জেনে নিন নতুন ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর অত্যন্ত কার্যকরী সহজ উপায়!

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

মোটামুটি ভাল পরিমাণ ট্র্যাফিক সবার সাইটের জন্যই দরকার আর আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয় তাহলে তো কথাই নেই। সাধারণত আমাদের সাইট বানানোর উদ্দেশ্য থাকে অ্যাডসেন্স বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। আর কমবেশি আমাদের সবারই প্রধান চেষ্টা থাকে সার্চ ইঞ্জিন মানে গুগল থেকে ভিসিটর আনার। আর সেই লক্ষে আমাদের সাইট কে একটা কিওয়ার্ডে র‍্যাঙ্ক করার চেষ্টা করি এবং ওখান থেকে ভিসিটর পাওয়ার আশা করি। আজকের টিপস তাদের জন্য যারা তাদের নতুন ওয়েবসাইট ডেভেলপ করেছে আর তাদের ব্লগে কাঙ্ক্ষিত ভিসিটর পাচ্ছে না। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ব্লগের ভিসিটর বাড়ানোর সেরা উপায়

১। কনটেন্ট ইজ কিং- কথাটি অনেক পরিচিত মনে হচ্ছে আপনাদের কাছে ঠিক না? হুম কথাটা পুরনো কিন্তু আমি আবারো আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছি। আপনি অ্যাফিলিয়েট করেন আর ব্লগ লিখেন আপনাকে সবসময় কোয়ালিটি আর্টিকেল টিউন দিতে হবে। আপনার লিখাটি এমন হবে যাতে করে ভিসিটর আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু জানতে পারে। আর আর্টিকেল লিখার সময় কিওয়ার্ড ডেনসিটি এবং আর্টিকেলের ওয়ার্ড কাউন্টের বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। ধরুন আপনার লিখার বিষয় হবে “how to improve your mountain biking skills” তো এই বিষয়টির উপর আপনি যখন লিখবেন চেষ্টা করবেন সর্বোচ্চ পরিমানে ইনফরমেশন ভিসিটরদের দিতে। আপনার দ্বারা যতদূর সম্ভব তবে আজাইরা প্যাঁচাল পারবেন না মানে আপনার আর্টিকেল টেনে টেনে বড় করবেন না। আর আর্টিকেল লিখার সময় কিওয়ার্ড ডেনসিটি টা মেইনটেইন করবেন যেমন, ধরুন আর্টিকেল লিখছেন ৭০০ ওয়ার্ডের সেখানে আপনার মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন মিনিমাম ৩ বার হুবহু, আর ওর সাথে ফ্রেজাল কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন ৩ থেকে ৫ বার। যেমন আপনার মেইন কিওয়ার্ড হচ্ছে “how to improve your mountain biking skills”এখানে আপনি ফ্রেজাল হিসেবে “tips to improve your mountain biking skills” “ improve your mountain biking skills” এই গুলা ব্যবহার করতে পারেন। (আমি জাস্ট উদাহরণ দিয়েছি)।

আপনি যদি সাইটে ভালো মানের কনটেন্ট দিতে পারেন তাহলে দেখবেন রাতারাতি আপনার ব্লগ ইনডেক্স হয়ে যাবে আর সেটি সার্চ ইঞ্জিনে লিস্টেড হয়ে যাবে এবং ব্লগে ভিসিটর আসতে থাকবে।

২। আপনার ব্লগটিকে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করুন- হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আপনার ওয়েবসাইট বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করবেন। কারন অনেক সময় দেখাজায় গুগল কোন এক অজানা কারনে আপনার ব্লগটি ইনডেক্স করছে না তখন এটি করে রাখলে আপনার সাইট খুব তারাতারি ইনডেক্স হয়ে যাবে।

৩। সোশ্যাল শেয়ার- আপনার সাইটকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করবেন যেমন ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি। যখনি ব্লগে নতুন কোন টিউন আসবে সেটি আপনার ফ্যানপেজ শেয়ার দিবেন আর আপনার ফ্যানপেজকে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার দিবেন। দেখবেন আপনার ব্লগে ভিসিটর বাড়বে।

৪। টিউনের টাইটেল ভালমতো অপটিমাইজ করবেন- মনে রাখবেন আপনার টিউন যখন কোন সার্চ ইঞ্জিনে আসবে বা ভিসিটরের সামনে যাবে তখন কিন্তু সে সবার আগে আপনার টিউনের টাইটেল খেয়াল করবে আর টাইটেল যদি আকর্ষণীয় না হয় তবে ভিসিটর আপনার টিউন পরতে আগ্রহ পাবে না আর আপনার ব্লগে ভিসিটর আসবে না।

৫। টিউনে ইন্টারনাল লিংক করুন- আপনার ব্লগে যখন কোন নতুন টিউন দিবেন তখন সেখানে ইন্টারনাল লিঙ্কিং করতে ভুলবেন না এতেকরে আপনার ব্লগে ভিসিটর অনেকক্ষণ থাকবে। যেমন আপনার ব্লগটি “ওয়েটলস” রিলেটেড আর আপনি সেখানে টিউন দিচ্ছেন “ওজন কমানোর ১০টি উপায়” এখন আপনার ব্লগে যদি সেম টাইপের অন্য কোন টিউন থাকে তবে এটিকে তার সাথে লিংকআপ করে দেন। তখন আপনার ভিসিটর সেই পোস্টটি পড়বে আর এটি আপনার ব্লগের বাউন্সরেট কমাতে সাহায্য করবে।

৬। মেটা ডেসক্রিপশন লিখা- আপনার সাইটের জন্য মেটা ডেসক্রিপশন লিখার সময় খেয়াল রাখবেন যেন সেখানে আপনার কিওয়ার্ড থাকে। এতেকরে সার্চ ইঞ্জিন আপনার টিউন বা সাইট কে বেশি প্রাধান্য দিবে আর আপনি অন্যান্যদের তুলনায় সহজে র‍্যাঙ্ক করতে পারবেন।

৭। ব্যাকলিংক তৈরি করা- এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন ব্লগ কমেনন্টিং, আর্টিকেল মার্কেটিং ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে ব্যাকলিংক করতে হলে আপনাকে যে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে-

যেখান থেকে ব্যাকলিংক নিচ্ছেন সেটি কি অথোরিটি সাইট।
সেখানকার ইনডেক্স পেজ কেমন।
ডোমেইন এবং পেজ অথোরিটি কেমন। সাইট পি আর বা পেজ পি আর(পেজর‍্যাঙ্ক) কেমন।
ডু-ফলো নাকি নো-ফলো।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যাকলিংক টি আপনার সাইটের সাথে রিলেটেড তো। উদাহরণ- ধরুন আপনার ব্লগটি মেডিটেশন রিলেটেড আর আপনি ব্যাকলিংক নিচ্ছেন ইলেক্ট্রনিক রিলেটেড। তাই যদি হয় তাহলে আপনি যত ভালো করেই বা উপরের সবগুলা নিয়ম মেনে ব্যাকলিংক নেন তাতে কোন লাভ হবে না। হতে পারে সাময়িক ভাবে আপনি লাভবান হচ্ছেন কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী পর্যায়ে অনেক বড়ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। গুগল মামা আপনার ব্লগটিকে ম্যানুয়াল পেনাল্টি দিতে পারে ইরিলেভেন্ট ব্যাকলিংক নেবার দায়ে। তাই ব্যাকলিংক নেবার সময় সতর্ক থাকুন এখন আর সেই দিন নেই যে শুধু ব্যাকলিংক করেই আপনি র‍্যাঙ্কে চলে আসবেন। আর হ্যাঁ “কনটেন্ট ইজ কিং” এই কথাটি অবশ্যই মনে রাখবেন।

৮। ভালো এস ই ও জ্ঞান- আপনার যদি ভালো এস ই ও জ্ঞান থাকে তবে আপনি এমনিতেই অনেক ভালো করতে পারবেন। এমন অনেক এস ই ও ট্রিকস আছে যেগুলা ব্যবহার করে আপনি ব্লগে অনেক অনেক ভিসিটর আনতে পারবেন। যেমন,

* সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
* পেইড মার্কেটিং।
* ইউটিউব মার্কেটিং।
* অন্যান্য আরও+ অনেক।

৯। টিউমেন্ট অপশন- আপনার ব্লগে টিউমেন্ট অপশন রাখবেন তবে সেটি যেন অটো আপ্প্রুভ না হয়। আর যারা আপনার টিউনে গঠনমূলক টিউমেন্ট করবে বা কোন প্রশ্ন করবে তাদেরকে অবশ্যই আপনার মতামত বা উত্তর দিবেন। মনে রাখবেন আপনার টিউনে যত টিউমেন্ট বাড়বে গুগলের কাছে আপনার ব্লগের অথোরিটি ততো বাড়বে।

১০। ব্লগের ডিজাইন- এটিও একটি অন্যতম মুখ্য বিষয় আপনার ব্লগের ভিসিটর বাড়ানো বা ধরে রাখার। আপনার ব্লগটি হতে হবে তথ্য নির্ভর আর ডিজাইনটি করবেন একেবারে সাদামাটা। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড আর সাথে অন্য কোন কালার ব্যবহার করবেন। আর ডোমেইন নির্বাচন করার সময় চেষ্টা করবেন ডট.কম নেবার। তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিন থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন।

তাহলে আজকের মত এই পর্যন্ত। আশা করছি লিখাটি আপনাদের উপকারে আসবে। পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ্‌।

My Blog : https://www.tuneround.com

 

Level 0

আমি মোঃ শামীম হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

My name is Md. Shamim Hosen I am currently studied at Bangladesh National University in BBA department. I am a simple man. Also want to be a peaceful and a honest man. I love my country and I love my parents so much. My blog site : https://techblogbd.net


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

বিষয়গুলো সুন্দর ও সংক্ষেপে লিখেছেন, সুন্দর হয়েছে ভাই।

ধন্যবাদ