ছালাতুত্তছবীহের নামায ফযিলতের দিক দিয়ে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ নামায

সুপ্রিয় পাঠক আচ্ছালামু-আলাইকুম, আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ছালাতুত্তছবীহের নামায। আশাকরি টিউনটি পড়ে যারা এই নামায সম্পর্কে জানেন না তারা উপকৃত হবেন। যদি একজনও উপকৃত হন তাহলে আমার লেখা স্বার্থক হবে।

ছালাতুত্তছবীহের নামায ফযিলতের দিক দিয়ে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ নামায। সম্ভবত (সম্ভবত বলছি এ কারণে যে আমার নজরে এখনো এ হাদিস পরেনি, কারণ সব হাদিস পড়া আমার এখনো সম্ভব হয়নি) নবী-এ-করিম (স:) থেকে এব্যাপারে হাদিস রয়েছে, যে তিনি সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন সম্ভব হলে প্রতিদিন এই নামায একবার পড়, যদি সম্ভব না হয় তাহলে সপ্তাহে একবার, আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে মাসে একবার, আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে বছরে একবার। আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত জীবনে একবার এই নামায পড়ার তাগিত দিয়েছেন।

নফল এই নামায সাধারণত আসরের নামাজের আগে, এশার নামাজের পরে বা রাতে যেকোন সময় পড়া যায়। ছালাতুত্তছবীহের নামায এক নিয়তে চার রাকাত পড়তে হয়। এই নামাজে নিম্মলিখিত দোয়াটি প্রতি রাকাতে  ৭৫ বার করে মোট ৩০০ বার পড়তে হয়। যারা প্রথমবার এই নামায পড়বেন তারা নামায শুরু করার আগে দোয়াটি কয়েকবার পড়ে মুখস্থ করে নেয়া ভাল। দোয়াটি নিম্মরুপ:-

"সুবহানাল্লাহে ওয়াল হামদু লিল্লাহে ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর" 

যেভাবে ছালাতুত্তছবীহের নামায পড়তে হয়:-

নিয়ত করার পর ছানা (সুবহানাকা), আউজুবিল্লাহ এবং বিছমিল্লাহ পড়ার পর এই দোয়া পড়তে হয় ১৫ বার

তারপর সুরাহ ফাতিহার সাথে যেকোন একটি সুরাহ মিলিয়ে পড়ার পর পড়তে হয় ১০ বার

তারপর রুকুতে তসবিহের পর পড়তে হয় ১০ বার

রুকু থেকে সামিআল্লাহুলিমা হামিদা বলে সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়তে হয় ১০ বার

তারপর সিজদায় গিয়ে (প্রথম সিজদার) তসবিহের পর পড়তে হয় ১০ বার

তারপর প্রথম সিজদা থেকে উঠে সোজা হয়ে বসে পড়তে হয় ১০ বার

তারপর আবার সিজদায় গিয়ে (দ্বিতীয় সিজদার) তসবিহের পর পড়তে হয় ১০ বার, এই পর্যন্ত এক রাকাত শেষ, ৭৫ বার পড়া হলো।

আবার সোজা হয়ে দাড়িয়ে প্রথম রাকাতের মত দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতে ১৫ বার এইভাবে চার রাকাতে ৩০০ বার পড়তে হয়।

রমজান মাসের ইবাদতে অন্যান্য মাসের ইবাদত থেকে ৭০ গুণ বেশী সওয়াব পাওয়া যায়। তাই সবার উচিত বেশী বেশী ইবাদত করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে ৫ ওয়াক্ত নামায মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে পড়ার এবং  বেশী বেশী করে নফল নামায পড়ার তওফিক দান করুন । আমীন।

কেমন লাগলো দয়া করে মন্তব্য করতে ভূলবেন না।

আগামী টিউন : নামাজে খুশুখুজু কি, এর উপর ইনশাল্লাহ টিউন করবো।

Level 0

আমি Nurul Azim। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 84 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এই হাদিসটি দুর্বল

Level 0

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

ভাই আপনার টেকনলজি বিষয়ক কোন টিউন দেবার কি কোন পরিকল্পনা আছে?

ভাই অন্যকে কোন তথ্য দেয়ার আগে তথ্যটি অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই করে তবে তা সরবরাহ করা উচিত। আপনি কোন হাদিসের সুত্র, ব্যাখ্যা ছাড়াই বলে দিলেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ – কিভাবে?? আশা করি ভবিষ্যতে মানুষকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। ধন্যবাদ

এ সম্পর্কে কোন ছহীহ হাদিছ বণির্ত হয় নি। বরং কেউ এ সম্পর্কে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্নিত হাদীছকে ‘মুরসাল’ কেউ ‘যইফ’ কেউ ‘মওযু’ বা জাল বলেছেন।
সূত্রঃ ” ছালাতুর রাসূল (সাঃ)”
লেখকঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব
http://www.at-tahreek.com

উপকারী টিউনস । রমজান উপযোগী টিউনস