কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিংকে আনন্দদায়ক করা যায়

আমার আগের এক লেখায় আমি বলেছিলাম কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে একটি মজার কাজ। তবে আজ আবার এর গভীরে প্রবেশ করছি। তাই বলতে হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং যেমন মজার তেমনি প্যারাদায়ক বা বিরক্তিকর। হ্যা ঠিক বলছি। এখন ভাবতে পারেন এক মুখে দুই কথা বলছি? না এক মুখে দুই কথা বলছি না। কন্টেন্ট রাইটিং আসলেই একটি মজাদার কাজ। কিন্তু প্রথম প্রথম শুরুর দিকে একটু বিরক্তিকর লাগতে পারে। এটিকে আনন্দদায়ক করে নিতে হয়। আপনি যদি একবার এটিকে আনন্দদায়ক করে নিতে পারেন হলফ করে বলছি আপনার কাছে এটাকে আর খারাপ লাগবে না।

হ্যা এটা অবশ্যই হবে। তবে তার জন্য আপনাকে সময় দিতে হবে। সময় না দিলে কিন্তু হবে। তো রাইটিংকে কিভাবে আরো আনন্দময় করা যায় সেটা নিয়ে একটু ছোটখাটো টিপস দেয়া যাক।

১. চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিখুন:

আপনার কাজ কি? এখন ভাবছেন এটা আবার কোনো প্রশ্ন হলো। কন্টেন্ট রাইটারদের কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট লিখা‌ এছাড়া আর কি। এইতো এইখানেই আমরা অধিকাংশ ভুল করে ফেলি। কেন ভুল করি জানেন? কারণ আমাদের অধিকাংশ ক্লায়েন্ট আমাদের দিয়ে লেখায় এস.ই.ও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট রাইটিং। এখন এই কন্টেন্ট তারা গুগলে রেংক করানো মূল লক্ষ্য থাকে। কিন্তু আপনার কন্টেন্ট যদি এস.ই.ও ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে কি এটা রেংক করবে? না অবশ্যই করবে না। তাহলে এখানে কি ক্লায়েন্টকে স্যাটিসফাই করতে পেরেছেন কি? না পারেননি। তাহলে কন্টেন্ট রাইটার দের মূল লক্ষ্য হতে হবে ক্লায়েন্ট স্যাটিসফাই।

আর এই কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। এমন নয় বললাম আর হয়ে যাবে। তাই কাজটা চ্যালেঞ্জিং ওয়েতে করুন। যদি আপনার ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হয় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ আর না হলে ভুল খুঁজে বের করুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল যেন ভালো হয় সেইভাবে করুন। কাজের ভিতর চ্যালেঞ্জ থাকলে আপনি বোরিং হবেন না ইনশাআল্লাহ।

২. বড় রাইটারদের ফলো করুন:

এমন কি হয় যে আপনি শুধু লিখছেন আর লিখছেন কিন্তু আপনার কোনো আইডল নেই? আচ্ছা বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যাক। আপনি কি বড় রাইটারদের ফলো করেন? যদি না হয় তাহলে আপনার এই লেখালেখির প্রতি বিরক্তবোধ আসাটা অস্বাভাবিক কিছু না। কেননা আপনি আপনার টোনে লিখছেন কিন্তু আপনার টোন ঠিক না আর ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট না তখনি কি কাজের কাজ কিছু হবে?

এজন্য বড় বড় রাইটারদের ব্লগ পড়ুন। এতে করে পার্থক্য বুঝতে পারবেন খুবই সহজে। তখন আপনি কিন্তু লেখার ভুল বা কোথায় উন্নতি করতে হবে তা বুঝতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় বিষয় তাদের লেখা প্রতিদিন পড়লে আপনার অনেক আইডিয়া আসবে। কেননা রাইটিং জগতে একটা প্রবাদ আছে, লিখতে চাইলে পড়তে হবে।

৩. মান বাড়ান, আয় বাড়ান:

টাকা হচ্ছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমরা যত যাই বলি না কেন কোয়ালিটিফুল হতে হবে আরো যত যা। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে টাকা কামানো। কন্টেন্ট রাইটিংয়েও আমরা টাকা কামানোর জন্য আসি। কিন্তু যখন আমরা নতুন কন্টেন্ট রাইটার থাকি তখন আমাদের কিন্তু লেখার মান ভালো থাকে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যতদিন যাবে ততই কিন্তু কোয়ালিটি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

কেননা কোয়ালিটি না বাড়ালে কিন্তু আপনার আয় এক জায়গাতেই স্থির থাকবে। কে না চায় আয় বাড়াতে। যখন একজন বিগিনার কন্টেন্ট রাইটার তার ক্যারিয়ার শুরু করে তখন হয়তো প্রতি ১০০০ শব্দে আপনি ১৫০-২০০ টাকা চার্জ করে। সেক্ষেত্রে ধরে নিলাম, ১৫০ করে। এখন প্রতিদিন লিখলে মাস শেষে আসে, (১৫০×৩০)= ৪৫০০ টাকা। এই ১৫০ আপনার কোয়ালিটি বাড়ার সাথে সাথে ৫০০-১০০০ পর্যন্ত হতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

৪. পার্সোনাল অডিয়েন্স তৈরি করুন:

বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে চেষ্টা করুন আপনার নিজের অডিয়েন্স তৈরি করে নেয়ার। যাইহোক ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলবো না সরাসরি বলি। একটা পার্সোনাল ব্লগ তেরি করুন। যেখানে আপনি আপনার লেখা শেয়ার করবেন। যেটা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। আর এডসেন্স দিয়ে আপনার আর্নিং হবে। আর যারা আপনার লেখা পছন্দ করবে তাদের নিয়ে একটি ফ্যানবেজ তৈরি হবে।

৫. মেন্টরের সাথে সুসম্পর্ক রাখুন:

আমরা যারা কন্টেন্ট রাইটিং এর সাথে জড়িত তারা কিন্তু কারো অধীনেই বেশিরভাগ শিখে থাকি। সেই মেন্টরকে সবসময় ধরে রাখুন। কেননা সবসময় সে আপনাকে মেন্টরশিপ প্রদান করবেন। আপনার সাথে তার ভালো সম্পর্ক থাকলে সে আপনার কোথায় অসুবিধা হচ্ছে তা তার সাথে বসে আলোচনা করতে পারবেন। এতে করে সবচেয়ে বড় যে সুবিধা হবে আপনার কন্টেন্ট রিলেটেড যেকোনো সমস্যা নির্দ্বিধায় তার কাছে বলতে পারবেন।

তাই যাই হোক এই কয়টা বিষয় মনে করে এগোবেন। এতে করে ইনশাআল্লাহ রাইটিং এর প্রতি বিরক্তবোধ আসবে না।

Level 1

আমি সাইদুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস