কম্পিউটার পরিস্কার পরিচ্ছন করার চমৎকার কিছু দিকনির্দেশনা যা আপনি মনে মনে খুঁজে বেড়াচ্ছেন

টিউন বিভাগ টিপস এন্ড ট্রিকস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

কম্পিউটার একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। অনান্য সকল ডিভাইসের মতো এতেও ময়লা জমে এবং সময়মত পরিস্কার না হলে এর ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। একটি কম্পিউটারকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হলো সফটওয়্যার অংশ অপরটি হলো হার্ডওয়্যার অংশ। সফটওয়্যার অংশকে পরিস্কার করার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। অপরদিকে হার্ডওয়্যার অংশকে আমাদের নিজের হাতে বা সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে ওয়াশ করাতে হয়। নিচের ছবিকে দেখুন।

এটি একটি সিপিইউ এর ভেতরের কুলিং ফ্যানের অবস্থা। এই রকম বা এর থেকে খারাপ অবস্থা আপনার হতে পারে। আমার কলেজের এক স্যারের সিপিইউ খোলার পর সেটার ভেতর আমি মাকড়ষার জালের কঠিন আবরণও পেয়েছিলাম। ময়লার হাত থেকে বাঁচার একটিই মাত্র উপায় সেটা হলো কম্পিউটারকে পরিস্কার পরিচ্ছন রাখা।

কতদিন পর পর আপনার পিসি পরিস্কার করা উচিত?

ঠিক কয় দিন পর পর আপনার পিসি পরিস্কার করা উচিত এটা নির্ভর করবে আপনার ব্যবহারের উপর। যেমন বাসায় কিংবা অফিসের কাজে নরমাল ভাবে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোতে প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর একবার পরিস্কার করা উচিত। কিন্তু স্কুল বা কলেজের পিসিগুলোকে প্রতি মাসে একবার বা প্রয়োজনে তারও বেশিবার ক্লিন করা উচিত। আর কম্পিউটার রুমে ধুলাবালি বা ধুমপান অথবা খাওয়া দাওয়ার কাজ করে থাকলে প্রতি ১৫ দিন অন্তর আপনার পিসি ক্লিন করা উচিত।

সাধারণ ক্লিনিং টিপস

নিচে আমি সবার জন্য পিসি ক্লিনিং এর কিছু সাধারণ টিপস দিয়ে দিচ্ছি। পিসি নিজে নিজে পরিস্কার করার আগে নিচের কথাগুলো মাথায় রাখতে হবে:

  • ১) কম্পিউটার কম্পোনেন্ট এ কখনোই (মানে কখনোই) লিকুইড বা ক্লিনিং স্প্রে প্রয়োগ করবেন না। প্রয়োজনে একটি পাতলা থিন কাপড়ের উপর স্প্রে করে তারপর সেটা পিসিতে ঘষবেন।
  • ২) আপনি চাইলে Vacuum দিয়ে আপনার পিসির ভেতরকার ধুলোবালি চুষে নিতে পারবেন। তবে ভ্যাকিউম ক্লিনার সিপিইউ এর ভেতরে ব্যবহারের সময় এক্সট্রা সর্তক থাকতে হবে কারণ এটা ভেতরে static electricity উৎপাদন করতে পারে যার কারণে আপনার সিপিইউ এর ভেতরকার যন্ত্রাংশের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য বেস্ট হয় ব্যাটারীযুক্ত ভ্যাকিউম ক্লিনার বা compressed air ফিচারযুক্ত ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা।
  • ৩) কম্পিউটারের কোনো যন্ত্রাংশের বা কম্পিউটার পরিস্কারের পূর্বে অবশ্যই পিসিটি সম্পূর্ণভাবে অফ করে নিবেন এবং ইলেক্ট্রিক প্লাগ থেকে সকেট খুলে রাখবেন
  • ৪) বেশি ময়লাযুক্ত কোনো কিছু পরিস্কার করতে পানি ব্যবহার করুন, সরাসরি ক্লিনিং পাউডার বা লিকুইড ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
  • ৫) মাদারবোর্ড পরিস্কারের সময় knobs বা controls যাতে ডিসকানেক্ট না হয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আর কোনো প্লাগ না খুলে পরিস্কার করার চেষ্টা করবেন। কারণ মাদারবোর্ডের প্লাগ বার বার খোলা হলে এটি নড়বড়ে হয়ে নস্ট হবার চান্স থাকে।
  • ৬) ফ্যান পরিস্কারের সময় ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন তবে এর জন্য ফ্যানটিকে সিপিইউ থেকে সম্পুর্ণ ভাবে ডিসকানেক্ট করে নিন।
  • ৭) কম্পিউটারের আশেপাশে কখনোই খাওয়া দাওয়া করবেন না।
  • ৮) কম্পিউটারের পাশে ধুমপান পরিহার করার চেষ্টা করুন। ধুমপান আপনার এবং কম্পিউটার দুটোর জন্যেই ক্ষতিকর।
  • ৯) কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ পরিস্কারে নিতান্ত প্রয়োজনে পরিস্কার পানি ব্যবহার করতে পারেন। তবে কখনোই তেল, লিকুইড, সাবান পানি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। পানি ব্যবহারের পর যথাযথ ভাবে যন্ত্রাংশটি শুকিয়ে নিয়ে তারপর সেটি পিসিতে আগের জায়গায় লাগাবেন।
  • ১০) কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং হার্ডওয়্যারের সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আপনার নিজেকে সিপিইউ এর ভেতরে পরিস্কার করা উচিত নয়। সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নিন।
  • ১১) কম্পিউটারের মাউস, কীবোর্ড এবং সাউন্ড বক্স এই তিনটি জিনিসকে সবসময় পরিস্কার রাখতে চেষ্টা করবেন।

ক্লিনিং টুলস:

বাজারে কম্পিউটার পরিস্কারের জন্য আলাদা ক্লিনিং প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। তবে টাকা সাশ্রয় করতে চাইলে আপনি ঘরের বিভিন্ন জিনিস দিয়েও পিসি পরিস্কার করতে পারেন। যেমন:

১) কাপড়:

কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ ঘষে পরিস্কার করার জন্য তুলার কাপড় বেস্ট। যন্ত্রাংশে কখনোই কাগজ দিয়ে ঘষবেন না। তবে কম্পিউটার সব যন্ত্রাংশে কাপড় ব্যবহার করবেন না। যেমন র‌্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড, মাদারবোর্ড পরিস্কারে কাপড় ঘষবেন না ভুলেও। আপনি মনিটর, মাউস, কীবোর্ড, কেসিং এগুলো পরিস্কারে কাপড় ঘষতে পারেন।

২) পানি:

কম্পিউটারের যন্ত্রাংশে সরাসরি পানি ব্যবহারে বিরত থাকুন। বরং একটি কাপড়ের উপর পানি স্প্রে করে তারপর সেটি যন্ত্রাংশের উপর ব্যবহার করতে পারেন। তবে পানি ব্যবহারের পর যন্ত্রটিকে ভালোভাবে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেলবেন।

৩) পোর্টেবল ভ্যাকিউম:

ধুলাবালি, ময়লা, চুল, সিগারেটের ক্ষুদ্রাংশ ইত্যাদি জিনিস সিপিইউ থেকে চুষে বের করার জন্য আপনি পোর্টেবল ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে সরাসরি ইলেক্ট্রিক ভ্যাকিউম ব্যবহার করবেন না তা টিউনের আগেই আমি বলেছি।

৪) তুলার ব্রাশ:

রং করার ব্রাশগুলো নয়, পিসি পরিস্কারের জন্য আলাদা তুলার ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলো অনেক নরম হয়ে থাকে। এগুলো দিয়ে সিপিইউ এর চিপাচাপায় পরিস্কার করার জন্য বেস্ট। যেমন মাউস কীবোর্ডের কোনাকাঞ্চি পরিস্কারে ব্রাশ ব্যবহার করুন।

তো এবার আসুন আমরা মূল টিউনে চলে যাই। নিচে আমি কম্পিউটারর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিস্কার কিভাবে করবেন সেটা বলে দেওয়া চেষ্টা করছি।

কেইস ক্লিনিং:

কেইস বলতে সিপিইউ এর বাহ্যিক আবরণকে বুঝানো হয়ে থাকে। কেইস ক্লিনিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার সিপিইউকে নতুনে মতো রাখতে পারেন। আর কেইসে কোনো ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকলে সেগুলো পরিস্কারের মাধ্যমে সিপিইউ এর ভেতরে আলো বাতাস চলাচলে স্বাভাবিক ধারা আপনি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

কেইস প্লাস্টিক বা স্টিল যেটির দিয়েই তৈরি হোক না কেন আপনি কেইস ক্লিনিং করতে পারেন কাপড়ের সাহায্যে। আর কাপড়ে হালকা ক্লিনিং লিকুইড স্প্রে করে নিয়েও কেইস পরিস্কার করতে পারেন।

আমার মতে প্রতিদিন একবার কেইসকে কাপড়ের একটি ঘষা দিয়ে পরিস্কার রাখতে পারেন। এতে কেইসে ময়লা জমার চান্স থাকে না। একবার ময়লা জমে গেলে সেটি উঠতে অনেক কস্ট করতে হবে আপনাকে।

ডিভিডি রম ক্লিনিং:

একটি ময়লা ও নোংরা ডিভিডি / সিডি রম আপনার নতুন ডিক্সকে নস্ট করে দিতে পারে এবং ডিক্স রিড করার সময় বিভিন্ন এরর দিতে পারে। ডিভিডি রম ক্লিনিং এর জন্য আপনি বাজার থেকে আলাদা ডিভিডি রম ক্লিনার কিনে নিতে পারেন। এর ব্যবহারের মাধ্যমে ডিভিডি রম এর ভেতরকার ধুলাবালি, ময়লা এবং চুল পরিস্কার করতে পারেন। ডিভিডি রম একটি ছোট যন্ত্র এবং এর ভেতরে সেন্সিটিভ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে তাই সরাসরি পরিস্কার না করে ক্নিনারের সাহায্যেই ডিভিডি রম ক্লিন করা উত্তম। তবে ডিভিডি রম এর ট্রে বের করে সেটা আপনি কাপড়ের সাহায্যে ঘষে পরিস্কার রাখতে পারেন।

ডিক্স ক্লিনিং:

ময়লা সিডি বা ডিভিডি ডিক্স অনেক সময় কাজ নাও করতে পারে। বিশেষ করে আপনার পিসির মাদারবোর্ড ডিক্সটি সব সময় পরিস্কার রাখার চেষ্টা করবেন কারণ বাজারে আপনার মাদারবোর্ড ডিক্স পাওয়া যাবে না। ডিক্স পরিস্কার করার সময় আলাদা ক্লিনিং কিট বা পরিস্কার  তুলার কাপড় ব্যবহার করা উচিত।

আর ডিক্স পরিস্কারের সময় ছবিতে দেখানো উপায়ে মাঝখান থেকে সাইডে দিকে নিয়ে পরিস্কার করবেন।

হার্ডডিক্স ক্লিনিং:

ওহ! হার্ডডিক্স আপনি বাহ্যিক ভাবে ক্লিনিং করতে পারবেন না। তবে সফটওয়্যার দিয়ে আপনি নিয়মিত হার্ডডিক্স ভেতর থেকে নিট এন্ড ক্লিন রাখতে পারেন।

হেডফোন ক্লিনিং:

হেডফোন বা হেডসেট ময়লা হলে এটি আপনার কানের ক্ষতি করতে পারে। আর একবার হেডফোন ময়লা হয়ে গেলে সেটি পরিস্কার করা খুবই  মুশকিল একটি কাজ। তাই নতুন হেডফোন কিনে আনার পর সেটির বাক্সকে যন্ত্র করে রেখে দিবেন। প্রতিদিনের ব্যবহারের পর উক্ত বাক্সে হেডফোনটি সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পারেন।

হেডফোনের সাউন্ড অংশকে গরম পানি আর কাপড়ের সাহায্যে ঘষেও আপনি ময়লা পরিস্কার করতে পারেন। তবে নরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে এই ক্ষেত্রে।

কীবোর্ড ক্লিনিং:

কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কীবোর্ড হচ্ছে সবথেকে ময়লাযুক্ত একটি জায়গা যেটি আপনার প্রতিদিনই হাত দেই। তাই আমাদের উচিত কীবোর্ডতে সবসময়ই পরিস্কার রাখতে হবে। কারণ একটি কীবোর্ডে আপনার বাসার টয়লেটের থেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। আর ময়লা কীবোর্ড ধীরে ধীরে নস্টও হতে পারে।

কীবোর্ড পরিস্কারের আগে কীবোর্ডটিকে পিসি থেকে খুলে নিন। এবার প্রথমে কীবোর্ডটিকে উপরে-নিচে করে নিয়ে ঝাঁকি দিয়ে প্রাথমিক ময়লাগুলো ঝেড়ে ফেলুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন ঝাঁকি যাতে অন্য শক্ত কোনো জিনিসের উপর না দেওয়া হয়। এবার কমপ্রেস এয়ারযুক্ত ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করে কীবোর্ডে কীগুলোর ফাকঁফোকড় দিয়ে ময়লাগুলো তুলে ফেলুন। তবে বাতাসের পরিমানের দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে ভ্যাকিউম ক্লিনার আপনার কীগুলোই তুলে না ফেলে যাতে।

আরো ভালো ভাবে পরিস্কার করার জন্য কীবোর্ডটি স্কু ড্রাইভার দিয়ে পেছন থেকে কী প্যাটানটি খুলে তারপর পরিস্কার করতে পারেন। তবে এটি সাধারণ লোকদের না করাই উত্তম। কারণ কী প্যাটার্নটি খুলার থেকে আবার বাসানো অনেক কঠিন কাজ।

মনিটর ক্লিনিং:

ময়লা মনিটর দেখতে নোংরা লাগবে এবং মনিটর থেকে পড়তেও অসুবিধা হবে। সিআরটি বা এলসিডি যে ধরনেরই মনিটর হোক না কেন এটি পরিস্কার করার জন্য আলাদা বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।

মনিটরে সরাসরি পানি বা লিকুইড স্প্রে করা উচিত নয়। একটি নরম তুলার কাপড়ে স্প্রে করে আস্তে আস্তে মনিটরটি পরিস্কার করুন। আর মনিটর পরিস্কারে কখনো খসখসে কাপড় না কাগজ ব্যবহার করবেন না। সিআরটি মনিটরের পেছনের অংশটি স্ক্র ড্রাইভার দিয়ে খুলে নিন এবার পোর্টেবল ভ্যাকিউম দিয়ে ময়লা ও ধুলাবালিগুলো পরিস্কার করে ফেলুন। আর সিআরটি মনিটরের পেছনের অংশে কখনোই পানি বা লিকুইড স্প্রে করবেন না এবং যন্ত্রাংশে কাপড় দিয়ে ঘষবেন না।

মাদারবোর্ড ক্লিনিং:

কম্পিউটারের একটি সেন্সিটিভ যন্ত্রাংশ হলো মাদারবোর্ড। আর মাদারবোর্ডকে ধুলাবালি বিশেষ করে সিগারেটের ক্ষুদ্রাংশ কণা থেকে সবসময় পরিস্কার রাখার চেষ্টা করবেন। মাদারবোর্ড ক্লিনিং করবার জন্য আপনি সিপিইউ খুলে মাদারবোর্ডের উপরে কমপ্রেস এয়ারযুক্ত ভ্যাকিউম দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন। কমপ্রেস এয়ারযুক্ত ভ্যাকিউম না থাকলে ব্যাটারীচালিত পোর্টেবল ভ্যাকিউম ব্যবহার করুন। আর ভ্যাকিউম ব্যবহারের সময় মাদারবোর্ড ও ভ্যাকিউমের মাঝে কিছু দুরত্ব বজায় রাখুন তা নাহলে মাদারবোর্ডের ছোট সার্কিটগুলোও ভ্যাকিউম চুষে নিতে পারে। আর মাদারবোর্ডের ভেতরের পরিস্কারের জন্য আপনি পিসি সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নিন।

মাউস ক্লিনিং:

কীবোর্ডের পর একটি মাউসে আমাদের হাত সবথেকে বেশি যায় এবং মাউস নোংরা হলে এটির কার্যকারিতা কমে যায়। লেজার বা অপটিক্যাল মাউস পরিস্কার করার জন্য তুলার কাপড় ব্যবহার করতে পারেন তবে মাউসের নিচের দিকে যেখানে অপটিক্যাল সেন্সর থাকে সেখানে কাপড় দিয়ে ঘষবেন না, সেখানে কমপ্রেস এয়ারযুক্ত ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করুন। আর ট্রাকবল মাউসও একই উপায়ে কাপড় দিয়ে পরিস্কার করুন আর বলটি খুলে নিয়ে তুলার সাহায্যে হালকা ভাবে ঘষে পরিস্কার করতে পারেন।

আর সপ্তাহে একবার মাউস প্যাডটি সাবান পানিতে বা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিস্কার করে তারপর শুকিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রিন্টার ক্লিনিং:

বাহ্যিক দিক থেকে প্রিন্টার পরিস্কার রাখার মাধ্যমে প্রিন্টারের নতুনত্ব বজায় রাখতে পারেন এবং প্রিন্ট প্রক্রিয়া নিরবিচ্ছিন্নও রাখতে পারেন। প্রিন্টার পরিস্কারের সময় প্রিন্টারটি একেবারে বন্ধ করে নিন। তারপর নরম তুলার কাপড় দিয়ে বাহ্যিক অংশটি পরিস্কার করে ফেলুন। তবে প্রিন্টারের ভেতকার অংশ নিজে কখনোই পরিস্কার করতে যাবেন না, এর জন্য সার্ভিস সেন্টারে প্রিন্টারটি নিয়ে যান। নিয়মিত প্রিন্টারের বাহ্যিক অংশ নিজে পরিস্কার রাখুন আর তিন মাস অন্তর প্রিন্টারটি সার্ভিস সেন্টার থেকে ভেতর দিক থেকে পরিস্কার করিয়ে আনলে আপনার প্রিন্টারটি অনেকদিন ভালো এবং স্মুথ সার্ভিস দেবে।

স্ক্যানার ক্লিনিং:

ময়লা. ধুলাবালি যুক্ত স্ক্যানার দেখতে নোংরা লাগে এবং স্ক্যানিং প্রক্রিয়াও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। স্ক্যানেরর বাহ্যিক অংশে কাপড় দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন। তবে স্ক্যানিং পর্দায় সাবধানে শুধুমাত্র তুলা দিয়ে (তুলার কাপড় নয়) হালকা ঘষে পরিস্কার করতে পারেন। মনে রাখবেন স্ক্যানিং পদার্য় কখনোই পানি বা লিকুইড বা কাপড়ে লিকুইড পানি দিয়ে ঘষবেন না।

অনান্য জিনিসপত্র ক্লিনিং:

অনান্য জিনিসপত্রের মাঝে রয়েছে মাউস প্যাড। মাউস প্যাড আপনি সরাসরি অনান্য কাপড়ের মতো বালতিতে পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিস্কার করতে পারে। কম্পিউটার টেবিলকে পরিস্কার করতে পারবেন সাধারণ উপায়ে। কম্পিউটার বন্ধ করে এর বাহ্যিক যাবতীয় তারগুলোকে শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে পরিস্কার রাখতে পারেন। রাউটারকেও আপনি পরিস্কার রাখতে পারেন তবে এর জন্য শুধু তুলা ব্যবহার করুন। পাওয়ার স্লাপ্লাইয়ের কুলিং ফ্যানের উপর পোর্টেবল ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন। তবে সিপিইউ এর ভেতরের তারগুলো পরিস্কার করার দরকার নেই।

মূলত সিপিইউ এর ভেতরে নরমালি আপনি একটি পোর্টেবল ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে এক বা দুই রাউন্ড ক্লিনিং করে নিন। সিপিইউ এর ভেতরের যন্ত্রাংশ এডভান্স ভাবে খুলে খুলে নিজে নিজে পরিস্কার করতে যাবেন না। এগুলো সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে পরিস্কার করিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।

তো এই ছিলো আজকের আয়োজন। টিউন সম্পর্কে কোনো সমস্যা বা মতামত থাকলে সেটা অবশ্যই নিচের টিউমেন্ট সেকশনে আমাকে জানাতে ভূলবে না যেন। আর হ্যাঁ টিউনটি আপনার কাছে ভালো লাগলে অবশ্যই জোস বাটনে ক্লিক করতে ভূলবেন না যেন। আর টেকনোলজি বিষায়ক আপনার যেকোনো সমস্যা থাকলে সেটির সমাধানের জন্য টেকটিউনস জ্যাকেট ব্যবহার করুন।

আজ এ পর্যন্তই থাক। আগামীতে অন্য কোনো টপিক নিয়ে আমি টিউনার গেমওয়ালা চলে আসবো আপনাদেরই প্রিয় বাংলা টেকনোলজি সৌশল নেটওয়ার্ক টেকটিউনসে। আর হ্যাঁ, আর যাই করেন না কেন পিসি সামনে বসে ধুমপান করা থেকে একদমই বিরত থাকুন।

Level 10

আমি ফাহাদ হোসেন। Supreme Top Tuner, Techtunes, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 661 টি টিউন ও 428 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 149 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

যার কেউ নাই তার কম্পিউটার আছে!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

    আপনাকেও আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।