NID অন-লাইন সেবার আদ্যপান্ত

NID অন-লাইন সেবার আদ্যপান্ত

করোনা পরিস্থিতির কারণে জনগনকে জরুরী সেবা প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন এনআইডি অনলাইন সেবায় এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। আবেদন জমা হতে শুরু করে কার্ড হাতে পাওয়া পর্যন্ত এখন সবই মিলবে ঘরে বসে। নতুন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন, পরিচয় নিবন্ধনের পর জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড প্রাপ্তি, জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ভান্ডার হতে নিজের সমূদয় তথ্যাবলী দেখা, কার্ড হারিয়ে অথবা নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় উত্তোলন, কার্ড বা ডাটাবেজের তথ্যে কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে সেই ভুল সংশোধন, ব্যক্তিগত তথ্য যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, বৈবাহিক অবস্থার পরিবর্তন সবই এখন অনলাইনে https://services.nidw.gov.bd/ এই পোর্টাল হতে আবেদন করে নিষ্পন্ন করা সম্ভব।

অর্থাৎ যারা জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন তারা সংশোধন/ডুপ্লিকেট কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা নতুন নিবন্ধনের জন্য অন-লাইনেই আবেদন করতে পারবেন। যারা ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বা এনআইডি কার্ড পাননি, তারা এনআইডি অনলাইন সার্ভিসের জন্য এনআইডি পোর্টালে একাউন্ট রেজিস্টার ও লগইন করে ডাউনলোড অপশন হতে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বিনামূল্যে

এছাড়া পূর্বে যাদের ম্য়ানুয়েল পদ্ধতিতে সংশোধনের আবেদন জমা দেয়া আছে, তার হাল অবস্থা জানা যাবে এই অনলাইন সেবার মাধ্যমে। এমনকি যারা কখনও এনআইডি সংক্রান্ত কোন সার্ভিসের জন্য ইতোপূর্বে আবেদন করেননি তাদের ডাটাবেজের তথ্য কিভাবে আছে তা দেখে নিতে পারেন এনআইডি অনলাইন সার্ভিসে রেজিস্টার করে। এছাড়া কোন তথ্য আপডেট করতে হলে তাও এখন সম্ভব ঘরে বসে অনলাইন এনআইডি সার্ভিসের আওতায়।

এনআইডি অনলাইন সেবা এখন বিশ্ব মানের উল্লেখ করে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং টেলিভিশনে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ইতোপূর্বে দাখিলকৃত সংশোধনের আবেদন এবং নতুন অনলাইন আবেদন সবই এখন দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তির কাজ চলছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতেও এনআইডি’র কর্মকর্তারা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কাজ করে চলেছেন অন-লাইন সিস্টেমে ঘরে বসে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এনআইডি সার্ভিস এখন পুরোপুরি পেপারলেস সার্ভিসে পরিনত করেছেন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম এবং তাঁর টিমের দক্ষ পরিচালনায়।

এই পদ্ধতিতে অনেক সুফলও পাওয়া যাচ্ছে, যা অনেকেই এনআইডি অনলাইন সার্ভিসে রেজিস্টার করলে তার আবেদনের হাল অবস্থায় দেখতে পাবেন। এছাড়া ইতোপূর্বে কাগুজে ফরমে আবেদন করে নতুন নিবন্ধন, কার্ড রি-ইস্যু, এনআইডি কার্ড/তথ্য উপাত্ত সংশোধন এর আবেদন জমা করার দরজাও এখন পুরোপুরি বন্ধ করে নতুন অনলাইন জগতে প্রবেশ করেছে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগ।

সরকারের ডিজাটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এনআইডি সিস্টেমকে সুতিকাগার বললে মোটেও ভুল হবে না। এনআইডি সেবা পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এগিয়ে গেল আরো কয়েক ধাপ। কারণ এনআইডি সিস্টেম এর তথ্য ব্যবহার করে সরকারী কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পেনশন প্রদান, মোবাইল সিম প্রদান, ব্যাংক হিসাব পরিচালনা, চাকরীর বয়স যাচাই, আয়কর সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সেবায় এসেছে অভাবনীয় সাফল্য।

নতুনভাবে এনআইডি অনলাইন সার্ভিস চালু হওয়ায় সময়-অর্থ-শ্রম এবং বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে সহায়ক হবে। আগে যেখানে অনলাইনে আবেদন করলেও আবার প্রথাগত সিস্টেমে হার্ডকপি নিয়ে অফিসে যেতে হতো এখন সেকেল সিস্টেম পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া এতদিন ই-নথি ব্যবহার না করলেও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ই-নথি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে গত ৭ মে হতে, যা নির্বাচন কমিশনের আরেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

এনআইডি’র অনলাইন সেবা আরো সহজ করতে এবং ব্যবহারকারীদের আরো সাচ্ছন্দ প্রদান করতে খুব শীঘ্রই এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেপারেট দুটি মোবাইল অ্যাপস তৈরী করছে যার একটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এবং অন্যটি নিজস্ব ব্যবহারকারীদের জন্য। অ্যাপসটি শীঘ্রই Android Mobile ব্যবহারকারীরা google play store থেকে এবং iPhone ব্যবহারকারীরা apple i store থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

NID Wallet নামের এই mobile apps টি চালু হলে যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে এনআইডি সেবার জন্য আবেদন করা যাবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগনও একইভাবে যে কোন সময় সার্ভিস প্রদান করতে পারবে। তখন সার্ভিস গ্রহণ ও সার্ভিস প্রদান উভয়ই থাকবে সকলের হাতের মুঠোয় অর্থাৎ ক্ষেত্র বিশেষে রিয়েল টাইম। জানা গেছে এই অ্যাপসটি হবে আধুনিক ফেস রিকগনিশন বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা ব্যবহারকারীর ব্যাকএন্ডে থাকা NID সিস্টেমের ছবির সাথে মিলিয়ে নিয়ে ব্যবহারকারীকে অনুমোদন দিবে।

এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন সেবা দিতে পারবেন তরিত, যেমন, গাড়ীতে বা কোন কাজের মাঝে সোসাল মিডিয়ায় লাইক, টিউমেন্ট করার মতো অনেকটা। তাদের থাকবেনা কোন ছুটির অফিস টাইম এর সিমাবদ্ধতা।
কারা এই Online NID সেবা গ্রহণ করতে পারবেন?
১০+ বছরের যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন এবং এনআইডি সেবা প্রাপ্তির জন্য এনআইডি সিস্টেমে নিবন্ধন করে NID সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ এবং বিভিন্ন আবেদন ট্র্যাক করতে পারবেন। তবে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদের নাম ভোটার তালিকায় প্রকাশিত হবে না যা নির্বাচন কমিশন সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
নতুন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনঃ
নতুন পরিচয় নিবন্ধনের জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/register-account লিংক এ গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। অতপর সহজতর কয়েকটি ধাপ অনুসরন করে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য প্রদান করে একটি ফর্ম পূরণ করে তার কপি ডাউনলোড করে বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙ্গুলের ছাপ প্রদান, ছবি তোলা, আইরিশ স্ক্যান এবং ডিজিটাল মেশিনে স্বাক্ষর প্র্রদানের জন্য সংশ্লিস্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে সিডিউল নিয়ে যেতে হবে।

বায়োমেট্রিক ব্যতীত সব তথ্যই অন-লাইনে প্রদান করে এর একটি কপি নিয়ে সিডিউল মোতাবেক কয়েকটি ডকুমেন্টস যেমন; জন্ম তারিখ প্রমানে জন্ম সনদ এবং এসএসসি সনদ, পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/টি.আই.এন সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), বাংলাদেশের নাগরিক প্রমানে নাগরিক সনদ (স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত) এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কর্তৃক প্রদেয় প্রত্যয়ন, ঠিকানা প্রমানে সচরাচর বসবাসের ঠিকানার প্রমানপত্র হিসেবে বাসার কোন একটি ইউনিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস ইত্যাদি), বাড়ী ভাড়ার রশিদ/হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ, বাবা, মা, স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সাথে নিয়ে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।

নিবন্ধন কার্য সম্পন্ন হওয়ার পর বায়োমেট্রিক ম্যাচিং এর জন্য আপনার তথ্য প্রেরণ করা হবে নির্বাচন কমিশনের সেন্ট্রাল সার্ভারে। সেন্ট্রাল সার্ভারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ম্যাচিং-এ যদি ডাটাবেজে বিদ্যমান অন্যান্য নাগরিকদের কারো সাথে ডুপ্লিকেট শনাক্ত না হয় অর্থাৎ বায়োমেট্রিক ম্যাচিং OK থাকলে ডাউনলোড অপশন হতে NID কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের অন-লাইন কপি পাওয়া যাবে।
SMS এর মাধ্যমে NID নম্বর জানা
যারা নতুন নিবন্ধন করেছেন কিন্তু NID কার্ড পাননি বা NID নম্বর জানেন না তারা

মোবাইলের মেসেস অপশনে গিয়ে টাইপ করুন nid এরপর একটা স্পেস দিয়ে আপনার নিবন্ধন স্লিপে মূদ্রিত নম্বর টি XXXXXXX যা ফরম নম্বর হিসেবে দেয়া আছে সেটি টাইপ করুন এরপর আরেকটা স্পেস দিয়ে আপনার জন্ম তারিখটি টাইপ করুন এই ফরমেটে dd-mm-yyyy এবং পাঠিয়ে দিন 105 নম্বরে। খেয়াল রাখুন জন্ম তারিখ এর প্রথমে দুই সংখ্যার দিন যেমন, আপনার জন্ম দিন যদি হয় ১ তারিখ তাহলে লিখুন 01 এরপর একটা হাইফেন দিতে হবে (অন্য কোন চিহ্ন দিলে কাজ করবে না) এরপর লিখুন দুই সংখ্যার মাস যেমন, আপনার জন্ম যদি হয় জানুয়ারি মাসে তাহলে লিখুন 01 এরপর আরেকটি হাইফেন দিয়ে লিখুন বছর আপনার জন্ম যদি হয় ১৯৭৭ তাহলে লিখুন 1977 তাহলে ফিরতি এসএমএস এ জানিয়ে দেয়া হবে আপনার এনআইডি নম্বরটি।

উদাহরণ:

105 নম্বরে প্রেরণ করুন

nid ><ফরম নম্বর><dd-mm-yyyy

nid 3333333 01-01-1992

NID সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা গ্রহণের ফিস/চার্জঃ

সংশোধন বা পুন:ইস্যুর সরকারি ফি এর পরিমাণ জানতে https://services.nidw.gov.bd/fees লিংক এ দেখতে পাবেন। তবে আপনার বর্তমান সংশোধন বা পুন:ইস্যুর আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কত পরিমান ফি তা নিজেই ক্যালকুলেট করে নিতে পারেন নির্বাচন কমিশন এর সিস্টেমে প্রদত্ত এই লিঙ্ক  https://services.nidw.gov.bd/fees/fee_calculate এর মাধ্যমে।
ফি প্রদানের নূন্যতম ৩০ মিনিট পর আপনি সংশোধন বা হারানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবার ফিস/চার্জ প্রদানের জন্য নির্ধারিত ব্যাংক সমূহঃ

  • ১. ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং
  • ২. ওয়ান ব্যাংক এবং ওকে ওয়ালেট মোবাইল ব্যাংকিং
  • ৩. ট্রাষ্ট ব্যাংক এবং টি-ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং
  • ৪. মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং
  • ৫. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড
  • তবে আগের সোনালী সেবা বা অন্য মাধ্যমে ফি জমার বিষয়টি এখন আর সিস্টেম অ্যালাও করবে না।
  • এছাড়া এই ফি প্রদান আরো সহজীকরণ এর কাজ চলছে যার ফলে শিঘ্রই ই-চালান, বিকাশ, নগদসহ আরো জনপ্রিয় বিভিন্ন সিস্টেমে যার মাধ্যমে যে কোন ব্যাংকের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড আ অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এনআইডি’র ফি প্রদান করা সিস্টেম যুক্ত হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড প্রাপ্তিঃ
যারা নিবন্ধন হয়েছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি পেতে অন্যান্য তথ্য মেন্যুর এনআইডি তথ্য সাবমেনু হতে অথবা https://services.nidw.gov.bd/nid_info লিংক হতে তাদের ফরম নম্বর (আপনার কাছে রক্ষিত রশিদ) এবং আপনার জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা প্রদানের মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বরটি জেনে নিন। অত:পর  “রেজিস্টার”  মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)।

এরপর “লগইন” মেনুতে গিয়ে আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে “ডাউনলোড” মেনু হতে আপনার পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। ১ম বার ডাউনলোড এর ক্ষেত্রে ফি প্রযোজ্য হবে না। তবে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড করার অপশন আসবে না। এজন্য কার্ড প্রিন্টের জন্য ডাউনলোডকৃত কপিটি আপনার কোন সেফ ড্রাইভে রেখে দিন।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ডাটাবেইজে বিদ্যমান তথ্য-উপাত্ত সংশোধন/হালনাগাদ করনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যগত ভুল সংশোধন বা ডাটাবেইজে রক্ষিত বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট করতে https://services.nidw.gov.bd/ লিংকের “রেজিস্টার” মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)। পরবর্তীতে “লগইন” মেনুতে গিয়ে প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে লগইন করে প্রোফাইল অপশন হতে যেসব তথ্য সংশোধন প্রয়োজন তা এডিট করে সাবমিট করুন।

পরিচয়পত্র বা ডাটাবেইজে সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত সংশোধন/আপডেট এর আবেদন সাবমিট করার পূর্বে প্রযোজ্য সরকারি ফি নির্ধারিত মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা ডাটাবেইজের তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত সংশ্লিস্ট ডকুমেন্ট স্ক্যান করে সংযুক্ত করে সাবমিট করার পর সংশোধনের আবেদন এনআইডি অথরিটি কর্তৃক অনুমোদন হলেই কেবল তা “ডাউনলোড” অপশন হতে আপনার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড করার অপশন আসবে না। এজন্য ডাউনলোডকৃত কপিটি আপনার কোন সেফ ড্রাইভে রেখে দিতে পারেন। তবে পরবর্তী তথ্য আপডেট করা হলে আগের কপিটি সচল থাকবে না।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুন:উত্তোলনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রটি কোন কারণে হারিয়ে/নষ্ট হয়ে গেলে তা পুন:প্রাপ্তির জন্য প্রথমেই  “রেজিস্টার”  মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)। পরবর্তীতে  “লগইন” মেনুতে গিয়ে আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড প্রদান করে লগইন করুন। লগইন করার পর “রি-ইস্যু” অপশন হতে পুন:মূদ্রনের কারণ নির্বাচন করে প্রযোজ্য তথ্যসমূহ প্রদান করে পরবর্তী ধাপে গিয়ে বিতরণের ধরন হতে Urgent/Regular যে কোন একটি নির্বাচন করে সাবমিট করুন।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এই সেবার জন্য প্রযোজ্য সরকারি ফি আপনাকে আবেদন সাবমিট করার পূর্বেই নির্ধারিত মোবাইল/অন-লাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। কার্ড রি-ইস্যুর জন্য পুন:মূদ্রনের ধরন অনুযায়ী ফি নির্ধারিত হবে কারণ রেগুলার বা সাধারণ আবেদনের (৩০ কার্য দিবসে প্রাপ্তব্য) জন্য ফি এর থেকে জরুরী আবেদনের ফি (সাত কার্য দিবসে প্রাপ্তব্য) বেশী।

তবে এখনই রেগুলার স্মার্ট কার্ড এর জন্য অনলাইনের আবেদন কার্যকরী হবে না মর্মে জানা গেছে। আপাতত কাগজের কার্ডটিই গ্রহণ করতে হবে। তবে ভবিষ্যতে অনলাইনে আবেদনকারীদের স্মার্ট কার্ড দেয়া শুরু হবে যা কেবল অফিস হতে বা কোন পার্শেল সার্ভিসের মাধ্যমে দেয়ার ব্যবস্থা রাখার (এজন্য আলাদা ডাক মাশুল জমা দিতে হবে) ব্যাপারটি আলোচনায় রয়েছে। সংশোধনের আবেদন সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর তা “ডাউনলোড” অপশন হতে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করা যাবে।

উল্লেখ্য যে, একবার ডাউনলোড করলে পরবর্তীতে আর ডাউনলোড অপশন আসবে না। এজন্য মূদ্রণের জন্য ডা‌উনলোডকৃত কপিটি আপনার কোন সেফ ড্রাইভে রেখে দিতে পারেন।

ঠিকানা পরিবর্তন বা ভোটার এলাকা স্থানান্তর/মাইগ্রেশন জনিত কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন:
এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় ঠিকানা পরিবর্তন/মাইগ্রেশনের জন্য আগে ফরম-১৩ পূরণ করে সংশ্লিস্ট নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে (স্থানারের আবেদন অনলাইনে করার সিস্টেমটি এখনও চালু হয়নি তবে অচিরেই এটিও অনলাইনে করার আপশন পাওয়া যাবে)। স্থানান্তর করার আবেদনের সময় কোন ফি প্রদান করতে হয় না। এই সেবাটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।

ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পন্ন হওয়ার পরেই অনলাইনে কার্ড “রি-ইস্যু” এর আবেদন সাবমিট করলে পরিবর্তিত ঠিকানার এনআইডি কার্ড পাওয়া যাবে। কার্ড “রি-ইস্যু” করতে চাইলে এর আবেদনের সাথে ফি প্রযোজ্য হবে।

বাসা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন জনিত কারণে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন ঠিকানা মূদ্রিত কার্ড নিতে হলে  “রেজিস্টার”  মেনুতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে এনআইডি অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে (যদি আগে রেজিস্টার করা না থাকে)। এনআইডি অন-লাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে পরবর্তীতে  “লগইন” মেনুতে গিয়ে ইতোপুর্বে ইউজার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর “রি-ইস্যু” অপশন হতে পুন:মূদ্রনের কারণ হিসেবে “নষ্ট হয়ে গেছে” নির্বাচন করে পরবর্তী ধাপে গিয়ে বিতরণের ধরন হতে Urgent/Regular যে কোন একটি নির্বাচন করে সাবমিট করুন। অথবা “প্রোফাইল” অপশন হতে ঠিকানার সংশ্লিস্ট ফিল্ডসমূহের প্রয়োজনীয় এডিট করে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে সাবমিট করতে হবে।

এই সেবার জন্য আবেদন সাবমিট করার পূর্বেই প্রযোজ্য সরকারি ফি নির্ধারিত মোবাইল/অন-লাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। আবেদনটি সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর তা “ডাউনলোড” অপশন হতে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করা যাবে।

তবে বর্তমান ঠিকানার ভোটার এলাকা ঠিক থাকলে ঠিকানার অন্যান্য তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে ফরম-১৩ পূরণ করে মাইগ্রেশন করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে “প্রোফাইল” অপশন হতে ঠিকানার প্রয়োজনীয় তথ্য (ভোটার এলাকা ব্যতীত) এডিট করে সংশোধনের আবেদন হিসেবে সাবমিট করলে ঠিকানা সংশোধন হবে।

এনআইডি অনলাইন সেবা গ্রহণের জন্য আরো পরিষ্কার ধারনা পেতে চাইলে এবং গ্রাফিক্যাল ধাপ সমুহ দেখতে নিচের ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন-
NID Online Service docDownload

Level 3

আমি মাকছুদ আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই,আমি তো আমার ভোটার আইডির নাম কারেক্ট করার জন্য চেষ্টা করছি কিন্তু ওখানে যে রকেট দিয়ে টাকা দেওয়া যায় সেই রকেট নাম্বার কই আর কিভাবে পাবো??