খালিহাতে আত্মরক্ষা শিখুন – আত্মবিশ্বাসী হোন [৩য়-পর্ব] :: শরীরের কোন কোন অংশ আঘাত করতে হয়

খালিহাতে আত্মরক্ষা শিখুন আত্মবিশ্বাসী হোন

আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের প্র্যাকটিস ভালই চলছে আশাকরি। বেশি লাভের আশায় বেশি বেশি কিছু করতে যাবেন না। সপ্তাহে ৫ দিনই যথেষ্ঠ। তবে পর পর দু’দিন গ্যাপ রাখবেননা।

যারা খুব উঁচু মানের মার্শাল আর্ট ডিগ্রী চান তাঁদের উচিত হবে কোন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়া। কিন্তুআক্রান্ত হলে যেন বোকার মত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মার না খান সেজন্যেই আমার এই প্রচেষ্টা। সবচেয়ে যেটা আপনার বেশি দরকার তা হচ্ছে সাহস! একজন ভীতু যতই বডি বিল্ডার হোক বা মারামারিতে এক্সপার্ট হোক- সাহস না থাকলে তার কোন দামই নাই। আমি চাই আপনি বুদ্ধিমান ও সাহসী হোন। পেটে পিস্তল বা ছুরি ধরে আছে। এমন অবস্থায় অতি সাহসীদের প্রায় প্রান হারাতে হয়। ছিনতাইকারী যদি মানিব্যাগে সন্তুষ্ট হয়ে চলে যায়- যাক না। নিজের প্রানের চেয়ে টাকার মূল্য কত টুকু? কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে মূল উদ্দেশ্য আপনাকে খুন করা বা ধোলাই দেওয়া সেক্ষেত্রে আপনার সাহসী প্রতিবাদ অর্থাৎ লাথি, ঘুষি তাদের অবশ্যই চমকে দেবে। সাধারনত: দেখা যায়, একজনকে সাধারনত: কয়েকজন মিলে মারতে আসে। সেক্ষেত্রে তারা যদি অস্ত্রধারী হয় তাহলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। যদি না সে সুযোগ না থাকে তাহলে লড়াই এ নেমে পড়ুন। তবে একসাথে বেশ কয়েকজনকে কাবু করতে হলে আপনাকে মার্শাল আর্টে খুব দক্ষ হতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন একনিষ্ঠভাবে লেগে থাকা আর অসীম সাহস। যদি বুঝেন মারামারি করতেই হবে তাহলে ওদের আগে আপনিই আঘাত করুন। যারা মাস্তানি করে তাদের বেশির ভাগই গাঁজা ফেন্সিডিল খেয়ে শরীরের বারোটা বাজিয়ে রাখে। কিন্তু গডফাদার, কথার জোর আর খানিকটা গাঁজার নেশায় তারা নিজেদের অনেক কিছু ভাবে। আসলে আপনার একটা প্রচন্ড ঘুষি বা লাথিতেই তারা কুপোকাত হতে পারে।

কিন্তু ঐ যে বললাম শক্তি থাকলেও সাহস থাকেনা। সাহস বৃদ্ধির জন্য মনে মনে সবসময় বলুন, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক। নামাজ পড়লে আপনার শারীরিক ও আত্মিক উন্নতি হয়। সেজদারত অবস্থায় আল্লাহ্ সুবহান্নাল্লাহ তায়ালাকে বলুন, হে আল্লাহ্! আপনি আমার সাহস বাড়িয়ে দিন।

ইনশাল্লাহ্ এতে আপনার সাহস বাড়বে। পরীক্ষিত ব্যাপার!!

এখন দেখবো মানুষের কোন অংশগুলোতে আঘাত করলে তার বারোটা বাজানো যাবে। এখানে আপনি কিন্তু বহু বছরের পরীক্ষিত পদ্ধতি শিখছেন। বন্ধু বান্ধবকে হঠাৎ মেরে এর ক্ষমতা পরীক্ষা করতে যাবেননা। বন্ধুকে নিয়ে প্র্যাকটিস করবেন কিন্তু একে অন্যকে প্রচন্ড জোরে মারবেননা।

উপরের ছবিতে দেখছেন পায়ের কোন জায়গা গুলোতে মারতে হয়। পায়ে মারলে মরে যাবার ঝুঁকি নেই অথচ আত্নরক্ষার জন্য এই সব জায়গায় মেরে আপনি পালানোর যথেষ্ঠ সময় পাবেন। প্রচন্ড জোরে মারার ক্ষমতা থাকলেই হবে।

কাল আবার নতুন কিছু শিখব। আল্লাহ্ হাফিজ।

Level 2

আমি মুহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 19 টি টিউন ও 96 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

এক্সপ্লোরার......


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

Superb. carry on bossss

ইশ!
সব সময় অপেক্ষায় থাকি, কিন্তু ১ দিন ও প্রথম কমেন্ট করতে পারি না! 🙁
হে হে!, একটা বলদ বন্ধু আছে! 😉 😉 😉
ওরা দিয়া PRACTICE করমু ! :mrgreen:

ভাই আপনাকে অনেক thankssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss

Level New

ভাইয়্যা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি প্রতিদিন আপনার পরবরর্তী টিউনসের অপেক্ষায় থাকি। “খালিহাতে আত্মরক্ষা ” শেখার প্রতি আমার আমার আগ্রহ অনেক দিনের। আপনার টিউনস পড়ে সেই আগ্রহ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল!!!

🙂 আমার বোন কারাতে শিখছে। ভালোই মজা শুনলাম !

Level 0

ভাই আরও কোন কোন অংশে মাইর দিলে ভাল কাজ হবে জলদি বলেন।

i know only one way which way is the most perfect among all of this way. the way is when mugger stand inform of you,then you will kick his penis.it is suitable job.it is not matter if you are strong or weak.i have already done this joband i successed

    সত্যি বলেছেন!! অনেকগুলো নিয়ম কোনরকমে জানার চাইতে কয়েকটি ভাল জানা বেশি কাজের!!
    আমি কিন্তু আমার টিউনে শর্টকাটে শেখানোর চেষ্টা করছি। মার্শাল আর্ট বিশাল ব্যাপার! অনেকে ব্ল্যাক বেল্ট কমপ্লিট করতে ৫/৬ বছরও সময় নেয়। যারা একনিষ্ঠ ভাবে লেগে থাকে তাদের কথা আলাদা। তবে মার্শাল আর্ট এর বেসিক নলেজ যা তাই আমি টিউন করে যাচ্ছি। সাধারনত: কয়েকজনকে কাবু করতে যা যথেষ্ঠ। পেনিসে সবসময় লাথি মারার সুযোগ পাওয়া নাও যেতে পারে। তাছাড়া এতে মৃত্যু ঝুঁকিও আছে। ভেবেচিন্তে মারবেন। ধন্যবাদ।

বিপদের বন্ধু ট্রিকস। ধন্যবাদ