রা মেনেই প্রতি ৩৬৫ দিনে একবার সূর্য নামের মাঝারি নক্ষত্রটিকে নির্দিষ্ট একটা বেগে ঘুরেয় চলেছে।

প্রশ্ন ঃ সূর্যের আকর্ষণ সীমা সর্বশেষ প্লুটো পর্যন্ত কেন ?

উত্তর ঃ গ্রহের মর্যাদা চ্যুত বস্তু প্লুটো। আমাদের পালক নক্ষত্রটা মহাবিশ্বের একটা মাঝারি সাইজের নক্ষত্র।
একটা কথা আছে " মুল্লার দৌর মসজিদ পর্যন্ত "। অর্থ্যাৎ কোন বস্তুর শক্তি যতটুকু সে ততটুকুই কেবল রাজত্ব্য করতে পারে। ঠিক তেমনি সূর্যের আকর্ষণ সীমা ততটুকু যতটুকুই সে আকর্ষণ করতে পারে। হয়ত পুরাতন বিজ্ঞানের দৃষ্টি সীমা প্লুটো পর্যন্ত ছিল। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞানের দৃষ্টি সীমা প্লুটোকে ছাড়িয়ে অন্যপথে।
মহাবিশ্বের অসংখ্য তারকার আরালে আমাদের মত জগৎ অসংখ্য। তাদেরকেও একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথ পর্যন্ত কোন বস্তুই সর্বশেষ আকর্ষণ করে। সবারই আকর্ষণের একটা সীমা আছে।

প্রশ্ন ঃ প্লুটোকে কেন গ্রহের মর্যাদা চ্যুত করা হল ?

উত্তর ঃ

প্লুটো আমাদের সৌরজগতের সর্বশেষ বস্তু। নবম এই গ্রহকে খুজতে সময় লেগেছিল ২৫ বছর। ১৯৩০ সালে ক্লাইড টমবাও ফটো প্লেটে এই গ্রহের সন্ধান পান। এটি ৯০,৭০০০ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। প্লুটো আকারে অনেক ছোট। এর কক্ষ পথ হওয়া উচিত ছিল নেপচুনের কক্ষপথের দ্বিগুণ দূরে। কিন্তু এর কক্ষপথ তার থেকেও অনেক কাছে। চলনের একপর্যায়ে প্লুটো নেপচুনের কক্ষপথের ভেতরে দিয়েই চলে যায়। প্লুটোর উপগ্রহ একটি এবং তার নাম "চ্যারন"। তাও আবার প্লুটোর চাইতে অনেক বড়। উপগ্রহ গ্রহের চাইতে বড় হতে পারে না। হয়তো প্লুটোই উপগ্রহ আর চ্যারনই গ্রহ। নয়তো দুইটিই গ্রহ বা উপগ্রহ নয়। এই দুইটি বস্তুই "আন্তগ্রহ"। আর এ ও হতে পারে যে বস্তু দ্বয় একধরণের "ভ্রাম্যমান গ্রহাণু"। কিন্তু এই প্লুটে গ্রহ বলা প্রায় অসম্ভব।

প্রশ্ন ঃ মহাবিশ্বের সূচনাটা কি অলৌকিক ? বিজ্ঞানের উত্তর কি রুপ ?

উত্তর ঃ মহাবিশ্বের পথে প্রান্তরে অজস্র পদার্থ এদিক সেদিক ঘুরা ঘুরি করে। কেউ কক্ষপথে আবার কেউ কক্ষপথ হীন ভাবে। এই সকল বস্তুর উৎপত্তি কি করে হল ?

এটা কল্পনার একটা বিষয়। বিভিন্ন মত বিশ্বাসীদের কাছে এই সৃষ্টি প্রক্রিয়া বিভিন্ন। আগেকার সময়ে ঈশ্বর বিশ্বাসী বা ধর্মান্ধরা বলতেন " ঈশ্বরই এ সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা। ঈশ্বর মানুষের জন্ম দেন একটি স্থির গ্রহে। যার নাম পৃথিবী।" সূর্যের ব্যাপারে কাউকে প্রশ্ন করলে বলত, " সূর্য ভোরে একটা ঘুড়ার গাড়িতে চড়ে ১২ ঘন্টা সময় ব্যাপি পৃথিবীতে আলো দান করে সন্ধ্যার আড়ালে ক্লান্তি দূর করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে বিশ্রাম নিত।" আবার অনেকের মুখে নানান আজেবাজে জিনিস শুনা গিয়েছিল। কার মুখে দেবতা হার্মিসের নাম আর কার মুখে মার্কারী দেবতার নাম।

যাই হোক সৃষ্টি রহস্যটা বিজ্ঞানের কাছে ভিন্ন। বিজ্ঞান বলে " আজ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে এ মহাশূণ্যের সৃষ্টি হয় এক অপার মহা বিষ্ফোরণের ফলে। এই সৃষ্টি প্রক্রিয়া একটা ধীর ক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া সংগঠিত হতে অনেক সময় লেগেছিল। আকাশের ঐ মিটমিট তারা আর অন্যান্য সকল পদার্থ ছিল সে সময় ঘনিভূত। একটা অতিকায় বৃহৎ বস্তু পিণ্ড। উত্তপ্ত ঐ বস্তুপিণ্ডে তাপের ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে ঐ বস্তুটি তাপ সহ্য করতে না পেরে মহা এক বিষ্ফোরণের সহিত চুরমার হয়ে যায়। এই বিষ্ফোরণকে বিজ্ঞানের ভাষায় "বিগ ব্যাং" বলে। ঐ বিষ্ফোরণের ফলেই বিচ্যুত বস্তু গুলো তাপ বিকীরণ করে গ্রহ,উপগ্রহ,নক্ষত্র,ধুমকেতু ও গ্রহাণুতে রুপান্তরিত হয়।"
-এটাই বিজ্ঞান ভিক্তিক সৃষ্টি রহস্য।

প্রশ্ন ঃ মহাবিশ্বে কি কোন বিষ্ময়কর বস্তু আছে ?

উত্তর ঃ মহাবিশ্ব নামটায় বিষ্ময়কর। এতে অপার রহস্যে ভরপুর। তাই অনেক বস্তুই আছে যেগুলোকে বিশ্বাস করা অতি কঠিন।
বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডের অসীম সীমায় বিজ্ঞানীরা এমন কিছু পদার্থের সংজ্ঞা পেয়েছেন যে গুলো চিন্তা করায় অকল্পনীয়।
এর মধ্যে সব চাইতে ভয়ংকর ও রহস্যময় হল "ব্ল্যাক হোল"।

ডিস্কভারী চ্যানেলটা আমাদের কাছে কম বেশি পরিচিত। ডিস্কভারী চ্যানেলের একটি প্রোগ্রামের নাম 'Curiocity'। এখানে একবার সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে একটা ইপিসোড দিয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল যে, " এমনো কিছু আপেক্ষিক পদার্থ রয়েছে যে গুলো বাস্তবিক কোন নিয়মের বাহিরে। আকাশে তাকালে আমরা কেবল বিন্দু বিন্দু আলোকেই দেখি। কিন্তু অজস্র দূর দূরান্তের পথে প্রান্তরে এমন অদ্ভুদ নিয়ম রয়েছে যেগুলো একপ্রকারের অলৌকিক বলা চলে।"

পৃথিবীর বহিরাবরণে আমরা কেবল গাছ গাছালি আর লতাপাতার প্রকৃতিতে জন্ম নিয়েছি। এই স্বাভাবিক নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে থাকার কারণে আমরা অস্বাভাবিক কিছুকে সহজেই উপলব্ধি করতে পারিনা। এটা আমাদের এক প্রকার দূর্বলতা।
ব্ল্যাক হোলের কথা সামান্য বিশ্লেষণ করি।

ব্ল্যাক হোল এমন একটা জিনিস যার মধ্যে সময় অচল। পদার্থের অতিঘনিভূত অবস্থার নাম ব্ল্যাক হোল। যদি পৃথিবীকে চাঁপ দিয়ে একটা গল্ফ বলের আকারে ছোট করা যেত তবে গল্ফ বলটি ব্ল্যাক হোলের একাংশ হত। এখন কল্পনা করুন ঐ গল্ফ বলটির মধ্যাকর্ষের টান কতটুকু হবে অর্থ্যাৎ এর ওজন কতটুকু হবে। আরও এমন একপ্রকার বিষ্ময়কর গ্রহ রয়েছে যে গুলো ভ্রাম্যমান। মহাবিশ্বের কোন নিয়মই এরা মানে না। এরা কক্ষপথ চ্যুত হয়ে এরকম ভব ঘুরে বেড়ায়। বিষ্মের ভিক্তিতে আরও অনেক প্রোসেস এবং অনেক পদার্থ রয়েছে। যেমন, ডার্ক ম্যাটার, অ্যান্টি ম্যাটার, হুয়াইট হোল, ওয়ার্ম হোল, সোপারনোভা, হাইপারনোভা, ওয়াইট ডিওয়ার্ফ, কেরিজ, কমেট, গ্যালাক্সী, গ্রহাণু ইত্যাদি।

প্রশ্ন ঃ মহাবিশ্বে গণনার ক্ষেত্রে কি কোন একক আছে ?

উত্তরঃ অবশ্যই। আমরা যেমন দূরত্ব আয়তন গণনা করতে কি.মি. ও ঘন মিটার ব্যবহার করি ঠিক তেমনি মহাবিশ্বে গণনার জন্যও একক আছে। তবে কিলোমিটার বা ইঞ্চি,ফুট, গ্যালন নয়। এই একক গুলো অনেক বড় মাপের। নিচে এসম্পর্কে কিছু আলোচনা করছি।

তারাদের দূরত্ব নির্দেশের জন্য সবচাইতে ছোট একক হচ্ছে "আলোক বর্ষ"(Light Year)। আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেই অতিক্রান্ত দূরত্বই হল আলোক বর্ষ। আলোক বর্ষ সময়ের একক নয়। এটি দূরত্বের একক।
1 আলোক বর্ষ = 10^16 মিটার অর্থ্যাৎ ৬ মিলিয়ন মাইল। সূর্য আমাদের কাছ থেকে ৮ আলোক মিনিট দূরে আছে।
আলোকবর্ষের চেয়ে বড় একক হল 'পারসেক'(Persec) সংক্ষেপে 'PC'। পারসেকের পূর্ণ নাম 'প্যারালাক্স অফ ওয়ান সেকেন্ড অফ আর্ক'। ৩.২৬ =১ পারসেক। পারসেক থেকে বড় মাপের একক হল "কিলোপারসেক", "মেগাপারসেক", "গিগা পারসেক" এবং সর্ববৃহৎ 'ট্যারা পারসেক '।

প্রশ্ন ঃ তারাদের প্রভা সম্পর্কে কি কোন শ্রেণী বিভাজন আছে ?

উত্তর ঃ চমকপ্রদ মহাশূণ্যে আলোকীয় বস্তুই বেশি। তাই অবশ্যই এর শ্রেণীবিভাগ থাকবে।
সাধারণত আমরা একটা তারাকে যতটা উজ্জ্বল মনেকরি সেটাকে 'অ্যপারেন্ট ব্রাইটনেস' বলে। আর উজ্জ্বল্য তারাদের একসাথে যে উজ্জ্বলময় মনে হয় সেটাকে ধ্রুব প্রভা বা 'অ্যাবসোলুইট ব্রাইটনেস' বলে।

তবে উজ্জ্বল্যতা সম্পর্কে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৩০ অব্দে ১০০০টি তারার প্রভা মেপেছিলেন হিপ্পারকাস।তিনি তারাগুলোকে অ্যাপারেন্ট ব্রাইটনেস অনুসারে ৬টি শ্রেণীতে ভাগ করেন। সর্বোচ্চ উজ্জ্বল, এর চেয়ে কম উজ্জ্বল, এর চেয়ে কম উজ্জ্বল একটা পর্যায়ক্রমিক প্রভার শ্রেণীবিন্যাস তৈরী করেছিলেন।পরবর্তিতে শ্রেণী বিন্যাসকে সাজান একটু ভিন্ন মানের মাধ্যমে।উজ্জ্বল তারার প্রভা স্থির করা হয় ০.০ (শূণ্য)। বেশি প্রভাময় তারাকে ঋনাত্মক মান পাই। যেমন, সূর্যের উজ্জ্বল্যতা -26.5 প্রভা, চাঁদের প্রভা -12.5, অভিজিৎ বা ভেগার প্রভা 0.।চিত্রা বা স্পাইকার প্রভা 1.0। আর সবচেয়ে প্রভাময় তারা লুব্ধক বা সিরিয়াসের প্রভা -1.4।

আর দ্বিতীয় প্রভাময় তারা অগস্ত্য বা ক্যানোপাসের প্রভা -0.7। তারার আলোক বর্ণালী ছট্টার উপর ভিক্তি করেও এর শ্রেণী বিন্যাসও আছে।এদের স্পেকট্রামের অবস্থা দেখেই আমরা তারাটির বায়ুমণ্ডল, উপরপৃষ্ঠ, ভেতর অংশের বিবরণ জানা সম্ভব।
সবচেয়ে গরম তারাগুলোকে বিন্যস্ত করা হয় O Class এ। এগুলোর তাপমাত্রা 40000 কেলভিন বা তার বেশি। এদের রং নীলতম। তারপরের শ্রেণীটার নাম B Class, এদের তাপমাত্রা 18000 কেলভিন ও রং নীলাভ। এরপরবর্তী A Class তারা। এদের তাপমাত্রা 10000 কেলভিন এবং রং নীলাভ সাদা।

পরবর্তী F Class তারা রয়েছে। এদের মধ্যাকার তাপমাত্রা 7000 কেলভিন এবং রং সাদা। G Class তারাদের তাপমাত্রা 5500 এবং এদের রং হলদে সাদা। পরে K Class তারার স্থান। এদের তাপমাত্রা 4000 কেলভিন ও রং কমলা। সর্বশেষ M Class তারাদের মধ্যাকার তাপমাত্রা 3000 কেলভিন এবং এগুলো সবচেয়ে লাল। মহাবিশ্বের 99% তারায় M Class এর।
আমাদের সূর্য কোন শ্রেণীর তারা ? @ আমাদের সূর্য G2 শ্রেণীর তারা।

প্রশ্ন ঃ গ্যাসীয় মেঘ(Gass Cloud) বা ধূলিমেঘ(Dust Cloud) কি ?

উত্তর ঃ রাতের আকাশে বিন্দু বিন্দু অজস্র আলো দেখা যায়। যারা হলেন নক্ষত্র। এক বিন্দু আলো থেকে অন্য এক বিন্দু আলোর দূরত্ব অনেক। যে গুলো আমাদের কাছ থেকে কোটি কোটি মাইল দূরে আছে বলেই আমরা এত বড় সীমার দূরত্বকে কাছের মনে করি।এত বড় সীমার মধ্যে কি আছে ?
অবশ্যই গ্রহ কিংবা খালি স্থান। গ্রহ বা অন্যান্য পদার্থ থাকলে তো আর প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু খালি জায়গাটার জন্য উঠে আসে প্রশ্ন।

ঐ খালি জায়গাটাকে গ্যাসীয় মেঘ বা ধূলি মেঘ বলে। ঐ মেঘের ৭৫% ই হাইড্রোজেন, ২৪% হিলিয়াম এবং বাকি ১% কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন সহ অন্যান্য গ্যাস।

ধন্যবাদ

Level 3

আমি সুরজিত সিংহ সৌর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

একজন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রেমী... :)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধারন।অনেকদিন পর একটা টিউন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লাম।অনেক ভালো লাগলো।

অসাধারন।

আমরা এতটুকু দেখেই অবাক হয়ে যাই অথচ আল্লাহ বেহেস্তে আমাদের জন্য এর থেকেও বেশি এবং আশ্চর্য জিনিস রেখে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ আপনাকে।
বিজ্ঞান খুব ভাল আবার খুবই ভয়ঙ্কর। হয়তো আজ আমরা জা শিখছি আমাদের বাচ্চা রা এতা পরে হাসবে আর চিন্তা করবে আগের সময়ের মানুষের Memory এতো Limited ছিল কেন?
এখনকার মানুষের বয়স সীমা খুব কম যার ফলে যা শিখলাম তার Implementation/ resulte পৌছতে গিয়ে দেখা যায় বয়স শেষ। বিষেশ করে মহাকাশ এর মতো Vast Knowledge এর ক্ষেত্রে।
সহমত To মুকুট।
তারপরেও আমি বিশ্বাস করি এই মহাজগৎ এমনি এমনি হয় নাই। অবশ্যই একজন বানাছে। এবং এমন একজন বানাইছে তার প্রতি চিন্তা করার ক্ষমতা আমাদের বিন্দু মাত্র নাই। এতটুকু ক্ষমতা যদি আমার থাকতো তাহলে বিলিয়ন গ্রহের কতক গ্রহে থাকতো আমার অবাধ বিচরণ।

পৃথিবী ঘুরে কেন? পৃথিবী আসলে ঘুরে নাকি অন্যকে ঘুরাই। আমার একটা প্রশ্ন পৃথিবীর ওজন বেশি নাকি সূর্যের ওজন বেশি? আপনার পৃথিবী একটা বায়ুবীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত। কিন্তু সূর্য একটি জলন্ত অগ্নিকন্ড। যার ওজন বেশি সেই তও অন্য কে নাড়াতে পারে তাই না?

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছে, পৃথিবী স্থির। এটা নাড়াচড়া না করার জন্য তিনি পাহাড় সমূহকে পেরাক হিসেবে স্থাপন করেছেন। অথচ এই আজ থেকে 1400 বছর আগে পৃথিবীর স্থিরের কথা বলা হয়েছে। আপনার কোরআনের এই বানী গবেষনা করুন। আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করবেন।

বৈজ্ঞানিক থিওরী কিছু দিন পর পর পরিবর্তন হয়ে যায়। এক বিজ্ঞানী একটি থিওরী আবিস্কারের ফলে আরেক বিজ্ঞানীর থিওরী বিলুপ্ত হয়ে যায়/ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। কারণ তারা বলে অনুমান করে।
আর আমরা তাদের মিথ্যা থিওরীকে সত্য রূপ দেওয়ার জন্য কত হাজার রকম যুক্তি দিয়ে থাকি।
যারা গবেষনা করেন তাদের প্রতি অনুরোধ আল্লাহ আপনাদের গবেষণা করার শক্তি দিয়েছেন আপনারা বিজ্ঞানীদের থিওরীর পাশাপাশি কোরআনকে নিয়েও গবেষনা করেন। আপনাদের জানার জন্য “পৃথিবী নই সূর্য ঘুরে” নুরুল ইসলাম বিএসসির বইটি পড়ার সকলকে অনুরোধ করছি।

Level 0

iftikar hossain ভাই, আপনি কি বললেন এসব, আমার মাথায় কিছুই ঢুকল না। আপনি যে সব থিওরি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন, তার অনেক গুলই আজ অকাট্য প্রমাণিত। Comment এর শুরুতেই আপনি যে প্রশ্ন গুলো করলেন, বিজ্ঞান তার সব গুলোরই Answer দিয়েছে। তবু আপনার দাবি পৃথিবীর চার পাশে সূর্য ঘোরে। কোন যুক্তি দিলেন না। একটা বই এর কথা বললেন, লেখক এর কথা বললেন। লেখকের পরিচয়টা যদি দিতেন, বইটা পড়ার আগ্রহ বোধ করতাম ।

আপনার টিউন টা পড়ে ভালো লাগল। এরকম টিউন করার জন্য ধন্যবাদ। তবে টিউনের কয়েকটি জায়গায় কিছু information সম্ভবত ভুল আছে। যেমন…

১. আপনি লিখেছেন, “প্রায় কয়েক’শ বিলিয়ন বছর পূর্বে এক অতি অতিকায় বৃহৎ বস্তু পিণ্ড থেকে মহাবিশ্বের সকল পদার্থের সৃষ্টি”। কিন্তু এক অতি অতিকায় বৃহৎ বস্তু পিণ্ড থেকে না হয়ে হবে অতি ক্ষুদ্র এবং অসীম ভরের বস্তু থেকে।

২. “এক নক্ষত্র থেকে আরেক নক্ষত্র এর মাঝে যে জায়গা আছে তাতে গ্যাসীয় মেঘ বা ধূলি মেঘ আছে। ঐ মেঘের ৭৫% ই হাইড্রোজেন , ২৪% হিলিয়াম এবং বাকি ১% কার্বন , নাইট্রোজেন , অক্সিজেন সহ অন্যান্য গ্যাস ।” কিন্তু আপনি যে উপাদান গুলোর কথা বলছেন সেগুলো হচ্ছে সূর্যের উপাদান , মহাকাশের ফাকা জায়গার উপাদান নয়। প্রকৃতপক্ষে মহাকাশের ফাকা জায়গা গুলোতে কিছু নেই। তাই তাদেরকে বলে মহাশুন্য(0).

সবশেষে আপনাকে আবার ধন্যবাদ অনেক ভালো একটি টিউন করার জন্য।

    জনাব সন্ধেহ উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ । 1. অতি বৃহৎ নয় বরং ক্ষুদ্র ভরের অতি ঘনিভূত অবস্থা হবে । এটাকে Singularity বলে । আমি লেখতে ভুল করেছি এটা ঠিক আছে ।
    2. দ্বিতীয় যে তথ্যটি ভুল বিবেচনা করেছেন সেটা ঠিক না । এটা আমি পাঠ্য পুস্তক থেকে সংগ্রহ করে লিখেছিলাম ।
    গাণিতিক হিসেবই যদি আমি মনগড়া লেখা লিখতাম তবে আপনাদের জন্য এত বড় কোন টিউন করার প্রয়োজন হত না । যেটার ব্যয়ীত সময়ের মূল্য 0.
    ধন্যবাদ

Level 0

iftikar hossain আপনার সাথে একমত

Level 0

@iftekhar hossain বিজ্ঞান সম্পর্কে আপনার একটা ধারনা নেই বলেই মনে হচ্ছে। আপনার প্রথম প্রশ্ন ভুল। ভর এবং ওজোনের মধ্যে অনেক বড় ধরনের পার্থক্য আছে। সেইটা বুঝার জন্য ক্লাস সেভেনের বিজ্ঞান বই খুলে দেখতে পারেন। এবং আপনার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে সূর্যের ভর পৃথিবীর তুলনায় অনেক অনেক বেশী। সূর্য কোন জ্বলন্ত অগ্নিগোলক নয়। এইটা একটা অনেক বড় একটিভ ফিসন নিউক্লিয়ার রিএকটর।

এবং কোরানের কোন যায়গায় লেখা নেই পৃথিবী স্থির। কোন জায়গায় লেখা নেই পাহাড় পৃথিবীর পেরেক স্বরূপ। বরং কোরানেই প্রথম বলা হয়েছিলো যে পাহাড় নড়াচড়া করে এবং করছে। (জি, আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটি পাহাড় প্রতি ১০০ বছরে ৪ ইঞ্চি পূর্বে সরে যাচ্ছে)

Surah-kahf এর কিছু আয়াতের অর্থ ইহুদীরা বিকৃতি করে আমাদের কোরানকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছে। এদের ফাঁদে পা দেবেন না। যুলকারনাইনকে নিয়ে এক কাব্যিক আলোচনার মুল অর্থকে বিকৃতি করার অপচেষ্টা কখনোই হালে পানি, এবং পালে বাতাস পায় নাই। ইহুদীদের তোরাহ যে ভুয়া এটাতো সবাই জানে। তাই এবার ওঁরা বাকিদের ধর্ম বই ভুয়া প্রমাণের চেষ্টায় নেমেছে।

বিজ্ঞান অনুমান করে না। বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করে। যাই হোক আপনাকে বিজ্ঞান শেখানো আমার দায়িত্ব না। আমি আমার ঈমানের দায়িত্ব পালন করার জন্যই এখানে কমেন্ট করলাম। জাজাকাল্লাহ-খায়ের

Level 0

and to লেখক ধন্যবাদ। দারুন লেখা।

প্রিয় সুরজিত সিংহ (সৌর),

আমি টেকটিউনস কমিউনিটি ম্যানেজার, শোয়াইব,

টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করার জন্য http://techtun.es/2obSQxE লিংকটিতে ক্লিক করে আপনার সাথে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করে আমাদের সাহায্য করবেন আশা করছি।

ছদ্ম ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact পরিহার করে আপনার প্রকৃত/আসল ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact দিন। যেহেতু টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হবে।

সাবমিট করার পর আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই আপনার কাছ থেকে আশা করছি।

বিশেষ নোট: আপনি যদি পূর্বে আমাদের এই ম্যাসেজ পেয়ে ফর্মটি সাবমিট করে থাকেন তবে আর পুনরায় সাবমিট করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনি এখনও আমাদের এই ফর্মটি পেয়ে সাবমিট করে না থাকেন তবে অবশ্যই এখনই সাবমিট করুন এবং সাবমিট করার পর অবশ্যই আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই দিন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

    হ্যালো শোয়াইব ,
    আমি আপনার ফর্মটি সাবমিট করেছি। দয়া করে কারণটি বলুন এখন ।

হ্যালো শোয়াইব ,
আমি আপনার ফর্মটি সাবমিট করেছি। দয়া করে কারণটি বলুন এখন ।