প্রতিষ্ঠানের হিসাব রাখুন খুব সহজে, ওষুধ দিয়ে দিন মৃত পোকা সমুহ কে

ব্যবসা মানেই হিসাব। আর হিসাব সংরক্ষন করা অবশ্যই ব্যবসায়ীর অন্যতম একটা গুণ। কিন্তু এরপরও মাঝে মাঝে কিছু কিছু হিসাব ভুল হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা থাকে। আর ভুল হলে তো কোন কথাই নাই, আবার পূনরায় হিসাব শুরু করে দিতে হয়।

যেমনঃ আপনার কোম্পানি থেকে এক ভদ্র লোক কিছু প্রোডাক্ট ক্রয় করল, তার বিল আসল মনে করেন ২৪৪০০ টাকা। কিন্তু আপনি ভুল করে আপনার লেজারে লিখে ফেললেন ২৮৮০০ টাকা। এখানেই শেষ, আপনি আর বলতেও পারবেন না যে এই ভুলটি করেছেন। দিনশেষে যখন আবার জের টানেন তখন হিসাব মেলানো খুবই কস্ট হয়ে যায়। আর আপনার প্রতিষ্ঠান যদি বড় হয় তাহলেতো এই হিসাবটি খরচের পাতায় অথবা অনিশ্চিত হিসাবের তালিকায় চলে যায়।

এবার আরেকটা উদাহারন দেখুনঃ ধরুন আপনার প্রতিষ্ঠানে ৫ জন কর্মী কাজ কাজ করে। আপনি সবসময় প্রতিষ্ঠানে সময় দিতে পারেন না। যেমনঃ নামাজের সময়, বাথরুমে যাওয়ার জন্য, পন্য ক্রয়ের জন্য শহরে যাওয়ার সময় এবং অন্যান্য কিছু সময়। সেই সময় আপনি কি করেন? নিশ্চয় কর্মীরা তখন ব্যবসা দেখে?

ধরুন আপনার একটা টিশার্ট ক্রয় পরল ১৫০ টাকা। বিক্রয় রেট ২০০ থেকে ২৫০ বা ৩০০ টাকা। এখন আপনি প্রতিষ্ঠানে নাই, সেক্ষেত্রে দামটা কেমন হবে? অবশ্যই আপনি আসলে বলা হবে যে ২০০ বা ২২০ টাকা বিক্রি করছে। বাকি টাকা কিন্তু কর্মীদের পকেটে।

আপনি সন্দেহও করবেন না, কারণ ২০০টাকা বিক্রি করলেও আপনার প্রফিট থাকে। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষনীয় যে, প্রতিদিন এইভাবে যদি ১০/১৫ টা বিক্রি হয়? কিংবা প্রতি কর্মী যদি দৈনিক ২০০ টাকা করেও নিজের পকেটে নিয়ে নেয় তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা গুম হয়ে যাচ্ছে?

ছোট্ট একটা অংক করে নেন। ধরে নিলাম আপনার প্রতিষ্ঠানে মাত্র ২ জন কর্মচারী। একদিনে যদি এক কর্মচারী ২০০ টাকা করে নিজের পকেটে নিতে পারে তাহলে ২ জনে ৪০০ টাকা। ৩০ দিনে কত? ৪০০*৩০= ১২০০০ টাকা। ১ বছরে ১২০০০*১২=১৪৪০০০ টাকা।

এবার উপরে ২০০ টাকাটা পরিবর্তন করে একটু বাড়িয়ে দেখুন। যেই টাকাটা চলে যাচ্ছে এটা দিয়ে আপনি আরেকটা ব্যবসা খুলতে পারবেন।

আবার হিসাবে ফিরে আসি। যাদের কাছে বকেয়া বিক্রি করেন তাদের একটা হিসাব আপনাকে রাখতে হয়। কখনো কখনো বকেয়া হিসাবটির  সময় ১/২ বছরও থাকে। বিশেষ করে এপ্রিল মাসে অনেকে হালখাতা তৈরি করেন। তখন সব গুলো হিসাব আবার পুনরায় করেন। এবার লক্ষ করুন, ঐ যে ২৪৪০০ টাকা  আপনি ভুল করে ২৮৮০০ টাকা লিখছেন মনে পরে? তখন অনেক কস্ট করেও এমাউন্ট মিলানো খুবই কস্ট। সবার হিসাব আবার শুরু থেকে করতে হয়।

চিন্তা করছিলাম পুরো লিখাটা লিখবো কিন্তু আমরাতো আবার লিখা বেশি দেখলে পড়তে মন চায় না। তাই লিখা সংক্ষেপ করতে হয়েছে।

যাইহোক, এই সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যতম বিশ্বে সফটওয়্যার এর কোন বিকল্প নাই। যদিও আমাদের দেশেও বর্তমানে এর আগ্রহ বাড়ছে।

কোন ধরনের সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করবেন?

১) ইনভেন্টরী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

২) প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট।

৩) একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট।

৪) শপ ম্যানেজমেন্ট।

৫) কাস্টমার রিলেশিন ম্যানেজমেন্ট।

এবার আসুন সফটওয়্যার গুলো দিয়ে আপনার কি কি উপকার হতে পারে একটু বলা যাক।

প্রথমত আপনার যেই টাকা গুলো আপনার অজান্তেই চলে যাচ্ছে  মানে আপনার কর্মচারীরা পকেটে নিয়ে নিচ্ছে সেটা আর পারবে না।

আসুন সুবিধা গুলো দেখিঃ

  1. সফটওয়্যার আপনার মুল্যবান সময় বাঁচিয়ে দিবে। তেমনি আপনার খরচ কমিয়ে দিবে, অপচয় প্রোডাক্ট হারিয়ে যাওয়া, চুরি হয়ে যাওয়া বা হিসাব নিকাস না মেলার কারনের লোকশান কমবে।
  2. ব্যবসায় হিসাব নিকাস রক্ষার জন্য রেজিষ্ট্রার্ড বুক, ইনভয়েস বুক, ওয়ার্ক অর্ডার বুক, পার্টির বকেয় বই বা অন্যান্য হিসাবের খাতা নিয়ে আর জামেলা করতে হবে না।
  3. সব হিসাব সফটওয়্যার অটো করবে তাই হাতে কলমে যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তা আর থাকে না।
  4. যেকোন ক্যাটাগরি হিসাবে রিপোর্ট গুলো দেখা যায়।
  5. কোন প্রোডাক্ট এর ডেট কখন শেষ হবে তা প্রোডাক্ট না দেখেই বলতে পারবেন, ফলে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন প্রোডাক্ট সমুহ আগে বিক্রয় করা উচিত।
  6. প্রোডাক্ট এর স্টক দেখা যায়, ফলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন প্রোডাক্ট গুলো কেমন চলছে এবং কোন প্রোডাক্ট সমুহের স্টক বাড়ানো উচিত।
  7. প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ ডুকুমেন্ট সমুহ হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
  8. কত টাকা খরচ হচ্ছে সব দেখা যায়।
  9. টাকা কি কি খাতে ব্যয় হচ্ছে জানা যায়।
  10. যে টাকা খরচ করছেন তার ফিডব্যাক কেমন জানা যায়।
  11. আপনার প্রতিষ্ঠানের বর্তমানে কি অবস্থা, টোটাল স্টক, টোটাল ডেমেজ, প্রফিট লস সবকিছু মুহুর্তের মধ্যে দেখতে পারবেন।

যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবেনঃ

1) ছোট বড় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

2) প্রোডাক্ট বেস যে কোন দোকান।

3)যে কোন পাইকারী দোকান।

4) ফার্মেসী।

5) ওয়ার্ক শপ।

6) রেস্টূরেন্ট।

7) শো-রুম।

8) স্টকলট।

9) গার্মেন্টস।

10) ওয়্যার হাউস।

11) বাইং হাউস।

12) বুটিক হাউজ।

13) সুপার শপ।

14) ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।

15) কম্পিউটার শপ।

16) ওয়াচ শপ।

17) গিফট শপ।

18) যেকোন জুতার দোকান।

19) ইলেক্ট্রনিক্স শপ।

20) লেদার হাউজ।

21) মেঘা শপ।

22) হার্ডওয়্যার ও সেনেটারি দোকান

ইত্যাদি।

যাইহোক আরেকদিন আরো বিস্তারিত বলব। আজ এখানে শেষ করছি। আর হ্যা, আপনাদের কারো যদি সফটওয়্যার করার চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ

Level 1

আমি Amran Hossain Ador। Software Developer, iSoft, Feni। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 12 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

price koto. full soft diben,

    মোহাঃ শহিদুল ইসলাম ভাই, আপনার রেস্পন্সে খুশি হলাম। প্রথমে বলে রাখি গত বৃহস্পতিবার ফেচবুকে একটা বিজ্ঞাপন দেখছি, মাত্র ৫০০ টাকায় তারা সফটওয়্যার দিচ্ছে। আসলে আমরা এই মূল্যে সফটওয়্যার দিতে পারিনা। আমাদের এককালীন ২৫০০০ টাকা আর মাসিক সার্ভিস চার্জ ১০০০ টাকা করে এবং প্রথম ২মাস সার্ভিস চার্জ ফ্রি।