আপনার ব্লগ এ লিখার বিষয় খুঁজে পান না ? কি নিয়ে লিখবেন জানেন না ? আর ব্লগিং নিয়ে কিছু কথা …

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে অনেক দিন পর হয়ত ৬ মাস বা ১ বছর পর লিখছি ... আসলে লিখছি না লিখছিলাম একজন জানতে চেয়েছিল আমার ব্লগ এ কি নিয়ে লিখব খুঁজে পাই না সেটাই এখানে তুলে ধরলাম ... এবং শুধু লিখার বিষয় নয় আরও কিছু জিনিস তুলে ধরলাম ... কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিল যে আমার ব্লগ নিয়ে ১ বছর ধরে কাজ করছি কিন্তু কোন সফলতা নেই ... কি নিয়ে লিখব তাই খুঁজে পাই না ... এবং আমার সাইট এর জন্য এস ই প্ল্যান কেমন হতে পারে , কি ভাবে ধাপে ধাপে কি কি করতে হবে , কোনটার পর কোনটা করতে হবে , তার উত্তর দিয়েছিলাম...এবং অনেকদিন ধরে লিখার ইচ্ছাটা কাজে লাগালাম ... আসলে ব্লগার কিন্তু নিদিষ্ট কোন বিষয় এর উপর দখল থাকলে হয় না তাকে দখল রাখতে হয় সব বিশয়ের উপর ... কারন তাকে তার সাইট এর সব কাজ করতে হয় আর নতুন হলে তার পক্ষে টাকা খরচ করাটা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার । আবার ব্লগিং করতে গিয়ে অনেকে অনেক নতুন বিষয় সিখতে পারে এবং অনেক নতুন নতুন আইডিয়া পায় ... কারন একজন ব্লগার অনেক কিছু করতে পারে ... পরবর্তীতে সে যে কোণ একটি নিদিষ্ট বিষয়কে প্রোফেশনালি  তার ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারে এবং এটা প্রথম ধাপ কিন্তু ব্লগিং থেকেই আসে ...

এখানে আসলে শুধু ভ্লগ নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না।।... 🙂 আপনি জানতে চেয়েছেন কি নিয়ে লিখবেন তাই তো ? এক্ষেত্রে সবাই যা বলে তা হল আপনি যা জানেন সবচেয়ে ভাল ভাবে জানেন তা নিয়ে লিখুন ... 🙂 তবে আমার মতে একজন ব্লগার ইচ্ছে করলেই সব কিছু নিয়ে লিখতে পারে... 🙂 এর পেছনে কারন হল একজন ব্লগার প্রথমত আরটিকেল রাইটার , কারন সে নিজের ব্লগের লিখা গুলো নিজেই লিখে..

একজন আরটিকেল রাইটার  কিন্তু তার এমপ্লইয়ার এর দেওয়া বিষয় নিয়ে লিখে এক্ষেত্রে সে যা করে তা হল সে রিসার্চ করে কি ভাবে লিখবে, তার লিখার বিষয় নিয়ে আরও জানে আর যদি একদম নতুন হয় তাহলে শুধু জানতেই থাকে তারপর সেই বিষয় নিয়ে লিখে আর যদি না জানে তাহলে জেনে লিখে,... তাহলে সে একজন ভাল রিসার্চচার ও বটে  ।

... তারপর নিজের ব্লগ এর ডেভলপার কারন সে তার নিজের ব্লগ এর ডেভলপ নিজেই করে  , নিজেই সি এম এস নির্বাচন করে  , তারপর থিম চুজ করে বা টেমপ্লেট চুজ করে , তারপর তাকে নিজের প্রয়োজন মত কাসটোমাইজ করে , কালার কম্বিনেশন চেঞ্জ করে এবং অন্যান্য ফিচার এড করে , নতুন প্লাগিন গুলো একটিভেট করে ...

তারপর সে তার নিজের ব্লগের ডিসাইনার , কারন সে নিজেই তার ব্লগ এর, নেভ বার ডিসাইন করে , ইউসার লগিন ফর্ম এবং অনেকে আবার ইউসার ইন্টারফেস ও ডিসাইন করে , এছাড়া আবার অনেক স্লময় আগে পি এস ডি ডিসাইন করে তারপর তা আবার অন্য কোন কিছুতে কনভার্ট করে , যেমন এইচ টি এম এল , ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি , সে আবার লোগো  ডিসাইন করে ,ব্লগ এর প্রতি পোস্টে এর ইমেজগুলো অনেক প্রোফেশনাল ব্লগের নিজেই বানায় আবার অনেক গুগল ইমেজ বা অন্যান্য জায়গা থেকে বা কোন প্রিমিয়াম সাইট থেকে কিনে নেয়...

তারপর সে তার ব্লগের এস ই ও নিজে করে তাহলে সে একজন এস ই ও স্পেশিয়ালিস্ট  হয়ে উঠে, তাহলে জেটা প্রধান বিষয় এখানে তা হল ... ... তাই আপনি যেহেতু কোন বিষয় এ লিখবেন তা জানেন না তাহলে যা করতে হবে রিসেন্ট ট্রেন্ডিং বিষয় গুলো নিয়ে লিখুন... পপুলার ব্লগ গুলো জেগুলো রিসেন্ট আপডেট গুলো নিয়ে লিখে সেগুলোতে সাবসক্রাইবার হন তাহলে সে যখন ই নতুন কোন বিষয় নিয়ে লিখবে আপনি তার আপডেট পেয়ে যাবে এবং সেই আরটিকেল ভালভাবে পড়ে এবার আপনার জদি মনে হয় আপনি ভালভাবে জিনিসটা বুঝতে পেরেছেন তাহলে তা নিয়ে নিজের মত করে লিখে ফেলুন একটি আরটীকেল এই তো হয়ে গেলো আপনার লিখার বিষয়... তবে কখন ও না বুঝে লিখতে যাবেন না কারন অনেকেই আপনার এই আরটিকেল পড়ে সিখতে চেস্টা করবে তারা যেন ভুল ন সিখে এবং তা যেন তাদের ভুল পথে নিয়ে না যায়... কারন অল্প বিদ্যা ভয়ংকর ... 😛

এবার এস ই ও এর ব্যাপারে... এখন আপনি আপনার সাইট এ কিছু কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করুন..তার জন্য আপনার সাইট রিলেটেড কোন ধরনের টিউটো গুগলে সবচেয়ে বেশি খুজা হয় তা দেখেন... এবং তা কি শুধু মাত্র কিছু দিনের জন্য খোজা হচ্ছে ? তারপর আর খোজা হবে না ? তাহলে সে্টা বাদ দিন এমন কিছু বের করুন যা সবসময় খুজা হবে . যেমন হতে পারে কিভাবে উইন্ডোস ইন্সটল করতে হয় বা কি ভাবে পেনড্রাইব দিয়ে উইন্ডোস ইনস্টল করতে হয়... এই বিষয় সবসময় খুজা হবে... 🙂 তো এমন কিছু চুজ করুন এবং সেই কি ওয়ার্ড দিয়ে এস ই ও করে প্রথম পেজ এ আসার চেস্টা করুন ... এইটো আপনি পেয়ে গেলেন আপনার পারমানেন্ট কিছু ভিসিটর ... তারপর আবার আরও কিছু এমন টিউটোরিয়াল বা এমন কিছু কিওয়ার্ড এর এস ই ও করে সাইট এর ভাল পরিমাণ ভিসিটর রাখুন... তারপর নতুন নতুন বিষয় গুলো নিয়ে লিখুন... আপনার ভিসিটর রা যাতে বোর না হয় তাদের নতুনত্ব দিন ... তাদের নিয়ে কিছু করুন ...কিছু গিভএওয়ে 🙂 যাতে তারা ও অংশগ্রহন করবে ... এইতো আমার মনে হয় না সফলতার জন্য এর থেকে বেশি গাইডলাইন দরকার ... 🙂 তবে গাইড লাইন অনেকেই দিবে কিন্তু সেই গাইড লাইন ফলো করে জাওয়া এবং ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করাটাই প্রধান..

আর একটি বিষয় ব্লগ লিখার সময় যা নিয়েই লিখেন সময় নিয়ে লিখবেন ... তারাহুরা করবেন না এতে লিখা ভুল হতে পারে ... এবং লিখার কোয়ালিটি খারাপ হতে পারে ... প্রতিটি আরটিকেল লিখা শেষ করার পর তা সোশিয়াল সাইট গুলোতে শেয়ার করে দিন ...কারন এখন ভিসিটর পাওয়ার প্রধান জায়গাই হল সোশিয়াল সাইটগুলো ... এবং সোশিয়াল সাইট গুলোতে আপনার ব্লগ এর নামে একাউন্ট খুলে সেই একাউন্ট এ শেয়ার করুন ... এবং ফলোয়ার বাড়ান ... ফ্যান বাড়ান ... কারন অনেক ক্লাইন্ট যখন আপনার সাইট এ এড দেয়ার জন্য চিন্তা করবে তখন সে দেখবে আপনার সাইট এর ফ্যান কেমন সোশিয়াল এপেয়ারেন্স কেমন ... কি পরিমাণ ফ্যান আছে ...তার এড দিলে তার কি লাভ হবে ... চেস্টা করুন নিজের সাইট এর আলাদা একটি ইমেজ দাঁড় করানোর জন্য ...এবং ব্লগ এর লেখক ও মালিক হিসেবে নিজের একটা ভাল ইমেজ দাঁড় করান যা পরবর্তীতে অনেক সাহাজ্য করবে আপনাকে...

হয়ত উপরের লিখায় ভুল হতে পারে ... আর আমি কোন এক্সপার্ট বা কিছু নই তাই ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন ... সবাইকে ধন্যবাদ কস্ট করে এই লিখাটি পড়ার জন্য ... আর আমার জন্য দোয়া করবেন ...

Level New

আমি সিনবাদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 58 টি টিউন ও 595 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ভালবাসি ইন্টারনেট , আমার ল্যাপটপ , আর আমার পরিবারকে ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

Level 2

thanks for nice tune……………………………

Chorom hoyese guru..onek kisui janlam..aro kisu tune ashakorsi…:)

ভালইতো লিখ.. 🙂 চালিয়ে যাও… আগ্রহটা ফিরিয়ে আন। নিরাসক্ত হলে কি হবে? গো এহেড…

আগ্রহ পাই না 🙁

Onek kichu janlam….Thanks

আপনাকে ধন্যবাদ … আপনাদের একটু কাজে লাগলেই আমার এই টিউন সার্থক…

    Level 0

    @সিনবাদ: অনেক ভাল লাগলো ভাই। নতুন-পুরাতন সবার জন্যই জরুরি।